শহর কলকাতার অলিতে গলিতে প্রায়শই উঠে আসছে দুর্ঘটনার খবর। প্রায় ১ মাস আগে পিছিয়ে গেলেই মনে পড়ে ছোট্টো সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা। প্রশাসনের গাফিলতির শিকার হয়েছিল ছোট্টো প্রাণটি। প্রশ্নের মুখে ছিল রাজ্যের ট্রাফিক ব্যবস্থা। মৃত্যুর পর হাল ফিরতে দেখা গিয়েছিল ট্রাফিক ব্যবস্থার। তবে তাতেও কি কমেছে তিলোত্তমার দুর্ঘটনার সংখ্যা। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে এবার সিএন এর ক্য়ামেরা পৌঁছলো রাজপথের খোঁজ নিতে? কী অবস্থায় রয়েছে রাজপথ? বেলঘড়িয়ার রাস্তা দেখলে রীতিমত ভয় পেতে হবে। বেলঘড়িয়ার সঙ্গে বিরাটি কিংবা নিমতার অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম বেলঘড়িয়া ব্রিজ। যার অবস্থা সংকটজনক। ব্রিজের শুরু থেকে শেষ পুরোটাই খানা-খন্দে ভরা। বৃষ্টি হলে যে বিভীষিকার রুপ ধারণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিনই এখানে দুর্ঘটনার শিকার হয় পথচলতিরা। প্রাণ হাতে নিয়ে যাওয়া আসা করতে হয় সবাইকেই।
ব্রিজের হাল বেহাল, একাধিক জায়গায় রয়েছে ফাটল। যেকোনও সময় ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে বলে দাবি পথচারীদের। সকাল আটটার পরও রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি। ফলে আরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। প্রশাসনকেও জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা, দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে বেলঘড়িয়া ব্রিজ, দাবি পথচারীদের।
ব্রিজের নীচে রয়েছে বেলঘড়িয়া স্টেশন। বহু দোকান রয়েছে সেখানে। ফলত ব্রিজের এই দশাতে আতঙ্কে রয়েছে সকলেই। স্কুলের বাচ্চাদের ওই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। রাস্তার জরাজীর্ণ এই দশাতে ক্ষোভে ফুঁসছে শহরবাসী। রাস্তার এই দশাতেও কি হুঁশ ফিরছে না প্রশাসনের? কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটলে তবেই কি হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের? কবে ফিরবে বেলঘড়িয়া ব্রিজের হাল, উত্তরের আশায় শহরবাসী।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নয়ানজুলি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও দমদম থানার পুলিস। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে নয়ানজুলিতে দেহ দেখতে পান। তারপরেই তাঁরা স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, পাশে একটি পানশালা রয়েছে সেখানে নিত্যদিন অশান্তি হয়। সোমবার সেখানে মারধরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উদ্ধার হওয়া যুবকের এখনও নাম পরিচয় জানা যায়নি। তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পানশালার এক কর্মীকে আটক করেছে দমদম থানার পুলিস।
বইয়ের দোকানের আড়ালে বেআইনি বাজির ব্যবসা। এই অভিযোগে বেলঘরিয়া (Belgharia) থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিস (Police)। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০০ কেজি বেআইনি বাজি। সোমবারই নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে, বাজি নিয়ে কোনও রেয়াত নয়। এই নির্দেশের আগে ও পরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে (Raid) এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার কেজি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, নদিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি বাজি উদ্ধার হয়েছে। বজবজ, মহেশতলায় এদিনও চলেছে তল্লাশি।
এসবের মধ্যেই অবশ্য মঙ্গলবার সকালে মালদহে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কার্বাইডের ড্রাম নামানোর সময় বাজির গুদামে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনা স্থানীয় বাজারের আশপাশের প্রায় ১৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, এগরার ঘটনার তদন্তে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালেই শেষ হয়ে গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের লাইসেন্স। তারপর তার আর নবীকরণ করা হয়নি বলেই দাবি। গত চারবছর গ্রামের মধ্যে বেআইনি ভাবে কারখানা চলছিল বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড়োসড়ো মাদক পাচার রুখলো পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের (Police) বিশেষ টাস্ক ফোর্স (STF)। মঙ্গলবার ৯ মে রাতের অন্ধকারে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের (Belgharia Expressway) উপর দিয়ে পাচার করা হচ্ছিল নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন। তবে, সেই খবর আগে থেকেই ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের কাছে। ফলে, হাতেনাতে ধরা পড়ল ৫ পাচারকারী। পুলিস জানিয়েছে ধৃতদের নাম, অজয় পাল, সাবির আহমেদ, সুজন শেখ, গোবিন্দ মণ্ডল এবং সারব শেখ। ধৃতরা বসিরহাট, নদিয়া, ক্যানিং, গাইঘাটা এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সুকান্তপল্লীর মুন লাইট হোটেলের বিপরীতে উদ্ধার হয় আড়াই কেজি হেরোইন। পাশাপাশি, পাচারকারীদের কাছ থেকে চারটি গাড়ি এবং দুষ্কৃতীদের মোবাইলগুলি বাজেয়াপ্ত করেন টাস্ক ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত অফিসার। জানা গেছে, ভারতীয় মুদ্রায় উদ্ধার হওয়া মাদক দ্রব্যগুলির বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকারও বেশি।
মাদক পাচারের এই পরিকল্পনা সম্পর্কে আগে থেকেই খবর ছিল রাজ্য পুলিশের কাছে। ফলে, এই পাচারকারী দলকে ধরতে গোপন ফাঁদ পাতেন তাঁরা। সেই ফাঁদে পা-ও দেয় এই পাচারকারীর দল। এরপর সকলকে তল্লাশি করে উদ্ধার হয় মাদক। প্রসঙ্গত, একটি লাল রঙের মারুতি বৃজা এবং এবং সাদা রঙের মারুতি সুজুকি রয়েছে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা গাড়ির তালিকায়।
৩০ টি অবৈধ গ্যাস (Gas) সিলিন্ডার সহ ৪ জনকে গ্রেফতার (Arrest)। গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া (Belgharia) থানার পুলিস (Police)। অভিযুক্তদের বেলঘরিয়া প্রবর্তক জুট মিলের কাছে প্রসাদনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের জন্য ব্যারাকপুর আদালতে আবেদন পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই চার অভিযুক্তর নাম মহঃ সোহিব, মহঃ ইকরাম, মহঃ তোন্নু, মহঃ গোলাম মোস্তাফা।
রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এখন আকাশছোঁয়া। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রান্নার গ্যাস নিয়ে কালোবাজারি করে চলেছে কিছু দুষ্কৃতী। আর সেই কালো বাজারির করার খবর পায় বেলঘরিয়া থানার পুলিস। গোপনে অভিযান চালিয়ে বেলঘরিয়া প্রবর্তক জুট মিলের কাছে প্রসাদনগর এলাকায় বি টি রোডের ওপরে ধৃতদের গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের থেকে ৩০ টি অবৈধ রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে আর কোন কোন চক্র জড়িত আছে, তার তদন্ত শুরু করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস।
'অনুপম দত্তের পর এবার আপনার নম্বর।' কামারহাটি পুরসভার (Kamarhati Municipality) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় এমনি হুমকির মুখে পড়তে হল তৃণমূল (TMC) মহিলা কাউন্সিলরকে। অভিযোগ, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া (Belgharia) ৪ নম্বর রেলগেটের পাশে একটি বাড়ি নির্মাণ হচ্ছিল। কাউন্সিলর গিয়ে বাধা দেওয়ায় তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ জানান, 'কামারহাটির গুড্ডু রহমনের বিরুদ্ধে।'
ওই পুরমাতা আরও অভিযোগ করেন, 'ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, ওয়ার্ডে ঢুকতে গেলে তাঁর কথা শুনতে হবে। নইলে যেভাবে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্ত যেভাবে চলে গেলেন, এরপর তাঁর নম্বর। ওয়ার্ডে থাকতে গেলে গুড্ডু রহমানকে টাকা দিতে হবে বলেও অভিযোগ করেন।' পুরমাতা বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে কামারহাটি পুরসভার পুরপিতা গোপাল সাহা জানান, 'এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে তা সত্যি দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন তিনি। এছাড়া অভিযোগ এলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।'
এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতা জয় সাহা। তিনি বলেন, 'রাজ্যজুড়ে খেলা শুরু হয়েছে। তবে ভয়ংকর খেলা এখনও বাকি রয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই অভিযোগ করা শুরু করেছে। অবৈধ নির্মাণ হবে, আর তৃণমূলের কাউন্সিলরের কাছে টাকা যাবে না তা কি হয়? চোর-ডাকাতের সরকার, খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে।'
আবারও বেলঘড়িয়া থেকে উদ্ধার সোনা (Gold recover)! এবার প্রায় ১৮টি সোনার বাট উদ্ধার হয়, যার ওজন প্রায় আড়াই কেজি। এই ঘটনায় ভিন রাজ্যের বাসিন্দা-সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস (Belgharia PS)।
পুলিস সূত্রে খবর বুধবার বেলঘড়িয়া থানার পেট্রোলিং টিম গোপন সূত্রে খবর পায় বেলঘড়িয়ার সলপথ বাগান এলাকায় সোনা পাচার হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় পুলিস। সেখান থেকেই ১৮টি সোনার বাট উদ্ধার করে পুলিস। এরপরেই মহারাষ্ট্রের দুই বাসিন্দা নানাথ মাশাল, প্রবীণ চহ্বান নামে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের সঙ্গেই পার্শ্ববর্তী নদীয়া জেলার বাসিন্দা অজয় ঘোষ ও মঙ্গল হালদার নামে দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পরবর্তী সময় উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন করলে দেখা যায়, ওজন প্রায় আড়াই কেজি। চার জনকে বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়ে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে। কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে আসা হচ্ছিল, কোথায় পাচারের উদ্দেশ্য ছিল, এসব কিছু জানার চেষ্টা করবে তদন্তকারী আধিকারিকরা, এমনটাই ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রে খবর।
আবাসনের ঘরের মধ্যে ভাই-বোনকে খুন (Belgharia Murder) করে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ডুব দিয়ে আত্মহত্যা দাদার। কামারহাটি পৌরসভার (Kamarhati Municipality) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘড়িয়ার প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে এসে তিনটি দেহ উদ্ধার করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস। দেহগুলিকে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠানো হয় সাগর দত্ত হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, বেলঘড়িয়ার প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকায় ছায়ানীড় নামের একটি আবাসনে ভাই বোনকে খুন করে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ডুব দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করেন দাদা। দাদা বিমল চৌধুরী, সজল চৌধুরী ও বোন রানু চৌধুরী একাই থাকতেন এই আবাসনে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন ভাই বোন একাই আবাসনে থাকত। ভাই সজল চৌধুরি শারীরিক অক্ষমতার জন্য় সেরকম কোনও কাজ করতেন না। দাদা বিমল চোধুরি ও বোন রানু চৌধুরির রোজগারের উপর ভিত্তি করেই তাদের সংসার চলত।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দাদা বিমল চৌধুরি প্রথমে ভাই-বোনকে খুন করে, নিজে আবাসনের পাশে থাকা একটি পুকুরে আত্মঘাতী হয়েছেন। এমনকি আত্মঘাতী ওই ব্য়ক্তির থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। নোটে তোমনকিছু পাওয়া না গেলেও, এই সুইসাইড নোটকে সামনে রেখেই তদন্তে নেমেছেন পুলিস। পুলিসের অনুমান, দাদা বিমল চৌধুরি অনেক ধার-দেনা করে ফেলেছিলেন। আর সেই টাকা শোধ দিতে পারছিলেন না তাই এমন কাজ।
দুঃসাহসিক কাণ্ড! চলন্ত লরিতে ডাকাতির (robbery) চেষ্টা। বাধা দিতে গেলে বেধড়ক মারধর লরিচালককে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। স্থানীয়রা খবর পেতেই পাকড়াও করা হয় দুষ্কৃতীকে। এরপরই শুরু হয় দুষ্কৃতীকে ধরে গণপ্রহার। ঘটনাস্থলে খড়দহ থানার বিশাল পুলিসবাহিনী (police)।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে সোদপুর (Sodepur) পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে লরিটি বেলঘড়িয়ার (Belgharia) দিকে যাচ্ছিল বিটি রোড ধরে। লরির মধ্যে অনেক মূল্যবান জিনিস ছিল। সেই সময় দুজন দুষ্কৃতী লরির উপরে ওঠে ডাকাতির উদ্দেশ্যে। লরি চালক বুঝতে পেরে সোদপুর ধানকল মোড়ে লরি থামিয়ে বাধা দিতে যান। এরপরই এক দুষ্কৃতী লরিচালককে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। লরি চালকের চিৎকার শুনে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা সেই দুষ্কৃতীকে ধরতে গেলে একজন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। অপর দুষ্কৃতী স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর চড়াও হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় সোদপুর বিটি রোড সংলগ্ন ধানকল মোড়ে। দুজন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায়। তাকে ব্যাপক গণপ্রহার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে আটক করে খড়দহ থানায় নিয়ে যায় পুলিস। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
কিন্তু বিটি রোডের মতো জায়গায় চলন্ত লরিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যৎ-এ আর না ঘটে সেই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুজোর আগে বড়সড় সাফল্য ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের (Barrackpore Police)। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে (belgharia Expressway) থেকে ১১ কেজি সোনা (Gold Seize) উদ্ধার বেলঘড়িয়া থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, বেলঘড়িয়া থানা তল্লাশি চালিয়ে ১১ কেজি সোনা একটি হুন্ডাই গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিস গাড়ির চালক-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। দক্ষিণেশ্বর সংলগ্ন ময়লাখলা এলাকায় বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়ার পথে টহলদারী পুলিসের সন্দেহ হওয়ায়, গাড়ি চেকিং করতেই ব্যাগের মধ্যে থেকে সোনার বাটগুলি উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। এই ঘটনায় নেতাজিরঞ্জন পাওয়ার, ময়ূর মনোহর পাটিল, গণেশ চৌহান এবং সুরজিৎ মুখার্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কোথা থেকে আসছিল আর কোথায় যাচ্ছিল, সেটা তদন্তাধীন। এমনটাই জানিয়েছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস।
এদিকে, দিন তিনেক আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্ধার সোনা। শুল্ক দফতরের হাতে প্রায় ১ হাজার গ্রামের বেশি ওজনের সোনা-সহ আটক সিঙ্গাপুর ফেরত এক ভারতীয়। ধৃত যাত্রীর নাম মুকেশ আগরওয়াল।
শুল্ক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর শাখার আধিকারিকেরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিঙ্গাপুর ফেরত এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে ওই যাত্রী থেকে ২৭টি গোল্ড কয়েন ও তিনটি গোল্ড বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ১১৪০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য ৫৬লক্ষ ৭৮হাজার ৬৯৪টাকা।