Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

BengaliFood

Ritwick: 'পারশে বাওয়াল', 'গাধার ডাকে তানসেন'! পরেশ রাওয়ালকে খোঁচা অভিনেতা ঋত্বিকের

বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে পরেশ রাওয়ালকে পড়তে হয় আইনি জটিলতার মুখে।অভিনেতা তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal) গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। এবার অভিনেতাকে এক হাতে নিলেন বাঙালি অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)।

বিয়য়টি কী ঘটেছিল? গুজরাটের ভোটপ্রচারে গিয়ে বিজেপি সাংসদ পরেশ গত মঙ্গলবার একটি সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, 'বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম যথেষ্ট বেশি, তবে এই দাম কমে যাবে। সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। কিন্তু রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশিরা আপনাদের পাশেই বসবাস শুরু করলে কী হবে? তখন আপনি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন? গুজরাটের মানুষ মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করে নেবে, কিন্তু এটা নয়…' যদিও এই মন্তব্যের জন্য ২ ডিসেম্বর তিনি ক্ষমা চান। কিন্তু বিতর্ক এখনও থামেনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋত্বিকের ভেন্ট্রিলিক্যুইজ়ম বেশ জনপ্রিয়। এক পুতুল নিয়ে নেটপাড়ায় হাজির হচ্ছেন তিনি। বিনোদনের পাশাপাশি নানা বিতর্কিত বিষয় নিয়েও কথা বলেন। তবে সঙ্গী সেই পুতুল। এক্ষেত্রেও পরেশকে নিয়ে হাতের পুতুল কড়া জবাব দিয়ে বসে। ঋত্বিকও সেটাকে মজার ছলে বলেন, তাঁর হাতের পুতুলটি পুরোপুরি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।পুতুলের 'বড়দা'র ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। আর ঠোঁট কাটা পুতুলের রয়েছে সব বিষয়ে জ্ঞান। কিছু জিজ্ঞাসা করলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর।

পরেশের প্রসঙ্গে বড়দার পুতুল বলে বসে 'পারশে বাওয়াল'। সঙ্গে সঙ্গে ঋত্বিক ভুল ধরিয়ে দিয়ে বলেন, না ওটা পরেশ রাওয়াল। তার কাছে ঋত্বিক জানতে চান, সে নাকি বাঙালিদের অপমান করেছে? সময় না ব্যয় করে বলে বসে ‘গাধার ডাকে কি তানসেন অপমানিত হয়?’

প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্যের পর, তাঁর বিরুদ্ধে দিন কয়েক আগেই এফআইআর দায়ের করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একই পথে হেঁটে এবার পরেশের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিসও।

পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ১৫৩ (অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানি), ১৫৩এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার প্রচার), ১৫৩বি (ভাষাগত বা জাতিগত গোষ্ঠীর অধিকার অস্বীকার করা), ৫০৪ (উস্কানির উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেতার মন্তব্য খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।

one year ago
Food: বর্ষাকালে তেলেভাজা বা খিচুড়ি, বাংলা সাহিত্যেও মিলেছে এই খাবারের রেওয়াজ

প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির খাওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনও কাল নেই, এক আড্ডায় এক সময়ে বলেছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ পড়তে গেলে খাবারের কত রকম যে বিবরণ পাওয়া যায় তার তুলনা নেই। ব্যোমকেশের গল্পেই বর্ষাকালে তেলেভাজা বা খিচুড়ি ও ডিমভাজার গপ্পো শোনা যায়। বাংলার আবহাওয়ার একটি দিক আছে। শীত ও বসন্তকালে বাংলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকে বলেই এই সময়ে পেটের রুগীদের পর্যন্ত নানা খাবার বা রান্না হজম হয়ে যায়। অনেকেই বলে গ্রীষ্মকাল নাকি হজমের পক্ষে কঠিন সময়। কিন্তু এই ধারণা আংশিক সত্যি। আসলে বর্ষকালে ভিজে আবহাওয়ার জন্য হজম শক্তি মানুষের কমে যায়। যে কারণে দেখা যায় যত পেটের গন্ডগোল বা সর্দিকাশির প্রকোপ এই সময়েই বাড়ছে।

কিন্তু জিভের লালসা এই বর্ষাকালেই বেড়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ তেতো খেতে ভালোবাসতেন, তিনি বিভিন্ন মানুষকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার উপদেশ দিতেন। তিনি বলতেন, 'বর্ষাকাল রোমান্টিক সময় কিন্তু খাওয়া দাওয়ার জন্য নয়। তাঁদের কলকাতার ঠাকুরবাড়িতে পেয়াঁজ রসুন ছাড়া পাতলা মাছের ঝোল রান্না হতো বর্ষাকালে যার রেসিপি পর্যন্ত দেওয়া আছে।'  তবে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদার আবার বর্ষাকালে খিদে পেত বেশি। চানাচুর থেকে আলুকাবলি কোনও কিছুতেই টেনিদার আপত্তি ছিল না। শোনা যায়, নারায়ণবাবুর প্রিয় খাদ্যগুলিই টেনিদার নামে চালাতেন।

সাহিত্যিক বা বিখ্যাতরা যাই বলুন না কেন। সারাদিনের কালো আকাশ এবং ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি। কোনওভাবে অফিসে রেইনি ডে মিললে, ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন বাঙালি গৃহকর্ত্রী, গিন্নিকে অনুরোধ করবেই আজ একটু খিচুড়ি হয়ে যাক। তা না হয় হলো, কিন্তু খিচুড়ির সঙ্গে খাবে কি? বললেই তো আর বাজারে গিয়ে ইলিশমাছ কিনে আনা যায় না অতএব ডিমের ওমলেট আর খিচুড়ি। ডিমও যদি না থাকে তবে কিছু একটা ভাজাভুজি দিয়ে দুপুরের খাওয়াটা জম্পেশ করে খাওয়া যায়। আর এসব কোনওটাই হলো না তবে অবশ্যই বিকেলে তেলেভাজা আর মুড়ি মাস্ট। বর্ষার গৃহবন্দী হয়ে এর বিকল্প কিছু আছে নাকি?

2 years ago