সকাল থেকেই রোদের দাপট কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায়। তবে বিকেল বা সন্ধের পর বদলাতে পারে আবহাওয়া। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বাড়বে। আগামী দু-তিন দিনে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন ও শুক্রবার বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার উল্লিখিত জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে উওরবঙ্গের ক্ষেত্রে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে মালদহ ও দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্ত ভাবে দু এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ এবং ৫৪ শতাংশ।
বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে তিন ডিগ্রির বেশি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি একই পরিস্থিতি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে বিকেল কিংবা সন্ধের দিকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এটাই মার্চ-এপ্রিল মাসের স্বাভাবিক নিয়ম বলেও জানিয়েছেন আবহবিদরা।
এই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩৮ ডিগ্রি। সপ্তাহের শেষের দিকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার উত্তরবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এছাড়া উপরের বাকি পাঁচ জেলার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলাা হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া নিচের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। পাশাপাশি এদিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবারেও একই পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি।
প্রসূন গুপ্তঃ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের কিংবা লোকসভা ভোটে প্রচারের নানান রূপ দেখা যায়। পন্ডিত নেহেরু অবিশ্যি এসবে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ভোট প্রচারে গেলে সারা দেশ জুড়ে তাঁকে ঘুরতে হত এবং একেকটি রাজ্যে গেলে পারদপক্ষে সেখানকার পোশাক (অবশ্যই শাড়ি) পড়তে দেখা যেত। রাজীব গান্ধীর প্রচারের সময়ে দেখা যেত নিজেই গাড়ি চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য কেন্দ্রে যেতেন। বাংলাতেও তাই দেখা যেত। জ্যোতি বসু অবিশ্যি কটাক্ষ করে বলতেন যে, পাইলট ছিলেন তাই অভ্যাসটি যায়নি, এখনও দেশটিকে এরোপ্লেন বলে মনে করেন। যাই হোক না কেন রাজীব কিন্তু ওসব পরোয়া করেননি। একই অভ্যাস অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীরও রয়েছে। আসলে এঁরা যথেষ্ট সুদর্শন, কাজেই সেগুলো তাঁদের ইউএসপি বলেই ধরে নেওয়া হতো বা হয়।
তবে এই রাজ্যে বিভিন্ন পোশাকের বহর প্রথম দেখা গিয়েছিলো সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মধ্যে। এরপর কমিউনিস্ট সরকারে পোশাক আশাক ইত্যাদি নেতাদের মধ্যে একেবারেই দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিশ্যি জেলা ভিত্তিক নানান ব্যবহার করেছেন। জঙ্গলমহলে তাঁর সাঁওতালদের সঙ্গে নাচ বা গানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যদিও ভোটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই ভিন্ন মুডে থাকেন। রাজ্য বিজেপিতে ভিন্ন রূপে নেতাদের দেখা গিয়েছে বিস্তর।
এবারের নির্বাচনে দেখা গেল, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচারে সবকটি দলই রং খেলায় মেতেছেন। দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর থেকে হুগলি বা বীরভূম সহ প্রায় প্রতিটি জায়গায় প্রার্থীরা মেতেছিলেন আনন্দ উৎসবে। বাদ নয় সিপিএম প্রার্থীরাও। আজকের প্রচারে কাঠখোট্টা ভাষণে মানুষ বোধহয় আনন্দ পায় না। এখন জমজমাট ভাষণ দিতে পারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। সোশ্যাল নেটের যুগে নতুনত্ব আনতেই আজকের রাজনৈতিক দলে সেলিব্রেটিদের আনাগোনা। তাঁরা কোথাও খাবার পরিবেশন করছেন, কোথাও নিজেরাই খেতে বসেছেন। কোথাও পুজোতে খঞ্জনি বাজাচ্ছেন আবার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে হাজিরা দিচ্ছেন ইফতারে। করতেই হবে, ভোট যে বড়োই বালাই।
প্রসূন গুপ্ত : সেই কবেই ২০টি আসন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এ রাজ্যের জন্য। ইতিমধ্যে আসানসোল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ এখনও ২৩ আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। ভোট একেবারে শিয়রে, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কবে ঠিক হবে?
ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রধান বিরোধী রাজ্য প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং আরও এক বিরোধী বামেরা কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে, দেওয়াল লিখে প্রার্থীর প্রচার শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বামেরা ব্যতিক্রম বিজেপি এবং কংগ্রেস। যদিও বাংলায় কংগ্রেস দু তিনটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও শক্তিশালী নয়। তাদের নিয়ে বিজেপির চিন্তাও নেই কিন্তু প্রার্থী তো দিতে হবে।
সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ কে টিকিট দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এখানে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করতে চাইছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দিলীপবাবু কে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে দাঁড়াতে বলা হয়েছে যা ঘোরতর আপত্তি দিলীপের। সংকট রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, আসানসোল, দমদম, বারাসত সহ ১০/১২ টি আসনে প্রার্থী ঠিক করাই যাচ্ছে না। অবিশ্যি উত্তর কলকাতা পাচ্ছেন তাপস রায়, ব্যারাকপুর পেতে চলেছেন অর্জুন সিং।
এই রাজ্য ছাড়াও অনন্য রাজ্যও বেশ সমস্যা প্রার্থী নিয়ে। শনিবার বিকেলে অথবা গভীর রাতে অমিত শাহ্ এবং নাড্ডা তৃতীয় বারের জন্য বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারের সাথে। আশাকরা যাচ্ছে রবিবারের মধ্যে ঠিক হতে পারে। রাজ্যে মূল সমস্যা গোষ্ঠীদন্দ নিয়ে। প্রার্থী ঠিক হলে দ্বিতীয় সংকটও মেটাতে হবে শাহ্কেই।
২০২২ সালের টেটে ১৫ প্রশ্ন ভুলের মামলায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। আদালতের নির্দেশ মত, পরবর্তী শুনানিতে পর্ষদকে দিতে হবে রিপোর্ট। আগামী ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
চাকুরী প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ১৫ প্রশ্ন ভুল মামলার প্রশ্নগুলো বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে করা হয়ছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।তাই বিশেষজ্ঞদের মতামত পর্ষদকে দিতে হবে। তা না হলে পর্ষদের যুক্তি গ্রাহ্য হবে না।
পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ্যে আনতে হলে বিশেষজ্ঞদের নাম প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ।
বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা জানান, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের নাম প্রকাশ না করেও মতামত দেওয়া যায়। তবে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে পরীক্ষার্থীরা। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে আবেদন করেন ৫০০ পরীক্ষার্থী। ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ১৫ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে, অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের। যার ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রশ্ন ভুল নিয়ে পর্ষদকে স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, যদি পর্যদ কোনও সমাধান সূত্র বের করাতে না পারে তাহলে হাইকোর্টই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। অবশ্য এই প্রথম নয় আর আগেও হাইকোর্টে টেটের প্রশ্ন ভুলের মামলায় নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করেছিল পর্ষদ। এখন দেখার বিশেষজ্ঞদের মতামত আদালতে দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্ষদ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সোমবার সকালেই আকাশ কালো করে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিন শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় একসঙ্গে দিনভর আকাশ থাকতে পারে আংশিক মেঘলা। সঙ্গে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত। এক্ষেত্রে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিন শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি কম। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলাগুলিতে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায়। মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত সেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াও মূলত শুষ্কই থাকবে। এমনকি তাপমাত্রাও আপাতত বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।। সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ, উভয় তাপমাত্রাই বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
আজই, শনিবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এবার ৭ দফায় ৫৪৩ আসনে হতে চলেছে ভোট। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা।
বাংলায় কবে কোথায় ভোট?
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল)-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল)-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং
তৃতীয় দফা (৭ মে)- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর
চতুর্থ দফা (১৩ মে)- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল
পঞ্চম দফা (২০ মে)- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে)- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর
সপ্তম দফা (১ জুন)- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন জানিয়েছেন, গোটা দেশে ভোট কেন্দ্রের সংখ্য়া ১০ লক্ষ। দেশে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৯৭ কোটি। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি। ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্য়ে ভোটারের সংখ্য়া ২১ কোটি। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার। আজ থেকেই চালু নির্বাচনী আচারবিধি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল বঙ্গের লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় লোকসভা ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রায় সবকটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। আর বিজেপির দখলে ছিল ১৮টি সিট।অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছিল দুটি আসনে। বামেরা খাতা খুলতেই পারেনি। এবারও লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি এবং তৃণমূলই।
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই রক্তে রাঙা বাংলার মাটি। নদিয়ার থানাপাড়ায় খুন তৃণমূল কর্মী সাকিব মণ্ডল। কুপিয়ে খুনের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপরেই ধারালো অস্ত্রে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় সাকিব মণ্ডলকে উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার।
লোকসভা ভোটের আগে খুনের রাজনীতি করছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল, বলে দাবি কংগ্রেসের। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীই সুরক্ষিত নন, সেখানে অন্যরা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
পঞ্চায়েত ভেটের প্রাক্কালে যে সন্ত্রাসের ছবি দেখেছে রাজ্যবাসী, লোকসভা ভোটের আগে তারই যেন পুনরাবৃত্তি। আগামীতে আরও কত রক্ত ঝরবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
প্রসূন গুপ্তঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের দীর্ঘ ৪০ বছরের আলাপ। অত্যন্ত কাছের থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছি। বহুবার তাঁর বাড়িতে গিয়েছি কাজে বা আমন্ত্রণেও। তাঁর সঙ্গে বহু সফরের অভিজ্ঞতা আছে কাজেই এখন, যখন বৃহস্পতিবার তিনি পরে গিয়ে মারাত্মক আহত হন, তখন বিভিন্ন মহল বিভিন্ন ভাবে তার বিবরণ দিচ্ছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, তিনি কি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাকি বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে পরে গেলেন অথবা কেউ পিছন থেকে ধাক্কা দিলো?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংঘাতিক মানসিক শক্তির অধিকারী। যে কোনও মহিলার থেকেও সৃষ্টিশীল শক্তি তাঁর বেশি। রোজ বাড়িতে বা ট্রেডমিল মারফত প্রচুর হাঁটাহাঁটি করেন যা কল্পনাতীত। সেই তিনি সন্ধ্যায় হাটতে গিয়ে পরে গেলেন এবং মারাত্মক আঘাত পেলেন, বিষয়টি আমি যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। তিনি পরে যাওয়ার পরেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ফেটে যাওয়া মাথায় তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন, শুক্রবার দুপুর বারোটায় এই খবর পেলাম কালীঘাট সূত্রে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচুর পরিশ্রম করতে পারেন এবং একটি শিশুর থেকেও কম খাওয়া দাওয়া করেন। সারাদিন চা, কখনও এক আধটা বিস্কুট কিংবা ছোলা ভাজা খান। যা খাওয়ার রাতে খান। ইদানিং যথেষ্ট টেনশনে রয়েছেন। সামনে নির্বাচন। এছাড়া দলের অন্দরে নানান চাপ ইত্যাদি আছেই। মমতা যা দশ বছর আগে পারতেন তা আজকেও একই ভাবে চালিয়ে যাবেন এটা ভাবাও ভুল। কাজেই নিজের শরীরের দিকে নজর তো রাখতেই হয়। যা তিনি পরোয়া করেন না।
বৃহস্পতিবার প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন একডালিয়ায়। খুবই ক্লান্ত লাগছিলো। সুব্রতবাবুর কথা স্মরণ করে ভীষণই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু একই সাথে তাঁকে ক্লান্তি সম্ভবত চেপে ধরেছিলো। ভাষণ দিতে গিয়ে আটকে যাচ্ছিলো কথা। আমার কেন মনে হচ্ছিলো উনি কি অসুস্থ বোধ করছেন? সব মিলিয়ে পুরাতন মমতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তারপর বাড়ি ফিরেই তো এই কান্ড।
তবে চিকিৎসকদের কথা, তাঁর মনে হতে পারে পিছন থেকে কেউ ধাক্কা দিয়েছে। কিন্তু তেমনটি নয়। আসলে নাকি মাথা ঘুরে যাওয়ার সময়ে এতটাই বিশৃঙ্খল ছিল তাঁর মগজশক্তি যা মনে হতে পারে কেউ ধাক্কা দিয়েছে। সে যাই হোক না কেন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে বিভিন্ন রাজনৌতিক ও অন্য পেশার ব্যক্তিরা তাঁর সুস্থতা কামনা করেছে। আমরাও কামনা করি।
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। তবে বেলা বাড়তেই মিলেছে রোদের দেখা। আজ, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও আগামী কয়েকদিন রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এক ঝলকে দেখে নিন, কবে কোথায় বৃষ্টি হবে?
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে। আপাতত কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের আগামী কয়েকদিন দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময় বাকি জেলাগুলি যেমন পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। শুক্রবার নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ওই দিন বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। শনিবার পশ্চিমের জেলাগুলি অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। রবিবার সবকটি জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ এবং ৩৯ শতাংশ।
প্রাপ্য লক্ষাধিক টাকা নিতে নিমতায় এসে ব্যবসায়িক সঙ্গীর হাতে খুন ভবানীপুরের বাসিন্দা ভব্য লাখানি। প্রাপ্য নিতে এসে এভাবে মৃত্যু, ভাবতেই পারছে না ব্যবসায়িক মহল। প্রশ্ন উঠছে, ঠাণ্ডা মাথায় এই খুন, তাহলে কি কোনওরকম ভয়ডর নেই অভিযুক্তের মনে। স্পষ্টতই ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক, আশঙ্কার ছাপ স্পষ্ট! ওয়াকিবহাল মহলে জোর চর্চা, ব্যবসায় আর্থিক লেনদেন ঘিরে বিবাদে নৃশংস হত্যাকাণ্ড! কোথাও কি নিরাপত্তাহীনতা, সুরক্ষিত নয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা?
গত একবছরে রোমহর্ষক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এই বাংলায়। একই দিনে পুরুলিয়া এবং নদিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতি। পালানোর সময় পুলিসের উদ্দেশে গুলি চালনার ঘটনাও নদিয়ার ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। মালদহে ফিল্মি কায়দায় সোনার দোকানে ডাকাতি, এসব দৃশ্য খুবই পরিচিত এ বাংলায়। গত ১৩ বছর শাসক দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজের ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। যার সাম্প্রতিক সংযোজনে সখেরবাজারে ৩ডি ও ৩ডি/১ বাসের স্টার্টার রুমে তালা লাগানোর ঘটনা। ব্রিগেডের জন্য বাস চেয়ে না পেয়ে বাসস্ট্যান্ডের স্টার্টার রুমের তালা লাগানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। ব্যাহত বাস পরিষেবা, বিপাকে পরিবহণ ব্যবসায়ী, বাস শ্রমিকরা। কোথাও কি একটা অদ্ভূত নৈরাজ্য, অরাজকতা, প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম নিরাপত্তা, সুরক্ষা না থাকলে এত লক্ষ-কোটি খরচ করে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মলেন আয়োজনের মানে কি, প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। ক্ষুদ্র ব্যবাসীয়রা পড়ে পড়ে মার খাবেন আর বৃহত্ লগ্নিকারীরা কি নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন এ বাংলায়? এই প্রশ্ন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে নাগরিক সমাজে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সিন্ডিকেটরাজ, তোলাবাজি বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে ভব্য লাখানির মতো ঘটনা আরও ঘটবে। ক্রমেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন বাংলার ব্যবসায়ীরা। আর ক্রমেই বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি থেকে কয়েক যোজন দূরে সরবে বাংলা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা। এখনই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে জনসাধারণের। বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়, এমনটাই জানাল হাওয়া অফিস। আজ, বুধবারও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে। আপাতত কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের আগামী দিন দুয়েকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময় বাকি জেলাগুলি যেমন পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। শুক্রবার নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ এবং ৩৭ শতাংশ।
আজই দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। লোকসভা ভোটের আগেই এই ঐতিহাসিক ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফ থেকে। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১২ ডিসেম্বর ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরই আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর কেটে যায়। অবশেষে চালু হল সিএএ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখে একাধিকবারই শোনা গিয়েছে যে দ্রুত সিএএ কার্যকর করা হবে। সিএএ নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এই আইনের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত।
আজই দেশজুড়ে চালু হতে পারে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। আর কিছুক্ষণ পরই ঐতিহাসিক ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় লাগু হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখে একাধিকবারই শোনা গিয়েছে যে দ্রুত সিএএ কার্যকর করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সিএএ নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হকের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত সারা বাংলা। এই রাজ্যে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মেলে না নিয়োগ। প্রাপ্য মহার্ঘভাতা আদায় করতে রাজপথে দিন কাটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এবার সেই বেতন-সহ একাধিক দাবিতে সোচ্চার প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীরাও। নিজেদের পাওনা বুঝে নিতে সোমবার হাজরা মোড়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়নের। মূলত বঞ্চিত কর্মীদের দাবি তারা একাধিক মারণ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে। প্রাণী সম্পদের সুরক্ষার দায়ভার তাদের উপরেই। তবুও তাদের মাসিক বেতন মাত্র ৫ হাজার টাকা। যে টাকায় জীবন অতিবাহিত করা অসম্ভব। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের কাতর আর্জি অবিলম্বে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীদের। পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের মতোই মৃত্যুর পর প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীর পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।
প্রাণীসেবীরা বলছেন, বঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে আশাকর্মীদেরও ভাতা বৃদ্ধি পায়। শুধু গ্রামবাংলায় গবাদি পশুদের সেবা শুশ্রষার দায়িত্ব যারা দিনের পর দিন পালন করছেন তারাই আজ সরকারের কাছে ব্রাত্য। মাননীয়ার কাছে এই বৈষম্য দূর করতে এবার ডেপুটেশন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রাণীসেবীদের।
প্রতিবাদ করতেই পুলিসি বাধার সম্মুখীন প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীরা। কিন্তু নিজেদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর দফতরের কর্মীরা। দাবি পূরণ না হলে প্রতিবাদ বিক্ষোভ থামবে না। হুঁশিয়ারি প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়নের।