'দিদির সুরক্ষা কবচ' (Didir Surakhsa Kabach) কর্মসূচিতে অভিযোগ জানাতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর (Bengal Minister) সামনে এক স্থানীয়কে চড় তৃণমূলকর্মীর। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দত্তপুকুরের ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য সাগর বিশ্বাস বেহাল রাস্তা নিয়ে মন্ত্রী রথীন ঘোষকে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর উপর চড়াও হয়ে চড় (Slap to People) মারেন এক তৃণমূলকর্মী। এমনকি উপস্থিত সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। আক্রান্ত যাতে কোনওভাবে মুখ খুলতে না পারেন, তার জন্য মুখ চেপে ধরে সাগরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়।
পরে অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন এবং কেন শুধু তাঁকে আক্রমণ করা হল? সেই প্রশ্ন তোলেন সাগর বিশ্বাস। এ বিষয়ে মন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন আক্রান্ত যুবক। তাঁর কাছে ক্ষমা চান মন্ত্রীমশাই। পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে রথীন ঘোষ জানান, 'আমি দেখিনি ব্যাপারটা। হয়ে থাকলে ঠিক হয়নি। তবে অনেকে ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা নিয়ে এসেছিল। খেলার মাঠে কে গাছ কেটেছে, সে নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছে। এগুলো মাথায় রাখতে হবে।'
এবিষয়ে রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'যেটা হয়েছে খারাপ হয়েছে। তবে এখন এই কর্মসূচি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো এখন খেলা হয়ে গিয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, 'এত বড় সাহস মন্ত্রীর সামনে এরকম আচরণ। দিদি বলছেন ১০০-তে ১০০, বলা উচিৎ ছিল ১০০-তে ২০০ হয়ে গিয়েছে।'
কাতার বিশ্বকাপ মন্ত্রী বেচারাম মান্নার চোখে। খেলা দেখে কী লিখলেন তিনি
এবারের বিশ্বকাপ (World Cup 2022) লক্ষ্য করেছেন কি আপনারা? আফ্রিকানরা দুর্দান্ত খেলায় মন ভরিয়ে দিয়েছে। আমি জন্ম থেকে অসম্ভব কালো। প্রতিবেশীরা বলতো, আমি কোনও আফ্রিকার (Africa) দেশ থেকে এসেছি। ভুল করে নাকি আমার বাংলায় জন্ম হয়েছে। আমি হাসতাম, কখনও রাগ বা অভিমান করিনি। রাগ করে কি হবে? বলতাম, কালোই দুনিয়ার আলো। আমি ছেলেবেলায় পেলেকে সিনেমায় দেখে খুব আকৃষ্ট হয়েছিলাম। শুনেছিলাম, ব্রাজিলের (Brazil) অধিবাসী হলেও আদতে তাঁর পূর্বপুরুষরা আগে আফ্রিকায় থাকতো তাই নাকি এতো কালো।
এর অবশ্য এক ইতিহাস আছে। ইংরেজ, ফরাসি, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ডাচরা সাম্রাজ্যবাদী দেশ ছিল। এরা বিভিন্ন দেশ দখল করেছিল। স্প্যানিশরা দখল নিয়েছিল লাতিন আমেরিকা ও মেক্সিকো। ব্রিটিশরা এশিয়া ও আফ্রিকার। ফরাসিরা আফ্রিকার উত্তর ভাগের। ডাচরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও সুরিনামের। পর্তুগিজরা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দখল নিয়েছিল তার মধ্যে ব্রাজিল, শ্রীলংকা ও গোয়া অন্যতম। এই দেশগুলি ওই সমস্ত দেশে আদিবাসী এবং আফ্রিকানদের তুলে এনে তাদের উপর অত্যাচার করে দেশ চালাতো। এদের ক্রীতদাস করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের বংশধররা আজকের কেউ এমবাপে, কেউ র্যাশফোর্ড ইত্যাদি। আজ ইউরোপের কিংবা আর্জেন্টিনা বাদে প্রতিটি দেশেই কালোরাই মাঠ কাঁপাচ্ছে। এই ইতিহাস জানতে হবে।
আজ আফ্রিকা দখল না করলেও বেলজিয়াম, জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ডেও কালো খেলোয়াড়রা স্থান পেয়েছে। তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে।আমেরিকার যে কোনও খেলায় আজ কালোদেরই দেখা যায়। আমি প্রথম থেকেই আফ্রিকার সমস্ত দেশকে এই বিশ্বকাপে সমর্থন করেছি। একে একে মরক্কো ছাড়া সব বিদায় নিলেও দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি আগামী বিশ্বকাপে অনেক দল কোয়ার্টার থেকে সেমিফাইনাল খেলবে। চ্যাম্পিয়নও হবে।
আমার দল এখন মরোক্কো, দুর্দান্ত খেলছে। গোলরক্ষক, ডিফেন্স থেকে ফরওয়ার্ড প্রতিটি বিভাগে চমৎকার বোঝাপড়া নিয়ে খেলছে। টোটাল গেম বলতে যা বোঝায় সেটাই। ফ্রান্সের সঙ্গে পরের ম্যাচ। ফ্রান্স এই মুহূর্তে বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার হলেও, কাজটা সোজা হবে বলে মনে করি না।
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর চোখে কাতার বিশ্বকাপ। 'অবিশ্বাস্য' জাপানের উপর বাজি ধরছেন কি মন্ত্রী, কী বলছেন দমকলমন্ত্রী?
ঘুরে এলাম অসাধারণ দেশ কাতার এবং রাজধানী দোহা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নাকি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে কাতার সরকার। বিমানবন্দর থেকে হোটেল যেখানেই যান না কেন, আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত প্রশাসন। খুব সুন্দর বানিয়েছে প্রেস কর্নার। সারা বিশ্বের কত যে মিডিয়া এসেছে তাদের সরঞ্জাম নিয়ে না দেখলে কল্পনা করা যাবে না। ওই দেশে দেখলাম প্রচুর ভারতীয় এবং বাংলাদেশি। খিদে পেলে অনায়াসেই পছন্দসই খাওয়ার পেয়ে যাবেন। অনেকেই সে দেশের প্রশাসনকে সমালোচনা করছে, কিন্তু আমি বলবো যস্মিন দেশে যদাচার। এমনিতেও ইউরোপীয়, বিশেষ করে ইংরেজ দর্শকরা বরাবরই হুজুগে। আগের বিশ্বকাপের মতো রাস্তাঘাটে হুজ্জুতি একেবারেই করা যাবে না এই বিশ্বকাপে। এদিকে সে দেশে অনেক বঙ্গ সন্তানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তারা বিস্মিত চোখেই বললো, আপনি এখানে? বললাম কয়েকটা দিন থাকবো মাত্র। এরপরই ঢুকে গেলাম বিশ্বকাপের আসরে। দুর্দান্ত স্টেডিয়ামগুলি, সম্ভবত বিশ্বসেরা। ভিআইপি বলে নিশ্চিন্ত বসার জায়গা পেলাম বটে কিন্তু খেলার মাঠে আম জনতার সঙ্গে বসে খেলা দেখার আনন্দ আলাদা।
দুটি খেলা দেখলাম, বাকি হোটেলে বসে। পর্তুগাল এবং ঘানার গ্রুপ লিগের খেলা। দারুন এই খেলায় ৩-২ গোলে পর্তুগাল জিতলো বটে। শুধু তাই নয় অন্যতম প্রিয় খেলোয়াড় রোনাল্ডোর পেনাল্টিতে গোলও হল। কিন্তু কোথাও কি একটা পর্তুগালের ফাঁকফোকর ধরা পড়ল? এরপর ব্রাজিল আর সার্বিয়ার খেলা দেখলাম। ব্রাজিল তার চিরায়িত আক্রমণ বানালো পূর্ব ইউরোপের ছোট দেশ সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। আমরা বাঙালিরা যাকে বলি সাম্বা ঝড়। নেইমারের নেতৃত্বে সেলেকাওদের দৌড় উদবুদ্ধু করল। তবে ব্রাজিল ডিফেন্স কিন্তু মাঝেমধ্যেই ফাঁক হয়ে গিয়েছিল। নক আউটে কিন্তু হলুদ-সবুজ জার্সিকে অনেক সতর্ক হতে হবে।
যেহেতু আমার দফতরের প্রচুর কাজ, তাই ফিরে আসতেই হল। শত কাজের মধ্যে রাতে কিন্তু খেলা দেখেছি। আমার রাতে ঘুমোতে দুটো-আড়াইটে বেজে যায়। কাজেই রাত জেগে কাজ করতে করতে টিভিতে নজর রাখছি। একসময় নিয়মিত খেলতাম কাজেই খেলা আমার কাছে অন্যতম প্রিয় আনন্দ। রবিবার রাতে নক আউটের দুটি খেলা দেখলাম। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড অসাধারণ পাসিং ফুটবল খেললো। যেমন এমব্যাপে তেমন ব্রিটিশ হ্যারি কেন।দুজনের পায়েই শক্তিশালী শট। নকআউটে গোলও পেলেন তারা। এখানেই আবার বলবো লিগের খেলা কিন্তু নক আউটে চলবে না। এখানে ডিফেন্স মজবুত রেখে আক্রমণ বা প্রতি আক্রমণে যেতে হবে। আজ জাপানের খেলা, দারুন দৌড়ে খেলছেন জাপানিরা। জার্মানি স্পেনকে হারিয়েছে কিন্তু ওরা যখন আক্রমণে যায় তখন ডিফেন্স অনেকটাই ফাঁকা থাকে। ক্রোয়েশিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী দল কাজেই ক্রোটরা চেষ্টা করবে কাউন্টার আক্রমণে যাওয়ার
ফলে আগামী খেলাগুলিতে পরিচিত দলগুলিকেই ফের কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা যাবে বলেই আমার ধারণা। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের চোখে কাতার বিশ্বকাপ। 'অবিশ্বাস্য' জাপানের খেলা দেখে কী মতামত মন্ত্রীর
মন্ত্রী (Bengal Minister) হিসাবে প্রচুর কাজ থাকে, নতুন পাওয়া দায়িত্বও অনেক। কিন্তু তাই বলে ফুটবল দেখবো না তাই কী হয় নাকি? সেই ১৯৭৮-এ ছেলেবেলা থেকে টিভিতে চোখ রাখতাম শুধু একটু নতুন খেলা দেখার জন্য। আমি ঘোরতর ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক ছিলাম, অবশ্য এখন নিরপেক্ষ থাকতেই হয়। লাল হলুদের খেলা থাকলে নৈহাটি থেকে যেভাবেই হোক ময়দান এবং অনেক পরে সল্টলেক যেতাম। ওই খেলাতেই সন্তুষ্টি ছিল আমাদের। কিন্তু নিয়মিত ভাবে বিদেশি খেলা দেখা এই বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) থেকেই। ৮২-র স্পেন বিশ্বকাপে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা (Brazil-Argentina) কিছু করতে পারল না। দেখেছিলাম জার্মানি আর ইতালির দুর্দান্ত ফাইনাল, সাদা-কালো টিভিতে। তখন অবশ্য ওটুকু যথেষ্ট ছিল। এরপর ৮৬-র মারাদোনার আর্জেন্টিনা থেকে হলুদ-সবুজ জার্সির ব্রাজিল বাঙালিকে টেনেছে। এক দল ব্রাজিল, তো অন্য দল আর্জেন্টিনা। যদিও তখন ধীরে ধীরে সমর্থন আদায় করছে ইতালি এবং জার্মানি।
কিন্তু এশিয়ার দেশগুলির সম্বন্ধে আমাদের উৎসাহ ছিল অনেক কম। নেহেরু কাপে বিদেশি দলগুলি এসেছিলো ৮০-র গোড়ায়। কিন্তু তার মধ্যে চীন, কোরিয়া বা রাশিয়ার খেলা আমাদের ভালো লাগলেও ভক্তি যোগায়নি। ইস্টবেঙ্গল তো উত্তর কোরিয়ার একটি ক্লাবকে হারিয়েছিল। কিন্তু গত ৩৫-৩৬ বছর ধরে আমাদের বৈঠকখানায় বিদেশ দিব্বি ঢুকে গিয়েছে। ইউরোপিয়ান বা লাতিন আমেরিকান ক্লাব ফুটবল আমরা আজ দেখে অভ্যস্ত। জাপান নিয়ে ভাবিনি কখনও।
এবারেও শত কাজ, সংগঠন, টিভি অনুষ্ঠান ইত্যাদির শেষে বিশ্বকাপে চোখ রেখেছি। কোনও খেলা ছাড়ছি না, ঘুম বলতে ওই দু-তিন ঘন্টা। বৃহস্পতিবার জাপানের খেলায় চোখ রেখেছিলাম। অন্যদিকে ভেবেছিলাম জার্মানি তো জিতবেই আর জাপান বোধহয় পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা জাপানের প্রতিপক্ষ স্পেন, কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার। কিন্তু এ কি দেখলাম! আমি চমৎকৃত, কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয় প্রশংসার। পাসিং বা তিকিতাকা ফুটবলকে দমিয়ে দিয়ে এক গোল খেয়েও ভয়ঙ্কর জাপানকে দেখলাম প্রেসিং ফুটবল খেলতে। আমাদের মহাদেশে চিন নিয়ে আমরা লাফাই, কিন্তু জাপান শিল্প সংস্কৃতি সভ্যতা এবং তাদের দেশের ফুটবলে তারা এতটাই এগিয়েছে যে আলোচনার কিছু নেই। দুই ফুটবল দৈত্যকে সূর্যোদয়ের দেশ হারালো শ্রেফ 'দৌড়ে'। আমাদের ফুটবলে কতটা আগের তুলনায় উন্নতি হয়েছে পরের কথা। কিন্তু জাপানকে দেখে ভারত কিন্তু জেদ বাড়াতেই পারে। জাপান আজ সারা এশিয়ার উদাহরণের সুধা। সেলাম জানাই জাপানকে এবং চাই বাকি খেলাগুলিতেও তারা যেন এই স্পিরিট ধরে রাখতে পারে। (অনুলিখন : প্রসূন গুপ্ত)
চাকরি দেওয়ার নামে, ঘর দেওয়ার নামে যারা টাকা দিয়েছিলেন, আমি তাঁদের বকাবকি করি, প্রশ্ন করি কেন দিয়েছিলেন? যাদের টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের কী ক্ষমতা আছে চাকরি দেওয়ার? এভাবেই রাজ্যের সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Uadayan Guha)। তাঁর (Bengal Minister) মন্তব্য, 'আপনি যদি টাকা ফেরত চান, ওই লোকটার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসুন। আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। কেউ যদি চাকরির নাম করে অথবা সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা চায় তাহলে ফোন করে আমায় জানাবেন, তার জেল খাটানোর ব্যবস্থা আমরা করব।'
দিনহাটার খেরবাড়ি হাটে একটি পথসভায় এভাবেই বার্তা পাঠান উদয়ন গুহ। উদয়ন গুহ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'উদয়ন গুহ কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত অথবা চাকরি দেওয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। গোটা দিনহাটা জুড়ে কোনও একটা লোক এই ধরনের কথা বলছে খুঁজে পাবেন না।'
স্বাভাবিকভাবে মন্ত্রীর এই বক্তব্যে শোরগোল পড়েছে কোচবিহারে। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে এই ধরনের কিছু মন্তব্য করছেন। দিন কয়েক আগে এদিন তিনি স্পষ্ট করেছেন, উত্তরবঙ্গ কিছুতেই ভাগ হবে না। বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। যদিও বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়ের অভিযোগ, 'এটা টাকা তোলার নতুন পদ্ধতি। এই টাকা তোলার সঙ্গে উদয়ন গুহ নিজেই জড়িত। টাকা না দিলে তৃণমূলে টিকিট পাওয়া যায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত।'
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Case) এবার ইডির র্যাডারে বীরভূম (Birbhum) এবং পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এই সংস্থার (ED) স্ক্যানারে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক মন্ত্রী। তিনি এক সময় বীরভূমের পর্যবেক্ষক ছিলেন। যদিও কে সেই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
এদিকে, কয়লা-কাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের জেলার। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে পার্থ ঘুরলে নিচুতলার কর্মীদের ধমক দেন জেলার। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ-বন্দিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামাকাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।