Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Bench

Meeting: ফের আদালতে মুখ পুড়ল রাজ্যের, ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল ডিভিশন বেঞ্চ

আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের। রাজ্যের আবেদনের তোয়াক্কা না করে ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে এটা স্পষ্ট যে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বিজেপিকে সভা করার অনুমতির পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কর্মসূচির জন্য বিজেপিকে কলকাতা পুলিশের শর্ত মানতে হবে।' যদিও কলকাতা পুলিশের উদ্দেশ্যে পাল্টা নির্দেশ দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অতিরিক্ত কোনও শর্ত যোগ করা যাবে না।'

প্রসঙ্গত এই মামলার শুনানির সময় ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচির প্রসঙ্গও ওঠে আসে। প্রধান বিচারপতি বলেন, '২১ জুলাই বাতিল করে দিচ্ছি। আমরা সব বন্ধ করে দিচ্ছি। কোনও মিটিং, মিছিল, সভা নয়। একটাই সমাধান, সবার জন্য সব কর্মসূচি বন্ধ করেছি। সেটা করলে কি ভাল হবে? রাজনৈতিক ভাবে অযথা সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। দু’সপ্তাহ আগে আবেদন করা যথেষ্ট।” প্রসঙ্গত, বিজেপির তরফেও রাজ্যের শাসকদলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির প্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল। তৃণমূল ওই দিন ধর্মতলায় সভা করতে পারলে, তারা কেন পারবে না, আদালতে সেই প্রশ্নই তোলে বিজেপি। আগের দিনের শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘‘শাসকদল যেমন রাজনৈতিক কর্মসূচি করে। বিজেপিও তেমন করতে চায়। তা হলে অসুবিধার কী রয়েছে?’’

6 months ago
High Court: ভোট পরবর্তী ক্ষতিপূরণ মামলায় ৫ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন হাইকোর্টের

২০২১-এর পরবর্তী হিংসার স্মৃতি এখনও দগদগে রাজ্যবাসীর মনে। যা নিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানির জন্য পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট।

রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলা শুনবে নতুন বৃহত্তর বেঞ্চে। এই বেঞ্চে হাইকোর্টের দুই প্রবীণ বিচারপতিকে যুক্ত করা হয়েছে। নতুন বৃহত্তর বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী। ক্ষতিপূরণ না মেলা পর্যন্ত আইনি লড়াই চলবে জানিয়ে দেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন পরে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই বছর ১৯ অগস্ট ওই মামলাগুলিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। যদিও আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠে। ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। সেই মামলাতেই নতুন বেঞ্চ গঠন কলকাতা হাইকোর্টের।

6 months ago
Kamduni: কামদুনিকাণ্ডে ৪ অভিযুক্তকে খালাস, রায়দান ডিভিশন বেঞ্চের

কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে ৪ জনকে খালাস। ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলার রায়দান ছিল। এদিন কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর, আমিনুল ইসলাম, আমিন আলী এই চারজনকে খালাস করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া সইফুল আলী মোল্লা ও আনসার আলী মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা করল আদালত।

১০ বছর আগে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। আজ, শুক্রবার সেই কামদুনি মামলার রায়দান হল। নিম্ন আদালত ছয় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল আগেই। পরে হাইকোর্টে যায় সেই মামলা। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা করে। নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা রদ করল ডিভিশন বেঞ্চ। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে খালাস ও ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করল ডিভিশন বেঞ্চ।

ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে প্রমাণের অভাবে দুজনকে জামিন দেওয়া হয়। এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে মামলা চলাকালীন। কলকাতার নগরদায়রা আদালত ছ’জন অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল। দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সইফুল মোল্লা, আনসার মোল্লা, আমিন আলি, এমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে। শরিফুল আলি, আনসার আলি ও আমিন আলিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।

নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি মকুব করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে মামলার কিছু রিপোর্ট জমা পড়া বাকি ছিল, তাই রায় সংরক্ষিত করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটে। সিআইডি তদন্ত করছিল ওই মামলায়।

7 months ago


Election: ভাঙড়ের ৮২ জন প্রার্থী নিয়ে জাস্টিস সিনহার রায়ে স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ

পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) লড়তে পারবেন না ভাঙড়ের (Bhangar) ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নতুন করে আর মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না। সূত্রের খবর, বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচন কমিশনকে ভাঙড়ের ওই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন খতিয়ে দেখে, পুনরায় মনোনয়ন নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের এসকর্ট করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আইএসএফ পরবর্তীতে আদালতে জানিয়েছিল তাদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানি শেষে ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

10 months ago
CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

পুরসভা (Municiplity) দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বহাল থাকল সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

রাজ্যের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলার রায়ে ২১ শে এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম করে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের এই ভূমিকায় হাইকোর্ট অসন্তুষ্ট হয়। সেকারণে শীর্ষ আদালত থেকে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। যদিও হাইকোর্টে এই মামলার রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিলেও পরে মামলাটি সরে আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

11 months ago


Primary: এখনই ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়, জাস্টিস গাঙ্গুলির রায়ে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিদ্ধান্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ওই শিক্ষকরা আপাতত পার্শ্বশিক্ষক হারে নয়, বেতন পাবেন পূর্ণ শিক্ষক হারেই।

সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ ছিল ওই নিয়োগের সময় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে টেস্ট নেওয়া হয়নি এবং নিয়োগের সময় চাকরি প্রার্থীরা ট্রেইন্ড ছিল না। যদিও এই মামলার রায় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। এরপরে কিছু আক্ষরিক ও টাইপিং সমস্যার জন্য ৪ হাজার শিক্ষক রেহাই পায়। বাতিল হয় ৩২ হাজার চাকরি। এরপরেই এই রায়ের বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় চাকরি হারাদের পক্ষ নেয়। জানান, সরকার পক্ষে আছে তাঁদের। পাশাপাশি এই রায় নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ঘোষণা করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

সেইমত পর্ষদ ও চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা জোড়া মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানিতে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় এবং জানিয়ে দেয় ২৩শে সেপ্টেম্বর অবধি চাকরি বাতিলের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। তাঁরা শিক্ষকের হারেই বেতন পাবেন।

12 months ago
Bench: সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি খারিজের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ নয়, ধাক্কা চাকরিহারাদের

সিঙ্গেল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও (Calcutta High Court) ধাক্কা নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি (Justice Ganguly) ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের উপর কোন স্থগিতাদেশ নয়। বুধবার জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। দুই সিঙ্গল বেঞ্চের দুটি অন্তর্বর্তী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়েছে। এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন মনে করছে না ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন জানায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে এই মামলা (Education Scam Case) ফেরত পাঠানো হলো সিঙ্গল বেঞ্চে। 

জানা গিয়েছে, এই মামলায় ৯৫২টি OMR শিট বিকৃত হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্যে সিলমোহর দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। এই ৯৫২ জনের একাংশ মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান। সেই আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৮-ই ফেব্রুয়ারি নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে একসপ্তাহের মধ্যে OMR বিকৃত করে চাকরি পাওয়াদের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও। 

এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আসেন ৯৫২ জনের একাংশ।

সেই মামলায় এদিন কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।

one year ago
SSC:সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ! গ্রুপ ডি চাকরিচ্যুতদের বেতন এখনই বন্ধ নয়

OMR শিট (OMR Sheet Case) বিকৃত-কাণ্ডে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Caluctta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে এই নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন চাকুরীহারারা। ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদনের শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। যদিও চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এদিন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। অর্থাৎ চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল রইলো। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি।

এদিকে, চাকরিহারাদের আবেদনে উল্লেখ, 'আমরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছি। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রমও দিয়েছি। তাহলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে ২ হাজার ৮০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থীর। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে মেনেই এই সিদ্ধান্ত।

one year ago


Court:নিয়োগ-কাণ্ডে চাকরিহারা শিক্ষক-গ্রুপ ডি কর্মীদের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা

নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উত্তরপত্র বিকৃত করে (ওএমআর শিট) ৯৫২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি গিয়েছে। এবার সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশনে বেঞ্চে আবেদন। যদিও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। বুধবার ফের আবেদনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)।

এই ৯৫২ জনের ওএমআর শিট গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করে সিবিআই। এই ৯৫২ জনের ওএমআর শিট স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি খতিয়ে দেখে এবং বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ৮০৫ জনের সুপারিশ বাতিল করেছে কমিশন। অর্থাৎ ৮০৫ জনের চাকরি গিয়েছে। আরও ১৩২ জনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবে কমিশন।

এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

এদিকে, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি যাওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা। সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।

শুক্রবারই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এসএসসি নিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। জানা গিয়েছে, এই আবেদনের প্রেক্ষিতেও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ পড়েনি।

one year ago
TET: ২০১২ এবং ২০১৪ চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি হাইকোর্টের

২০১২ এবং ২০১৪ টেট (TET) চাকরিপ্রার্থীদের মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants)। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালতের নির্দেশ, 'মামলাকারীরা অর্ডার কপি নিয়ে যাবে লালবাজারে। সেখানে চাকরিপ্রার্থীরা উচ্চপদস্থ পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে অবস্থানের দিনক্ষণ ঠিক করবে।' জানা গিয়েছে, ২০১২ ও ২০১৪-র টেটে পাশ করেও চাকরি না পাওয়া বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসার অনুমতি পায়নি পুলিসের থেকে। তাঁদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার অনুমতি দিক আদালত। তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণে এই আন্দোলনের ডাক। এই আবেদনেই এদিন চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ফের হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি ২০১৭ টেটের সংরক্ষিত বিভাগে পাশ মার্ক ৮২ করার নির্দেশে দিয়েছিল হাইকোর্ট।  ৭ ই নভেম্বর ২০১৭-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি পর্ষদ। এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ ২০১৪ টেটের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সোমবার পর্যন্ত দেখা হবে। নির্দেশ কার্যকরী না হলে পরীক্ষা  বন্ধ করে দেব।

অপরদিকে, বাম আমল থেকে আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এক্ষেত্রে অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে হাইকোর্ট। ২০০৯ সালের শিক্ষক নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং মালদা এই তিন জেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে থমকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১২ সালে প্যানেল বাতিল হওয়ার জন্য এই চার জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়। পরে আবার ২০১৪ সালে পরীক্ষা হয়ে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে রায় আদালতের। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-র ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। বাছাই পর্ব সম্পূর্ণ করে প্যানেল প্রকাশিত করতে হবে দু সপ্তাহের মধ্যে। এই প্যানেল প্রকাশের দু'সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে হবে।

2 years ago


EWS: গরিবদের জন্য শিক্ষা-চাকরিতে সংরক্ষণ বৈধ! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

আর্থিক ভাবে দুর্বল বা গরিব ব্যক্তিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ বৈধ। সোমবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। পাঁচ বিচারপতির মধ্যে বেশিরভাগ পক্ষেই রায় দিয়েছে। এই সুপ্রিম রায়ের জেরে সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় মোদী সরকারের। আর্থিক ভাবে দুর্বল বা ই ডাব্লুএস শ্রেণিদের জন্য কলেজ এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই এই রায়। অতি গরিবদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সংরক্ষণ নীতি যে বৈধ, তা মনে করে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

এই মামলার রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর পর্যবেক্ষণ, 'অর্থনৈতিক মানদণ্ডের নিরিখে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ আইন কোনও ভাবেই (সংবিধানের) মূল কাঠামো অথবা সাম্যের নীতিকে লঙ্ঘন করে না।’’ প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনীতে এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রস্তাব এনেছিল মোদী সরকার। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বলবৎ হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ঘটনাচক্রে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পরেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচনের হারের মুখ দেখে বিজেপি।

এই মামলা নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার রায়দানের সময় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট ছাড়া বাকিরা এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।

2 years ago
Abhijan: নবান্ন অভিযানের মতো কর্মসূচি বাতিল চেয়ে জনস্বার্থ মামলা, খারিজ কোর্টে

নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) মতো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাতিল সংক্রান্ত জনস্বার্থ (PIL) মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court। শুক্রবার এই মামলা খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। নবান্ন অভিযানের দিন হয়রানির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। নষ্ট হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বন্ধ করা হোক এমন অভিযান। এই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিচারপতি রমাপ্রসাদ সরকার। সেই আবেদনই খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

তাঁর আবেদন ছিল, অভিযান ঘিরে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিক সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল। এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছিল। পূর্ব মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নবান্ন অভিযানের নামে মানুষকে হেনস্থা করেছে। আমাদের একাধিক পুলিসকর্মী আহত। বিঘ্নিত হাটের ব্যবসা। এই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুলিস চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। পুলিস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে লোক এনে গুণ্ডামি ঠিক নয়। রেলের জায়গা থেকে ইট ছুড়েছে, বোমা ছুড়েছে। লোক নেই বলে গুণ্ডামি করছে, আন্দোলনের নামে ব্যাগে বোমা-বন্দুক আনা যায় না। মাথা ফাটিয়ে দেব, এসব ঠিক নয়।'

পাল্টা সুর চড়িয়েছিল বিজেপি মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে পুলিসের প্রশংসায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস সংযম দেখিয়েছে একইভাবে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ করেন মমতা-অভিষেক। বুধবার সেই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, 'পুলিস নাকি শান্ত ছিল এমন দাবি করেছে বাংলায় চর্চিত যুবরাজ। উনি এক লাখ টাকা দিয়ে পুলিসের ঢিল তুলে ছোড়ার ছবি দেখতে পাবেন কিনা জানি না। নিরস্ত্র বিজেপি সমর্থকদের মারতে পুলিস ঢিল তুলে ছুড়েছে। ১২ তারিখ এসব চলছে। রেলের জায়গায় ঢুকে মহিলা সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিস।'

2 years ago
Court: টেট দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল ডিভিশন বেঞ্চে, আদালতে বড় ধাক্কা রাজ্যের

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলায় সিবিআই তদন্ত করবে। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই ডিভিশন বেঞ্চ কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বিশেষ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রেখে জানিয়ে দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করা দায়ের একাধিক মামলা খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার। খারিজ রাজ্য-সহ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন। কোনও মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানানো হয়েছে।

সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল একাধিক পক্ষ। প্রাথমিক টেট নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করেন খোদ মানিকবাবু। পৃথকভাবে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদই। কিন্তু কোনও আবেদনেই কর্ণপাত করেনি ডিভিশন বেঞ্চ।

বেঞ্চের বক্তব্য, একটা তদন্ত চলছে। তাই ডিভিশন বেঞ্চের হস্তক্ষেপ আইন বিরুদ্ধ। মানিক ভট্টাচার্য সংক্রান্ত মামলার নথি ফরেনসিকে আছে। রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে। তাঁকে সম্পত্তির খতিয়ান আদালতের সামনে দাখিল করতে হবে। রিপোর্ট অনেক কিছু বলবে। তাই এই আবেদন খারিজ। তবে অভিযুক্তদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে হবে সিঙ্গেল বেঞ্চকে। সিঙ্গেল বেঞ্চ কোন অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করতে পারবে না, এই নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

2 years ago


AIIMS: কল্যাণী এইমস দুর্নীতি মামলায় সিবিআই চেয়ে মামলা, রায়দান স্থগিত হাইকোর্টের

কল্যাণী এইমস (AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্ত সিআইডি থেকে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে যাক। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। তবে এদিন এই নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে চলা সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি রেখেছে আদালত। যতক্ষণ না পর্যন্ত নতুন নির্দেশ আসছে, ততক্ষণ সিআইডি তদন্ত করতে পারবে না। এমনটাই শুনানিতে জানিয়েছে হাইকোর্ট। 

অর্থাৎ আপাতত এইমস নিয়োগ মামলার তদন্ত করতে পারবেনা সিআইডি। এদিকে, এই মামলার মূল আবেদনকারী বুধবার শুনানিতে জানান, এইমস কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত হাসপাতাল। মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টিদের নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই হাসপাতালের বাকি সদস্যদেরও নিয়োগ পদ্ধতি এক। প্রত্যেকের বেতন ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকে অধীনে। কিন্তু ওই মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টিরদের নিজেদের ক্ষমতা বিক্রি করে, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন।

এই দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, এইমস নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছে। আমরা তদন্তভার নিয়েছি, দুর্নীতি হয়েছে সেই প্রমাণ হাতে এসেছে। পাশাপাশি সিবিআই আইনজীবী জানান, এই মামলার ধরন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তদন্ত করছে সিআইডি, এই তদন্তে গতি নেই। আমাদের হাতে দায়িত্ব এলে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো, আমরা প্রস্তুত।

2 years ago
ED MLA: 'নেতাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় ইডিকে পার্টি নয়', হাইকোর্টে আবেদন তিন মন্ত্রীর

বিধায়কদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Property Case) মামলায় ইডিকে পার্টি না করার আবেদন হাইকোর্টের কাছে রাখলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী (Three Bengal Minister)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির কাছে শুক্রবার এই আবেদন করেছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামি ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। ২০১৭-র জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। শাসক দলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলে দায়ের হয়েছিল মামলা। সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকে (ED) পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর এক বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।

সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন এদিন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় গত ৮ অগস্ট তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় ইডিকে যুক্ত করে আদালত। ৫ বছর আগে দায়ের জোড়া এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী। সেই সময় তাঁরা তৃণমূলের ১৯ জনের নামে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬— এই ৫ বছরে কীভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এত বৃদ্ধি পেয়েছে?

সম্পত্তির খতিয়ান এর প্রমাণ  হিসাবে দেখানো হয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ওই নেতাদের হলফনামা। ওই একই সময় আরও একটি মামলা করেন অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও ৩০ জনের নাম আদালতে জমা দেন। সেই পিটিশনে উল্লেখ ছিল সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনার মতো হেভিওয়েটদের নামও।

যদিও বিরোধী শিবিরের উল্লিখিত ব্যক্তিরা তৃণমূলের তোলা অভিযোগ সম্প্রতি খারিজ করেছেন। সিপিএম-র তরফে কটাক্ষ, 'রায় আর পিটিশনের মধ্যে বেসিক পার্থক্য বোঝে না শাসক দল।' সেই রাজনৈতিক তরজার দিন দুয়েকের মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইডিকে পার্টি না করার আবেদন করলেন তিন মন্ত্রী।

2 years ago