বাড়ি থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিন প্রজন্মের রক্তাক্ত মৃতদেহ। উদ্ধার হওয়া তিনজন সম্পর্কে হলেন বাবা, ছেলে ও নাতি। রবিবার, নববর্ষের দিন হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর নিরঞ্জন সেননগর অঞ্চলে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্য়ে শঙ্কর হালদার (বাবা), অভিজিৎ হালদার (ছেলে), বর্ণ হালদার (নাতি)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল না ওই পরিবারের তিনজনকে। এরপর এদিন সকালে স্থানীয়রা হঠাৎই দুর্গন্ধ পায়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় বরানগর থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনটি মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে আছে। মৃত্য়ুর কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার আসল কারণ জানতে ইতিমধ্য়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন হাওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বরাহনগর নিরঞ্জন সেন নগর এলাকায়। বরাহনগর নিরঞ্জন সেন নগরের বাসিন্দা তাপস সাহা এলাকারই যুবক শিবু দাসের স্ত্রীকে বিয়ে করেন। তারপর থেকেই শিবু দাস তাপসকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ।
শনিবার রাতে তাপস কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় শিবু তাঁর দলবল নিয়ে তাপসের উপর চড়াও হন। তাপসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে বেলঘড়িয়া সিসিআর ব্রিজের কাছে জঙ্গলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ তাপসের পরিবারের। সেই মারধরের ঘটনা তাঁর স্ত্রীকে ফোনে জানান তাপস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় বরাহনগর নিরঞ্জন সেন নগর এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বরাহনগর থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত শিবু ও তাঁর দলবল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বরাহনগর থানার পুলিস।
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। পাশাপাশি, অয়ন শীলের সংস্থার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন পুরসভার কর্মীদের-ও। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেই সময় কারা পরিদর্শক ছিলেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো বরানগর পুরসভার কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার এই মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার ২ কর্মী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে, এক প্রাক্তনসরকারি কর্মী জানান, তিনি তিনবছর আগে একটি স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তবে বাকি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? সিবিআইয়ের তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি অন্যতম। মূলত, অয়ন শীলের সূত্র ধরে এই দুর্নীতির খবর সামনে আসে। অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন-এ তল্লাশি চালিয়ে এই দুর্নীতির হদিশ পান তদন্তকারীরা। আর এবার সিবিআই-এর স্ক্যানারে বরানগর পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার কারচুপি।
জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভায় নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা পরিদর্শক ছিলেন এবার তাদেরকেই তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী বুধবার ওই পরিদর্শকদের নিজাম প্যালেসে আসতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন, অ্যাম্বুল্যান্স অপারেটর সহ একাধিক পদে নিয়োগ হয়েছিল। এই নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শকদের তলব করা হল সিবিআইয়ের তরফে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে আবারও হাজিরা দিলেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক। এই নিয়ে তৃতীয়বার তলব করা হল অপর্ণা মৌলিককে। ইডির তরফে অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতে ৫ই অক্টোবর দীর্ঘ ১০ ঘন্টা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা।
পাশাপাশি এদিন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকেও তলব করা হয়। তিনিও ইডির দফতরে হাজিরা দেন। এলেন ইডি দপ্তরে। এই নিয়ে চতুর্থ বারের জন্য ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন প্রশান্ত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি ও সিবিআই। বিগত কয়েকদিনে লাগাতার রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি ও সিবিআই-এর দল। অয়ন শীলের সূত্র ধরেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি। এরপর তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় এই দুই এজেন্সি। তদন্তে নেমে সম্প্রতি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও হানা দেন সিবিআই কর্তারা। দীর্ঘ বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। পাশাপাশি মদন মিত্র-সহ তৃণমূলের আরও বেশকিছু প্রথম সারির নেতার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কদম গাছ থেকে উদ্ধার (rescue) এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর (Baranagar) ন'পাড়া শীতলামাতা লেন অঞ্চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বরানগর থানার পুলিস। পুলিস ও পরিবার সূত্রে খবর, যুবকের নাম রাজকুমার জানা (৩৫)। মৃত পেশায় একজন গাড়িচালক। পরিবারের সঙ্গে যুবকটি স্থানীয় মৎস্যজীবী কলোনি এলাকায় ভাড়া থাকত। আদৌ কি আত্মহত্যা না কি খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরবেলায় তাঁরা রাস্তায় বেরিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস দেওয়া এক যুবকের দেহ কদম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এরপরেই স্থানীয়রা বরানগর থানায় খবর দেয়। এরপরেই পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় বাড়ি থেকে বেরোয় রাজকুমার। এরপর সে বাড়ি না ফিরে রাত একটা নাগাদ বাইরের থেকে চাবি দিয়ে সে বেরিয়ে চলে যায়। পরিবারের আরও দাবি, কেন এই ঘটনা সে ঘটালো তা তাঁরা বলতে পারছেন না।
রাজকুমার কোন মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কেউ তাঁকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে কিনা তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে বরানগর থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই বরানগর থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের পরেই গোটা ঘটনার আসল তথ্য উঠে আসবে।
ঘড়ির কাটায় তখন ঠিক ১০ টা। এমন সময় এক বিকট আওয়াজে আচমকাই কেঁপে ওঠে বরানগর (Baranagar)। প্রথমে বোমা বিস্ফোরণ (bomb explosion) ভেবেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু ছুটে বেড়িয়ে আসতেই বোঝা যায় আসলে এই আওয়াজ বোমা বিস্ফোরণের নয়। বরং ভেঙে পড়েছে একতলা একটি বাড়ির একাংশ। বুধবার মাঝরাতেই এই খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় পুলিস আধিকারিকরা। বাড়ির অংশ চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু (death) হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। তবে মাঝরাতে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত (panic) বরানগরের টিএন চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দারা।
পুলিস (police) সূত্রে খবর, বাড়ির ছাদের নিচে চাপা পড়ে যান ওই মহিলা। ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় ছাদ ভেঙে পড়ে তাঁর ওপর। তাতেই পিষ্ট হয়ে যান তিনি। মৃতা বছর ৫৫ এর সুমিত্রা মাইতি। এদিকে ঘটনা খবর পেয়েই রাতেই হাজির হন বরানগর পুরসভার উপপুরপ্রধান দিলীপ নারায়ণ বসু। তিনি প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের তথ্য উড়িয়ে দিলেও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বরানগর থানার পুলিস বলে জানিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিস এবং দমকল ধ্বংসস্তূপ থেকে বাড়ির মালিক ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর ডিসি জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ওই এলাকায় একটি বাড়ির একাংশ বিস্ফোরণে ভেঙে যায়। সেই বাড়ির একটা তীব্র আওয়াজ হয়, পুলিস গিয়ে দেখে ভিতরে এক মহিলা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তদন্তকারী অফিসাররা গ্যাসের তীব্র গন্ধ পেয়েছেন। তবে কোনও আগুনের চিহ্ন ছিল না। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্তে পুলিস।
তবে ঘটনার পরই মৃতার মেয়ে অভিযোগ তুলছেন, তাঁর মা যে বাড়িতে থাকতেন তার পাশেই থাকেন কাকা। প্রোমোটার লাগিয়ে তাঁদের বাড়ি ফ্ল্যাট করার চেষ্টা করছিলেন তাঁর ওই কাকা। কিন্তু তাঁর মা রাজি ছিলেন না। সেই কারণেই তাঁর মাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, তাঁর মেয়ের এই অভিযোগ লিখিতভাবে থানায় জানাতে বলা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত বিষয়। তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমনকী এই ঘটনায় ভেঙেছে আশপাশের কাঁচের জানলাও। আতঙ্কে স্থানীয়রা।
ফের শহরে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু (Death)। এবার বরাহনগরের (Baranagar) পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৬৪-র বৃদ্ধার (Old Woman)। একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুতে চিন্তায় প্রশাসন। বরাহনগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এ কে মুখার্জি রোডের বাসিন্দা ডোনা মুখোপাধ্যায়। কয়েকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যু শংসাপত্রে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, এলাকা ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করতে আসেন পুরকর্মীরা। এলাকায় অনেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকায় যে জঞ্জাল রয়েছে সেটাও পরিষ্কার হয় না বলে জানালেন এলাকাবাসী এবং এক ডেঙ্গি আক্রান্ত। ডোনা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর অঞ্চলে শুরু মাইকিং। পুরসভার উদ্যোগে মাইকিং করে অঞ্চলের মানুষকে ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতন করলেন পুর কর্মীরা। এরপরেই মৃত ডোনা মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যান পুরসভার উপ পুরপ্রধান দিলীপনারায়ণ বসু এবং পুরসভার মেডিকেল অফিসার সহ স্থানীয় পুর প্রতিনিধি।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসক জয়দীপ মজুমদার জানালেন, ডোনা মুখার্জি তাঁর শারীরিক অন্যান্য সমস্যাও ছিল। পাশাপাশি ডেঙ্গি সম্পর্কে অঞ্চলের মানুষজনকে সচেতন থাকার বার্তা দিলেন চিকিৎসক জয়দীপ মজুমদার।
পুজোর আগে বরাহনগরের (Baranagar) সোনাপট্টিতে বড়সড় ডাকাতির (Robbery) ছক বানচাল করল পুলিস। আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার (Arrest) পাঁচ দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, বরাহনগর এ কে মুখার্জি রোডের বাসিন্দা কুখ্যাত দুস্কৃতী শুভম ভট্টাচার্য ওরফে কদম ও তার চার সহযোগী মিলে ডাকাতির ছক কষেছিল।
পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোররাতে ওই দুষ্কৃতীর দল যখন বাইকে চেপে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বরাহনগর সোনাপট্টিতে জড়ো হয়েছিল, সেখান থেকে তাদের আটক করে। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, ১৪ রাউন্ড কার্তুজ, একটি চপার উদ্ধার করে তা বাজেয়াপ্ত করে। সঙ্গে যে বাইকে করে পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন এসেছিল সেই বাইকটিও (Bike) আটক করা হয়।
এরপরেই কদম সহ পাঁচ দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম অভিজিৎ সরকার, সুদীপ্ত সাউ, রবিশঙ্কর দত্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর মালাকার। ধৃত পাঁচ জনকে আজ, শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে। পুলিস সূত্রে খবর, আরও আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধারের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে।
রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস রায়। হঠাৎ কেন এই ইঙ্গিত? নেপথ্যে অভিমান, না অন্য কিছু কারণ? সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তবে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাপসবাবু (Tapas Ray) বলেন, 'আর কয়েকটা বছর সমাজকর্মী বা রাজনৈতিককর্মী থাকার ইচ্ছা নেই। শুধু দলকে (TMC) জানানোটা বাকি। আপনারা ধরে রাখতে চাইলেও আমাকে আটকে রাখা যাবে না।'
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'তাপস রায়েরা দলকে গায়ে মেখে ফেলেছেন। দীর্ঘদিনের কর্মী। তৃণমূলের উত্থান-পতন দেখেছেন। তবে দলকে উনাকে কতটা দেখেছে, সেটাও একটা বিষয়। এখন ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।'
সম্প্রতি সিবিআই-ইডির তদন্তের সূত্রে জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূলের হেভিওয়েট নাম। গত কয়েকমাস একাধিক দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জহর সরকার। যদিও প্রাক্তন আমলার এই মন্তব্যকে ভালো চোখে নেয়নি বাংলার শাসক দল।
পারিপার্শ্বিক এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই কি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ তাপস রায়ের? ঠিক সম্প্রতি যেমনটা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজনীতি এত নোংরা জানলে, কবেই ছেড়ে দিতাম।
বরানগরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে বিস্ফোরক দমদমের সাংসদ সৌগত রায় (MP Saugata Ray)। বিরোধী সিপিএম, বিজেপি কংগ্রেসকে (Opposition) এলাকাছাড়া করার হুঁশিয়ারি প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের। ভাইরাল এক ভিডিওয় সৌগত রায়ের এহেন মন্তব্য ঘিরে ফের তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল। ঠিক কী বলেছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় সৌগত রায় বলেন, 'সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস আপনারা সব তৃণমূলকে চোর ধরো, জেল ভরো বলবেন না। তৃণমূলের সবাই চোর বলবেন না। আমাদের দলের ৯৮% সৎ, ২% দুর্নীতিবাজ। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেব। তাই তৃণমূল মানেই চোর এভাবে বলে বিরোধীরা আমাদের উত্যক্ত করলে তৃণমূল কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। আমরা একবার রুখে দাঁড়ালে ওদের এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।'
এখানেই থামেননি প্রবীণ এই সাংসদ, রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, 'বিরোধীদের কেউ একজন প্রমাণ করুক সৌগত রায় কারও থেকে টাকা নিয়েছে, কোথাও সম্পত্তি রয়েছে। তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। ফালতু অভিযোগ শুনতে রাজি নই।'
মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'যাদের চিনি না, তাঁরা আমাদের দিকে অভিযোগ তুলবে, সেটা ভালো লাগে না। তৃণমূলের লোকেরা ফুঁসছে, তাই বিরোধীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না করলে কপালে দুঃখ আছে।'
সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব বিরোধী দলগুলো। সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা তো বলছি না তৃণমূল চোর। বলছি চোর ধরো, জেল ভরো। তাহলে চোরেদের গায়ে লাগার কথা তৃণমূলের কেন গায়ে লাগছে। সৌগত দা-কে ব্যক্তিগতভাবে আমি শ্রদ্ধা করি। উনি অভিজ্ঞ, বিদগ্ধ, অধ্যাপক মানুষ। কিন্তু এর আগে সৌগত রায় বলেছিলেন বিরোধীদের চামড়া দিয়ে জুতো বানানো হবে। তাহলে কি উনি গণতন্ত্রের সুস্থ সংস্করণ বিরোধী পরিসরের বিরুদ্ধাচারণ করছেন?'
পাশাপাশি প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপির যুবনেতা অনুপম হাজরা জানান, অধ্যাপক মানুষের এমন মস্তিষ্ক কেন এমন বিকৃতি ঘটেছে বুঝতে পারছি না। নাকি উনি অনুব্রত মণ্ডলের জায়গা নিতে চাইছেন? অনুব্রত মণ্ডল তো এই ধরনের ধমক-চমকের রাজনীতি করতেন। ওরা দিনে দুপুরে চুরি করবে আর মানুষ কিছু বলতে পারবে না?'
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও, সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল