দুয়ারে কড়া নাড়ছে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর ঠিকই নির্বাচনের মুখেই মোদীর মাস্টারস্ট্রোক! মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে রেল প্রকল্পে ১০টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করেন। বন্দে ভারত উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশ জুড়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকার মোট ৬ হাজার রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে নতুন বন্দে ভারত ট্রেনগুলির মধ্যে একটি ট্রেন পেয়েছে বাংলাও। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পাটনা পর্যন্ত চলবে এই বন্দে ভারত। এছাড়াও মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী যে ট্রেনগুলির উদ্বোধন করেন তার মধ্যে রয়েছে- রাঁচি-বারাণসী, খাজুরাহো-নিজামুদ্দিন (দিল্লি), পুরী-বিশাখাপত্তনম, আহমেদাবাদ-মুম্বই সেন্ট্রাল, পাটনা-লখনউ , লখনউ-দেরাদুন, মাইসুরু-এমজিআর সেন্ট্রাল (চেন্নাই), কালাবুরাগি-স্যর এম বিশ্বেশ্বর টার্মিনাল বেঙ্গালুরু এবং বিশাখাপত্তনম-সেকেন্দরাবাদ পর্যন্ত।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী রেল প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, রেলের মাধ্যমেই গোটা দেশকে জুড়ে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। মঙ্গলবার আহমেদাবাদে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মোদীর রেল প্রকল্পের উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আম জনতার কথা ভেবে তাদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের চাহিদার কথা ভেবে রেল কে নিয়ে অনেক কিছু করলেন এবং ভাবলেন।
তবে মঙ্গলবার রেল প্রকল্প ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। বন্দে ভারত থেকে শুরু করে মালবাহী ট্রেনএবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি কেন্দ্র’ উদ্বোধন হলো প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যে মোদী-ম্যাজিক ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।
ভারতরত্নে সম্মানিত হতে চলেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এলকে আডবানি ১৯৯০-এর দশকে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির জন্মের অন্যতম রূপকার তিনি।
লালকৃষ্ণ আডবানিকে ভারতরত্ন দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি আবেগঘন মুহূর্ত বলে জানান তিনি। নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৯৬ বছর বয়সী ওই নেতার সঙ্গে তাঁর দুটি ছবি ট্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনজীবনে আডবানিজির দীর্ঘ সেবা স্বচ্ছ্বতা আর সততায় ভরা। রাজনীতির নীতিশাস্ত্রে যা অনুকরণীয় মান স্থাপন করেছে বলে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন,আডবানিজির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, "তিনি আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনেতা। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে পৌঁছে গিয়েছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী পদে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ভূমিকাও পালন করেছেন তিনি। সংসদীয় ক্রিয়াকলাপে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।”
বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় বড়সড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। এবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীরা। তার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এদিন ঘোষণা করলেন, মধ্যবিত্তদের জন্য এবার নতুন আবাস যোজনা চালু করা হবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের সাফল্যও তুলে ধরেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, "করোনাকালে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হলেও পিএম আবাস যোজনার কাজ চলেছে। আমরা প্রায় ৩ কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে ওই প্রকল্পে আরও ২ কোটি বাড়ি বানানোর টার্গেট নিয়েছি আমরা। একই সঙ্গে নির্মলার ঘোষণা, দেশের এক কোটি বাড়ির ছাদে সৌরশক্তি প্রকল্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের পবিত্র দিনে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।"
গরীব, মহিলা, যুব সমাজ ও অন্নদাতা (কৃষক), সমাজের এই চার স্তরের মানুষের উন্নতিতে বদ্ধপরিকর সরকার। কারণ, এদের উন্নতি না হলে কোনও সরকার এগোতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলার দাবি, গত ১০ বছরে সাধারণ নাগরিকদের আয় বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে না কোনও কর। গত ১০ বছরে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। বাজেট ভাষণে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কর কাঠামো অপরিবর্তিত রেখেছেন তিনি।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ফের বিপত্তি। এবার ট্রেনের একাধিক কামরার পাদানি ভাঙা অবস্থায় দেখা গেল। তার জেরেই প্রায় এক ঘণ্টা পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ভেদিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রইল আপ হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রীদের পোহাতে হল দুর্ভোগ। পরে রেলের তৎপরতায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তা মেরামত করা হয় এবং তারপর ট্রেনটি ছাড়ে।
কীভাবে এই পাদানি ভাঙল, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, কোনওভাবে প্লাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণেই একাধিক কামরার এই পাদানি ভেঙে যায়। আর এর জেরেই সকাল ৭.৩৫ মিনিটে ভেদিয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় সুপারফাস্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ঘটনার পরই রেলকর্মীদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে মেরামতির কাজ। সকাল ৮.৩৭ মিনিট নাগাদ আবার ট্রেন ছাড়ে।
তবে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এখনও পর্যন্ত রেলের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য। সাসপেন্ড হতে হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্রকে। সোমবার সন্ধেবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের অবমাননা করেছেন রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্র। সে কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর জায়গায় আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে রেজিস্ট্রারের কাজ পরিচালনার কথা বলা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে সুবীর কুমার মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি নিরুপায়। হাইকোর্টের নির্দেশেই তিনি সাসপেন্ড করেছেন।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি টানাপড়েন চলছিল। গত বছরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বিটি রোড ক্যাম্পাস থেকে কাজ করার পরিবেশ নেই বলে খোদ আচার্যকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন।
মণি ভট্টাচার্যঃ ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠেছে মাটি। নতুন বছরের প্রথমদিনেই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ জাপান। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। হাহাকার আর আতঙ্ক যেন গ্রাস করেছে গোটা জাপানে। তার মধ্যেই আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউও। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় জাপানে স্বপরিবারে আটকে পড়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিস বিভাগের অধ্যাপক। সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি।
অধ্যাপক সুদীপ্ত দাস বললেন, বছরের প্রথম দিনে স্ত্রী ও চার মাসের সদ্যোজাত কন্যাকে নিজে জাপানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টোকিও স্কাইটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই ভূমিকম্পের সতর্কতা ঘোষণা হয়। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেরাও অনুভব করেন জোরালো কম্পন। আটকে পড়েন স্কাইটিতে। লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন বছরের সূচনা উপলক্ষে এদিন বহু মানুষের সমাগম হয়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।
সুদীপ্ত দাস আরও জানান, তিনি স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গবেষণার জন্য রয়েছেন জাপানে। তিনি বোলপুরের নতুন পুকুর এলাকার বাসিন্দা। এখনও ক্রমাগত আফটারশক হচ্ছে বলে জানান তিনি। আবহাওয়াও খারাপ হচ্ছে। জাপানের প্রশাসন ও ভারতীয় দূতাবাস এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই সহায়তা করেছে। তবুও ভয়েই দিন কাটাচ্ছেন অধ্যাপক।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পে এখনও অবধি ৫০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জাপান প্রশাসনের তরফে। গুরুতর জখম বহু। এখনও অবধি ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানের বিভিন্ন জায়গায়। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোটো উপকূল। শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানে।
অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ রামভূমি থেকে মোদী উদ্বোধন করলেন মালদহ- বেঙ্গালুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের অপেক্ষায় ছিল উত্তরবঙ্গবাসী। ৩০ নভেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ উদ্বোধন করলেন নমো। এদিন অযোধ্যা ধাম স্টেশনের ফেজ ১ উদ্বোধনের পাশাপাশি, মোট ৮টি নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৮টি ট্রেনের মধ্যে ২ টি হল বহুল প্রতীক্ষিত অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ও ৬ টি হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
#WATCH | Ayodhya, Uttar Pradesh: PM Narendra Modi flags off two new Amrit Bharat trains and six new Vande Bharat Trains. pic.twitter.com/Q1aDQc8wG7
— ANI (@ANI) December 30, 2023
আজ অর্থাৎ শনিবার রামরাজ্য অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা উড়িয়ে একইসঙ্গে একাধিক ট্রেনের শুভ সূচনা করলেন তিনি। ২ টি অমৃত ভারত ট্রেনের মধ্যে একটি ট্রেন ছুটবে দ্বারভাঙা- অযোধ্যা- দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল)-এর মধ্যে। অন্যদিকে দ্বিতীয় অমৃত ভারত ট্রেনটি ছুটবে মালদা টাউন- বেঙ্গালুরু (স্যার এম. বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল)-এর মধ্যে। অর্থাৎ দেশের প্রথম দুটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যে একটি পাচ্ছে বাংলা। এই অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে একাধিক সুবিধা। নিরাপত্তার জন্য প্রথমত পুরো ট্রেনের কামরা মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তবে এই ট্রেনের ভাড়া বন্দে ভারতের থেকে তুলনামূলকভাবে কম ও যেতেও কম সময় লাগে। বর্তমানে এই ট্রেনরে এসি কামরা না থাকলেও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে জানিয়েছেন, এই ট্রেন দুটি জেনারেল ও স্লিপার কোচ সম্বন্বিত হলেও, শীঘ্রই আসন্ন অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে থাকবে এসি কোচও।
এদিন অমৃত ভারত ছাড়াও ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৬ টি ট্রেনের রুট হিসেবে রয়েছে, শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা- নয়াদিল্লি, কোয়েম্বাটুর-বেঙ্গালুরু, জালনা-মুম্বই, অযোধ্যাধাম জংশন-দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল), ম্যাঙ্গালুরু-মাদগাঁও, অমৃতসর-দিল্লি। এতদিন দেশজুড়ে মোট ৩৪টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবায় যুক্ত ছিল, শনিবার থেকে সেই সংখ্যা বেড়ে হল ৪০।
'ভারত জোড়ো যাত্রা'র পর এবারে কংগ্রেসের নয়া উদ্যোগ 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের এক কর্মসূচি নিলেন রাহুল গান্ধী। এবার তার নাম 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে কংগ্রেসের 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। ৬ হাজার ২০০ কিমি পথ হাঁটবেন রাহুল, অতিক্রম করবেন ১৪টি রাজ্য। এবার উত্তর-পূর্বের মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বই পর্যন্ত হাঁটবেন রাহুল। বাংলাকেও ছুঁয়ে যাবেন রাহুল, এমনটাই সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'ভারত ন্যায় যাত্রা' শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে কংগ্রেসের এই কর্মসূচি। এই যাত্রা মোট ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। যে রাজ্যগুলির মধ্যে দিয়ে এই যাত্রা হবে, সেগুলি হল নাগাল্যান্ড, অসম, মেঘালয়, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিসগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত হয়ে এটি শেষ হবে মহারাষ্ট্রে৷ বাংলাকেও ছুঁয়ে যাবেন রাহুল, এমনটাই জানা গিয়েছে। ১৪ জানুয়ারি মণিপুরে এই যাত্রার সূচনা করবেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বাস থাকবে এই যাত্রায়, মাঝে মাঝে কিছুটা পথ হেঁটে পেরনো হবে।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ২১ ডিসেম্বর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির তরফে রাহুল গান্ধীকে একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভারতের পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত পদযাত্রা করতে পারেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী CWC-এর এই পরামর্শ মেনে নিয়েছেন। AICC সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত 'ভারত ন্যায় যাত্রা' চলবে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে মুখোমুখি জেরা করতে সোমবার তাঁর বাংলোয় গেল শান্তিনিকেতন থানার ওসি সহ পুলিস কর্মীরা। উপাচার্য থাকাকালীন নানা ইস্যুতে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি শান্তিনিকেতন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নিল বীরভূম জেলা পুলিস।
উল্লেখ্য, সোমবার শান্তিনিকেতন থানার ওসি ও পুলিস আধিকারিকরা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাংলো ‘পূর্বিতা’য় পৌঁছন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আগামী ২২ তারিখ বাকি দুটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাঁচটি মামলায় তদন্তের জন্য শান্তিনিকেতন থানার পুলিস নোটিস ধরিয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন উপাচার্য সেই হাজিরা এড়িয়ে যান। উপরন্তু এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে স্বস্তিও পান। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, তাঁকে আপাতত গ্রেফতার করা যাবেনা। সেই নির্দেশের পর আজ ফের জেরার মুখে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকে অবমাননা করে ফলক বসানো থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কটূক্তির জেরে অভিযোগ দায়ের হয়। বাঙালি কাঁকড়ার জাত-সহ দুর্গাপুজো প্রসঙ্গেও স্পর্শকাতর মন্তব্য করেছিলেন বিদ্যুৎ।
বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ স্বীকৃতি অর্জন করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরেই বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে বসানো হয়েছে শ্বেতপাথরের ফলক। এই ফলককে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ফলকে লেখা ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। তার নিচে খোদাই করা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। অভিযোগ, এর জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। এবার এই নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
এই ফলক বিতর্কে রবিঠাকুরের ছবি বুকে ধরে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস-ও এই বিষয়ে জবাব চেয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন মুখ খুলতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
ফলক বিতর্কের মাঝেই এবার কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের স্পেশাল অফিসার নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিস, বোলপুর ও শান্তিনিকেতনবাসীর (Santiniketan) কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পোস্ট মুহূর্তেই শেয়ার হয়ে যায়। হইচই পড়ে যায় পোস্ট ঘিরে।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, রাতে বাড়ি ফিরেছেন। এরই মাঝে বিশ্বভারতীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশ অনুযায়ী দু'জন অধ্যাপক তাঁকে ফোন করে জানান, শুক্রবার অফিসে না যেতে। উচ্চপদস্থ কর্তারা মৌখিকবার্তাও দেন। নীলাঞ্জনবাবু এর পর লেখেন, 'তাঁরা অনুরোধ করেন, আমি যেন শুক্রবার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ না করি। সম্পূর্ণ দূরে অন্য এক বিভাগে গিয়ে আজকের দিনটা বসে থাকি। আমি এই রহস্যময়, অনৈতিক, কুরুচিকর, অপেশাদার এবং সন্দেহজনক প্রস্তাবের কোনও কারণ অথবা যুক্তি খুঁজে পাইনি। ফলে তাঁদের জানাই যে, এই মর্মে আমাকে যথাযথ মাধ্যমে কোনও লিখিত নির্দেশ না দিলে আমি আমার নিজের কাজের জায়গায় শত বাধা বা বিপদ থাকলেও যাব।'
পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, 'তা সত্ত্বেও আমি আজ সকাল সাড়ে ন'টায় আমার কর্মক্ষেত্রে রোজকার মতোই ঢুকব। ওখানে আমি ওই উচ্চপদস্থ কর্তা অথবা তাঁর নিযুক্ত কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিবর্গের হাতে আমার প্রাণহানির আশঙ্কা করছি।' নিরাপত্তা চেয়ে পুলিস প্রশাসন এবং বোলপুরবাসী ও অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ না 'ভারত'? এই নিয়ে বিতর্ক যতদিন যাচ্ছে আরও জোরালো হচ্ছে। তার উপর বড় চমক দিল গুগুল। আচমকাই গুগল ম্যাপে ‘ভারত’ লিখে সার্চ করলেই চলে আসছে তেরঙা পতাকা-সহ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি। দেশের পতাকার ‘ডিজিটাল কোড’ সহ তা ফুটে উঠছে মোবাইল স্ক্রিনে। আবার ‘ইন্ডিয়া’ লিখলেও একইভাবে দেশের মানচিত্র (Indian map) খুলে যাচ্ছে। যা বর্তমান সময়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
আগে গুগল ম্যাপে ‘ইন্ডিয়া’ লেখা হলে দেখা যেত আমাদের দেশের মানচিত্র। এখন গুগল ম্যাপে হিন্দি বা ইংরেজিতে 'ভারত' লিখলেই দেখা যাচ্ছে ইন্ডিয়া। একই সঙ্গে এটা যে ‘দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ’ তাও দেখা যাচ্ছে। সাধারণত, দেশের নাম বাংলায় 'ভারত ও ইংরেজিতে 'ইন্ডিয়া' বলা হয়। সম্প্রতি অবিজেপি জোট 'ইন্ডিয়া' নাম রাখার পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মে ভারত নাম ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায়। সম্প্রতি রেলমন্ত্রী দেশের নাম 'ইন্ডিয়া'-র পরিবর্তে 'ভারত' ব্যবহার করার ব্যাপারে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবও দিয়েছেন।
বলা যায়, কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে অফিসিয়াল তথ্যে "ইন্ডিয়া" এর পরিবর্তে "ভারত" এর ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হোমওয়ার্কও করছে গুগল। এর প্রভাব শুধু গুগল ম্যাপে নয়, গুগলের সব পণ্যেই দেখা যায়। গুগল ট্রান্সলেট থেকে শুরু করে গুগল সার্চ এবং গুগল নিউজ, ব্যবহারকারীদের "ইন্ডিয়া" এবং "ভারত" উভয়ই ব্যবহার করার বিকল্প দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
ভারতের প্রথম রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম (RRTS) 'নমো ভারত'-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ২০ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখান প্রধানমন্ত্রী। আঞ্চলিক সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের প্রথমে নামকরণ করা হয়েছিল র্যাপিড-এক্স। উদ্বোধনের আগের দিনই ট্রেনের নাম বদলে রাখা হয় 'নমো ভারত' (Namo Bharat)।
উত্তরপ্রদেশের সাহিবাবাদ থেকে দুহাই ডিপো স্টেশন পর্যন্ত চালানো হবে এই আঞ্চলিক র্যাপিড ট্রেনটি। উদ্বোধনের পর এদিন এই ট্রেনে সফরও করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিল স্কুলপড়ুয়া কচিকাঁচার দল। তাদের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি র্যাপিড-এক্স ট্রেনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁকে। সব মিলিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীক এক অন্য মুডেই দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সতেরো কিমি দীর্ঘ দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিএস করিডর এদিনের উদ্বোধনের পরে ২১ অক্টোবর থেকে যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ২০১৯-এর ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিএস করিডরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল রাজস্থানের উদয়পুর থেকে জয়পুরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (vande Bharat Express)। সূত্রের খবর, রেললাইনে রাখা ছিল পাথর, লোহার রড। তবে চালকের তৎপরতায় বেঁচে যান রেলযাত্রীরা। আপৎকালীন ব্রেক কষেন তিনি। এতেই বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় তাঁরা। কারণ রেললাইনের উপর তাঁর নজর না পড়লেই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হতে পারত।
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ উদয়পুর থেকে জয়পুরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি যাওয়ার সময় ট্রেন চালক রেললাইনে লোহার রড, পাথর দেখতে পান। জানা গিয়েছে, চিতরগড়ের কাছে গঙ্গরার এবং সোনিয়ানা স্টেশনের মাঝে লাইনে রাখা ছিল পাথর, লোহার রড। আর তা দেখেই তড়িঘড়ি ট্রেন থামান চালক। এর পরই রেলের কন্ট্রোলে খবর দেন তিনি। রেলকর্মীরা এসে লাইনের উপর থেকে পাথর সরিয়ে দেন। রেললাইনে পাথর ও লোহার রড গেঁথে রাখার সেই দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
রেলসূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, খবর পেয়েই রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কারা লাইনের উপরে পাথর, লোহার রড রাখল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাসপাতালের পর এবার কলেজে ভর্তির জন্যও দালালরাজ। কলেজে ভর্তির জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। পূর্বে কলেজে ভর্তির জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতালগুলিতে দালালরাজের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রোগী ভর্তিতে টাকা চাওয়ায় সম্প্রতি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই আবহেই রাজ্য তথা দেশের অন্যতম নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই এবার ভর্তি হওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ টিএমসিপি-র দুই নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস-এর ওডিশি নৃত্য বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ অনন্যা সরকার নামে এক ছাত্রীর। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই নেতা ইন্দ্রজিৎ দোলই ও অভিজিৎ দাসের দিকে। অভিযোগ, সমস্ত মন্ত্রী-বিধায়ক, এমনকি পুলিসও তাদের হাতে আছে বলেও নাকি রীতিমতো শাসানো হয় ওই ছাত্রীকে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে ফোন করা হলে তাঁদের ফোন পাওয়া যায়নি।