নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সির স্বামী তথা বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করল সিবিআই। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও তলব করল সিবিআই। আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে সিবিআই দফতর নিজাম প্য়ালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িত থাকায় এর আগেও তৃণমূলের ওই দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। গতবছর অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকেরা। এমনকি অদিতি মুন্সির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই নথির সূত্র ধরেই আবারও সিবিআই তলব করল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে।
তারপর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকেও কিছু নথি ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছিল সিবিআধিকারিকের তরফে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অ্যাকশন মোডে সিবিআই (CBI)। সোমবার ফের ২ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। আর এবারে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার করা হল নিয়োগ সংক্রান্ত আরও নথি ও অ্যাডমিট কার্ড। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কাউন্সিলরের বাড়িতে এই নথিগুলো কোথা থেকে এল? আর এরই তদন্ত করছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। উদ্ধার করা হয় ১৪ থেকে ১৫ টি চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড এবং ৫ থেকে ৬ টি বদলি সংক্রান্ত নথি। সমস্ত নথি, সিবিআইয়ের কাছে প্রাপ্ত নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও অ্যাডমিট কার্ডের প্রার্থীদের এবং যাঁদের বদলি সংক্রান্ত নথি পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, তাঁদের খুব শীঘ্রই তলব করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এবং এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। প্রায় ১০০ পাতার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কলকাতা পুরসভার একজন কাউন্সিলরের বাড়িতে এত নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কেন ছিল এ নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁকেও তলবের সম্ভাবনা রয়েছে সিবিআইয়ের তরফে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেও রাজনৈতিক মহলে পরিচিত এই কাউন্সিলর।