বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও একজনের। মৃত ব্য়ক্তির নাম সুধীর সূত্রধর। বাড়ি মেমারীর কলেজ পাড়া এলাকায়। ঘটনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকে বর্ধমান মেডিক্য়াল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুধীর সূত্রধর। শনিবার হাসপাতালেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। যদিও এখনও পর্যন্ত বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কয়েকজন আহত।
চলতি সপ্তাহে বুধবার বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার দিনেই মৃত্য়ু হয় ৩ জনের। ঘটনায় আহতের সংখ্যা জানা গিয়েছিল ৩৯ জন। এর আগেও এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। এবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল ৪ জনের।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি রাজ্যের তরফে বৃহস্পতিবার মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে তুলে দেন।
বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। আর ঘটনায় আহত ৩৯ জন।জানা গিয়েছে, বুধবার স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। এখনও পর্যন্ত বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩ জন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেকেরই হাত-পা ভেঙেছে। রাজ্যের তরফে বৃহস্পতিবার মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে তুলে দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। আহতদের দেখতে আসেন রাজ্যপালও। তিনি আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার ৮০০ গ্যালনের বিশাল জলের ট্যাঙ্কটি রাখা ছিল বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই ভেঙে পড়ে ট্যাঙ্কটি। এদিকে প্ল্যাটফর্মে সেই সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের গায়ের উপর গিয়ে পড়ে সেটি।
উল্লেখ্য, এর আগেও বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। স্বাভাবিকভাবেই বর্ধমান স্টেশনের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় বিপত্তি। জানা গিয়েছে, স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। এর আগে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। এবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে আহত একাধিক।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার জেরে বন্ধ রয়েছে বর্ধমান শাখার আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল। দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমেছে আরপিএফ (RPF) ও জিআরপি(GRP)। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার ৮০০ গ্যালনের বিশাল জলের ট্যাঙ্কটি রাখা ছিল বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই ভেঙে পড়ে ট্যাঙ্কটি। এদিকে প্ল্যাটফর্মে সেই সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের গায়ের উপরই গিয়ে পড়ে সেটি। স্বাভাবিকভাবেই বর্ধমান স্টেশনের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে টাকার পাহাড় মিলেছিল। সেই ঘটনায় অর্পিতার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকেও পুলিশ লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল। শুক্রবার রাতে বর্ধমানের তেলিপুকুর সাবওয়েতে একটি গাড়ির ডিকি থেকেও কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা উদ্ধার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, একটি চারচাকা গাড়ির ডিকিতে থাকা একটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। বর্ধমানের তেলিপুকুর এলাকায় পুলিশের নাকা চেকিং চলছিল। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ফ্লাইওভারের নীচে সাবওয়েতে বর্ধমান-আরামবাগ রোডের তেলিপুকুর মোড়ে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়।
চারচাকা গাড়ির ডিকি খুলতেই টাকা ভর্তি কয়েকটি ব্যাগ নজরে আসে পুলিশের। গাড়ির আরোহীরা পুলিশকে এত টাকার কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে পুলিশের দাবি। জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক ও দু’জন মহিলা সহ মোট পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ধমান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সূত্রের খবর, চারচাকা গাড়িটি বর্ধমান-আরামবাগ রোড ধরে তেলিপুকুর হয়ে বর্ধমান শহরে ঢুকছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি এখনই বলা সম্ভব নয়। গাড়ি থেকে ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয় নাকা চেকিংয়ের সময়। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সূত্রের খবর, আটকদের বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর এলাকায় বেশ কয়েকটি ধানকল আছে।
কাজের তাগিদে কেরলে গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant worker)। কেরলে (Kerala) থাকাকালীনই জ্বরে ভুগছিলেন। রাজ্যে ফিরে আবারও জ্বর আসায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা নিপা ভাইরাস (Nipah virus) সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। যদিও বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের সুনির্দিষ্ট কোনও রকম উপসর্গ নেই। কিন্তু জ্বর, গা-হাত-পা ও গলায় ব্যাথা ও বমি ভাব থাকায় ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছে ওই যুবক পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) বাসিন্দা। গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই যুবকের দুই সঙ্গীর কেরলেই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। তাই, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজ, বুধবার মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে। তারপর জানা যাবে ওই যুবক নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
জানা গিয়েছে, এই যুবকের প্রথম জ্বর আসে। তখন দু'দিন তিনি এনাকুলাম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ছুটি পেয়ে রাজ্যে ফেরার পরে ১০ তারিখ ফের জ্বর আসায় পরের দিন তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসোলেশনে রেখেই চলছিল চিকিৎসা। মঙ্গলবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কেউ নিপাতে আক্রান্ত হননি। ওই যুবকও স্থিতিশীল রয়েছেন।
রাজ্যে ফের শ্যুটআউট (Shoot Out)। পাওনা টাকা নিয়ে বচসার জেরে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার খন্ডঘোষের আড়িন গ্রামে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ ১ যুবক। জানা হিয়েছে, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অভিজিৎ রায় ওরফে দুষ্টু (২৬)। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খন্ডঘোষ থানার পুলিস।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবকের বাঁদিকে কাঁধে গুলি লেগেছে। অভিজিৎ পুরোনো গাড়ি কেনাবেচা করতেন। সেই সূত্রে আজ, বুধবার বাড়িতে টাকা আদায়ের জন্য আস এক যুবক। এরপর অভিজিৎ-এর সঙ্গে দশ হাজার টাকা নিয়ে বেশকিছুক্ষণ কথাও হয় ওই যুবকের।
এরপর বাথরুমে ঢুকে যায় অভিজিৎ এবং বাথরুম থেকে বের হতেই অভিজিৎকে গুলি চালায় ওই যুবক বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত।
ঘটনার পর প্রতিবেশী ও পুলিস জখম যুবকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল অর্থাৎ গুলিবিদ্ধ যুককের বাড়িতে আগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকেলেও গত সপ্তাহ দুয়েক আগে সেই দুটি ক্যামেরা খুলে এনে নিজের দোকানে লাগান। তারপরেই এই ঘটনা।
সিভিভিও (CVV) দেননি, ওটিপিও (OTP) দেননি। তবুও হাতছাড়া ব্যাঙ্কে জমানো টাকা? বাজারে নয়া আর্থিক প্রতারণা (Financial fraud) থেকে সাবধান। বেশি কিছু নয়। শুধুমাত্র আধার কার্ডের (Aadhaar Card) বায়োমেট্রিক চুরি (Biometric theft) করেই গুম হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ঠিক এমনই কায়দায় প্রতারিত হয়েছেন দুর্গাপুরের (Durgapur) ইলেকট্রিকের সরকারি ঠিকাদারী সংস্থার কর্ণধার বিবেকানন্দ মুখার্জি। ঘটনায় তাজ্জব সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
কিন্তু কীভাবে হচ্ছে এই অপরাধ? জানা গিয়েছে, ঠিকাদারী সংস্থার নানা কাজের বরাত পেতে বিবেকানন্দ বাবু নিজের আধার কার্ড জমা করছেন বিভিন্ন জায়গায়। যেখানে লুকিয়ে রয়েছে এই অপরাধের মূল সূত্র। বিবেকানন্দ বাবুর আধার কার্ডের লিঙ্ক ধরেই তাঁর বায়মেট্রিক হ্যাক হয়ে যায়। গত শুক্রবার রাত্রি ৮.৩৫ মিনিট নাগাদ প্রথম বিবেকানন্দ বাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। আর সন্ধে ৮.৩৬ মিনিট নাগাদ রাষ্ট্রয়ত্ত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ১০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এই ব্যাবসায়ীর আশঙ্কা আরও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও হয়তো হ্যাকাররা টাকা তুলে নিয়েছে।
ইতিমধ্যে দুর্গাপুর সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সাইবার পুলিস খতিয়ে দেখছে পুরো ঘটনাটি। কিন্তু আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক হ্যাক করে টাকা চুরির ঘটনায় তোলপাড় দুর্গাপুর। সরকার আর ব্যাঙ্ককে আরও সতর্ক হতে হবে, প্রয়োজনে সচেতনার ক্যাম্প করতে হবে, অভিমত আই. টি সেক্টরের কর্মী সিদ্ধার্থ মুখার্জীর।
কিন্তু, এর থেকে বাঁচবেনই বা কীভাবে? একমাত্র উপায়, ওয়েবসাইট বা এম আধার অ্যাপের মাধ্যমে লক করে রাখতে হবে যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্য। প্রয়োজনে কিছুক্ষণের জন্য চালু রেখে ফের লক করে রাখতে হবে সেই তথ্য। একশো দিনের কাজ থেকে আরও সরকারি নানা সুযোগ সুবিধে পেতে আধার কার্ড লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। প্রশ্ন, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এই সম্পর্কে কতটা জানবেন?
দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহার কুনুর নদী (Kunur River)এক সময় বাসিন্দাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ ছিল। এই নদীর জলে এলাকার প্রতাপপুর, কাঁটাবেরিয়া সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ চাষবাস করতেন। কিন্তু সেই কুনুর নদীর জল (water pollution) আজ অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার চাষীদের কাছে। অভিযোগ, বেসরকারি গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থার বর্জ্য মিশছে নদীর জলে। চাষের জমিতে জল ব্যবহার করলে কমছে মাটির উর্বরতা। বন্ধ্যা হয়ে পড়ছে জমি। জল দূষণের কারণে সংকটের মুখে কৃষকদের রুজি রোজগার। তারপর আবার কুনুর নদীর সেতুও দুর্বল। ভেঙে গেছে সেতুর রেলিংও। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও তুলেছেন অনেকে।
চাষবাস হচ্ছে না, অথচ চাষবাসের উপর নির্ভরশীল এই কুড়িটি গ্রামের বেশ কয়েক হাজার মানুষ। যাঁরা অনেকে পরিস্থিতির শিকার হয়ে পেশা বদলে ফেলেছেন, আবার অনেকে আত্মহত্যার পথকেই বেছে নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, কুনুর নদীর সেতু দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে নদীর সেতুর রেলিং। বেহাল হয়ে পড়েছে নদীর উপরের রাস্তা। তা সত্ত্বেও আজ ভারী যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়ে যাতাযাত করছে, এতে বিপদ আরও বাড়ছে।
গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থা কারখানা তৈরির জন্য এলাকার বেশ কিছু জমি ১৫ বছরের জন্য লিজে নেয়। অভিযোগ, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জমিদাতারা পুনর্নবীকরণের টাকা পাননি। অভিযোগ, শুধুমাত্র শাসকদল ঘেঁষা জমিদাতারাই টাকা পাচ্ছেন। বিজেপি করার অপরাধে বঞ্চিত একাংশ জমিদাতা।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বেশ কিছু মানুষ কুনুর বাঁচাও আন্দোলনে নামেন। এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও উঠেছে। অভিযোগ উঠছে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার অপরাধে তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ, 'কুনুর বাঁচাতে যতদূর যেতে হয় ততদূর যাব। যে মুখ্যমন্ত্রী জমি আন্দোলনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছেন, আর তাঁর জামানায় কিনা ক্ষতির মুখে চাষিরা।'
যদিও এইসব বিজেপির নাটক বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব, দলের লাউদোহা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বিষয়টি জানি চাষীদের পাশে আছি। বিজেপির নাটকের প্রয়োজন নেই।'
কুনুর নদীর একটা ইতিহাস প্রেক্ষাপট আছে। অনেক লেখা রয়েছে এই নদীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু কালের নিয়মে আজ এই নদী হাজারো প্রশ্নের মুখে। এর গতি কোথায় থামবে জানা নেই কারোর। তবে কুনুর বাঁচাও কমিটি বলছে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে কুনুরকে।
ফের দুর্ঘটনার (Accident) কবলে যাত্রীবাহী বাস। এই দুর্ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও আহত (Injured) হয়েছেন অন্তত ৫ জন। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের (Bardhaman) দেওয়ানদিঘী থানার অন্তর্গত নবদ্বীপ রোডের শোনপুর এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেওয়ানদিঘী থানার পুলিস (Police)। পুলিস আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুড়মুন ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে যায় বর্ধমান-নবদ্বীপ রোড। পরে পুলিস সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটি বর্ধমান থেকে নবদ্বীপের দিকে যাচ্ছিল। তবে শোনপুর এলাকায় বাসটি সামনে থাকা একটি ছোট হাতি গাড়িকে ওভারটেক করতে যায়। আর সেই সময় হঠাৎ করেই উল্টোদিক থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স চলে আসে। তাই অ্যাম্বুলেন্সটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ছোটহাতি গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। তারপরেই দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি দুটির একাংশ। তবে এই ঘটনায় কারোর প্রাণহানি হয়নি, এমনটাই জানিয়েছে পুলিস।
ইন্ডিয়ান অয়েলের (Indian oil) অপরিশোধিত তেল ভালভের মাধ্যমে চুরি (Stolen) করার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে কারখানার মালিক সহ আরও এক অভিযুক্তকে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসি থানার অন্তর্গত বেলগ্রাম মৌজায়। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কারখানার মালিক সোমনাথ তিওয়ারি ও আরেকজন অভিযুক্ত সুভাষ চন্দ্র যশ।
সূত্রের খবর, কয়েকমাস ধরেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করেছে পারাদ্বীপ-হলদিয়া বারাউনি অয়েল পাইপলাইনের হলদিয়া-বোলপুর বিভাগে চাপ কমে যাচ্ছে। তাই চাপ কমে যাওয়ার কারণ শনাক্ত করতে অনুসন্ধানে নামেন তারা। তারপরই আসল রহস্য জানতে পারে তারা।
পুলিস সূত্রে খবর, ইণ্ডিয়ান ওয়েল তেলের পাইপলাইন থেকে আনুমানিক ৩০০ মিটার দূরে একটি রাসায়নিক কারখানা রয়েছে। ওই কারখানার প্রাচীর থেকে পাইপলাইনের দিকে একটি পরিখা খোঁড়া হয়েছিল। সেই পরিখা ধরেই জেসিবি দিয়ে খনন শুরু করা হয়। আর খননের পরই দেখা যায় মেনলাইন থেকে একটি অবৈধ ভালভ ট্যাপ করা হয়েছে। যা সরাসরি রাসায়নিক কারখানায় গিয়ে মিশেছে।
এরপরে গলসি থানার সহায়তায় আইওসিএল-এর পরিদর্শক দল ওই রাসায়নিক কারখানায় তল্লাশি চালায়। মোট ১৫০টি খালি ৪০ লিটার জার উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি ৬ টি অপরিশোধিত তেলে ভরা জার উদ্ধার করা হয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিস।
তীব্র গরমে নাজেহাল ছিল বঙ্গবাসী। তবে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির ফলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছেন। তবে এই আরামদায়ক ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে বিপত্তি। রাজ্যের জেলায় জেলায় বজ্রাঘাতের জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফের বজ্রাঘাতের (Lighting) জেরে মৃত্যু (Death) হয়েছে ১ কিশোর সহ ২ ব্যক্তির। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার পৃথক তিনটি এলাকায়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় দেওয়ানদিঘি থানার পুলিস পৃথক পৃথক এলাকা থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে। দেহগুলি উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই তিন জনের নাম দেব হরিজন (১৫), রামপ্রসাদ ঘরুই (৪০), মুক্তার শেখ (৩৬)।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দেওয়ানদিঘি থানার তালিত স্টেশন সংলগ্ন মাঠে খেলার সময় বজ্রাঘাতে গুরুতরভাবে আহত হয় দেব হরিজন নামের ওই কিশোর। তারপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ঠিক একই রকমভাবে রায়নার বনগ্রামের বাসিন্দা মুক্তার শেখ নামের ওই ব্যক্তি মাঠে গরু চড়ানোর সময় বজ্রাহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকেও বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। অপরদিকে, বর্ধমান থানার কাঁঠালগাছি গ্রামের বাসিন্দা রামপ্রসাদ ঘরুই নামের ওই ব্যক্তিও মাঠে গরু চড়ানোর সময় বজ্রাহত হন। ঠিক একই রকমভাবে তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরেই মালদহ জেলার কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের বাবলা এলাকাতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে। বজ্রাঘাতের জেরে মৃত্যু হয় ২ জনের।
গাড়ি চুরির (Theft) অভিযোগে গাড়ি চুরি চক্রের ২ পান্ডাকে গ্রেফতার (Arrest) করলো বর্ধমান (Bardhaman) থানার পুলিস (Police)। পুলিস ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে গাড়িটি। ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন করে ধৃতদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত দুজনের নাম বিকি দাস ও অমর কুমার। ধৃত বিকি দাসের বাড়ি বর্ধমান শহরের ডিভিসি মোড় এলাকায় অন্যদিকে অমর কুমার দাসের বাড়ি কলকাতার গার্ডেনরিচ থানা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি থানা এলাকার সুভাষ বিশ্বাস নামের এক বাসিন্দা গত ১৪ মে বর্ধমান থানায় তাঁর একটি স্করপিও গাড়ি আলিশা সংলগ্ন একটি গ্যারেজে সারাতে দেয়। তবে তাঁর গাড়িটি গ্যারেজ থেকেই চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন থানায়। পরে অভিযোগের তদন্তে নেমে বর্ধমান থানার পুলিস প্রথমে বিকি দাস নামের এক গ্যারেজের কর্মচারীকেই আটক করেন। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় চুরি যাওয়া গাড়িটি উদ্ধার করে এবং অমর কুমার দাসকে গ্রেফতার করে।
পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে অবৈধভাবে চলছিল গাঁজার (Weed Tree) চাষ। কিন্তু শেষমেশ পুলিসের নজর এড়াতে পারেনি। গোপনে চাষ করা সমস্ত গাঁজা গাছ নষ্ট (Wasted) করে দিল দেওয়ানদিঘী থানার পুলিস (Police)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Bardhaman) ১ নম্বর ব্লকের ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপুর ও বড়বাগান গ্রামে। পুলিসের একটি দল ওই এলাকায় গিয়ে গাঁজা গাছগুলি কাটতে থাকেন। যদিও গ্রামে পুলিস ঢোকার খবর পেয়েই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপুর ও বড়বাগান গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে গোপনে গাঁজা গাছ লাগিয়ে তা বিক্রি করার কাজ চলছিল। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার এই দুই গ্রামেই হানা দেয় দেওয়ানদিঘী থানার পুলিস। অভিযুক্তদের বাড়ি গ্রামের ভিতরের দিকে হওয়ায় নজর এড়িয়ে চলছিল গাঁজার ব্যবসাও। এই ঘটনায় দেওয়ানদিঘী থানার ওসি দ্বীপ্তেশ চ্যাটার্জির নির্দেশে পুলিসের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় গিয়ে গাঁজা গাছগুলি কেটে দেয়।
এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রামে গাঁজা গাছ লাগিয়ে ব্যবসা চললেও এই প্রথম গ্রামে ঢুকে পুলিস তা বন্ধ করলো।
দলীয় পতাকা লাগিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো এক তৃণমূল নেতার। শনিবার বর্ধমানের (Bardhaman) মেমারি জামালপুর রোডে মেমারির পারিজাত নগর এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম শুভেন্দু গুহ (৫৫)। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস (Police) ঘাতক চারচাকা গাড়িটি সহ চালককে আটক করেছে
সূত্রের খবর, শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়ার কথা ছিল এই রাস্তা ধরে। আর তারই প্রস্তুতি হিসাবে দলের কর্মীরা রাস্তার ধারে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন। সেই কাজ সেরে তিনি তাঁর স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই আচমকাই একটি চারচাকা গাড়ি ওই স্কুটি টিকে ধাক্কা মারে। যার ফলে গুরুতর ভাবে জখম হন ওই তৃণমূল নেতা।
এই ঘটনার পরেই মেমারি থানার পুলিস ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মেমারী গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেই হাসপাতালে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বুধবার রাতে বর্ধমান থেকে ব্যান্ডেল যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল একটি লোকাল ট্রেনের (Train) দু’টি কামরা। বর্ধমানমুখী (Saktigarh) একটি মালগাড়ি এবং ব্যান্ডেলমুখী ওই লোকাল ট্রেনটি একই লাইনে চলে আসার ফলেই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যার জেরেই লাইনচ্যুত হয় লোকাল ট্রেনের দু’টি কামরা। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ব্যান্ডেলমুখী একটি লোকাল ট্রেনের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
তবে দুর্ঘটনার পর বেশ কিছু ক্ষণ কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হল না হাওড়া-বর্ধমান লাইনে রেল পরিষেবা। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। এই ঘটনার জেরে বর্ধমান, গাংপুর, গলসী, দুর্গাপুর সহ একাধিক স্টেশনে আটকে ছিল বহু দূরপাল্লার ট্রেন। সকাল থেকেই বর্ধমান-হাওড়া ও হাওড়া-বর্ধমান মেইন ও কর্ড শাখায় কোনও রকমের লোকাল ট্রেন চলছিল না। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। তবে ইতিমধ্যেই বুধবার রাত থেকে আটকে থাকা একাধিক ডাউন দূরপাল্লার ট্রেনকে আপ লাইনে ধীর গতিতে হাওড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনকি বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে বর্ধমান-হাওড়া ও হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনের ক্ষেত্রে মেমারী স্টেশন থেকে ও কর্ড লাইনের ক্ষেত্রে মশাগ্রাম স্টেশন থেকে শাটল লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ প্রথম ডাউন লাইনের মেইন ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এমনকি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ব্যান্ডেল লোকালের ক্ষতিগ্রস্ত কামরা। ডাউন মেইন লাইন ও আপ কর্ডলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। এমনকি ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ হাওড়া-বর্ধমান আপ লাইনে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
তবে বর্ধমান-হাওড়া রেললাইনে শক্তিগড়ের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত থাকায়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা বা গবেষণা যোগ্যতার পরীক্ষা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে।