
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কার্শিয়াঙে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আবেশের বিয়ের অনুষ্ঠান আছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ৭ ডিসেম্বর সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ প্রশাসন সূত্রে খবর, খুড়তুতো ভাইয়ের ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন অভিষেকও।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ১টায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেবেন অভিষেক। পৌনে ২টো নাগাদ পৌঁছে যাবেন বাগডোগরা। সেখান থেকে সড়ক পথে কার্শিয়াং যাওয়ার কথা তাঁর। মঙ্গল ও বুধবার অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে কিছু জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার কার্শিয়াঙের নয়াবাজার কমিউনিটি হলে যাবেন তিনি।
গত বছর মার্চের শেষদিকে পাহাড় সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। এবার পারিবারিক অনুষ্ঠান ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিও আছে। উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক কাজ করবেন তিনি। ১২ ডিসেম্বর শহরে ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
সুড়ঙ্গ তাঁদের জীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। টানা ১৭ দিন জীবনের এক অন্য লড়াইয়ের যোদ্ধা তাঁরা। কিন্তু সুযোগ পেলে আবার তাঁরা সুড়ঙ্গে ফিরবেন। কাজ করবেন উন্নয়নের জন্য। উত্তরকাশী থেকে তাঁদের গ্রাম হুগলির পুড়শুরায় ফিরে একথা জানালেন বাংলার দুই শ্রমিক শৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক। তাঁদের বরণ করল গোটা গ্রাম।
কালীপুজোর দুপুরে উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে আটকে গিয়েছিলেন শৌভিক ও জয়দেব। এরপর ১৭ দিনের কাহিনি সবার জানা। দুই ছেলের ঘরের ফেরায় অপেক্ষায় ছিল পুড়শুরা। ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরতে এখন স্বস্তি। স্থানীয় তোকিপুর স্টেশনেই তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির হয় গোটা গ্রাম। মালা পরিয়ে চলে বরণের পালা।
শৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা জানিয়েছেন, খুব সাধারণ খাবার খেতে ভালবাসে ছেলে। সেটাই তিনি রান্না করেছেন। ১৭ দিন চোখের পাতা এক করতে পারেননি তিনি। অবশেষে এখন স্বস্তি। তাঁদের ছেলে গ্রামের গর্ব। কিন্তু আবার সুড়ঙ্গে পাঠাতে মায়ের মন কাঁপছে।
ডিসেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। কিন্তু শীতের দেখা নেই। ভোরের দিকে হালকা আমেজ, তা আবার বেলা বাড়লেই উধাও। ডিসেম্বরেও দরদর করে ঘামতে হচ্ছে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এরকমই আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ৯ তারিখের পর থেকে আবার ঠান্ডা পড়তে শুরু করবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবিবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে মিগজাউম। মঙ্গলবার দুপুর অথবা বিকেলে তা দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কি বাংলায় পড়বে ? হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে না বাংলায়। তবে, তাপমাত্রা বাড়বে। ৬ এবং ৭ ডিসেম্বর দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও । তবেস ৯ তারিখের পর থেকে মেঘমুক্ত ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে। তারপরই শুরু হবে শীতের স্পেল।
শনিবারই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর ওই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে পৌঁছবে। পরে তা গতিপথ পরিবর্তন করে উত্তর দিকে এগোবে।
জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা'র অভিযোগে তলব করা হল বিজেপির (BJP) আরও ৩ বিধায়ককে। মঙ্গলবার ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল লালবাজার। প্রথম এফআইআরে নাম থাকা ৫ বিজেপি বিধায়ককে সোমবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবারে ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল কলকাতা পুলিসের গুন্ডা দমন শাখা।
বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ যায় লালবাজারে। প্রথম এফআইআর-এ নাম থাকা ১১ জনের মধ্যে এবার আরও তিন বিজেপি বিধায়কদের তলব করল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় যাঁদের লালবাজারে ডাকা হয়েছে, তাঁরা হলেন চন্দনা বাউরি, মিহির গোস্বামী, মালতী রাভা রায়।
ভোর কিংবা রাতের দিকে শীতের আমেজ থাকলেও, বেলা বাড়তেই তা উধাও। তবে এই শীতের আমেজেও বাধা পড়তে চলেছে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ভিলেন হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত। তবে পশ্চিমের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গার তাপমাত্রা ১৩ ও ১৪ ডিগ্রির আশপাশে নেমে গিয়েছে। এদিন উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রাও অনেকটাই নেমেছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার এবং সোমবার উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে আপাতত রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন ও সোমবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পরিষ্কার ও শুকনো থাকবে। পাশাপাশি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রার আপাতত কোনও পরিবর্তন হবে না।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। শনিবার যা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ।
ভোরের দিকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকেছিল শহর কলকাতা। নভেম্বরের প্রায় শেষের দিকে এসে বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রা নামল কুড়ি ডিগ্রির নিচে। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে রাজ্য জুড়েই তাপমাত্রা আরও নামার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ ও শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। পাশাপাশি হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে আগামী দিন দুয়েকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। পাশাপাশি এই দু'দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পরিষ্কার ও শুকনো থাকবে। রাতের তাপমাত্রা আগামী দিন দুয়েকে কিছুটা কমবে। পশ্চিমের জেলাগুলির মধ্যে এদিন বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ১৪.৫, পুরুলিয়ায় ১৪.৯, শ্রীনিকেতনে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমেছে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনাও নেই।
প্রসূন গুপ্ত: মঙ্গলবার ছিল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। অর্থাৎ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলন। এটি সপ্তম বর্ষ। এই সামিট শেষ হলেই নানান জল্পনা ও সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধীদের বক্তব্য, শিল্প কোথায় রাজ্যে? কিন্তু বাস্তব সত্যিটা হলো ব্যবসা বা বাণিজ্য শুরু হলে বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ব্যবসায়ীদের কাজ শুরু হলে তা দেখা যায় না, বোঝা যায়। আসলে আমাদের একটি ধারণা আছে এই বাংলায় যে, বাণিজ্য মানেই ঢাউস একটি কারখানা হবে এবং কর্মী সংখ্যা হবে হাজার হাজার। আজকের ভারতে নতুন প্রজেক্ট সেই অর্থে কোথায়? মোদ্দা কথা আজকের ব্যবসার মূল মন্ত্র তুমি বানাও আমি কিনি। মঙ্গলবার কিন্তু দেশ বিদেশের বহু বাণিজ্য প্রতিনিধি কলকাতার বিশ্ব বাণিজ্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এবং তাঁরা প্রতিশ্রুতিও দিলেন লক্ষ কোটি টাকার। এত সত্ত্বেও সভার সব আলো কেড়ে নিলেন মুকেশ আম্বানি এবং সৌরভ গাঙ্গুলি। বলতে দ্বিধা নেই আম্বানিরা এখনও অর্থ ভাণ্ডারে দেশের প্রথম নম্বরে, কাজেই যে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতির আলাদা যুক্তি আছে।
এই মুহূর্তে কেন্দ্রের প্রেরণায় দ্রুত আম্বানিদের কাছে এগিয়ে আসছেন আর এক শিল্পপতি গৌতম আদানি। শোনা যায় তিনি গুজরাতের মধ্য মানের ব্যবসা থেকে আজ ভারতে আগামীর অধিকাংশ বাণিজ্যে এগিয়ে চলেছেন। বিরোধী কংগ্রেসের মতে, মোদির কৃপায়। এই নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট বুদ্ধিমতী এবং এখন বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ। তাঁর মুখমন্ত্রীত্বের ১২ বছর কেটে গিয়েছে কাজেই আরও ধারালো হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা। তিনি জানেন আদানিরা এখন বিরোধীদের ব্যাড বুকে রয়েছে। দেরি না করে এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি অম্বানিকে 'মুখ' করলেন। আগামীতে মুকেশ এই রাজ্যে আরও বেশি প্রকল্প করবেন তা তাঁর বক্তব্যে উঠেও এলো। রাজ্যের হতে পারতো এমন শিল্প থেকে আদানি থাকবেন কিনা প্রশ্ন তুলে দিলেন। দিনের শেষে দেশের পয়লা নম্বর বণিক তাঁর বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
একই সাথে হঠাৎই ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় সৌরভ গাঙ্গুলি এখন থেকে বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর। কিন্তু শাহরুখকে বাদ দিয়ে সৌরভ কেন? প্রথমত, শাহরুখ তো নামেই ব্র্যান্ড ছিলেন। আদতে তাঁকে দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছিলো না। দ্বিতীয়ত শাহরুখ পেশাদার। কেকেআর ছাড়া সত্যিই তাঁর কলকাতা নিয়ে আদৌ কোনও ভাবনা নেই। সে ক্ষেত্রে সৌরভ বর্তমানে ক্রিকেট বোর্ড থেকে অসম্মানিত (পড়ুন বিজেপি থেকেও ) | তাঁর হাতে দাদাগিরি ছাড়া মানুষের জন্য কোনও ভূমিকা নেই। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ মুহূর্তে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যা অপমানের। দেরি না করে মমতা খেলা দুদিনের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব দিলেন। এ ক্ষেত্রে সৌরভ কাজটা করতে পারবেন এবং আগামী নির্বাচনে কি হয় তা তো সময়েই বলবে।
নভেম্বর মাস প্রায় শেষের দিকে। তবুও যেন শীতের দেখা নেই। রাতের দিকে হালকা হালকা ঠান্ডা অনুভূত হলেও সকাল হতেই তা উধাও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও, বুধবার থেকে তা বেশ কিছুটা কমেছে। তবে এখনই জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঢুকছে শুষ্ক হাওয়া। জেলাগুলিতে এর অনুভূতি পাওয়া গেলেও কলকাতায় তা হচ্ছে না। আপাতত কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও খুব তাড়াতাড়ি আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার সর্বনিম তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার যা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায়ও কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি।
পাশাপাশি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পরিষ্কার ও শুকনো থাকবে। আপাতত রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
মঙ্গলে শুরু হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এদিন নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেশন সেন্টারে পৌঁছে গিয়েছেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আর তিনি মঞ্চে উঠেই বক্তৃতা দেওয়ার সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন মুকেশ আম্বানি। তিনি মমতাকে বললেন, "আপনি সত্যিই অগ্নিকন্যা।" এছাড়াও তাঁর মুখে শোনা গেল, 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।' আবার এদিন একগুচ্ছ বিনিয়োগ নিয়ে উপস্থিত থেকে বাংলার শিল্প এবং কর্মংসংস্থান সম্ভাবনাকে উস্কে দেন রিলায়েন্সের কর্ণধার।
বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে মুকেশ আম্বানির দাবি, সপ্তম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে উপস্থিত থাকতে পেরে তিনি সম্মানিত। বিশ্বমঞ্চ তৈরি করে এই ধরনের বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অভিনন্দনও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, গত চার বছরে রাজ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের পরিসর বেড়েছে, এগিয়েছে বাংলা। আরও বেশি উজ্জীবিত এবং আত্মবিশ্বাসী বাংলা। শ্রদ্ধেয় মমতাদির গঠনমূলক নেতৃত্বের কারণে এই রূপান্তর সম্ভব হয়েছে। এর পর প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ এনে বলেন, 'অটল বিহারী বাজপেয়ী আপনাকে যেমন বলতেন, আপনি সত্যিই অগ্নিকন্যা।'
মঙ্গলবার শুরু হল সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS2023)। দিন ব্যাপী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসেছে নিউটাউনে (Newtown) বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে। নিউটাউনে বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে দু-দিন ব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন দেশ ও বিদেশের একাধিক শিল্পপতি।এই উপলক্ষে সেজে উঠেছে বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টার। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর। রাজ্যের লক্ষ্মীলাভের আশায় মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, আইটিসি-র এমডি সঞ্জীব পুরী, টিসিজি গ্রুপের পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, জিন্দাল গ্রুপের কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল, নিরঞ্জন হিরানন্দানি, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, রাজন ভারতী মিত্তল, উমেশ চৌধুরী, মেহুল মোহাঙ্কা-সহ রাজ্য ও দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতিরা।
সূত্রের খবর এবার আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, স্পেন, ফ্রান্স সহ বিদেশের মোট ২৮টি দেশের প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার সেক্রেটারি ইলেইন এফ মার্শাল, ইউকে ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড ডেভিস, পোল্যান্ডের মন্ত্রী গ্লেজর্জ টোবিজস্কি ছাড়াও কিম ইউং রক ও ফ্যাব্রিজিও সালাকে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রার পর থেকে এবারের বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিকে নজর সব মহলের। নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে তাবড় শিল্পপতি ও উদ্যোগপতিদের এই চাঁদের হাটে রাজ্যে শিল্পে বড় বিনিয়োগ আসবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তারা।
ভোর থেকে শহর জুড়ে হালকা শীতের আমেজ। তবে বেলা বাড়তেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় সামান্য অস্বস্তি হতে পারে। আজ, সোমবার কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। কমবে রাতের তাপমাত্রা। সামান্য বাড়বে দিনের তাপমাত্রা। মঙ্গলবার থেকে পারদ আরও একটু নামবে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের। ২০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পার্বত্য এলাকায়। মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে এই বৃষ্টি হবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। দার্জিলিং ও কালিম্পং এই দুই জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। আপাতত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। আগামী তিন-চার দিনে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রায় সেরকম কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। সোম ও মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশের কারণে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সপ্তাহের শেষ দিকে উত্তরবঙ্গে আবার পারদ নামার ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপর। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'র অবশিষ্ট অংশের নিম্নচাপ রূপে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রভাব রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা শক্তিক্ষয় করবে। ওদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে আজ উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়।
সকাল থেকে মেঘমুক্ত আকাশ। বঙ্গে ধীরে ধীরে হালকা শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। যদিও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দিনের বেলায় উষ্ণতা বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় কিছুটা অস্বস্তি জারি থাকবে। সন্ধ্যা থেকে হালকা শীতের আমেজ কিছুটা ফিরবে। পশ্চিমের জেলায় শীতের আমেজ একটু বেশি থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরে পূর্বাবাসে জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করবে। আগামী তিনদিন রাতের তাপমাত্রা বা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেটে যেতেই পারদ পতন শুরু হবে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।
পুজো কাটতেই হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছিল। এবার পুজোয় আর সেরকম ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়নি। নভেম্বরের প্রথম থেকেই গরমের দাপট অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে হঠাৎ করে নিম্নচাপের জেরে অনেকটাই গরম বেড়েছিল। মেঘলা আবহাওয়া হালকা বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ চড়েছিল রাজ্যে।
আগামী ২ থেকে ৩ দিন কলকাতা শহরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকবে। সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রার পারদ নামবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলা গুলিতে ২ থেকে তিন ডিগ্রি করে তাপমাত্রা নামবে বলে জানা গিয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলির তাপমাত্রায় খুব বেশি হেরফের হবে না।
শুক্রবারের তুলনায় শনিবার সকালের আকাশ পরিষ্কার। বেড়েছে রোদের তেজও। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদও খানিক নিম্নগামী। তবে রবিবার আবহাওয়া আরও পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র রেশ কাটতেই শীতের প্রবেশ বঙ্গে! কি বলছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো ও পরিষ্কার থাকবে। কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি এই দুই দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পরিষ্কার ও শুকনো থাকবে। শনিবার থেকে আগামী ২-৩ দিনে তাপমাত্রা আরও ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। শুক্রবার যা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় খুব সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব মুক্ত হলেও, হাল্কা থেকে মাঝারি, কোনও কোনও জায়গায় ১৮ নভেন্বর বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরায়। এদিন দক্ষিণ অসম এবং মেঘালয়তেও বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এবারে বাংলাদেশি অভিনেতার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন টলিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আসতে চলেছে আরও একটা বাংলা রহস্য রোমাঞ্চে ভরা সিরিজ। তবে, ভারত নয়, প্রযোজনায় কিন্তু বাংলাদেশ। অর্থাৎ ওপার বাংলার সিরিজে অভিনয় করবেন সোহিনী সরকার। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভকে। 'কিশমিশ', 'দিলখুশ'-এর মতো রোম্যান্টিক সিনেমার পর একেবারে প্রেম বর্জিত সিরিজ বানাতে চলেছেন পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়। ফলে দর্শকদের এক নতুন জুটি উপহার দিতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, সিরিজের নাম 'লহু'। তবে এই সিরিজ বাংলাদেশের ওয়েব প্ল্যাটফর্ম 'চরকি'তে দেখা যাবে। আগামী ১৮ নভেম্বর থেকেই শুটিং শুরু হবে। কলকাতা ছাড়াও শিলংয়ের বেশ কিছু জায়গায় শুটিং হবে বলে জানা গিয়েছে। একদিকে যেমন অন্যরকম গল্পে কাজ করতে পেরে সোহিনী বেশ উচ্ছ্বসিত। তেমনি সিরিজে কাজ করতে পেরে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরিফিন।
দীপাবলির শুভক্ষণে একটি মর্মান্তিক টানেল দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে।উত্তরকাশী যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনার জেরে টানেলের ভিতরে আটকে পড়েছেন প্রায় ৪০ জন শ্রমিক। রবিবার ভোর ৫.০৭ মিনিটে ভূমিধসের কারণে টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ে। উদ্বেগের বিষয়, টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের জীবন-মৃত্যুর লড়াই চলছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। আটকে পড়া বেশিরভাগ মানুষই ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্যের বাসিন্দা। টানেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই হাই অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, টানেল ডুবে যাওয়ায় ৪০ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ১৫০ মিটার ভিতরে আটকা পড়ে। এই নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে টানেল নির্মাণকার্য শেষ করতে হবে। দুর্ঘটনার পরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে SDRF, NDRF, ITBP সহ ফায়ার সার্ভিসের দলগুলিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। পাইপের ভিতরে খাদ্য সামগ্রী, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। টানেলের ভিতরে অতিরিক্ত ধ্বংসাবশেষ থাকায় কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিউ তেহরি থেকে ড্রিল মেশিন আনা হয়েছে।ড্রিল মেশিনের সাহায্যে পুরো ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।