শুভশ্রী মুহুরী: প্রভাবশালী জোর জুলুমে আটকে রয়েছেন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা, তাঁদের বাঁচাতে এবার সামাজিক মাধ্যমের সহায়তা নিলেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty) ও লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। করজোড়ে সকলের কাছে কাতর আর্তি জানাচ্ছেন 'আটক' সহকর্মীদের জন্য। গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র শনিবার সামাজিক মাধ্যমে লাইভ আসেন। তিনিই প্রথমে সহকর্মীদের দুরাবস্থার কথা জানান। এরপর লাইভে আসেন ইমন চক্রবর্তী। তিনিও আর্তি জানান সকলের কাছে।
লোপামুদ্রা মিত্র বলেন, 'খবর পেলাম আমার কয়েকজন মিউজিশিয়ান বন্ধু কাঁথিতে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আটকে রয়েছেন। ঠিক কী কারণে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত নই। তবে আমিও এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি তাই ধারণা করতে পারি নিশ্চয় অর্গানাইজার সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছে। আমি এই বিষয়ে কলকাতা পুলিস ও পশ্চিমবঙ্গের তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'
গায়িকা লোপামুদ্রার লাইভ দেখে ইমন চক্রবর্তীও লাইভে আসেন। তিনি বলেন, 'গানবাজনা করতে চাওয়ার পরিণাম কী এই যে একটা দলকে চার পাঁচদিন আটকে রাখা হবে? যারা এই কাজ করেছেন তাদের দুঃসাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে করজোড়ে অনুরোধ করব যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা ব্যবস্থা নিন।'
বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় আন্দোলনে (DA Agitation) রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যে পালিত হয়েছে কর্মবিরতি, ধর্মঘট। সুপ্রিম কোর্টে বাংলার ডিএ (DA Row) মামলার ভবিষ্যৎ বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য একপ্রস্থ ডিএ ঘোষণা করবে মোদী সরকার (Modi Government)। অন্তত ৪% হারে ঘোষিত হতে পারে কেন্দ্রীয় ডিএ।
হিসাব অনুযায়ী, এই ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ফলে চলতি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি যেমন হবে, তেমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী বা তাঁদের পেনশনভোগী স্বজনরাও এই বর্ধিত ডিএ-র সুবিধা পেতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দু’বার কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ বা মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে। প্রথম দফায় জানুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয় দফায় জুলাই মাসে ডিএ ঘোষণা হয়।
উপাচার্য (Vice-Chancellor) নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের। মোট ২৯ জন উপাচার্যর নিয়োগ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। ভিসিদের পুনঃনিয়োগ সঠিক কিনা, সেই মামলায় রায়দান কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। যাদের সময়সীমা শেষ, চ্যান্সেলরের নির্দেশ ছাড়া তাঁদের নিয়োগ বেআইনি, এদিন বললেন ডিভিশন বেঞ্চ। যাঁদের এই মুহূর্তে পুনঃনিয়োগ হয়েছে সেই উপাচার্যদের নিয়োগ বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে যাঁদের সময়সীমা শেষ হয়েছে, তাঁদের নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার থেকে পুনঃনিয়োগ হওয়া উপাচার্যরা কোনও দায়িত্ব পালন করতে পারবে না, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
উপাচার্যদের পুনঃনিয়োগ মামলায় এভাবেই মুখ পুড়ল রাজ্যের। স্পষ্ট আদালত জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের পুনঃনিয়োগ বেআইনি। আদালতের মন্তব্য,'ভিসি নিয়োগে রাজ্যের কোনও এক্তিয়ার নেই।'
এক আইনজীবি বলেন, 'আমাদের প্রাক্তন রাজ্যপাল, এখন যিনি দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, চ্যান্সেলর থাকাকালীন বলেছিলেন, ২৪টি স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরদের নিয়োগ তাঁর স্বাক্ষর ছাড়াই হয়েছিল। এই বিষয়ে মামলা চলাকালীন রাজ্য সরকার বলেছিলেন, এটা নিয়োগ নয়। এটা পুনঃনিয়োগ। রাজ্য সরকার তুঘলকি আইন চালু করেছেন।' তিনি আরও বলেন, '২০১৮ সালে ইউজিসি-র রেগুলেশন বলেছে, যে সার্চ কমিটি নির্বাচন করে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ করতে হবে। সেই সার্চ কমিটিতে ইউজিসি-র চেয়ারপার্সনের একজন নমিনিকে থাকতে হবে। সেই বিষয় রাজ্য সরকার উড়িয়েই দিয়েছেন।'
জনগণের স্বার্থে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুঠ হয়েছে। এই দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) রুজু করেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ক্যাগের রিপোর্টের (CAG Report) ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) দাবি করা হয়েছে সেই জনস্বার্থ মামলায়। এবার এই মামলায় ক্যাগ এবং রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগামি সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ এই মামলার অপর দুই মামলাকারী আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। সত্যি কি সেই টাকা নয়ছয় হয়েছে? সেটা জানতেই রাজ্যের অর্থসচিব এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগকে জুড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে একাধিকবার মোদী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার তোলা সেই অভিযোগের জল এবার গড়ালো হাইকোর্টে।
অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) ছাড়তে এসে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) গলায় 'টাইম হো গায়া' প্রসঙ্গ। কীসের 'সময় হয়েছে'? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জোর চর্চা শুরু বাংলার রাজনীতিতে (Bengal politics)। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের তোলা প্রশ্নের জবাব খানিকটা শুভেন্দুর গলা থেকেই বেড়িয়েছে। শনিবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah at Kolkata) কলকাতা বিমানবন্দরে ছাড়তে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ। সেই কর্মসূচির পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য অফিসে অমিত শাহের উপস্থিতিতে কী বৈঠক হয়েছে?
সংবাদ মাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কালকের (শুক্রবার) বৈঠকের শুধু একটা কথা আমি বলতে পারি, কেউ একজন বলেছে টাইম হো গায়া! কে বলেছে বলছি না, টাইম হো গায়া। অর্থাৎ বাংলার বড় ডাকাতরা, চোররা, অত্যাচারীরা, পরিবারবাদ এবং তোষণবাদে আমদানি করা লোকেরা, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন এবং সংবিধান মেনে যা যা ব্যবস্থা করা উচিৎ, সেটা করা হবে। এই ব্যাপারে আমার বৈঠকে আশ্বাস পেয়েছি।'
তিনি জানান, 'মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিতজির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সোমবার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে, সেই বৈঠকে আমারও ডাক পড়েছে। কিন্তু অমিতজি আমাকে বলেছেন, তুমি সোমবার ফিরবে না, মঙ্গলবার তোমাকে আধ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি সংসদে আমার অফিসে এসে সাক্ষাৎ করবে। অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করার আছে। তাই রাজ্য সভাপতি আর তোমার সঙ্গে আলোচনা করবো।'
এদিকে, শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, ভালো দিনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও। তিনি এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে বলেন, 'শুক্রবারের বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় এবং দলের আগামি কর্মসূচি নিয়ে জানতে চান অমিত শাহ। পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন, যার তর্জমা কিছুটা দাঁড়ায় আগামি দিনে বাংলার জন্য ভালো দিন বা আচ্ছে দিন।'
দেশের শীর্ষ আদালতেও (Supreme Court) সাময়িক স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। বিরোধী দলনেতা (LOP) শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিরোধী দলনেতার কম্বলদান অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চায় রাজ্য।
সেই মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে মমতা সরকার। যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছাড়া বিরোধী দলনেতা অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন রাজ্যের। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরালো সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে, হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের শুভেন্দুকে দেওয়া আইনি রক্ষাকবচের বিরোধিতায় সম্প্রতি ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন আইনজীবী আবু সোহেলের। সেই মামলাও ইতিমধ্যে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন।
পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি। জানুয়ারিতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। বুধবার যে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তাঁরা বেঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানোয় পিছিয়ে যায় শুনানি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাস্টিস দীপঙ্কর দত্ত (Justice Dipankar Dutta), পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে কাজ করছেন জাস্টিস হৃষীকেশ রায়। এই দুই বিচারপতির বেঞ্চেই এদিন ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি ছিল। কিন্তু তাঁরা সরে দাঁড়ানোয় নতুন করে বেঞ্চ পুনর্গঠনের স্বার্থে পিছিয়ে গিএয়ছে শুনানি।
এদিন বেঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানোর যুক্তি হিসেবে বিচারপতি দত্ত বলেন, 'আমি আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তাই এই মামলা আমি শুনবো না।' এই যুক্তিতে সহমত প্রকাশ করেন বিচারপতি রায়। ফলে আরও একবার ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার ভাগ্য। জানা গিয়েছে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায় সরকারি কর্মীদের পক্ষে গিয়েছে। যদিও হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছে নবান্ন। তাদের যুক্তি, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল বোঝা চাপবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি কর্মী সংগঠনের একাংশের মধ্যে বকেয়া ডিএ নিইয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পথে নেমে প্রতিবাদেও সরব হয়েছে তাঁরা।
পাশাপাশি আইনি পথে এই জটের সুরাহা খুঁজতে শীর্ষ আদালতের দিকে তাকিয়ে বাংলার সরকারি কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) অগ্রাধিকারে নাম চিহ্নিত করতে ১৫ দফা নির্দেশিকা দিল রাজ্য সরকার (Bengal Government)। উপভোক্তার নাম চিহ্নিত করার আগে দেখতে হবে সেই পরিবারের কোনও পাকা বাড়ি রয়েছে কিনা। পরিবারের কেউ অতীতে ইন্দিরা আবাস যোজনা (Indira Awas Yojana), প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলী বা অনুরূপ কোনও সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কিনা। সুবিধা পেয়ে থাকলে কোনওভাবেই এবার আবাস যোজনা প্রকল্পের সুযোগ পাবে না।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি গ্রামাঞ্চলে গরিব মানুষের জন্য তৈরি করার অনুমতি দিয়েছে। ১০ হাজার টাকার বেশি পরিবারের কারও মাসিক আয় হলে এই আওতায় আসবে না। পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করলে বা আয়কর, বৃত্তি কর পরিবারের কেউ দিয়ে থাকলে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলেও আবাস যোজনার প্রকল্পে আসবে না। একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে পাওয়া জব কার্ড সঠিক না নকল, তা যাচাই করতে হবে। কোনও ধরনের অনিয়ম পেলেই তা পোর্টালে গিয়ে জব কার্ড ব্লক করতে হবে। প্রতিটি গ্রামের আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাণী বন্ধু, গ্রামীণ পুলিস ও গ্রাম পঞ্চয়েতের কর্মীদের নিয়ে এই দল তৈরি করে তালিকার নাম চিহ্নিত করতে হবে।
সরকারি নির্দেশিকার মতো কাজ হয়েছে কিনা ২ শতাংশ ক্ষেত্রে জেলাশাসক নিজে যাচাই করে দেখবেন জেলাশাসক। ৩ শতাংশ ক্ষেত্রে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে এবং ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে বিডিও অফিস থেকে বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করতে হবে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজন আধিকারিকরা সরজমিনে তদন্ত করে দেখবে।
নাম বাতিল করা হলে ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে গ্রামসভা ডেকে অনুমোদন করাতে হবে। থানার ওসি বা আইসি বিডিও অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে র্যানডম চেকিং করবে সমীক্ষার সাহায্যে যাচাই করে জমা পড়ে তথ্য কতটা সঠিক। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি গ্রামাঞ্চলে গরীব মানুষের জন্য তৈরি করে করার অনুমোদন দিয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA) এখনও না মেটানোয় রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা এখনও না মেটানোর অভিযোগ শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে করেন সরকারী কর্মীদের (Government Employee) আইনজীবী সৌম্য মজুমদার। এই মামলায় রাজ্যের হয়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। আদালতের নির্দেশ স্বত্বেও কেন বকেয়া মেটানো হয়নি? প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
জবাবে এজি জানান, 'আমরা বকেয়া ডিএ মেটানো নিয়ে আগের রায়ের রিভিউ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছি। সেই আবেদনের শুনানি ১৪ ডিসেম্বর।' এই জবাব পেয়েই ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানান, রিভিউ পিটিশন করলেই আগের বকেয়া মেটানোর নির্দেশ কার্যকর না করার সুযোগ জন্মায় না। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, বকেয়া ডিএ মেটাতেই হবে। ১৪-র পরিবর্তে, ৬ জানুয়ারি রিভিউ মামলার শুনানি করবে আদালত। তার আগে মেটাতে হবে বকেয়া পুরনো ডিএ-র টাকা।'
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা বলেন, 'আমি আপনার বিড়ম্বনা বাড়াতে চাই না। তাই লিখিতভাবে নতুন অর্ডার দিলাম। ডিএ কর্মীদের অধিকার। এটা দয়া নয়, এটা এখন স্পষ্ট। আর কর্মীরা আছে বলে প্রতিষ্ঠান আছে। না হলে কোথায় থাকতো প্রতিষ্ঠান। এটা চলতে পারে না। নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই ডিএ মেটানো নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে।'
বিচারপতির মন্তব্য,'ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। যদি বিচারব্যবস্থায় ভরসা না থাকে তাহলে অন্য কথা। কিন্তু কর্মীদের বঞ্চিত করে যাবে না। এটা তাদের কষ্টের দাম। কতদিন এই ভাবে বঞ্চিত থাকবে তাঁরা। আগে ১৪ ডিসেম্বর রিভিউ শুনানি ছিল। সেটা পিছিয়ে দিলাম। কিন্তু এর মধ্যে আগের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।'
ধোপ দূরস্ত পোশাক, হাতে ব্যাগ আর গাদা-গুচ্ছেক কাগজ নিয়ে প্রায় বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি সরকারি এক আধিকারিকের গাড়ির দরজায় মুখ রেখে সমানে ঘেউ ঘেউ (Dog Bark) করে যাচ্ছেন! বাঁকুড়ার দু'নম্বর ব্লকের বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar Camp) ক্যাম্পে এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত অনেকেই। রীতিমতো ক্যামেরার সামনে সেই ব্যক্তির এই কাণ্ড দেখে প্রায় 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা যুগ্ম বিডিওর (Joint BDO)। যেন কোনওভাবে ওই জায়গা ছাড়লেই হাঁফ ছাড়তে পারেন তিনি।
কিন্তু ঘটনাটা আদতে কী? জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া-২ নম্বর ব্লকের বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশিয়াকোল গ্রামের শ্রীকান্তি দত্ত রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতর থেকে যে আরকেএসওয়াই রেশন কার্ড পেয়েছেন, এটা প্রথম থেকেই ভুলে ভরা। প্রথমে তাঁর পদবি দত্তের জায়গায় হয়েছে মণ্ডল। তারপর ত্রুটি সংশোধনে শ্রীকান্তি হয়েছে শ্রীকান্ত। এবং সবশেষে সেই ত্রুটি সংশোধনে দত্ত পদবী হয়ে গিয়েছে 'কুত্তা'। আর এই ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত ও অসম্মানিত শ্রীকান্তি বাবু। তাই বুধবার বিকনা গ্রামে 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প জয়েন্ট বিডিও পরিদর্শনে এলে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করে 'প্রতিবাদ' জানান শ্রীকান্তি দত্ত।
শ্রীকান্তি দত্ত জানান, 'রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম, প্রথম পর্যায়ে রেশন কার্ড হাতে পেলে দেখি আমি শ্রীকান্তি দত্ত হয়ে গিয়েছি শ্রীকান্ত মণ্ডল। সংশোধনের পর আমি হলাম শ্রীকান্ত কুমার দত্ত। ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করলাম। এরপর আর মানুষ নয়, হয়ে গেলাম কুকুর! শ্রীকান্তি দত্তের জায়গায় শ্রীকান্তি কুমার কুত্তা এলো আমার নাম।'
তাঁর মন্তব্য, এই ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে জয়েন্ট বিডিও কে হাতের কাছে পেয়েও দত্ত কী করে কুত্তা হয় এই প্রশ্ন তাঁর কাছে রাখি। তিনি কোন উত্তর না দিয়ে এলাকা ছাড়তে চান। এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ শ্রীকান্তি দত্তর মা হীরা দত্ত। তাঁদের 'সামাজিক সম্মানহানি' হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, 'গুরুত্বপূর্ণ কাজে চুক্তিভিত্তিক আর অশিক্ষিত কর্মী নিয়োগের ফলেই এই ঘটনা ঘটছে। আর যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আমার ছেলের আমি একটা নাম রেখেছি। দোকান করে ছেলে সংসার চালায়, আর এই ঘটনায় শতগুণ সম্মাণহানি হয়েছে।'
এদিকে, সিএন-এ এই খবর প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। নিজের পদবি ফিরে পান শ্রীকান্তি কুমার দত্ত। অবশেষে রাহুমুক্তি যুবকের। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম-সহ রেশন কার্ড হাতে পান তিনি।
মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary)। আদালতের রক্ষাকবচ থাকা সত্বেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করছে শাসক দল (TMC)। এই অভিযোগে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধ সম্প্রতি দায়ের হয়েছে এক ডজন এফআইআর। সেই এফআইআরের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও বারবার বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের রক্ষাকবচ রয়েছে। তারপরেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাই আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি বিরোধী দলনেতার কাঁথির বাড়ির সামনে জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। কোনও রাজনৈতিক জমায়েত যাতে না হয়, নিশ্চিত করতে হবে কাঁথি থানাকে, এই মর্মেই নির্দেশ আদালতের। এই নির্দেশ কার্যকর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপারকে।
সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করে শূন্যপদে নিয়োগ (SSC Recruitment) সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta high Court) অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। কমিশনের (SSC) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। রাজ্যকে স্কুল সার্ভিস কমিশন ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি (justice Basu)। এদিন শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য, বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের বরদাস্ত নয়। এঁদের অন্য কোনও চাকরি দিন কিন্তু এরা শিক্ষক হলে ছাত্রদের ক্ষতি হবে। এরা শিক্ষক হতে পারেন না। রাজ্যের ক্ষতি নয় ছাত্রদের জীবনের ক্ষতি হবে যদি এরা শিক্ষক হন।'
বৃহস্পতিবার শুনানির সময় সুপার নিউমেরিক পদ তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যের উলটো অবস্থান ছিল কমিশনের। তখনই বিচারপতির মন্তব্য, 'কমিশনকে নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে ভেঙে দিন।' শিক্ষক নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রুপ সি এবং ডি, নবম-দ্বাদশ যাদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের পুনর্বহাল চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আবেদনে এসএসসি জানায়, যাদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পুনর্বহাল করেও নতুন নিয়োগ করবে। সুপার নিউমারিক পোস্টে শূন্য পদ তার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের কাছে সেই আবেদন পত্র পাঠায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু এই সুপার নিউমেরিক পদ তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের নয়। আদালতকে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। রাজ্য জানায় আদালতের নির্দেশ হলে চাকরি হবে।
এতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বসু জানান, 'কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের ভিন্ন সুর। তবে কমিশন ভেঙে দিতে পারে রাজ্য। কমিশনকে কি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে রাজ্যে?'
এসএসসি জানায় এই আবেদনের কারণ, যারা কাজ করছেন, তাঁদের তিন বছর হয়ে গিয়েছে, পরিবার রয়েছে। সে কথা ভেবেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি। বুধবার কমিশনের সঙ্গে মৌখিক কথা হয়েছে, চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এই আবেদনের এই অংশ প্রত্যাহারের কথা ভাবা হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজ্য জানায়, কমিশন স্বতন্ত্র সংস্থা, তাই তাদের নিয়োগের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অন্য চাকরির সঙ্গে পরিবর্তন করা যায় না। ইন্টারভিউয়ের অন্তত ১৫ দিন আগে শূন্যপদের সংখ্যা জানাতে হয়।
ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা (DA Case) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য (Mamata Government)। রাজ্যের দাবি, আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। সোমবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। চলতি বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। অগাস্টে সেই ডেডলাইন পেরোলেও ৩১% হারে মহার্ঘ ভাতা এখনও পাননি সরকারী কর্মীরা।
সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে সরকারী কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলায় সরকারী কর্মী সংগঠনের পক্ষেই রায় দেয় হাইকোর্ট। জানিয়ে দেয় সরকারী কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে। এবার হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে সে কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী।
এদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির লড়াই দীর্ঘ। এ নিয়ে অতীতেও জল গড়িয়েছে কোর্টে। ইতিমধ্যে ডিএ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি খারিজ করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
৮ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Puja Carnival)। কার্নিভালের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। গত দু'বছর করোনা পরিস্থিতির (Covid Situation) জন্য কার্নিভাল বন্ধ ছিল। এবছর আবার কার্নিভালের আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Bengal Government)। শহরের সেরা অন্তত ১০০টি পুজো এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে। তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মণ্ডপ থেকে বের করে আনা হবে প্রতিমাগুলো। রাখা থাকবে রেড রোডে। কোন প্রতিমা কীভাবে রাখা হবে, তার তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই মেগা আয়োজনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, অতিথিদের বসার ক্ষেত্রে তাই বিশেষ আয়োজন। একটি আয়োজনে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য অতিথিরা। দ্বিতীয় আয়োজনে বসবেন মন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা। তৃতীয় আয়োজনে বসবেন অন্য আমন্ত্রিত এবং অতিথিরা। এবং সব শেষে বাকি যারা টিকিট কেটে কার্নিভালে দেখবেন তাঁদের জন্য তৈরি আলাদা ব্যবস্থা। এমনটাই কলকাতা পুলিস এবং রাজ্য সরকার সূত্রে খবর। পাশাপাশি শুক্রবার থেকেই রেড রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
শুক্র এবং শনিবার বন্ধ থাকবে রেড রোড। তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রানী রাসমণি রোড, মেয়ো রোড খলা থাকবে। খোলা থাকবে জাজেস ঘাট রোড এবং আউট্রাম রোড।
পুজোর আগে দুঃসংবাদ সুরাপ্রেমীদের। শারদ উৎসবের মুডে ঢোকার আগেই দাম বাড়ছে মদের। রাজস্ব বাড়াতে মদের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দাম বৃদ্ধি হচ্ছে মদের। দেশি মদের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি হবে ২০ শতাংশ। দেশে প্রস্তত বিদেশি মদের দাম বাড়তে চলেছে ৭ থেকে ১০ শতাংশ। ৬০০ মিলিলিটার দেশি মদের দাম হতে চলেছে ১৫৫ টাকা। ৩৭৫ মিলিলিটারের দাম হতে চলেছে ১০৫ টাকা। ৩০০ মিলিলিটারের দাম হতে চলেছে ৮৫ টাকা। ১৮০ মিলিলিটারেরের দাম হতে চলেছে ৫০ টাকা। এমনটাই আবগারি দফতর সূত্রে খবর।
এদিকে, গত বছর বিলিতি মদের দাম অনেকটাই কমেছিল রাজ্যে। ২০২১-র ১৬ নভেম্বর থেকে ভারতে তৈরি বিলিতি মদের দাম কমেছিল। এবার প্রায় এক বছরের মাথায় সেই দাম বাড়তে চলেছে। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দামে মদ বিক্রি হবে। রাম, হুইস্কি, ভদকা, জিন সবেরই দাম বাড়বে। বাড়বে বিয়ারের দামও। তবে সুরাপ্রেমীদের আশ্বস্ত করে আবগারি দফতরের দাবি, 'দাম বাড়লেও গত নভেম্বরের আগে যতটা দামী ছিল ততটা হবে না মদের দাম। সেই তুলনায় বরং কমই থাকবে দাম।'
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই মদ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো দাম বাড়ানোর কথা বলছিলেন। কিন্তু বাজার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় সেই প্রস্তাবে অনুমতি দেয়নি আবগারি দফতর। এবার সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ উৎপাদনমূল্য বাড়িয়ে লেবেলিং হবে বোতল।
এদিকে, রাজ্যের সব উৎপাদনকারীকেই তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের উৎপাদনমূল্য কতটা বাড়বে, তা শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। এরপর ১০ তারিখ থেকে আবগারি দফতর ঠিক করবে কোন ব্র্যান্ডের রাম, হুইস্কি, ভদকা, জিনের কত দাম হবে। সেই মতো বিভিন্ন মাপের বোতল অনুযায়ী দামের তালিকা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের আগে আবগারি দফতরের পোর্টালে দিয়ে দেওয়া হবে। বাড়বে বিয়ারের দামও।