কাজের তাগিদে কেরলে গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant worker)। কেরলে (Kerala) থাকাকালীনই জ্বরে ভুগছিলেন। রাজ্যে ফিরে আবারও জ্বর আসায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা নিপা ভাইরাস (Nipah virus) সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। যদিও বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের সুনির্দিষ্ট কোনও রকম উপসর্গ নেই। কিন্তু জ্বর, গা-হাত-পা ও গলায় ব্যাথা ও বমি ভাব থাকায় ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছে ওই যুবক পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) বাসিন্দা। গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই যুবকের দুই সঙ্গীর কেরলেই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। তাই, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজ, বুধবার মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে। তারপর জানা যাবে ওই যুবক নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
জানা গিয়েছে, এই যুবকের প্রথম জ্বর আসে। তখন দু'দিন তিনি এনাকুলাম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ছুটি পেয়ে রাজ্যে ফেরার পরে ১০ তারিখ ফের জ্বর আসায় পরের দিন তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসোলেশনে রেখেই চলছিল চিকিৎসা। মঙ্গলবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কেউ নিপাতে আক্রান্ত হননি। ওই যুবকও স্থিতিশীল রয়েছেন।
নতুন বছরে বাংলায় করোনায় প্রথম মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ট্যাংরার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্র দাসের। গিরিশবাবু দাস ট্যাংরা সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ২০ ডিসেম্বর করোনায় এই রাজ্যে শেষ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিনের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
গত প্রায় কয়েক বছর ধরেই রাজ্যজুড়ে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে ডেঙ্গি (Dengue)। চলতি বছরেও একাধিকবার সামনে এসেছে বেলাগাম ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়া, কিংবা মশা বাহিত এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা। মূলত বর্ষাকালে (Monsoon Season) প্রকোপ বৃদ্ধি পায় এই মশাবাহিত মারণ রোগের। কিন্তু এবার বর্ষা (Monsoon) পেরিয়ে ডিসেম্বরেও কমছে না ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। একই সঙ্গে শীত চলে এলেও কমছে না ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা। এই নিয়ে পরপর দু'দিন দুই ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যুর খবর সামনে এল খোদ কলকাতার (Kolkata) বুকে। বেলেঘাটা আইডিতে (Beleghata ID Hospital) মৃত্যু হয়েছে দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের। একজন বয়স ৫২-র বিন্দুদেবী দাস। তিনি বেলেঘাটারই রাজা রাজেন্দ্র লাল মিত্র রোডের বাসিন্দা বলে খবর। পরিবার সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় জন হলেন বয়স ৬২-র কমলা বসাক। তিনি রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার চণ্ডীবেড়িয়া সারদা পল্লী এলাকার বাসিন্দা। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। দুজনের ডেথ সার্টিফিকেটেই ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে ১০২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এদিকে ফের রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমত কপালে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের কপালে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে একাধিকবার ডেঙ্গি বিরোধী অভিযান এবং নানা রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও কেন এই ঘটনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।