
পারিবারিক বিবাদের জেরে মৃত্য়ু হল এক ব্য়ক্তির। আহত ওই পরিবারের আরও একজন সদস্য়। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের সজনেতলা গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়াক্তির নাম লবকুমার নস্কর (৪০)। আহত সুবীর নস্কর। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ ছিল ওই পরিবারের মধ্য়ে। এরপর এদিন সকালে কাকা ভাইপোর মধ্যে জমি নিয়ে ব্য়াপক বচসা শুরু হয়। তারপর সেই ঝামেলা অশান্তি হাতাহাতিতে পরিণত হয়। সূত্রের খবর, বচসার সময় ভাইপো ধারালো করাত চালান। যারফলে গুরু্তর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাকা। তারপর তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্য়ক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাসন্তী থানার পুলিস।
বাসন্তী হাইওয়েতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় আহত প্রায় ৩০ যাত্রী। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত এক বাইক চালক। বুধবার দুপুরে ভাঙড় থানার অন্তর্গত ভোজেরহাট বৈরামপুরের এলাকার ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গেসঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় এখনও অবধি কারোর মৃত্যু না হলেও গুরুতর আহত হয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরের দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি বাইক সামনে থাকা একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়, এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি, কলকাতার দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ধামাখালি বি গার্ডেন রুটের বাসের সামনে পড়ে যায়। বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গেলে বাধ্য হয়ে ব্রেক কষতে বাধ্য হন বাস চালক। তখনই ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। বাইক ও আরোহী বাসের চাকার তলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইক চালককে উদ্ধার করে নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ভাঙ্গড় থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।
পঞ্চায়েত ভোট শেষ। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই জেলার বাসন্ততী আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর উপরব হামলায় ঘটনায় অভিযুক্ত আরএসপি। দুটি হামলাতেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ক্যানিংয়ের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নান্টু গাজি। তাঁর কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজী পাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি নান্টু গাজী শুক্রবার বিকালে সাতমুখী বাজারে গিয়েছিলেন। রাত নটার সময় বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ সেই সময় তেঁতুলতলা এলাকায় ১০থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপায়। পাশাপাশি সাহিনা গাজী নামে এক মহিলাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে বলে অভিযোগ।
রাতের অন্ধকারের তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলো আরএসপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল কর্মী সামিম সরদার। তাঁর বাম হাতের বাহুতে গুলি লেগেছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত গরাণবোস এলাকায়।
বেশ মাথা চাড়া দিযে উঠেছে ভোট পরবর্তী হিংসা। আরএসপি (RSP) সমর্থকের বাড়িতে আগুন (Fire) লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের (TMC) বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী (Basanti) থানার ভারতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর গরানবোস গ্রামে। এই বিষয়ে বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিস (Police)। যদিও এই ঘটনার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
অভিযোগ, মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই হামলা চালায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। পুরানো শত্রুতাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তারা আরএসপি সমর্থক শোয়েব সর্দারের বাড়িতে গিয়ে প্রথমে হামলা চালায়। তারপরেই আগুন লাগিয়ে দেয় ঘরে। এমনকি মারধরও করা হয়েছে তাঁদের। যার ফলে আহত হয়েছেন আরএসপির ওই কর্মী, এমনটাই অভিযোগ।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসক দল। তবে বারবার পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে বিরোধীদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আর প্রত্যেক বারের মতোই সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
ভোটের দিন, ভোটের কারণেই ছেলেকে হারিয়েছেন। শনিবার বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল বাসন্তীর (Basanti) তৃণমূল (TMC) কর্মী আনিসুর ওস্তাগারের। সেই আনিসুরের মা আমিনা ওস্তাগার এদিন ফের ভোট দিলেন। ছেলের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৩ নম্বর বুথে ভোট দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। একই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন আচমকা বোমা বিস্ফোরণ। তাতেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মী আনিসুরের। বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। যদিও, স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায় নির্দল প্রার্থীর দলবল বোমা ছোড়ে। সোমবার সেখানেই চলছে পুনর্নির্বাচন।
নির্বাচনী হিংসায় প্রাণ হারাল (Death) আরও এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker), আহত প্রায় ১০ জন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী (Basanti) ব্লকের জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধারাণীপুরে। সূত্রের খবর, মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আজহার লস্কর (৫৭)। গতকাল অর্থাৎ শনিবার ওই এলাকায় আরএসপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর প্রথমে আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাধারাণীপুরে।
সূত্রের খবর, ভোট শেষ হতে না হতেই ওই এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক মারধর। আর সেই মারধরের ফলেই গুরুতরভাবে আহত হন ওই তৃণমূল কর্মী। তারপরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। পঞ্চায়েত ভোটের দিনই মৃত্যু হয়েছে মোট ২০ জনের। নির্বাচনের দিন ঠিক হওয়ার পর থেকে সবমিলিয়ে মোট ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। সবমিলিয়ে যেন রক্তহোলি খেলার পর্ব চলছে রাজ্যজুড়ে।
বাসন্তীর (Basanti) পর এবার কুলতলি (Kultali)। তৃণমূল (TMC) প্রার্থীকে গুলি করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে। সোমবার রাতে ভোট প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ঘরামি।
জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার সারছিলেন কুতুবউদ্দিন। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁর উপর হামলা হয়। তাঁর ডান পায়ে গুলি লাগে। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় জামতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। যদিও ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে সিপিএম। তাঁদের দাবি, আদতেও কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি।
তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী হলেও তাঁর বিশ্বাস নেই রাজ্য পুলিসে। বাবার মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের (CBI) কাতর আর্জি বাসন্তীতে (Basanti) নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জহিরুল মোল্লার মেয়ে মনোয়ারা পিয়াদার। শেষমেশ রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করে বিচার চাইলেন তিনি। রাজ্যপালের পা জড়িয়ে তিনি জানালেন, রাজ্য পুলিস সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আবার এসেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তাঁর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাতে মোটর বাইকে সওয়ারি হন বাসন্তীর নিহত তৃণমূল যুব নেতার মেয়ে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান। বাসন্তীর বাড়ি থেকে তাঁরা রওনা দেন ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোয়। সেখানেই রয়েছেন রাজ্যপাল। দুপুরে সেখানে পৌঁছে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে। তিনি পুলিস প্রশাসন এবং দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার ঠিক আগে ওই তৃণমূল প্রার্থী জানান, তিনি নিজেও ভয়ে-আতঙ্কে আছেন। তিনি বাবার মৃত্যুর সুবিচার চাইবেন রাজ্যপালের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘আার বাবার মৃত্যুর সুবিচার যেন পাইয়ে দেন রাজ্যপাল। এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। সেটা জানাব। আমার নিজেরও প্রাণ হারানোর আশঙ্কা আছে।'
বাসন্তীতে (Basanti) নিহত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সোমবার সকালে কলকাতা পৌঁছে সরাসরি বাসন্তীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। রবিবার রাতে বাসন্তীর মালঞ্চ চাতরাখালি এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জিয়ারুল মোল্লার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই বাসন্তী যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, জিয়ারুল তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। এলাকাবাসীদের দাবি, যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আমারুল লস্কর ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন জিয়ারুল। পুলিশ জানিয়েছে, জিয়ারুলের মাথা ও পেটে গুলি লেগেছে। এবং দুটি গুলিই ভিন্ন ধরনের। সেকারণে পুলিশের প্রাথমিক অনুমাণ দুটি ভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করা হয়েছে জিয়ারুলকে।
ইতিমধ্যে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মোবাইল ফোনটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার দিন কে কে ফোন করেছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে পুলিশের সন্দেহভাজনের যে তালিকা তৈরি করেছে সেখানে একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে নজরে রাখার পরেই জিয়ারুলকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
আর মাত্র ৬ দিন। তারপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। তারআগে রক্ত ঝরা অব্যাহত। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে (Basanti) তৃণমূলের (TMC) এক যুব নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। নিহত নেতার নাম জিয়াউল মোল্লা। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ফুলমালঞ্চ এলাকার ঘটনা। ওই নেতাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফে এ ঘটনার পিছনে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিস জানিয়েছে, প্রচার সেরা বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা জিয়াউলকে ঘিরে ধরে। তাঁর মাথায় ও পেটে গুলি লাগে। দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসেছিল।
বছর চল্লিশের জিয়াউল গোড়া থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করতেন বলেই স্থানীয়দের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দীর্ঘদিনের। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে তা আরও বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই চোরাগোপ্তা চলছিল। জিয়াউলের উপর আক্রমণের পর, তা তীব্র আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। জিয়াউলকে গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানিং হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দাবি করেছেন, অশান্তির খবর পেলে তিনি ছুটে যাবেন। তাঁর এই দাবির কয়েক ঘণ্টা পরেই পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আরও এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুর খবর মিলল। এই নিয়ে ভোটের আগে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে বলির সংখ্যা দাঁড়াল ১৩।
ফের পথ দুর্ঘটনা (Accident)। মালবাহী ট্রাক ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) বাইক আরোহীর। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখা থানার অন্তর্গত বাসন্তী (Basanti) হাইওয়ের শ্যামনগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিনাখা থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সনাতন পাত্র। তিনি দক্ষিণ মিনাখা এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মালঞ্চ থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল মালবাহী ট্রাকটি। আর বাইকটি বামন পুকুর থেকে দক্ষিণ মিনাখার দিকে আসছিল। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ট্রাকের সঙ্গে ওই বাইকের। তারপর রাস্তার উপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন ওই বাইক চালক। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় মিনাখা থানায়। তারপরেই ঘটনাস্থলে পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
রাতের অন্ধকারে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) কেঁপে উঠল এলাকা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী (Basanti) থানার কাঠালবেরিয়া পঞ্চায়েতের কালিপদ মোড়ের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাসন্তী থানার পুলিস (Police)। পুলিস বোমার সুতলি রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত একটা নাগাদ বোমা ফাটতে থাকে এই এলাকায়। এলাকায় প্রচুর বোমা ফাটার দাগ এবং বোমার সুতলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়েছে এবার এলাকার দখল কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়েই মূলত শক্তি প্রদর্শন চলছে বাসন্তীর কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেই কারণেই রাতের অন্ধকারে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিস।
তবে কারা এই বোমা ফাটিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বাসন্তীর (Basanti) একই পরিবারে নিহত তিন ছেলের শ্রাদ্ধের দায়িত্ব নিলেন রাজ্যপাল (Governer)। করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondeal Express) দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের ৩ ছেলে, হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন। তাঁদের তিন চিতা পাশাপাশিই জ্বলেছে। ঘটনার তিন দিন কেটে গেলেও শোক যেন কাটছে না তাঁদের পরিবারে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এদিন বাসন্তী পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালকে দেখে কেঁদে ফেলেন সন্তানহারা মা। তাঁর হাত ধরে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ৬ মাস ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা জানান।
এছাড়াও এককালীন ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে তাদের, জামাকাপড় কিনে দেওয়া হয়েছে। তিন সন্তানহারা বৃদ্ধার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি সমস্ত পরলৌকিক কাজের খরচ বহন করবে রাজভবন। এদিন বাসন্তীর গায়েন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এমনটাই জানান রাজ্যপাল। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপাল পুনরায় ফিরে যান কলকাতায়।
ফের সাতসকালে পথ দুর্ঘটনায় (Accident) মৃত্যু (Death)। বাসন্তী হাইওয়েতে (Basanti Highway) বালি বোঝাই লরির সজোরে ধাক্কা ভ্যানকে। মৃত দুই ব্যক্তি। ঘাতক লরি সহ চালক আটক।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসন্তী হাইওয়ে ঘুসিঘাটা এলাকায়। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ বাসন্তী কলকাতা হাইওয়ে মিনাখা থেকে একটি বালি বোঝাই লরি ঘুসিঘাটা এলাকায় একটি দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে চালক ও এক যাত্রী গুরুতর জখম হয়। তাঁদেরকে উদ্ধার করে মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম শিবনাথ নস্কর, বয়স ৫৮, অরুন নস্কর (৪৭)। প্রশ্ন উঠছে বালি বোঝাই লরি কী করে রাস্তার উপরে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা মারলো। এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ঘাতক লরি-সহ খালাসিকে আটক করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বারুইপুর জেলা পুলিসের বড় সাফল্য। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের হদিশ অস্ত্র কারখানার। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র (Firearm) ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর (Basanti) কলাহাজরা গ্রামের ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বাসন্তী থানার পুলিস। ধৃতদের শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মোতালেব পুরকাইত ও জয়নাল মোল্লা। তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই এই কারখানা গড়ে তুলেছিল এবং সেখানেই তাঁরা এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি তৈরি করতো।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই নির্বাচনের আগেই ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল বাসন্তীতে। শুক্রবার রাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে বাসন্তী থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, তল্লাশি চালিয়ে বাসন্তী থেকে ৭টি বন্দুক-সহ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি ঘটনায় ঠিক কারা কারা জড়িত সেবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস।