বড়সড় সাফল্য বিধান নগর থানার (Bidhan Nagar Police) পুলিসের। বিহারের (Bihar) উদ্দেশ্যে মাদক পাচারের আগেই পুলিসের জালে গ্রেফতার (Arrest) এক পাচারকারী। চারচাকা গাড়িতে করে প্রায় কোটি টাকার মাদকদ্রব্য পাচার করছিল ধৃত ওই ব্যক্তি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর থানার পুলিস মাদাতি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় একটি চারচাকা ছোট গাড়িকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে সেই গাড়ির ড্যাশবোর্ডের ভিতর থেকে ১০ কিলো মাদকদ্রব্য চরস বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলেই খবর পেয়েছিল গাড়িতে করে মাদক পাচার করা হবে বিহারের উদ্দেশ্যে। সেই খবর পেয়েই বিধান নগরের মাদাতি টোল প্লাজা সংলগ্ন চা বাগানের সামনেই অভিযান শুরু হয়। পরবর্তীতে গাড়িটি এলে গাড়িটি আটক করা হয় এবং তার ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির চালকের নাম নরেশ মণ্ডল (৪০)। বিহারের আরারিয়ার বাসিন্দা। গাড়িতে থাকা মাদকগুলি শিলিগুড়ির জলপাই মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিহারের আরারিয়ার উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। মাদকদ্রব্য চরসের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। মাদকদ্রব্য গুলি জলপাই মোড়ের পিন্টু নামক এক যুবকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর থানার পুলিস। বুধবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হবে।
ভুয়ো (Fake) আন্তঃদেশীয় কল সেন্টারের (Call Center) পর্দা ফাঁস। অভিযান চালিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার (Arrest) করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিস। সূত্রের খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় খবর আসে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের বেঙ্গল ইন্টেলিজেন্স পার্কের ১৩ তলায় বিনীত টেকনোলজিস্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ভুয়ো কল সেন্টার চলছে। খবর পেয়েই ওখানে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
পুলিস জানতে পারে বিদেশি নাগরিকদের কল করে, টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করছিল এই বিনীত টেকনোলজিস্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটি। তারই পরীক্ষাতে মঙ্গলবার ওই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে, সাত জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, হার্ডডিক্স, ডেবিট কার্ড, মোবাইল ফোন-সহ নগদ আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকা। মঙ্গলবারই অভিযুক্তদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
আবার বিধাননগর কমিশনারেট (Bidhannagar Police) এলাকার নারায়ণপুরের পূর্ব বেড়াবেড়িতে ভুয়ো কল সেন্টারের (Fake Call Center) হদিশ। ৫-জি টাওয়ার বসানোর নামে টাকা হাতানোর অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেফতার মোট ২১ জন। ধৃতদের মধ্যে ১১ জন তরুণী ও ১০ জন তরুণ। নারায়ণপুর থানার অভিযানে উদ্ধার ৪৬টি মোবাইল-সহ বহু নথি। বৃহস্পতিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর কোর্টে তোলা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, সূত্র মারফত খবর পেয়ে নারায়ণপুর থানার উচ্চপদস্থ কর্তারা ওই ভুয়ো কলসেন্টারে হানা দেন।
তাঁরা গিয়ে দেখেন সেখানে যুবক-যুবতী বসে কল সেন্টার চালাচ্ছেন। এরপরই তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তদন্তে জানা যায়, এই অফিসে বসে সাধারণ মানুষকে ফোন করে ফাইভ জি মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রসেসিং ফি বাবদ মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এভাবে তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করে চলেছে। এরপরেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা বিহার, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, সল্টলেক, নদীয়া, হাওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
লোনের নামে প্রতারণা চক্র। সল্টলেকে গ্রেফতার চার তরুনী-সহ ছয় জন। শুক্রবার রাতে সল্টলেকের বিডি ব্লকে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। বিধাননগর উত্তর থানার বিশেষ অভিযানে এই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস। জানা গিয়েছে, রীতিমতো বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাঁরা লোনের নামে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল।
শনিবার বিধাননগর কোর্টে তোলা হয় অভিযুক্তদের। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিডি ব্লকের ৪২২ নম্বর বাড়ি সাত-আট মাস ধরে ভাড়া নিয়ে সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার খোলা হয়। আদতে কল সেন্টারের আড়ালে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চলতো। বিশেষ অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার হানা দেয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস।
কল সেন্টার থেকে চার তরুণী-সহ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, এরা ওই কল সেন্টারে বসেই বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে লোনের জন্য প্রস্তাব দিতেন। কেউ এই লোনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলে, সেই লোন পাইয়ে দিতে নানা পদক্ষেপ বাবদ টাকা নেওয়া হত। এর পাশাপাশি একটি বিমাও করতে হবে বলে টাকা নেওয়া হতো। এই প্রতারণা চক্রের মাথা কে, ধৃতদের জেরা করে জানতে চায় পুলিস।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথদুর্ঘটনা(Road accident)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশেই উল্টে গেল একটি ছোট গাড়ি। শিলিগুড়ি(Siliguri) মহকুমার অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মুরালিগঞ্জ এলাকার ঘটনায় আহত গাড়ির চালক। ঘটনাস্থলে বিধাননগর থানার পুলিস(Bidhannagar police)। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই গাড়িটি বিহার থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মুরালিগঞ্জ এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। গাড়িটি আচমকাই নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ঘটনায় গাড়ির চালক আহত হয়। এই ঘটনার জেরে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি খবর দেয় পুলিসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর থানার পুলিস। এরপর পুলিস আহতকে উদ্ধার করে বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায়। দুর্ঘটনার পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের (TET 2014 Job Aspirants) মধ্যরাতে জোর করে পুলিস বাসে তুলেছে বিধাননগর পুলিস (Bidhannagar Police)। ইতিমধ্যে পুলিসের 'অতি সক্রিয়তার' বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার অপর্ণা সেন (Aparna Sen), সোহিনী সরকার, শ্রীলেখা মিত্ররা (Sreelekha Mitra)। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ জট কাটাতে সরকারকে আলোচনায় বসার আর্জি জানালেন বিদ্বজ্জনেরা (Intellectuals)। এমনকি মধ্যরাতে পুলিসি বলপ্রয়োগে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টাকে ধিক্কার জানিয়েছেন অপর্ণা সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, বিনায়ক সেনরা।
তাঁরা লিখেছেন, 'সংবাদ মাধ্যমে আমরা দেখেছি যে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কীভাবে বিধাননগর পুলিশ বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনাকে আমরা ধিক্কার জানাই এবং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি। ১৪৪ ধারা বলবৎ করার আদেশ দিতে গিয়ে মাননীয় বিচারক মন্তব্য করেন, "পুলিশ কি পাওয়ার লেস?" এই মন্তব্য অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিক সুরক্ষার বিরোধী বলে মনে করি। অবিলম্বে সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার আবেদন জানাচ্ছি এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের যাতে না করা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করছি।'
এই বিবৃতির নিচে সই করেন-- ডাক্তার বিনায়ক সেন, অপর্ণা সেন, ডাক্তার কুণাল সরকার, বিভাস চক্রবর্তী, সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রেশমি সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায় এবং দেবলীনা দত্ত।
৮৪ ঘণ্টার ধর্না তুলতে সময় লাগলো মাত্র ১৫ মিনিট। শুক্রবার মধ্যরাতে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীদের (TET 2014) ভ্যানে তোলে বিধান নগর পুলিস (Bidhannagar Police)। যদিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মাইকিং শুরু করে পুলিস। ১৪৪ ধারা জারি থাকা জায়গা থেকে সরে যেতে চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দেয় বিধান নগর কমিশনারেট। সেদিন দুপুরেই হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল, ১৪৪ ধারা কার্যকর রাখতে পদক্ষেপ নেবে পুলিস। পাশাপাশি পর্ষদ অফিসে যাতে কর্মীদের ঢুকতে এবং বেরোতে অসুবিধা না হয় নিশ্চিত করবে পুলিস।
যদিও ধর্না সরানো নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি আদালত। তারপরেই কোর্ট নির্দেশকে হাতিয়ার করে আসরে নামে বিধান নগর কমিশনারেট। বিকেলের পর থেকে করুণাময়ী এবং এপিসি ভবনের মাঝে বাড়তে থাকে পুলিস। শুরু হয় মাইকিং। ইতিমধ্যেই সন্ধ্যা বাড়লে একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হতে শুরু করে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সরলেও অনেকেই সহযোদ্ধাদের পাশে থাকতে অসুস্থ শরীরেই ধর্নাস্থলে থেকে যান। ক্রমেই রাত বাড়ে। আন্দোলনের ধারা পরিবর্তন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
অবশেষে রাত ১২টার পর সক্রিয় হয় পুলিস। প্রথমে ধর্নাস্থল ছাড়তে দু'মিনিট সময় দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেই আবেদনে কাজ না হওয়ায় ধর্নাস্থলে ঢুকে বল প্রয়োগ শুরু করে পুলিস। প্রায় ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় অনশনে থাকা ক্লান্ত-শ্রান্ত চাকরিপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে-চ্যাংদোলা করে পুলিসের বাসে তুলে বিধান নগরের তিন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, এসব চাকরিপ্রার্থীরা ফের ফিরে যাবেন মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে। সেখানেই অবস্থান মঞ্চে কালো ব্যাজ করে বিক্ষোভ দেখাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। একইসঙ্গে পুলিসের এই হামলার প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই ধর্নায় নেতৃত্ব দেওয়া তিন চাকরিপ্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই অভিযোগ করেন তাঁদের সহকর্মীরা। যদিও বৃহস্পতিবার রাতেই ঘোষণা হয়েছে, 'শান্তিপূর্ণ অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বল প্রয়োগ করে পুলিসি বাসে তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই আন্দোলনে নামছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।' বড়সড় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে করুণাময়ী, শিয়ালদহ এবং হাওড়ায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস।