
পর পর দু'বার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান (Pakistan)। শুক্রবার বালুচিস্তানে (Balochistan) ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারালেন ৫২ জন। এদিন সকালে বালুচিস্তানের এক মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক। এই ঘটনার পরই ফের এক বিস্ফোরণ হয় খাইবার পাখতুনখোয়ায়। যেই ঘটনায় ফের প্রাণ হারান ৩ জন। জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে বালুচিস্তানের মাস্তুং জেলার আল-ফালাহ মসজিদের কাছে। শুক্রবার সকালে ইদের মিছিল উপলক্ষে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আচমকা আত্মঘাতী জঙ্গি ভিড়ের দিকে এগিয়ে এসে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এর পরই ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মৃতদেহ।
এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার পরই খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। হাঙ্গু জেলার এক মসজিদের মধ্যে এই বিস্ফোরণ হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর। পুলিস আরও জানিয়েছে, প্রার্থনা করার সময়ে এই বিস্ফোরণ হয় ও সেই সময় মসজিদে মোট ৩০-৪০ জন ছিলেন। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ৩ জন ও গুরুতর আহত হন ৬ জন।
দত্তপুকুরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিমাদ্রি ডোগরাকে। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার বিকেলে দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করে রাজ্য পুলিস প্রশাসন। রবিবার বিস্ফোরণ কাণ্ডে স্বাভাবিক ভাবেই পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়।
ওদিকে ঘটনার রাতেই নীলগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূলচক্রীর সহকারী সফিকুল আলীকে। পাশাপাশি দত্তপুকুর কাণ্ডের রাতেই কলকাতার সিপিও ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ঘটনাস্থলে তদন্ত চালায় সিআইডি দল। ওদিকে এ ঘটনার পর নমুনা সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যান এনআইএর একটি দল।
রবিবার এ ঘটনার পরেই দত্তপুকুর আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, 'এটি বড় ঘটনা, পুলিস এর ব্যাবস্থা নেবে।' পাশাপাশি সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। এদিন ঘটনাস্থলে এসে তিনি বলেন, 'বাজি কারখানা থেকেই এই দুর্ঘটনা। বোমার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।' কিন্তু এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিসের বিরুদ্ধে। রবিবার স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দত্তপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সবটাই জানেন। এমনকি পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তাঁরা, যে পুলিস পয়সার বিনিময়ে এই কারখানা চালানোর অনুমতি দিত। এখন প্রশ্ন উঠছে কোনও আউটপোস্ট অর্থাৎ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাসপেন্ড হলে দত্তপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কি নির্দোষ?
দত্তপুকুর-কাণ্ডে আরও কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। এই ঘটনার পরেই তিনি জানিয়েছেন, দোষীদের কোনও রেয়াত করা হবে না। তাঁর নির্দেশেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে সিআইডি। শুরু হয়েছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
এদিকে, দত্তপুকুরের এই ঘটনায় পুলিশের দাবি নিহতের তালিকায় রয়েছেন কারখানা মালিকের ছেলে। তাঁর নাম রবিউল আলি। এছাড়াও রয়েছেন মুর্শিদাবাদের দুই বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আসরে নেমেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কেরামত আলিকে আইএসএফের লোক বলেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, দত্তপুকুরে যে এইভাবে বাজি কারখানা চলছে, সেই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরেই পুলিশের চোখের সামনেই এই বাজির ব্যবসা করছিল কেরামত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ জেনেও চুপ ছিল। এই ঘটনার পরেও বস্তার পর বস্তা বাজির মশলা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাড়ির মালিকও। তিনিই কেরামত আলি কীনা, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।
দত্তপুকুরে অবৈধ ‘বাজি’ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রবিবার মাঝরাতে প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শফিকের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত চাওয়া হয়েছে।তবে কেরামতের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি এখনও। স্থানীয়দের একাংশের মতে তিনিও বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারও কারও মতে, রবিবারই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
'অবৈধ' বাজির কারখানায় রবিবার সকালের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে দশ। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের বারাসত শহরও।
স্থানীয়দের বাধা, বারণ ধর্তব্যে আনতেন না কেরামত, অভিযোগ এমনটাই। স্থানীয় সামসুল হকের জমি ভাড়া নিয়েই বাজির ব্যবসা ফেঁদেছিলেন কেরামত। সামসুল নিজেও এই কারখানাতেই কাজ করতেন। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও।
এগরার পর এবার দত্তপুকুর (Dattapukur)। তিন মাস পর আবারও বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Firecracker Factory blast)। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের একটি বাজি কারখানায়। এখনও অবধি ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় ৯ জনকে জন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় এক জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দত্তপুকুর থানার পুলিস। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠছে এগরার ঘটনার পরও কেন পদক্ষেপ করল না প্রশাসন?
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযোগ, একটি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত বাজি। বিস্ফোরণে প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। আশপাশের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের বিস্ফোরক দাবি, বাজি কারখানার মালিকরা শসকদলের সমর্থক হওয়ায় কেউ ভয়ে কিছু বলতেন না। এই কারখানার পিছনে প্রশাসনের মদত ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। বিস্ফোরণস্থলে কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও ১০০ মিটার দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এছাড়াও রবিবার সন্ধেবেলা উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
গোটা রাজ্য যেন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ আর বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেন থামছেই না। রবিবার সাত সকালেই ঘটে গেল ভয়াবহ বোমা (Bomb) বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের লক্ষীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকার ফলে এই ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ওই এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ আচমকা ওই আইসিডিএস সেন্টারে বেমা বিস্ফোরণের ঘটে। তারপরেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পাশাপাশি বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে ভেঙে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একাধিক অংশ। স্থানীয়দের দাবি, যেই ব্য়ক্তির বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়িটি তৈরি হয়েছে এই বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই ওই বাড়ির সদস্য়রা পলাতক।
সূ্ত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতরভাবে জখম (Ijured) এক ন'বছরের শিশু। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে ডান হাতটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) নলকোড়া গোলবাগান এলাকায়। বোমকে বল ভেবে খলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই খবর পেয়ে ওই ভাটাতে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিস (Police)। বাকি বোমা গুলিও উদ্ধার করে পুলিস। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের বোমা মজুত করে রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আহত ওই শিশুটির নাম ইউসুফ মণ্ডল (৯)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রতিবেশীরা ইউসুফকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জ্ঞান ফিরেছে ইউসুফের। একটু একটু করে কথাও বলছে সে। তবে ওই শিশুটির ডান হাতের কবজি থেকে বাকিটা বাদ দিতে হয়েছে। পরিবারের দাবি, যে বা যারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল পুলিস তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিক।
যদিও এই ঘটনায় ভাটার মালিক হাজী মোহাম্মদ মসিবর বৈদ্য বলেন, "ভাটাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে বোমাগুলি রেখেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।"
আচমকা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম (Injured) এক নাবালক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মানিকচক থানার নারায়ণপুর চর এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত নাবালক বর্তমানে মালদহের মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবারই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। এমনকি ঘটনাস্থলটি ঝাড়খন্ড সংলগ্ন হওয়ায় পৃথকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিসও। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ওই এলাকায়।
এই বিষয়ে আহত নাবালক বলে, রবিবার মহিষ চরাতে মাঠে গিয়েছিল সে। তারপর কিছুক্ষণ মাঠে খেলাধুলোও করে। এরপরেই প্রচণ্ড রোদের কারণে সামনে থাকা একটি বাঁশ বাগানে গিয়ে বসে আরাম করে জল খায়। তারপরেই বাঁশ বাগানের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। ওই নাবালকের দাবি, সে বাঁশ বাগান থেকে ব্যাগটি তুলে দেখে তার মধ্যে একটি বোমা। তারপরেই ভয়ে সে ব্যাগটিকে মাটিতে ফেলে দেয়। আর তারপরেই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। আহতর পরিবারের দাবি, যে বা যারা এলাকার মধ্যে বোমা মজুত করছে, যার জেরে বারবার বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে, পুলিস তাদের গ্রেফতার করে।
বাজি কারখানায় (Cracker Factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৮ জনের। শনিবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরি জেলার। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ছিলেন। কৃষ্ণগিরির পাজায়াপেট্টাইতে ওই বাজি কারখানায় আচমকাই এদিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। এমনকি বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার কাছে থাকা একটি হোটেলও ভেঙে পড়ে। ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।
Deeply saddened by the tragic mishap at a cracker factory in Krishnagiri, Tamil Nadu, resulting in the loss of precious lives. My thoughts and prayers are with the families of the victims during this extremely difficult time. May the injured recover soon. An ex-gratia of Rs. 2…
— PMO India (@PMOIndia) July 29, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে ওই বিস্ফোরণ ঘটে কৃষ্ণগিরি এলাকার একটি বাজি কারখানায়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আশপাশের বাড়ির বিভিন্ন অংশে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের একাধিক হোটেল এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেগুলোর নীচে অনেকেই আটকে পড়েন। তাঁদেরকে ভেতর থেকে কোনওক্রমে বের করেন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১২ জন।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানায় বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। স্থানীয়রাই প্রথমে মৃতদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। তারপর আসে পুলিস ও দমকল।
মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পাশাপাশি এই বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিনও।
বোমা মজুত করতে গিয়ে বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। বিস্ফোরণের জেরে গুরুতরভাবে জখম (Injured) হলেন দুই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরক্কা থানার তোফাপুর এলাকায়। জখম অবস্থায় দুই ব্যক্তিকেই আপাতত জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা থানার পুলিস (Police)। পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, আহত ওই দুই ব্যক্তির নাম আক্তারুল শেখ এবং আব্দুল লতিব। তাঁরা দুজনেই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আহতরা জানান, বোমাগুলি নিয়ে বাড়ি আসার সময় রাস্তায় উপর বোমাগুলি নিয়ে পড়ে যান তাঁরা। তারপরেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আহতদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল জড়িয়ে নেই। শুধু ভোটের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সামাল দিতেই তাঁরা বোমাগুলি মজুত করছিলেন, এমনটাই দাবি আহতদের।
টাটার ইস্পাত কারখানার ফার্নেসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই বিস্ফোরণে কোনও নিহতের খবর না মিললেও আহত (Injured) হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন কর্মী। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) ঢেঙ্কানল জেলার মেরামণ্ডলীতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। এই ঘটনায় পুলিস আহত ওই কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্ধার করে কটকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিস ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঢেঙ্কানলের পুলিস সুপার জ্ঞানরঞ্জন মহাপাত্র বলেন, “এই ঘটনায় ১৯ জন আহত হয়েছেন। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের একটি দল এই ঘটনার তদন্ত করবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা বিএফএফপি ২ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস বেরোতে শুরু করে। সেটি মেরামতির কাজ করছিলেন কিছু কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ার। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে ওই কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের গায়ে গরম জল ছিটকে পড়ে। যদিও এই বিষয়ে টাটা স্টিলের তরফে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা চলছে। এমনকি ওই আহত কর্মীদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
রাতের অন্ধকারে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) কেঁপে উঠল এলাকা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী (Basanti) থানার কাঠালবেরিয়া পঞ্চায়েতের কালিপদ মোড়ের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাসন্তী থানার পুলিস (Police)। পুলিস বোমার সুতলি রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত একটা নাগাদ বোমা ফাটতে থাকে এই এলাকায়। এলাকায় প্রচুর বোমা ফাটার দাগ এবং বোমার সুতলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়েছে এবার এলাকার দখল কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়েই মূলত শক্তি প্রদর্শন চলছে বাসন্তীর কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেই কারণেই রাতের অন্ধকারে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিস।
তবে কারা এই বোমা ফাটিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এগরা, বজবজের পর মালদহ (Maldah)। এবার মালদহের বাজির গুদামে বিস্ফোরণের (Firecrackers blast) জেরে আগুন (Fire) ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু (Death) হয়েছে। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় এখনও অবধি ২ জন গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে দমকলের আটটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্রের খবর, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার নেতাজি পুরবাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণের পর ওই গুদামে আগুন লেগে যায়। এখন দমকলের ইঞ্জিন ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাজির গুদাম ঘিরে একাধিক বাজির দোকানও ছিল। মঙ্গলবার সকালে গুদামের সামনে গাড়ি থেকে কার্বাইড নামানো হচ্ছিল। সেই কার্বাইড অসাবধানতায় নীচে পড়ে যায়। তার পরেই হয় বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণের ফলে গুদামে আগুন ধরে যায়। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ঘটনাস্থলে বাজির এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিন জন শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আরও ১ শ্রমিকের।
এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Egra Blast) নতুন ধারা যোগ করল সিআইডি (CID)। হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ার পরেই আজ অর্থাৎ শুক্রবারই এ ঘটনায় নতুন ধারা যোগ করল সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ও ১৯০৮ এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টের ধারা যোগ করল সিআইডি।
মঙ্গলবার এগরা বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন। এছাড়া সূত্রের আরও খবর ২ জন এখনও এসএসকেএমের বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। পূর্বেই এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। নবান্নের প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা জানিয়েছিলেন দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরেই তদন্তভার সিআইডির হাতে যায়। পাশাপাশি ওই মামলায় পুলিসের করা এফআইআরে অসন্তোষ জানিয়েছিল বিরোধীরা। এমনকি এই মামলা হাইকোর্টে গেলে এই মামলার ধারা দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এবং তিনি রাজ্যের তরফে আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, 'এ ঘটনায় বিস্ফোরণের ধারা নেই কেন?'
এরপরে এ ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে সিআইডিকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি। তারপরেই আজ অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলায় আরও ধারা যোগ করল সিআইডি। ঘটনার তদন্তে নেমে এই মামলায় এখনও অবধি মূল অভিযুক্ত ভানু, তাঁর ছেলে ও তাঁর ভাইপোকে গ্রেফতার করে সিআইডি। যদিও শুক্রবার কাকভোরে অভিযুক্ত ভানু বাগ ওড়িশার কটকের একটি নার্সিংহোমে মারা যান।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ ইতালিতে। বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির (Italy) মিলানে। বিস্ফোরণের জেরে পাশে থাকা গাড়ি গুলিতেও আগুন লেগে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চার পাশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে পুলিস (Police) ও দমকল বাহিনী। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, সিলিন্ডার বোঝাই গাড়িতে আগুন লাগার ফলেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচটি গাড়ি এবং চারটি বাইক সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এমনকি কয়েকটি গাড়ির ক্ষতিও হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে পুলিস ওই গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
Several vehicles are in flames in the center of Milan in northern Italy after an explosion, possibly coming from a van full of oxygen bottles #Milano#Italy #BreakingNEWS pic.twitter.com/h01NOJ9uKH
— D® Phil (@philabouzeid) May 11, 2023
জানা গিয়েছে, আচমকাই মিলানের পোর্তা রোমানার একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিলিন্ডারের গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বেশ খানিকটা উড়ে যায় গাড়িটি। আশপাশে পার্ক করে রাখা গাড়ি এবং বাইকেও আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণস্থলের পাশেই রয়েছে একটি স্কুল এবং একটি নার্সিংহোম। বিস্ফোরণের পরেই সেখান থেকে পড়ুয়া এবং রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।