ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতিকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ NIA-র বিশেষ আদালতের। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তাজা বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার ধৃত ২ জনকে পেশ করা হয় আদালতে। এরপরেই আদালতের নির্দেশে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, ২০২২-র ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত্যু হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। ঘটনার পর পোড়া দেহগুলি রাজকুমার মান্নার বাড়ির অনতিদূরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। দানা বেঁধেছিল রহস্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। ঘটনার ৩ মাস পর ভুপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে চলতি মাসেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। হামলা হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপরেও। যদিও শেষমেশ এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হয় বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২ মূল অভিযুক্ত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতি।
রাত পেরোলেই রাজ্যে শুরু প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনী আবহে যেভাবে শাসক ঘনিষ্ট নেতা-কর্মীদের নাম, দুর্নীতি, অপরাধ জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তাতে আখেরে মুখ পুড়ছে শাসকদলেরই। মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও এর প্রভাব ভোটবাক্সে আদৌ পড়বে কিনা বা পড়লেও তা কতটা এখন সেটাই দেখার।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ-এর হাতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত মুসাভির হোসেন শাজিব এবং আব্দুল মাথিন তাহা ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দীঘায় আত্মগোপন করেছিল। ক্যাফের নিরাপত্তারক্ষাকারী জানান, মালিক গোটা বিষয়টি জানেন। সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য় পাওয়া যায়নি ওই দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে।
সূত্রের খবর, ধৃত আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিব দুই অভিযুক্ত ঊষা শাহানুর এবং আনমোল কুলকার্নি নামে আত্মগোপন করেছিল দীঘার একটি হোটেলে। সেখানে থেকে দার্জিলিংয়ে গিয়ে পর্যটক পরিচয়ে আত্মগোপন করেছিল তারা। এরপর দার্জিলিং থেকে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়েছিল। কলকাতার লেনিন সরণীর একটি হোটেলে উঠেছিল। কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে আত্মগোপন করছিল। এমনকি ভিন্ন নাম দিয়ে ভুয়ো আধারকার্ড বানিয়েছিলেন তারা।
এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে গ্রেফতার হয় ওই দুই জঙ্গি। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সবরকম নিয়ম তাঁরা মেনেই চলেন। তারপরেও কীভাবে এই দুই জঙ্গি এখানে এসে থাকল সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। এনআইএ সূ্ত্রের খবর, আইডি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত ছিল আব্দুল এবং মুসাভির।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ। কিন্তু কারা এই আব্দুল মাথিন এবং মুসাভির হোসেন? কীভাবে তারা জড়িয়ে পড়লেন এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে? এইবারই প্রথম নয় এরআগেও এই দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। যেহেতু ঘটনাটি আইডি বিস্ফোরণের, ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকবে সেটাই অনুমান করেছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। মাথিন ও মুসাভির ছন্দনাম নিয়ে আত্মগোপন করেছিল। এই দুই সন্দেহভাজনের হদিশ পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় এনআইএ-র পক্ষ থেকে। শুক্রবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্নাটকের পুলিসও ছিল এই অভিযানে।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই বোমার শব্দে কেঁপে উঠল নদিয়ার চাকদহ। মঙ্গলবার সকালে চাকদহ থানার অন্তর্গত পাজির মোড় লালপুকুর এলাকায় বোমা ফেটে গুরুতর আহত হন এক শ্রমিক। জানা গিয়েছে, আহত ওই শ্রমিকের নাম শ্যামল সরকার (৪৫)। চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, এদিন চাকদহের পাজির মোড় লালপুরে একটি পুকুরের পাশে নির্মাণ কাজ করতে চার জন শ্রমিক আসেন। বাড়ির কলম করার জন্য় বেশ কিছুটা মাটি খনন করার পর হঠাৎ একটি হলুদ ড্রাম দেখতে পান ওই শ্রমিকেরা। এর মধ্যে শ্যামল সরকার নামের ওই শ্রমিকের কোদালের কোপ পরে বোমা মজুদ করে রাখা ওই ড্রামে। তারপরেই ড্রামে থাকা চার চারটি বোমা ফেটে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনায় গুরুতর আহত হন শ্যামল সরকার।
এরপর বোমার শব্দে আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে আহত শ্যামল সরকারকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যায় চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানান্তর করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাকদহ থানার পুলিস। নির্বাচনের আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা এলাকা।
অন্য়দিকে খড়দহ পুরানী বাজার এলাকায় চলে বোমাবাজি। বোমার আঘাতে উড়েছে বাড়ির চাল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় খড়দহ থানার পুলিস। লোকসভা নির্বাচনের আগে বোমাবাজির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিস প্রসাশনের ভূমিকা। গোটা ঘটনার তদন্তে খড়দহ থানার পুলিস।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ নাগপুরের বিস্ফোরক তৈরির কারখানায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। আহত ৩ জন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হঠাৎই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাজারগাঁওয়ের কারখানাটি। কেন বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে নাগপুরের পুলিস সুপারিটেন্ডেন্ট হর্ষ পোদ্দার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই সৌরশক্তি সংক্রান্ত বিস্ফোরক কারখানার কাস্ট বুস্টার প্ল্যান্টে প্যাকিং চলছিল। মোট ১২ জন কর্মী কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণে তাঁদের মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পর পর দু'বার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান (Pakistan)। শুক্রবার বালুচিস্তানে (Balochistan) ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারালেন ৫২ জন। এদিন সকালে বালুচিস্তানের এক মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক। এই ঘটনার পরই ফের এক বিস্ফোরণ হয় খাইবার পাখতুনখোয়ায়। যেই ঘটনায় ফের প্রাণ হারান ৩ জন। জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে বালুচিস্তানের মাস্তুং জেলার আল-ফালাহ মসজিদের কাছে। শুক্রবার সকালে ইদের মিছিল উপলক্ষে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আচমকা আত্মঘাতী জঙ্গি ভিড়ের দিকে এগিয়ে এসে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এর পরই ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মৃতদেহ।
এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার পরই খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। হাঙ্গু জেলার এক মসজিদের মধ্যে এই বিস্ফোরণ হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর। পুলিস আরও জানিয়েছে, প্রার্থনা করার সময়ে এই বিস্ফোরণ হয় ও সেই সময় মসজিদে মোট ৩০-৪০ জন ছিলেন। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ৩ জন ও গুরুতর আহত হন ৬ জন।
দত্তপুকুরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিমাদ্রি ডোগরাকে। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার বিকেলে দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করে রাজ্য পুলিস প্রশাসন। রবিবার বিস্ফোরণ কাণ্ডে স্বাভাবিক ভাবেই পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়।
ওদিকে ঘটনার রাতেই নীলগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূলচক্রীর সহকারী সফিকুল আলীকে। পাশাপাশি দত্তপুকুর কাণ্ডের রাতেই কলকাতার সিপিও ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ঘটনাস্থলে তদন্ত চালায় সিআইডি দল। ওদিকে এ ঘটনার পর নমুনা সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যান এনআইএর একটি দল।
রবিবার এ ঘটনার পরেই দত্তপুকুর আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, 'এটি বড় ঘটনা, পুলিস এর ব্যাবস্থা নেবে।' পাশাপাশি সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। এদিন ঘটনাস্থলে এসে তিনি বলেন, 'বাজি কারখানা থেকেই এই দুর্ঘটনা। বোমার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।' কিন্তু এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিসের বিরুদ্ধে। রবিবার স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দত্তপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সবটাই জানেন। এমনকি পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তাঁরা, যে পুলিস পয়সার বিনিময়ে এই কারখানা চালানোর অনুমতি দিত। এখন প্রশ্ন উঠছে কোনও আউটপোস্ট অর্থাৎ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাসপেন্ড হলে দত্তপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কি নির্দোষ?
দত্তপুকুর-কাণ্ডে আরও কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। এই ঘটনার পরেই তিনি জানিয়েছেন, দোষীদের কোনও রেয়াত করা হবে না। তাঁর নির্দেশেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে সিআইডি। শুরু হয়েছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
এদিকে, দত্তপুকুরের এই ঘটনায় পুলিশের দাবি নিহতের তালিকায় রয়েছেন কারখানা মালিকের ছেলে। তাঁর নাম রবিউল আলি। এছাড়াও রয়েছেন মুর্শিদাবাদের দুই বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আসরে নেমেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কেরামত আলিকে আইএসএফের লোক বলেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, দত্তপুকুরে যে এইভাবে বাজি কারখানা চলছে, সেই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরেই পুলিশের চোখের সামনেই এই বাজির ব্যবসা করছিল কেরামত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ জেনেও চুপ ছিল। এই ঘটনার পরেও বস্তার পর বস্তা বাজির মশলা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাড়ির মালিকও। তিনিই কেরামত আলি কীনা, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।
দত্তপুকুরে অবৈধ ‘বাজি’ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রবিবার মাঝরাতে প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শফিকের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত চাওয়া হয়েছে।তবে কেরামতের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি এখনও। স্থানীয়দের একাংশের মতে তিনিও বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারও কারও মতে, রবিবারই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
'অবৈধ' বাজির কারখানায় রবিবার সকালের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে দশ। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের বারাসত শহরও।
স্থানীয়দের বাধা, বারণ ধর্তব্যে আনতেন না কেরামত, অভিযোগ এমনটাই। স্থানীয় সামসুল হকের জমি ভাড়া নিয়েই বাজির ব্যবসা ফেঁদেছিলেন কেরামত। সামসুল নিজেও এই কারখানাতেই কাজ করতেন। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও।
এগরার পর এবার দত্তপুকুর (Dattapukur)। তিন মাস পর আবারও বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Firecracker Factory blast)। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের একটি বাজি কারখানায়। এখনও অবধি ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় ৯ জনকে জন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় এক জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দত্তপুকুর থানার পুলিস। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠছে এগরার ঘটনার পরও কেন পদক্ষেপ করল না প্রশাসন?
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযোগ, একটি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত বাজি। বিস্ফোরণে প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। আশপাশের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের বিস্ফোরক দাবি, বাজি কারখানার মালিকরা শসকদলের সমর্থক হওয়ায় কেউ ভয়ে কিছু বলতেন না। এই কারখানার পিছনে প্রশাসনের মদত ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। বিস্ফোরণস্থলে কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও ১০০ মিটার দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এছাড়াও রবিবার সন্ধেবেলা উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
গোটা রাজ্য যেন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ আর বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেন থামছেই না। রবিবার সাত সকালেই ঘটে গেল ভয়াবহ বোমা (Bomb) বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের লক্ষীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকার ফলে এই ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ওই এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ আচমকা ওই আইসিডিএস সেন্টারে বেমা বিস্ফোরণের ঘটে। তারপরেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পাশাপাশি বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে ভেঙে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একাধিক অংশ। স্থানীয়দের দাবি, যেই ব্য়ক্তির বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়িটি তৈরি হয়েছে এই বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই ওই বাড়ির সদস্য়রা পলাতক।
সূ্ত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতরভাবে জখম (Ijured) এক ন'বছরের শিশু। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে ডান হাতটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) নলকোড়া গোলবাগান এলাকায়। বোমকে বল ভেবে খলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই খবর পেয়ে ওই ভাটাতে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিস (Police)। বাকি বোমা গুলিও উদ্ধার করে পুলিস। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের বোমা মজুত করে রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আহত ওই শিশুটির নাম ইউসুফ মণ্ডল (৯)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রতিবেশীরা ইউসুফকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জ্ঞান ফিরেছে ইউসুফের। একটু একটু করে কথাও বলছে সে। তবে ওই শিশুটির ডান হাতের কবজি থেকে বাকিটা বাদ দিতে হয়েছে। পরিবারের দাবি, যে বা যারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল পুলিস তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিক।
যদিও এই ঘটনায় ভাটার মালিক হাজী মোহাম্মদ মসিবর বৈদ্য বলেন, "ভাটাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে বোমাগুলি রেখেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।"
আচমকা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম (Injured) এক নাবালক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মানিকচক থানার নারায়ণপুর চর এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত নাবালক বর্তমানে মালদহের মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবারই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। এমনকি ঘটনাস্থলটি ঝাড়খন্ড সংলগ্ন হওয়ায় পৃথকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিসও। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ওই এলাকায়।
এই বিষয়ে আহত নাবালক বলে, রবিবার মহিষ চরাতে মাঠে গিয়েছিল সে। তারপর কিছুক্ষণ মাঠে খেলাধুলোও করে। এরপরেই প্রচণ্ড রোদের কারণে সামনে থাকা একটি বাঁশ বাগানে গিয়ে বসে আরাম করে জল খায়। তারপরেই বাঁশ বাগানের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। ওই নাবালকের দাবি, সে বাঁশ বাগান থেকে ব্যাগটি তুলে দেখে তার মধ্যে একটি বোমা। তারপরেই ভয়ে সে ব্যাগটিকে মাটিতে ফেলে দেয়। আর তারপরেই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। আহতর পরিবারের দাবি, যে বা যারা এলাকার মধ্যে বোমা মজুত করছে, যার জেরে বারবার বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে, পুলিস তাদের গ্রেফতার করে।
বাজি কারখানায় (Cracker Factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৮ জনের। শনিবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরি জেলার। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ছিলেন। কৃষ্ণগিরির পাজায়াপেট্টাইতে ওই বাজি কারখানায় আচমকাই এদিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। এমনকি বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার কাছে থাকা একটি হোটেলও ভেঙে পড়ে। ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।
Deeply saddened by the tragic mishap at a cracker factory in Krishnagiri, Tamil Nadu, resulting in the loss of precious lives. My thoughts and prayers are with the families of the victims during this extremely difficult time. May the injured recover soon. An ex-gratia of Rs. 2…
— PMO India (@PMOIndia) July 29, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে ওই বিস্ফোরণ ঘটে কৃষ্ণগিরি এলাকার একটি বাজি কারখানায়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আশপাশের বাড়ির বিভিন্ন অংশে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের একাধিক হোটেল এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেগুলোর নীচে অনেকেই আটকে পড়েন। তাঁদেরকে ভেতর থেকে কোনওক্রমে বের করেন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১২ জন।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানায় বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। স্থানীয়রাই প্রথমে মৃতদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। তারপর আসে পুলিস ও দমকল।
মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পাশাপাশি এই বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিনও।
বোমা মজুত করতে গিয়ে বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। বিস্ফোরণের জেরে গুরুতরভাবে জখম (Injured) হলেন দুই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরক্কা থানার তোফাপুর এলাকায়। জখম অবস্থায় দুই ব্যক্তিকেই আপাতত জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা থানার পুলিস (Police)। পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, আহত ওই দুই ব্যক্তির নাম আক্তারুল শেখ এবং আব্দুল লতিব। তাঁরা দুজনেই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আহতরা জানান, বোমাগুলি নিয়ে বাড়ি আসার সময় রাস্তায় উপর বোমাগুলি নিয়ে পড়ে যান তাঁরা। তারপরেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আহতদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল জড়িয়ে নেই। শুধু ভোটের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সামাল দিতেই তাঁরা বোমাগুলি মজুত করছিলেন, এমনটাই দাবি আহতদের।