'আবরণ' নামটা শুনলেই মাথায় কি আসছে আপনার? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন 'আবরণ' অর্থাৎ আচ্ছাদন বা পরনের কাপড়। আজ আমরা গল্প শোনাব সেই 'আবরণের', যারা শূণ্য থেকে শুরু করে রাজ্যের অন্যতম বস্ত্র বিপণী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
এখানে গেলে ভুলে যাবেন আপনি কোনও প্রতিষ্ঠানে আছেন। বরং আপনার মনে হতে বাধ্য আপনি একটি পরিবারেই আছেন।
'আবরণ' একটি ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র বিপণী সংস্থান, যা বিরাটিতে অবস্থিত। বিরাটির প্রাণ কেন্দ্র জুড়ে রয়েছে এই বিপণী, যারা এই এলাকায় সর্বপ্রথম শাড়ি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে ওই ব্যবসা শক্ত হাতে ধরেন একেডি গ্রুপের কর্ণধার শুভাশিস দাস ও প্রয়াত মানসী দাস। কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার জোরে 'আবরণ' এখন গোটা রাজ্য জুড়ে অন্যতম একটি বস্ত্র বিপণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
প্রথমে শাড়ি দিয়ে শুরু হলেও ৮ থেকে ৮০ সবার জন্যই এখন সমস্ত ধরনের পোশাক আবরণে পাবেন আপনি। এমনকি শিশুদের জন্য একটি নতুন প্রতিষ্ঠান 'অরেঞ্জেস' শুরু করেছেন তাঁরা। গোটা রাজ্যজুড়ে ভীষণ সুখ্যাতি এবং তাদের বিপুল সম্ভার কলকাতার বুকেও আকর্ষনীয় জায়গা দিয়েছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, আবরণ গোটা বাংলায় বুটিক শিল্প ও চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে। এবং রাজ্য জুড়ে বুটিক শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে 'আবরণ' বুটিক শিল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া ইতিমধ্যেই 'আবরণ' গাঁটছড়া নামে একটি সেগমেন্ট চালু করেছে, যেখানে হস্তশিল্প সংক্রান্ত যে সব সংস্থান রয়েছে তাদেরকে উৎসাহিত করে, তাদের পাশে থেকে হস্তশিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়াস গ্রহণ করেছে।
আপনারাও এগিয়ে আসুন 'একেডি' গ্রুপের এই বস্ত্র বিপণী বিভাগ 'আবরণ'কে বেছে নিয়ে এই মহৎ উদ্দেশ্যের সঙ্গী হোন।
গার্ডেনরিচ, বিরাটির বিল্ডিং বিপর্যয়ের আতঙ্কের মধ্যেই খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডেই ভেঙে পড়ল পুরোনো বাড়ি। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে চেতলার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের পরমহংসদেব রোডে। সেই সময় বাড়িটির নিচে রাখা ছিল একটি গাড়ি। তিনতলা বাড়ির চাঙরের এক অংশ সেই গাড়ির উপর ভেঙে পড়ে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছুটির দিন। তাই এদিন সকালের দিকে রাস্তায় লোক সংখ্য়া তেমন ছিল না। তখন আচমকায় তিন তলার একাংশ ভেঙে পড়ে রাস্তার ওপর। তবে অন্য় কোনও সময়ে এই ঘটনাটি ঘটত তাহলে প্রাণের সংশয়ও হতে পারত বলে অনুমান স্থানীদের। স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, গত বছর ভেঙে পড়া বাড়িটির ওপরের অংশটি মেরামত করা হয়েছিল। তারপরেও কীভাবে ভেঙে পড়ল তা কেউ জানেন না।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্য়ু হয় এক মহিলার। আজ অর্থাৎ রবিবার সেই ঘটনায় তিন প্রোমোটার সহ কন্টাক্টার ও দুজন লেবার ইনচার্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর ফের শহর কলকাতায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার বিরাটির শরৎ কলোনীতে নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে মৃত্য়ু হল এক মহিলার। ঘটনায় আজ, রবিবার তিন প্রোমোটার সহ কন্টাক্টার ও দুজন লেবার ইনচার্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী। ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ আচমকা ভেঙে পড়ে। আর সেই সময় বাড়ির থেকে বেরিয়ে ছিলেন কেয়া শর্মা চৌধুরী। তখনই সেই ভেঙে যাওয়া ছাদের ইট মাথায় পড়ে মৃত্য়ু হয় ওই মহিলার।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই গার্ডেনরিচে বহুতল নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। সর্বহারা হয়েছেন আরও অনেকে। সেই ঘটনার পরই আবারও কলকাতার বুকে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা।