
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রাঘাতে (Lighting) মৃত্যু (Death) হল এক মৎস্যজীবীর। এই ঘটনায় আহত (Injured) আরও এক ব্যক্তি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার সোনাপুকুর শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলগাছি গ্রামে। ইতিমধ্যে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম দিলীপ মণ্ডল (৫৮)। এই ঘটনায় ওই আহত ব্যক্তির নাম বিকাশ মণ্ডল (৩২)। পুলিস আরও জানিয়েছে, শুক্রবার রাত আড়াইটা নাগাদ কুলগাছি গ্রামের একটি মেছোভেরিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয় তাঁরা। তারপরেই স্থানীয়রা তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমনকি এই ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তি এখনও হাসপাতালে ভর্তি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী আইএসএফ (ISF) প্রার্থীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের পিফা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের ১২৯ নম্বর বুথে আইএসএফ প্রার্থীর জয়ের কারণে তৃণমূল ক্ষোভে বা আক্রোশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত তিনটে নাগাদ একদল দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে আইএসএফের জয়ী প্রার্থী আরজিনা বিবির বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বামী জামাত আলী গাজীকে বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, এই বুথে আইএসএফ প্রার্থী জিতেছে, যার কারণে পরিকল্পনা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এখানে এসে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন জামাত আলী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
যদিও এই পুরো ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা সুরেশ মণ্ডল বলেছেন, এটা আইএসএফ দলীয় কোন্দল। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনও রকমভাবেই জড়িত নয়। এই পঞ্চায়েতের ২৬ টা আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৭টা আসন জিতেছে। কেনই বা আমরা গন্ডগোল করব! পঞ্চায়েত আমাদের দখলে। পরিকল্পনা করে বিরোধীরা আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। এই ধরনের ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়ে আমাদেরকে দোষারোপ করছে।
বেঙ্গল এসটিএফের (STF) জালে (Heroin) সহ দুই মাদক পাচারকারী। বাজেয়াপ্ত দু'কিলো হেরোইন। দুই কোটিরও বেশী বাজারমূল্যের নিষিদ্ধ হেরোইন উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। বুধবার বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মছলন্দপুর-তেঁতুলিয়া রোডের খাসপুরে হেরোইন সহ ওই দুই পাচারকারী ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বিপ্লব মণ্ডল ও লিঙ্কণ কাঞ্জিলাল। দু'জনেরই বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বাদুড়িয়া থানায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মছলন্দপুর-তেঁতুলিয়া রোডের খাসপুরে অভিযান চালায় এসটিএফ। সেখান থেকেই দু'কিলো হেরোইন সহ দুই মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তারা। এই দুই পাচারকারীর খোঁজে দীর্ঘদিন তল্লাশি চালাচ্ছিল এসটিএফ। ধৃতদের বিরুদ্ধে বাদুড়িয়া থানায় এনডিপিএস ১৯৮৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই পাচারকারীকে বারাসাত জেলা আদালতে তোলা হবে। এদের সঙ্গে বড়সড়ো কোনও পাচার চক্র যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাতের অন্ধকারে পর পর দুটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি (theft)। গায়েব হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) সন্দেশখালি থানার সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখির মোড় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সন্দেশখালি থানার পুলিস। চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ মন্ডল জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর শনিবার সকালে উঠে তাঁর স্ত্রী পুকুরের দিকে গেলে একটা ব্যাগ দেখতে পান। সেই ব্যাগে ছিল তাঁদের সমস্ত নথিপত্র। এরপর বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লন্ডভন্ড অবস্থায় জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন তাঁদের বাড়িতে চুরি হয়েছে।
দীপঙ্কর বর্মন ও বিশ্বনাথ মন্ডলের দুটি বাড়ি থেকে সোনার গয়না ও নগদ টাকা মিলে প্রায় ২ লক্ষ টাকার বেশি জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সন্দেশখালি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest)। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত তেঁতুলিয়া খালপাড়ের ঘটনা। ধৃত ওই যুবকের থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ রাউন্ড গুলিও। ধৃতকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, ধৃত ওই যুবকের নাম রবিউল গাজী। বাড়ি স্বরূপনগর থানার বিথারী বৈষ্ণবতলা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া খালদার সংলগ্ন এলাকায় বুধবার ভোররাতে স্বরূপনগর থানার পুলিস অভিযান চালায়। পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বেই একদল পুলিস ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে একটি দেশি পিস্তল সহ ১ রাউণ্ড গুলি। এরপরেই অভিযুক্ত থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়।
কয়েক লক্ষ টাকার সোনার (Gold) গয়না সহ গ্রেফতার (Arrest) পরিচারিকা। চলতি মাসের ৬ তারিখ বসিরহাটের (Basirhat) বউবাজার এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি (Theft) হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার খবর পেয়ে ধৃতকে হাতেনাতে ধরে ফেলে বসিরহাট থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, গলার হার থেকে শুরু করে কানের দুল ও হাতের বালা সহ একাধিক গয়না খোয়া গিয়েছে।
পুলিস সূ্ত্রে খবর, এই চুরির ঘটনার পিছনে বাড়ির এক পরিচারিকা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। বাসন্তী সরকার নামে ওই পরিচারিকা দীর্ঘদিন ধরে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাজ করতো। সেই সুবাদে ঘরের আলমারির চাবি কোথায় থাকে সেটাও জানতে পেরেছিল ওই পরিচারিকা। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দেয় সে।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই পরিচারিকা রাজীব কলোনিতে তার নিজের বাড়িতে আত্মগোপন করে রেখেছিল সোনার গয়নাগুলো। শনিবার সকালে বসিরহাট থানার পুলিস আধিকারিক সুরিন্দর সিং-এর নেতৃত্বে একদল পুলিস গিয়ে হাতেনাতে ওই পরিচালিকাকে আটক করে। পুলিসের জেরায় সে স্বীকার করে ওই সোনার গয়না গুলো সেই চুরি করেছে। তার বাড়ি থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর চুরি যাওয়া সমস্ত গয়না উদ্ধার করে বসিরহাট থানার পুলিস। ধৃত পরিচারিকাকে শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
বসিরহাটের (Basirhat) ৬০ জন বিজেপি (BJP) প্রার্থী শুক্রবারও মনোনয়ন (Nomination) পত্র জমা দিতে পারবেন। হিংসা ও মনোনয়ন সংক্রান্ত মামলায় এমনিই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha)।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন ৬০ জন বিজেপি প্রার্থী। তাঁরা হাইকোর্টের কাছে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক হিংসার জন্য মনোনয়নপত্র জমা করতে পারেননি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয়। ওই আবেদনকারীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সিনহা।
বৃহস্পতিবার একটি মামলার নির্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়েছিলেন, এসকর্ট করে ভাঙড় সহ বিভিন্ন জায়গার প্রার্থীদের মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে হবে। তারপরেও ওই ৬০ জন প্রার্থী জানান, তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মনোনয়নের জন্য সময় বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন।
কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সিআইডির (CID) হাতে ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (Bnak Manager)। মঙ্গলবারের বসিরহাট (Basirhat) হাড়োয়া এলাকার ঘটনা। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাম যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়া। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ছিল, এবং ওই ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি।
ব্যাঙ্ক মারফত খবর, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রাহকদের তরফে অভিযোগ আসছিল, বসিরহাটের মোহনপুরের সমবায় সমিতির ব্যাংকের গ্রাহকদের লোন দেওয়ার নাম করে সই নকল করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সমবায় ব্যাংকের ম্যানেজারে যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পরই তদন্তে নামে সিআইডি। এলাকার বেশকিছু গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানায় বেশ কিছুদিন আগেই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি।
তদন্তে নেমে মঙ্গলবার গভীর রাতে মোহনপুর এলাকা থেকে ব্যাংক ম্যানেজার যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃত ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়াকে পেশ করে সিআইডি। ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে আবেদন জানিয়েছে সিআইডি।
ফের পাচারের (Sumggling) ছক বানচাল করল বিএসএফ (BSF)। মারণ রোগের ওষুধ, একাধিক চিকিৎসার সরঞ্জাম সহ রুপোর গয়না ও মাছের পিন বাংলাদেশে পাচারের আগেই তা উদ্ধার করলো বিএসএফ। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টের ঘটনা। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই পাচারকারীদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, কিছু পাচারকারী বেশ কয়েকটি বস্তা নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় সীমান্তের বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের দেখে তারা সেই মালপত্রগুলি রেখে পালিয়ে যায়। বিএসএফ গিয়ে ওই বস্তাগুলি উদ্ধার করে। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় মারণ রোগের দুর্মূল্য ওষুধ, ইঞ্জেকশন, সিরিঞ্জ, ব্লাড টেস্টে ব্যবহৃত রাবার ও রুপোর এক কিলো গয়না। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
অপরদিকে, বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের তৎপরতায় কালাঞ্চি চেকপোস্ট থেকেও ৪৭টি গলদা মাছের পিনের প্যাকেট উদ্ধার করলো বিএসএফ। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। বিএসএফের প্রাথমিক অনুমান, এগুলি ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা।
গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার (Rescue) হল বিষধর সাপ (Snake)। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হিঙ্গলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মামুদপুর গ্রামের হীরুলাল শিটের বাড়িতে। বনদফতরের (Forestdepartment) তৎপরতায় উদ্ধার হয় একটি কেউটে সাপ। বিষধর সাপ হওয়ায় সাপটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক সাপটি দেখা মাত্র মিনাখাঁ বনদফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের উদ্ধারকারীর দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে মাটি খুঁড়ে অবশেষে বিশাল আকারের একটি কেউটে সাপ বের করে আনেন তারা। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ন্যাজা কেওটিয়া। এরপর বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে চলে যান। এদিন সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়। আবার সাপটিকে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে এলাকার মানুষেরা ভিড় জমান।
ফের পাচারকার্য (Sumggling) রুখলো বিএসএফ (BSF)। সোনা রূপোর পর এবার সীমান্ত থেকে উদ্ধার হল একজোড়া বিদেশি কুকুর, একটি বিদেশি বিড়াল (Foreign Animals) সহ ৫ প্যাকেট মাছের চারা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত কৈজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী জওয়ানদের তৎপরতায় রোধ করা গিয়েছে এই পাচারকার্য। জওয়ানরা খাঁচাবন্দি পশু গুলিকে উদ্ধার করলেও পাচারকারী এখনও পলাতক। তবে উদ্ধার হওয়া ওই প্রাণী গুলিকে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছিল পাচারকারী। তখনই ওই সীমান্তে টহলদারিতে ছিলেন ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষীরা। সেই সময়ই জওয়ানরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পাচারকারীদের দেখতে পায়। তবে সীমান্তরক্ষীদের দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলেই একজোড়া বিদেশি কুকুর, একটি বিড়াল ও মাছের চারা ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। তারপরেই বিএসএফের তরফে ওই প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিদেশি কুকুরগুলি রটওয়িলার জার্মান প্রজাতির। মূলত শীত প্রধান দেশে এই কুকুরগুলি দেখা যায়। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাজারে এর দাম কয়েক লক্ষ টাকা। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া বিড়ালটি হিমালয়ান পার্শিয়ান প্রজাতির। আমেরিকা, থাইল্যান্ড ও ইরানে এই প্রজাতির বিড়াল বেশিরভাগ দেখা যায়।
প্রায় এক কোটি টাকার হেরোইনসহ (Heroin) গ্রেফতার (Arrest) দুই পাচারকারী। বাদুড়িয়া থেকে ধৃতদের গ্রেফতার করলো এসটিএফ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত আধারমানিক পোস্ট অফিস মোড়ে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হলেন, বসিরহাটের বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন গাজী ও বনগাঁর বাসিন্দা অতনু সাহা।
পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিসের এসটিএফের কাছে গোপন সূত্রে খবর যায়, দুই পাচারকারী প্রচুর হেরোইন পাচার করার চেষ্টা করছে। সেই সময় তারা অভিযান চালিয়ে বাদুড়িয়ার আধারমানিক পোস্ট অফিস মোড়ের আধারমানিক নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দুই পাচারকারীকে হেরোইন সহ গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় এক কেজি হেরোইন, একটি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩০ হাজার টাকা। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। দু'জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এসটিএফ বাদুড়িয়া থানার হাতে তুলে দেয়। বাদুড়িয়া থানা ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের করেছে।
উল্লেখ্য, এত বিপুল পরিমাণে হেরোইন উদ্ধার হওয়ায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো বাদুড়িয়া জুড়ে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও বড় পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
রাতের অন্ধকারে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) থানার অন্তর্গত দেউলী গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বছর ২০-এর সুমন প্রামাণিক, কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকতেন। কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। বৃহস্পতিবার হঠাৎই সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে শুর করেন। এরপর জানতে পারেন, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি শিরিষ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন সে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাত-পা-মুখ গামছা দিয়ে বাধা ছিল। হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। দেহটি উদ্ধার করে সাণ্ডেলেরবিল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে সে যদি স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেন, তাহলে হাত-পা-মুখ বাধা থাকবে কেন? রাতের অন্ধকারে কেউ মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে কিনা বা কারোর সঙ্গে পু্রোনো কোনও শত্রুতার জেরে এই মর্মান্তিক পরিণতি কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখছেন হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস আধিকারিকরা।
দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল ঘর থেকে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের করঞ্ছতলা গ্রামে। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিস (Haroa Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রীর নাম অরুনিমা বেরা (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে ১৬ বছরের অরুনিমা বেরা। বাবা মায়ের সঙ্গে কোনওদিন কোনও অশান্তি ছিল না। এমনকি কোনও প্রেমঘটিত ব্যাপারও ছিল না অরুনিমার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে হঠাত্ এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার স্থানীয়রাও।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
তৃণমূল (TMC) নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বসিরহাটে। তবে অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচলেন তৃণমূল নেতা। শুক্রবার রাতে বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট থানা পুলিস (Police)। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ওই তৃণমূল নেতার তরফে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল সদস্যের নাম মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার। তিনি গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের তৃণমূলের সদস্য। তাঁর বাড়িতেই শুক্রবার রাতের অন্ধকারে গুলি হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা।
তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার জানান, রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে এসে তিনটি ছেলে আচমকাই তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করে। ডাকাডাকির কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার। তখনই দুষ্কৃতিরা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ঘিরে ফেলে। তবে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি বাড়ির দিকে ফিরে গেলেই দুষ্কৃতিরা গুলি চালাতে শুরু করে। অভিযোগ, মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতিরা মোট দুই রাউণ্ড গুলি চালায়। তবে অন্ধকারের জেরে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় দুষ্কৃতিরা। তিনি আরও দাবি করেন, দুষ্কৃতিদের কাছে মোট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। যা দিয়েই তাঁরা দু-রাউণ্ড গুলি চালিয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে এবং দলের সদস্যদের। পরে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে গুলির খলপাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান। তিনি বলেন, 'আমি একজন জন প্রতিনিধি হয়েও যদি আমারই কোনও নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষেরও কোনও নিরাপত্তা থাকছে না। প্রশাসনের কাছে শুধু একটাই দাবি, দুষ্কৃতিদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।'