
কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সিআইডির (CID) হাতে ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (Bnak Manager)। মঙ্গলবারের বসিরহাট (Basirhat) হাড়োয়া এলাকার ঘটনা। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাম যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়া। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ছিল, এবং ওই ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি।
ব্যাঙ্ক মারফত খবর, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রাহকদের তরফে অভিযোগ আসছিল, বসিরহাটের মোহনপুরের সমবায় সমিতির ব্যাংকের গ্রাহকদের লোন দেওয়ার নাম করে সই নকল করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সমবায় ব্যাংকের ম্যানেজারে যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পরই তদন্তে নামে সিআইডি। এলাকার বেশকিছু গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানায় বেশ কিছুদিন আগেই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি।
তদন্তে নেমে মঙ্গলবার গভীর রাতে মোহনপুর এলাকা থেকে ব্যাংক ম্যানেজার যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃত ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়াকে পেশ করে সিআইডি। ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে আবেদন জানিয়েছে সিআইডি।
ফের পাচারের (Sumggling) ছক বানচাল করল বিএসএফ (BSF)। মারণ রোগের ওষুধ, একাধিক চিকিৎসার সরঞ্জাম সহ রুপোর গয়না ও মাছের পিন বাংলাদেশে পাচারের আগেই তা উদ্ধার করলো বিএসএফ। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টের ঘটনা। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই পাচারকারীদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, কিছু পাচারকারী বেশ কয়েকটি বস্তা নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় সীমান্তের বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের দেখে তারা সেই মালপত্রগুলি রেখে পালিয়ে যায়। বিএসএফ গিয়ে ওই বস্তাগুলি উদ্ধার করে। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় মারণ রোগের দুর্মূল্য ওষুধ, ইঞ্জেকশন, সিরিঞ্জ, ব্লাড টেস্টে ব্যবহৃত রাবার ও রুপোর এক কিলো গয়না। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
অপরদিকে, বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের তৎপরতায় কালাঞ্চি চেকপোস্ট থেকেও ৪৭টি গলদা মাছের পিনের প্যাকেট উদ্ধার করলো বিএসএফ। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। বিএসএফের প্রাথমিক অনুমান, এগুলি ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা।
গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার (Rescue) হল বিষধর সাপ (Snake)। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হিঙ্গলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মামুদপুর গ্রামের হীরুলাল শিটের বাড়িতে। বনদফতরের (Forestdepartment) তৎপরতায় উদ্ধার হয় একটি কেউটে সাপ। বিষধর সাপ হওয়ায় সাপটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক সাপটি দেখা মাত্র মিনাখাঁ বনদফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের উদ্ধারকারীর দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে মাটি খুঁড়ে অবশেষে বিশাল আকারের একটি কেউটে সাপ বের করে আনেন তারা। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ন্যাজা কেওটিয়া। এরপর বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে চলে যান। এদিন সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়। আবার সাপটিকে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে এলাকার মানুষেরা ভিড় জমান।
ফের পাচারকার্য (Sumggling) রুখলো বিএসএফ (BSF)। সোনা রূপোর পর এবার সীমান্ত থেকে উদ্ধার হল একজোড়া বিদেশি কুকুর, একটি বিদেশি বিড়াল (Foreign Animals) সহ ৫ প্যাকেট মাছের চারা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত কৈজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী জওয়ানদের তৎপরতায় রোধ করা গিয়েছে এই পাচারকার্য। জওয়ানরা খাঁচাবন্দি পশু গুলিকে উদ্ধার করলেও পাচারকারী এখনও পলাতক। তবে উদ্ধার হওয়া ওই প্রাণী গুলিকে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছিল পাচারকারী। তখনই ওই সীমান্তে টহলদারিতে ছিলেন ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষীরা। সেই সময়ই জওয়ানরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পাচারকারীদের দেখতে পায়। তবে সীমান্তরক্ষীদের দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলেই একজোড়া বিদেশি কুকুর, একটি বিড়াল ও মাছের চারা ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। তারপরেই বিএসএফের তরফে ওই প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিদেশি কুকুরগুলি রটওয়িলার জার্মান প্রজাতির। মূলত শীত প্রধান দেশে এই কুকুরগুলি দেখা যায়। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাজারে এর দাম কয়েক লক্ষ টাকা। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া বিড়ালটি হিমালয়ান পার্শিয়ান প্রজাতির। আমেরিকা, থাইল্যান্ড ও ইরানে এই প্রজাতির বিড়াল বেশিরভাগ দেখা যায়।
প্রায় এক কোটি টাকার হেরোইনসহ (Heroin) গ্রেফতার (Arrest) দুই পাচারকারী। বাদুড়িয়া থেকে ধৃতদের গ্রেফতার করলো এসটিএফ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত আধারমানিক পোস্ট অফিস মোড়ে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হলেন, বসিরহাটের বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন গাজী ও বনগাঁর বাসিন্দা অতনু সাহা।
পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিসের এসটিএফের কাছে গোপন সূত্রে খবর যায়, দুই পাচারকারী প্রচুর হেরোইন পাচার করার চেষ্টা করছে। সেই সময় তারা অভিযান চালিয়ে বাদুড়িয়ার আধারমানিক পোস্ট অফিস মোড়ের আধারমানিক নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দুই পাচারকারীকে হেরোইন সহ গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় এক কেজি হেরোইন, একটি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩০ হাজার টাকা। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। দু'জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এসটিএফ বাদুড়িয়া থানার হাতে তুলে দেয়। বাদুড়িয়া থানা ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের করেছে।
উল্লেখ্য, এত বিপুল পরিমাণে হেরোইন উদ্ধার হওয়ায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো বাদুড়িয়া জুড়ে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও বড় পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
রাতের অন্ধকারে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) থানার অন্তর্গত দেউলী গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বছর ২০-এর সুমন প্রামাণিক, কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকতেন। কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। বৃহস্পতিবার হঠাৎই সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে শুর করেন। এরপর জানতে পারেন, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি শিরিষ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন সে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাত-পা-মুখ গামছা দিয়ে বাধা ছিল। হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। দেহটি উদ্ধার করে সাণ্ডেলেরবিল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে সে যদি স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেন, তাহলে হাত-পা-মুখ বাধা থাকবে কেন? রাতের অন্ধকারে কেউ মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে কিনা বা কারোর সঙ্গে পু্রোনো কোনও শত্রুতার জেরে এই মর্মান্তিক পরিণতি কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখছেন হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস আধিকারিকরা।
দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল ঘর থেকে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের করঞ্ছতলা গ্রামে। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিস (Haroa Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রীর নাম অরুনিমা বেরা (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে ১৬ বছরের অরুনিমা বেরা। বাবা মায়ের সঙ্গে কোনওদিন কোনও অশান্তি ছিল না। এমনকি কোনও প্রেমঘটিত ব্যাপারও ছিল না অরুনিমার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে হঠাত্ এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার স্থানীয়রাও।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
তৃণমূল (TMC) নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বসিরহাটে। তবে অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচলেন তৃণমূল নেতা। শুক্রবার রাতে বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট থানা পুলিস (Police)। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ওই তৃণমূল নেতার তরফে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল সদস্যের নাম মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার। তিনি গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের তৃণমূলের সদস্য। তাঁর বাড়িতেই শুক্রবার রাতের অন্ধকারে গুলি হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা।
তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার জানান, রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে এসে তিনটি ছেলে আচমকাই তাঁকে ডাকাডাকি শুরু করে। ডাকাডাকির কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার। তখনই দুষ্কৃতিরা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ঘিরে ফেলে। তবে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি বাড়ির দিকে ফিরে গেলেই দুষ্কৃতিরা গুলি চালাতে শুরু করে। অভিযোগ, মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতিরা মোট দুই রাউণ্ড গুলি চালায়। তবে অন্ধকারের জেরে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় দুষ্কৃতিরা। তিনি আরও দাবি করেন, দুষ্কৃতিদের কাছে মোট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। যা দিয়েই তাঁরা দু-রাউণ্ড গুলি চালিয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে এবং দলের সদস্যদের। পরে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে গুলির খলপাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান। তিনি বলেন, 'আমি একজন জন প্রতিনিধি হয়েও যদি আমারই কোনও নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষেরও কোনও নিরাপত্তা থাকছে না। প্রশাসনের কাছে শুধু একটাই দাবি, দুষ্কৃতিদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।'
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র (Firing Arms) সহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিস (Police)। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট থানার টাকি রোড সংলগ্ন মধ্যমপুর গুলাই চন্ডীর এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে ধৃতদের নাম, আবু বক্কর গাজী, রুহুল আমিন মৃধা, আবুল হামিদ মোল্লা, আব্দুল্লা মন্ডল। পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে পূর্বেও ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল।
পুলিস সূত্রে খবর, টাকি রোড সংলগ্ন একটি আমবাগান এলাকায় চার দুষ্কৃতী ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই স্থানে বসিরহাট থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিসের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম সহ ওই চার দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিং বলেন, 'অভিযান চালিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, ভোজালি, লোহার রড, সাইকেলের চেন সহ ডাকাতি করার একাধিক সরঞ্জাম। বৃহস্পতিবার তাঁদেরকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।'
হাড়োয়ায় গ্রাম দখলের চেষ্টা। পরপর বোমাবাজি, (Bombing) শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগে তিন আইএসএফ (ISF) নেতা গ্রেফতার (Arrest) হয়েছে। বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়া থানার বকজুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরা গ্রামের ঘটনা।
মঙ্গলবার, রাতে একদল আইএসএফ নেতাকর্মী বোমা ও গুলি চালিয়ে গ্রামে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করে। সেই কারণে ওই গ্রামের বাসিন্দারা তিন আইএসএফ নেতা মসিদুল মল্লিক, নাসিরউদ্দিন সর্দার ও শারিফুল শেখের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের পরিবার ও গ্রামের মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দখলে আনার জন্য, পরিকল্পনা করে রাতের অন্ধকারে বোমা ও গুলি চালিয়ে এলাকা সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা করছে আইএসএফ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ওই তিন আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃত তিন নেতাকে এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাড়োয়া দু'নম্বর ব্লকের সভাপতি বলেন, "বেশ কয়েকদিন আগে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ওই গ্রামে গিয়ে সভা করে গিয়েছেন। প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন, তারই ফলশ্রুতিতে আইএসএফ নেতাকর্মী সমর্থকরা এলাকায় আতঙ্ক, ভয় ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।
মাছ ধরার চাঁইয়ে ধরা পড়ল বিশাল আকারের গোখরো (Snake)। বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের লেবুখালির ঘটনা। আর সেই সাপ দেখতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিনাখাঁ বন দফতরের (Forest Division) আধিকারিকরা। ওই বিশাল আকারের গোখরোটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নারায়ণ মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার রাতেও লেবুখালি খালে চাঁই পাতেন মাছ ধরার জন্য। তারপর বুধবার সকালে তিনি মাছের জন্যে পাতা চাঁইটি আনতে যায়। আর তখনই চাঁইয়ের গায়ে হাত দিতেই তিনি চমকে ওঠেন। দেখতে পান, ভিতরে বিশাল আকারের গোখরো সাপ আটকা পড়েছে। ওই সাপটি লম্বায় ছিল প্রায় সাড়ে সাত ফুট। তবে সাপটি হঠাৎ দেখা মাত্রই ভয় পেয়ে যান তিনি। আর ভয়ের জেরে চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে একটি লাঠি দিয়ে চাঁইটিকে তুলে আনা হয়।
আর এই ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই সাপটিকে দেখার জন্য ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। তারপরেই মিনাখাঁ বন দফতরে খবর দেওয়া হয়।
স্ত্রীকে গুলি (Shot) করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুলির আঘাতে আহত (Injured) স্ত্রী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) মিনাখাঁ থানার মৌলি এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। ঘটনায় আহত স্ত্রীকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাই সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মিনাখাঁ থানার পুলিস (Police)। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত স্ত্রীর নাম রুকসানা বিবি (২২)। এক বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বসিরহাটের সোলাদানা এলাকার রবিউল সর্দারের সঙ্গে। তবে বিয়ের পর থেকে রুকসানা বিবির সঙ্গে রবিউল সর্দারের মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। যার ফলে রুকসানা বিবি তাঁর বাপের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। এমতাবস্থায় রবিবার রাতে রবিউল মিনাখাঁর মৌলি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রী রুকসানা বিবির সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে। তারপরেই রবিউল আচমকা কোমর থেকে পিস্তল বার করে গুলি চালায়।
পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় স্ত্রী রুকসানা আত্মরক্ষার্থের জন্য হাত দিয়ে বাধা দিতে গেলে একটিগুলি তাঁর হাতে এসে লাগে। এরপর আরও দুই রাউণ্ড গুলি চালায় রবিউল। তারপরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
ফের বড় সাফল্য বিএসএফের (BSF)। সীমান্তে ৪ কেজি রুপোর (Silver) গয়না ও বাইক সহ গ্রেফতার (Arrest) পাচারকারী। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর চেকপোস্টের ঘটনা। ঘটনায় পাচারকারী সহ উদ্ধার হওয়া রুপোর গয়নাগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পাচারকারীর (Sumggler) বাইকটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিএসএফ-র প্রাথমিক অনুমান, এই রুপোর গয়নাগুলি বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা চলছিল।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত পাচারকারীর নাম শরিফ গাজী। তিনি স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারালি এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত বাইকে করে রুপোর গয়না বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। সেইসময় হাকিমপুর চেকপোস্টে কর্তব্যরত ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তারা তল্লাশি চালাতেই মোটর বাইকের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ৪ কেজির রুপোর গয়না। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। এই ঘটনার পরেই বিএসএফ-এর সীমান্তরক্ষীরা পাচারকারীকে আটক করে।
বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে গত ছয় মাস ধরে প্রায় ১৭ টি মোবাইল (Mobile) ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আবার কখনও চুরি, পাশাপাশি হারিয়েও গিয়েছিল বিভিন্ন প্রান্তিক মানুষের মোবাইল ফোন। এর পরেই তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন হিঙ্গলগঞ্জ থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নামে হাসনাবাদের এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ, ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিস (Police) আধিকারিক অনিল সাউ।
এই পুরো ঘটনার তদন্ত নেমে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনগুলি সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তিক জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস প্রায় ১৭ টি মোবাইল ফোন গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেন পুলিস। ফোন পেয়ে রীতিমতো খুশি প্রান্তিক মানুষেরা। পুলিসের এই তৎপরতা দেখে সাধারণ মানুষেরা রীতিমতো ধন্যবাদ জানিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস প্রশাসনকে।
মোটর বাইক কেনার টাকা না দেওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ। শুক্রবার রাতে বসিরহাট (Basirhat) থানার অন্তর্গত পাইকারডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি (Death Body) উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। যদিও এই খুনের বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত বসিরহাট থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। জানা গিয়েছে, মৃত মায়ের নাম মালবিকা সরকার। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলের নাম প্রসেনজিৎ সরকার। বসিরহাটের পাইকারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। মৃতা পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার ও ছেলের বউয়ের সঙ্গে প্রায়ই সংসারে অশান্তি গণ্ডগোল চলতো। তাই মায়ের কাছে প্রায়ই চাহিদা মতো টাকা চাইতো ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার। সেই টাকা দিতে না পারায় মাঝেমধ্যেই মায়ের উপরে অত্যাচার চালাত ওই যুবক। কয়েকদিন আগেই মালবিকা সরকার তিনটি গরু বিক্রি করেছিলেন। এরপরেই ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার গরু বিক্রি করা টাকা দিয়ে মোটরবাইক কিনবে বলে জানায় মালবিকাকে। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে মা মালবিকা সরকার। স্থানীয়দের দাবি, টাকা না দেওয়ার কারণেই শুক্রবার অশান্তি চরমে উঠে যায়। ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার তার মা মালবিকা সরকারকে ব্যাপক মারধড় করে ঘরে মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে খুন করে মাকে, এমনটাই দবি স্থানীয়দের। আর এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই স্থানীয়রা পুলিসে খবর দেয় স্থানীয়রা।
তবে শুধুমাত্র মোটর বাইকের টাকা না দেওয়ার জন্যই কি ছেলের হাতে খুন হতে হলো মাকে! নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে বসিরহাট থানার পুলিস।