ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতিকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ NIA-র বিশেষ আদালতের। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তাজা বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার ধৃত ২ জনকে পেশ করা হয় আদালতে। এরপরেই আদালতের নির্দেশে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, ২০২২-র ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত্যু হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। ঘটনার পর পোড়া দেহগুলি রাজকুমার মান্নার বাড়ির অনতিদূরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। দানা বেঁধেছিল রহস্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। ঘটনার ৩ মাস পর ভুপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে চলতি মাসেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। হামলা হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপরেও। যদিও শেষমেশ এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হয় বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২ মূল অভিযুক্ত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতি।
রাত পেরোলেই রাজ্যে শুরু প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনী আবহে যেভাবে শাসক ঘনিষ্ট নেতা-কর্মীদের নাম, দুর্নীতি, অপরাধ জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তাতে আখেরে মুখ পুড়ছে শাসকদলেরই। মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও এর প্রভাব ভোটবাক্সে আদৌ পড়বে কিনা বা পড়লেও তা কতটা এখন সেটাই দেখার।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ভূপতিনগরে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল এনআইএ আধিকারিকদের। এদিকে পুলিস এনআইএর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার আবেদন জানানো হয়েছে। আজই বেলা আড়াইটে নাগাদ এই মামলার শুনানি৷
সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। আধিকারিকের মাথা ফাটে। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে ফেরেন তদন্তকারীরা। এরপর দেখা গিয়েছিল ইডির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ইডিকেও সেই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। এবার একই পথে হেঁটে এনআইএও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে গিয়েছিল এনআইএ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন তারা। গ্রামবাসীদের মধ্যে মূলত মহিলারা পথ আটকান। লাঠি, বাঁশ নিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখান। গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়৷
অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বাধা দেওয়া হয়। একজন এনআইএ অফিসার জখম হন। সেই ঘটনায় এনআইএ অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ করা হয়। ভূপতিনগরের ঘটনায় রীতিমতো তরজা চলছে রাজনৈতিক শিবিরে।
শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মঙ্গলবার সকাল অবধি গ্রেফতার করেনি বলে খবর৷ এনআইএর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার এই অঅভিযোগ দায়ের করেছে৷ এই অভিযোগের তদন্ত পুলিস করছে।
ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নালিশ বিজেপির। মূলত পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার গ্রামীণ পূর্ব মেদিনীপুর, মহকুমা পুলিস অফিসার কন্টাই এবং ভূপতিনগরের ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিস। কিন্ত পুলিসের এই পক্ষপাতিত্ব কাম্য নয়। তাই পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি বিজেপির।
প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছিল এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর শাসকদলের দুষ্কৃতিদের ধেয়ে আসার ঘটনা। কিন্তু বঙ্গে সত্য উদঘাটন করতে গেলে কেন বার বার আক্রান্ত হতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই? স্থানীয় পুলিস প্রশাসন কেন নিরুত্তাপ এই ঘটনায়। তবে কি সত্যিই প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই চলে পুলিস? কমিশনের হস্তক্ষেপেই মিলবে সব প্রশ্নের জবাব তা বলাই বাহুল্য।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে ফের এনআইএ-র পক্ষ থেকে তলব করা হল তিন তৃণমূল নেতাকে। আজ, সোমবার কলকাতায় এনআইএ-এর সদর দফতরে এসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই তিন তৃণমূল নেতাকে। যে তিনজনকে তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সুবীর মাইতি, নবকুমার পান্ডা ও মানব কুমার পয়রাকে।
গত শনিবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে দুই মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃত ওই দু'জন হল বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। এনআইএ-এর আধিকারিকরা ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। জনরোষে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সদস্য়দের। NIA-এর গাড়ি লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট পাথর। আর সেই ইটের আঘাতে আহত হন দুই এনআইএ আধিকারিক। এমনকি তাঁদের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। টায়ার জ্বালিয়ে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ অবরোধ। যদিও এখন পুরোপুরি শান্ত রয়েছে ভূপতিনগর।
গত ২০২২ এর ২রা ডিসেম্বর ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগর থানা এলাকার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা ফেলা হয়। আর সেই বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্য়ু তিনজনের। বোমার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। নবকুমার পান্ডা, সুবীর মাইতি, মিলন বার, অরুন মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, বলাইচরণ মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, মানব কুমার পড়ুয়া এবং মনোব্রত জানা। এই ৮ তৃণমূল নেতা কর্মীকে বেশ কয়েকদিন আগেই এনআইএ-র পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল। এর মধ্য়ে আজ ফের তিনজনকে তলব করা হয় এনআইএয়ের তরফে।
ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ মামলায় দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ওই দুটি মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরী হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু'জন, বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল ওই দুই ধৃত।
পূর্ব মেদিনীপুরের নারুয়াবিল্লা গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাড়িতে গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। রাজ্য পুলিস প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণে নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। পরবর্তীকালে, কলকাতা হাইকোর্টে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি প্রয়োগ করার এবং মামলাটি NIA-তে স্থানান্তর করার জন্য একটি প্রার্থনা সহ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে NIA মামলাটি গ্রহণ করে।
বিস্ফোরনকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন এনআইএ এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের ভূমিকা উন্মোচন করেছেন। যার মধ্যে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত, নরুয়াবিলা গ্রামের মনোব্রত জানা এবং নিনরুয়া আনালবেরিয়ার বলাই চরণ মাইতি। এই দুই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অপরিশোধিত বোমা তৈরির ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল এবং এর জন্য সমর্থন বাড়িয়েছিল। এনআইএ আধিকারিকরা তা তদন্তে খুঁজে পেয়েছিল, যার ফলে আজকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর। ইডি হামলার পর এবার ভোটমুখে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিষ্ফোরনকাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সদস্য়দের। NIA-এর গাড়ি লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট পাথর। আর সেই ইটের আঘাতে আহত হন দুই এনআইএ আধিকারিক। ভাঙা হয় গাড়ির কাঁচ, এমনকি তাঁদের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় ইডিকে। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিল একাধিক ইডি আধিকারিক সহ চিত্র সাংবাদিকও। ইডির উপর হামালা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্য়ে। এরপর ৬ এপ্রিল শনিবার ফের হামলার মুখে পড়েন এনআইএ। ইতিমধ্য়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ আধিকারিকরা।
ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগর থানা এলাকার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গত ২০২২ এর ২রা ডিসেম্বর তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী এনআইএ-এর প্রতিনিধি দল দুজনকে অ্যারেস্ট করেন। নবকুমার পান্ডা, সুবীর মাইতি, মিলন বার, অরুন মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, বলাইচরণ মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, মানব কুমার পড়ুয়া, এবং মনোব্রত জানা। এই ৮ তৃণমূল নেতা কর্মীকে বেশ কয়েকদিন আগেই এনআইএ-র পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল। এরমধ্য়ে মনব্রত জানা ও বলাইচরণ মাইতিকে আটক করে নিয়ে আসার সময় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।