
বিহারের (Bihar) পাটনার এক পার্কের নাম ছিল 'অটল বিহারী বাজপেয়ী পার্ক' (Atal Bihari Vajpayee ark)। কিন্তু সেই নামই পরিবর্তন করল বিহার সরকার। আর এই ঘটনার পরই বিজেপির তীব্র কটাক্ষের মুখে নীতীশ সরকার। জানা গিয়েছে, এই পার্কের নাম বদলে রাখা হয়েছে কোকোনাট পার্ক (Coconut Park)। এই নাম পরিবর্তন করে সেই পার্কের উদ্বোধনও করলেন রাজ্য়ের পরিবেশমন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব (Tej Pratap Yadav)। জানা গিয়েছে, এই নাম বদলের ঘোষণা করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)।
পাটনার কনকরবাগে অবস্থিত অটল বিহারী বাজপেয়ী পার্কটি। জানা গিয়েছে, এই পার্কের নাম আগে ছিল কোকোনাট পার্ক। কিন্তু পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই পার্কের নামকরণ তাঁর নামে করা হয়। কিন্তু পার্কের নাম আগের নামে করা হলে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিহার সরকারের এই কাজের নিন্দা করে একে 'আপত্তিকর' ও 'বড় অপরাধ' বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তেজস্বী যাদবের এই সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য পরামর্শ দেন। নয়তো নীতিশ কুমারের নামও একদিন বদলে দেবেন তেজস্বী যাদব, এমনটাই সংবাদমাধ্যমে জানান বিজেপি সাংসদ নিত্যানন্দ রাই। তিনি আরও জানান, এই পার্কে অটলজির মূর্তিও রয়েছে। আর তিনি সারা ভারতবাসী বিশেষ করে বিহারীদের মনে রাজ করেন। ফলে নীতীশ কুমারকে গভীরভাবে চিন্তা করতে বলেন ও এই সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য তেজস্বী যাদবকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন।
শেষকৃত্যের পরে মৃত (Death) মেয়েই ভিডিও কল করল বাবাকে (Alive)। শুধু তাই নয় ভিডিও কল করে রীতিমতো কথা বলে জানিয়েছে, সে এখনও জীবিত। শুনতে অবাক লাগলেও ঠিক এই ঘটনাটিই ঘটেছে বিহারের (Bihar) পাটনায়। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস আগে অংশু কুমার নামের এর তরুণী নিখোঁজ হয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিসেও খবর দেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পুলিস ওই তরুণীকে খুঁজে বার করতে পারেনি।
পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্য়েই একটি জলাশয় থেকে ওই তরুণীর জামাকাপড় পরানো একটি দেহ উদ্ধার হয়। মুখটি ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় পোকাশ দেখেই মেয়েকে চিনে ফেলে অংশুর পরিবার। তারপরে তার শেষকৃত্যও সম্পন্ন করেন। আর এই ঘটনার পরেই ফোন আসে মেয়ে অংশুর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দেহ অংশুর নয়। অংশু তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে পরিবার ভেঙে পড়েছে শুনে সরাসরি বাবাকে ভিডিয়ো কল করে তিনি বলেন, “বাবা, আমি বেঁচে আছি।”
১৫ অগাস্ট সারা দেশজুড়ে উদযাপন করা হয়েছে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। কিন্তু এরই মধ্যে এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, পতাকা উত্তোলন করে তার সামনেই উদ্দাম নেচে চলেছেন পুলিস আধিকারিকরা। অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা স্বাধীনতা দিবসের দিন এক ভোজপুরী গানে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গিতে নেচেছেন। আর সেই ভিডিও নজরে পড়তেই ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বিহারের (Bihar) বক্সারের এক ফায়ার স্টেশনের।
অভিযোগ, ১৫ অগাস্ট, মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিন বিহারের এক ফায়ার ব্রিগেড স্টেশনে ভোজপুরী চটুল গানে নেচেছেন ফায়ার ব্রিগেডে পুলিস আধিকারিকরা। সেই নাচের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও দেশাত্মবোধক গান না চালিয়ে, নাচ করা হচ্ছে ভোজপুরী গানে। গায়ে পুলিসের ইউনিফর্ম পরেই চটুল গানে উদ্দাম নেচে চলেছেন পুরুষ ও মহিলা আধিকারিকরা। আর এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে দিতেই তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। ধেয়ে আসে কটাক্ষ।
এই ভিডিওকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই বিষয়টিকে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এও জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনাটি কতটা সত্যি, তার উপর ভিত্তি করেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভালোবাসার (Love) টানে মানুষ কত কিছুই না করেন! প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, কিন্তু কেউ যাতে টের না পায়। আর তার জন্যই এমন এক কাণ্ড করে বসলেন কিশোরী, যা দেখে হতবাক গ্রামবাসীরা। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, তাই রোজ রাতে গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করত কিশোরী। কিন্তু এমনটা এক সপ্তাহ চলার পর পরে অবশেষে নিজেই বিপদে পড়ল সে। এই ঘটনাটি বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার বেতিয়া এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেতিয়ার বাসিন্দা প্রীতি কুমারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে রাজকুমারের। প্রতি রাতেই তার সঙ্গে দেখা করতে যেত প্রীতি। কিন্তু তার আগে পরিকল্পনা করে তার গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত, যাতে কেউ দেখতে না পায়। অন্যদিকে এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না গ্রামবাসীরা। বিরক্ত হয়ে যান গ্রামবাসীরা। রোজ রোজ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তিতিবিরক্ত হয়ে যান তাঁরা। ইলেকট্রিক অফিসে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলও কোনও কাজে দেয়নি তা। ফলে রোজ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পিছনে কী কারণ, তা খুঁজতে একদিন বেরিয়ে পড়েন গ্রামবসীরা। আর তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে প্রীতি ও রাজকুমার। এরপরই বিদ্যুৎ যাওয়ার আসল কারণ জানতে পারেন গ্রামবাসীরা।
এরপরই প্রীতি ও রাজকুমারকে ধরার পর গ্রামবাসীরা চড়াও হন তাদের উপর। অন্যদিকে রাজকুমারের দলও আসে ও গ্রামবাসীদের মধ্য়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে ভাইরাল হয়। এরপর জানা যায়, গ্রামবাসীরা প্রীতি ও রাজকুমারকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন।
খেলতে গিয়ে ৪০ ফুট গভীর কূপে (Well) পড়ে গেল বছর তিনেক একটি শিশু (Child)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) নালন্দায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল আসে। দ্রুত শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্ষেতের মধ্য়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছিল তিন বছরের ছোট্ট শিবম। আর পাশেই কাজ করছিল তার মা। আচমকাই শিবমের বন্ধুদের চিৎকার শুনে ছুটে এসে তিনি দেখেন, ক্ষেতের পাশেই পরিত্যক্ত একটি গভীর কূপের মধ্য়ে পড়ে গিয়েছে তার ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। গর্তের ভিতরে শিশুটির যাতে অক্সিজেনের অভাব না হয়, সেই কারণে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন পাঠানোর ব্যবস্থাও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে এলাকারই এক কৃষক ওই কূপটি খুঁড়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও তা মাটি দিয়ে ভরাট না করায় গর্ত হয়েই পড়েছিল। যার ফলে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত সেই গর্তে পড়ে যায় ওই শিশুটি। ভারতে চাষের কাজে জলের প্রয়োজনে কূপ খোঁড়ার চল বহু প্রাচীন। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই কূপে পড়ে যাওয়ার এই ঘটনা ঘটে।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করায় আটক দুই চিনা নাগরিক (Chinese citizens)। শনিবার বিহারের (Bihar) পূর্ব চম্পারন জেলার রক্সৌল থেকে ওই সন্দেহভাজন দু-জনকে আটক করে বিহার পুলিস। অভিযোগ, ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে ধৃত দুই চিনা (China) নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার পুলিস সুপার জানান, ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকারী দু-জনকে চিনা নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যে দুইজন সন্দেহভাজন ধরা পড়েছে তাঁরা চিনা নাগরিক। একজনের নাম ঝাও জিং এবং অপরজনের নাম ফু কাং।
পূর্ব চম্পারন পুলিসের সুপারিনটেনডেন্ট কান্তেশ কুমার মিশ্র রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান। তিনি বলেন, চিনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জিয়াংজির বাসিন্দা ঝাও জিং এবং ফু কাং। দুই চিনা নাগরিককে শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে রৌক্সল শহরে ভারতীয় কাস্টমস অফিসের হাতে ধরা পড়ে। তারপর কাস্টমস অফিসের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তাদের কাছ থেকে কোনও বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কী উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা সীমান্ত পার করে, তা জানা যায়নি। তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
জানা গিয়েছে, এর আগে ২ জুলাই প্রথমবার নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল এই দুই চিনা নাগরিক। সেই সময় ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয় কয়েক ঘণ্টা পর। ফের ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে তারা।
ঘুমন্ত অবস্থায় স্কুলের ছাত্র (Student), তারই বুকের উপর চেপে বসেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এমনই ভয়ঙ্কর দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়তেই হইহই পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বিহারের (Bihar) মুঙ্গেরের এক স্কুলের। সেখানে এক ছাত্রের উপর হেনস্থা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীকে।
বিহারের মুঙ্গেরে নির্মলা ইন্টান্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাম নাথ মণ্ডল। তিনি ও তাঁর স্ত্রী নির্মলা দেবী এই স্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন। এই স্কুলে পড়োশোনার পাশাপশি ছাত্রদের থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের সেই স্কুলেরই এক ১২ বছরের ছাত্র ম্যাথিউ রাজনের উপর এই অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাতের দিকে ঘুমিয়ে ছিল ম্যাথিউ। সেই সময় সেখানে প্রধান শিক্ষক রাম নাথ এসে তাকে মারতে শুরু করে ও পরে তার বুকের উপর উঠে যায় সে। পা দিয়েই সেই নাবালকের বুকে চাপ দিতে থাকে রাম নাথ। আর এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখেই হতভম্ব হয়ে রয়েছে বাকি ছাত্ররা।
এরপর ম্যাথিউের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। পরে এই বিষয়ে তার পরিবার জানতে পারলে ও এই ভিডিও ভাইরাল হতেই অভিযোগ দায়ের করা হয় রাম নাথ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ম্যাথিউয়ের বাবা রমেশ কুমার জানান, একদিন তার ছেলের হাত থেকে এক কীটনাশকের বোতল অন্য ছাত্রের মুখে পড়ে যায়। এই ঘটনায় তাকে মারধরও করেন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী নির্মলা দেবী। কিন্তু এতেও শান্তি না হলে ম্যাথিউকে শাস্তি দিতে পরে হেনস্থা করে প্রধান শিক্ষকও।
কে কত বেশি মোমো (Momo) খেতে পারে, তাই নিয়েই বাজি। আর তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক ২৫ বছরের যুবক। ঘটনাটি বিহারের (Bihar) সিওয়ান জেলার। জানা গিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে হাজার টাকার বিনিময়ে ১৫০ টি মোমো খাওয়ার বাজি ধরা হয়েছিল। সেই বাজি মেনে নিয়ে সেই মত শুরুও হয় মোমো খাওয়া। কিন্তু এরপরেই মৃত্যু হয় সেই যুবকের। কিন্তু মৃতের বাবার দাবি, বন্ধুদের কোনও ষড়যন্ত্রের কারণেই তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
বিহারের সিওয়ান জেলার জ্ঞানী মোরের এক দোকানে বিপিন কুমার নামে এক যুবক তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মোমো খাওয়ার বাজি ধরেন। বন্ধুদের মধ্যে ঠিক হয়েছিল, যে যত বেশি মোমো খেতে পারবেন, তিনি হাজার টাকা জিতে নেবেন। এরপর সেই মোমো খাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হতেই একের পর এক মোমো খেতে থাকেন বিপিন। অবশেষে তিনি ১৫০ টি মোমো খেয়ে ফেলেন। কিন্তু মোমো খাওয়ার পরই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে বিপিনের পরিবার দাবি করেছে, বিপিনের মোমোতে বিষ দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলেছে তাঁর বন্ধুরা। কারণ বিপিনকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর যখন তাঁক মৃত বলে ঘোষণা করা হয়, তখনও তাঁর পরিবারকে কেউ এই বিষয়ে জানায়নি। ফলে তাঁরা পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ও রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত করছে।
মাথায় চুল না থাকা সত্ত্বেও পরচুলা পরে বিয়ের (Marriage) পিঁড়িতে বসলেন বর। তবে পরচুলা পরে টাক ঢাকা গেলেও মিথ্যে দিয়ে সত্য কখনোই ঢাকা যায় না। পরচুলা পরে তার উপর বেশ ভালো করেই পড়েছিলেন বিয়ের পাগড়ি। কিন্তু বিয়ে শুরুর আগেই ফাঁস হয়ে গেল বরের সব গোপন রহস্য। বিয়ের আসরেই বরের টাক আবিষ্কার করে ফেলেন কনের পরিবারের সদস্যেরা। টেনে খুলে দেওয়া হয় তাঁর পাগড়ি। দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে আসা পাত্র সম্পর্কে পাত্রীর বাড়ির লোক সত্যি জানতে পারা মাত্রই ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়ের মঞ্চেই বরকে মারধর করেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে (Bihar)। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে ভিডিওতে (Video)। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্য়মে ভাইরাল (Viral) সেই ভিডিও।
Kalesh B/w the Bald Groom and the bride family over faking about his hairs actually he was wearing wig in marriagepic.twitter.com/FLbOQd6kWS
— Ghar Ke Kalesh (@gharkekalesh) July 12, 2023
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বরের সাজে বসে থাকা এক যুবককে মারধর করছেন কয়েকজন মিলে। সঙ্গে চলছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। তবুও ওই যুবক চুপ হয়ে বসে আছেন। মাঝে মাঝে দেখা গিয়েছে হাত জোড় করে কনের আত্মীয়দের কাছে কিছু অনুরোধ করছেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শুনছেন না। যুবককে দুই হাতে পরচুলা চেপে ধরে রাখতেও দেখা গিয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
সম্প্রতি এই ভিডিও দেখা মাত্রই নেটাগরিকেরা নানান মন্তব্য করছেন। তবে অনেকেই বলছেন, সত্য গোপন করে মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া একদমই উচিত হয়নি।
বলিউডের জনপ্রিয় ছবি 'হম দিল দে চুকে সনম' ছবিটির কথা সবার মনে আছে তো? কারণ এই সিনেমার মতই এক ঘটনা ঘটেছে বিহারেও (Bihar)। সেখানে এক স্বামী তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, বিহারের নওয়াদা জেলার এক মহিলার বিয়ে হয়েছে অনেক দিন আগেই কিন্তু ভুলতে পারেননি তাঁর পুরনো প্রেমিককে। ফলে বিয়ের পরও সেই প্রেমিকের সঙ্গে রীতিমতো যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এরপর তা জানাজানি হতেই সেই মহিলার বর কোনও ঝামেলা না করেই সেই প্রেমিকের সঙ্গে নিজের স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন। আর সেই দৃশ্য সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই মহিলার স্বামী কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগেই রাতের অন্ধকারে সেই মহিলা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর তাঁদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। সেই প্রেমিককে বেধড়ক মারধরও করেন তাঁরা। তারপর তাঁর স্বামী আসতেই পুরো ব্যাপারটা জানতে পেরেই তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দেখা যায়, এক শিবমন্দিরে নিয়ে গিয়ে প্রেমিক সেই মহিলাকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন। আর এই ভিডিওই এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। উল্লেখ্য, সেই প্রেমিকেরও আগেই বিয়ে হয়েছিল ও তাঁর তিন সন্তানও রয়েছে। ফলে এই ঘটনা কোনও সিনেমার থেকে কম কিছু নয়।
বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নদীর ধারে রিলস বানাতে ব্যস্ত, আর এই অবস্থায় নদীতে তলিয়ে গেল তিন বন্ধু। তবে বিপদের আঁচ টের করতে পারেননি বাকি বন্ধুরা। কিন্তু যখন তাঁরা বুঝতে পারলেন, তখন অনেকটাই দেরী হয়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি বিহারের (Bihar) পূর্ব চম্পারন জেলার মোতিহারির (Motihari)। গত রবিবার টিকুল্যা (tikulya) ধাবা ঘাটে ঘটে এই দুর্ঘটনাটি।
সূত্রের খবর, সত্যম নামে এক বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলেন সাত জন বন্ধু। এরপর মোতিহারির টিকুল্যা ধাবা ঘাটে তাঁরা রিলস বানাতে, আড্ডা দিতে ও সেলফি তুলতে আসেন তাঁরা। তবে তাঁদের মধ্যে তিনজন বন্ধু নদীতে নামেন ও অন্যদিকে বাকি চারজন নদীর ধারে দাঁড়িয়েই রিলস বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তিনজন যে কখন জলে তলিয়ে যান, বাকিরা সেটা বুঝতেই পারেননি। এরপর যখন বুঝতে পারেন যে, নদীতে কিছু হয়েছে, তখন তাঁরা চেষ্টা করেও তাঁদের বাঁচাতে পারেননি।
এরপরই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মোতিহারির পুলিস। তাঁরা নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের নাম প্রিন্স কুমার (১৪), আকচার কুমার (১৪) ও মনজিৎ কুমার (১৫)। তাঁরা প্রত্যেকেই জামালিয়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন পুলিস। বাকি চারজনের মধ্যে এক বন্ধু গোলু বলেন, তাঁরা এক তিন চাকার গাড়িতে করে এসেছিলেন বন্ধু সত্যমের সঙ্গে দেখা করতে। তখনই রিলস বানাতে তাঁরা নদীর পাড়ে গিয়েছিলেন। আর এরপরেই তাঁরা তাঁদের তিন বন্ধুকে হারিয়ে ফেলেন।
ফের বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেন (Train)। সূত্রের খবর, মুম্বইগামী পবন এক্সপ্রেসের (Pawan Express) একটি চাকা ভাঙা অবস্থায় প্রায় ১০ কিমি রাস্তা ছুটেছে। এরপর বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে চেন টেনে ট্রেন থামালেন যাত্রীরা। ঘটনাটি রবিরার রাতে বিহারের (Bihar) মুজফফরপুরে ঘটেছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মুজফফরপুর থেকে মুম্বইগামী পবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ার পর থেকেই হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ শুনতে পান যাত্রীরা। কিন্তু এই বিকট আওয়াজের পরও ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকে। আর এভাবেই ট্রেনটি ১০ কিমি পথ আরও যাত্রা করে। পরে ভগবানপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছলে সেখানে যাত্রীরা ট্রেনের চেন টেনে থামিয়ে দেন। এরপরই ট্রেনের সেই আওয়াজের কথা ট্রেন চালককে জানানো হলে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হয়।
এরপর তদন্ত করার পর দেখা যায়, ট্রেনের এস ১১ নম্বর কোচের একটি চাকা ভাঙা ছিল। আর এর জন্যই বিকট আওয়াজ হচ্ছিল। এরপর সেই রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যান রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ও রেলকর্মীরা। চাকায় ফাটল ধরার পরার পরেই সেটিকে বদল করা হয়। এরপর সমস্ত বিষয় ভালোভাবে চেক করার পর ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
মাত্র হাজার টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েছিলেন এক যুগল (Couple)। জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে মাত্র হাজার টাকা, এই ভেবেই হতবাক প্রত্যেকে। কিন্তু পালিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে ধরা পড়ে পুলিসের হাতে। ঘটনাটির বিহারের (bihar)দিঘরার। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, দিঘরার এক যুবক ও তরুণীর আলাপ হয় সমাজমাধ্যমে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁরা পালানোর পরিকল্পনাও নেয়। এরপর একদিন দুজনেই বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যান নতুন জীবন শুরু করতে। তরুণীর সঙ্গে বাইকে পালিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু পকেটে তাঁদের মাত্র হাজার টাকাই। এরপর বাইকে তেল ফুরিয়ে গেলে তাঁরা ঠিক করেন মন্দিরে থাকবেন। কিন্তু এরপরই সেই জায়গায় পুলিসের টহলদারি শুরু হয়। আর তল্লাশি করতে গিয়েই পুলিসের নজরে আসে তাঁরা।
এরপর তাঁদের পুলিস স্টেশনে নিয়ে আসে ও তাঁদের পরিচয়পত্র চায় পুলিস। তাঁদের পরিচয় জানার পরেই যুগলের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয় ও পরিবারের হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁদেরকে ভালোভাবে বোঝানোও হয়, যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটায়।
প্রায় ৮ মাস আগে এক মহিলাকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। বুধবার রাতে সেই অভিযুক্তকে হাওড়ার (Howrah) ব্যাটরা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করে বিহার পুলিস (Bihar Police)। ধৃতকে বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমাণ্ডে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিহারের পরসা থানার এস আই অরুন রুমার জানান, অভিযুক্তের নাম দীনেশ রায়। অভিযুক্ত বিহারের পরসা থানার অন্তর্গত বিরকুমারী গ্রামের বাসিন্দা। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল অভিযুক্ত। তারপর থেকেই ফেরার ছিল ধৃত। তারপর প্রায় আট মাস কেটে যায়। এরপর হঠাই হাওড়ার ব্যাটরা থানা এলাকা থেকে ওই অভিযুক্তর খোঁজ খবর পাওয়া যায়। পুলিস আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মোট তিন জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুজন এখনও পলাতক। তাদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
ফের তীব্র দাবদাহের (Heat Wave) জেরে ৯ জনের মৃত্যু (Death)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) বেশ কিছু জেলায়। জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বিহারের বেশকিছু জেলাতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। সপ্তাহের শেষে বর্ষার প্রথম বৃষ্টি পেতে পারে বিহার। তবে ১৭-১৮ দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে। এরফলেই গত দু’দিনে এই রাজ্যে ‘হিটস্ট্রোকে’ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যে ২ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, আগেই সরকারি তরফে জানানো হয়েছিল তাপপ্রবাহের জেরে গোটা রাজ্যে মোট ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহুজন। এমনকি মৃতদের মৃত্যুর সঠিক কারণও জানা যায়নি। তবে বেড়ে চলা এই মৃত্যুমিছিল ভিড় জমাচ্ছে শ্মশানে।
তাই এই বিষয়ে শ্মশানের ডোমরা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি কোভিডের সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। একসঙ্গে চার-পাঁচটি দেহ শ্মশানে এসে যাওয়ায় সৎকারের জন্য মৃতের পরিবারকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করতে হচ্ছে।