
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। ট্রাক্টর এবং লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মৃত (Death) এক এবং গুরুতর আহত (Injured) ২৬ জন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতুলপুর থানার পুলিস (Police)। আহত সকল ব্যক্তিদের স্থানীয় কোতুলপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাঁকুড়া রাজ্য বালেশ্বরের ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে বহমান। ঠিক সেই ঘটনা চলাকালীনই ভয়াবহ এক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার কোতুলপুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার অন্তর্গত ছাতিনা গ্রামের ২৭ জন ব্যক্তি একলোকি গ্রামে একটি ট্রাক্টারে করে বিয়ের দেখা শোনার জন্য গিয়েছিলেন। দেখাশোনা সেরে আসার পথেই বিপত্তি।
সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর থেকে জয়পুরমুখী একটি লরি সজরে ধাক্কা মারে সেই ট্র্যাক্টরটিকে। সেই ট্র্যাক্টরে থাকা ২৭ জন ব্যাক্তির মধ্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক ব্যক্তি, এবং গুরুতর আহত হয় বাকিরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃত ওই মহিলার নাম চম্পা মুর্মু (৬০)।
গৃহবধূকে (Housewife) শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে কোতুলপুর থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত (Death) মহিলার নাম লাইলা বিবি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল আসাদুল এবং লাইলা বিবি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আসাদুল বিয়ের একমাস পর থেকেই অকথ্য ভাষায় অত্যাচার চালাতো লাইলা বিবির উপর। শুক্রবার সকাল বেলায় কোতুলপুর এর ধজমনিপুর গ্রামে লাইলা বিবির নিজের শ্বশুর বাড়িতেই তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি সেই দেহকে উদ্ধার করে গোকরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, লাইলা বিবিকে তাঁর স্বামী, দেওর ও শাশুড়ি সবাই মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর দেহটিকে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কোতুলপুর থানায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিস। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত লাইলা বিবির স্বামী, দেওর এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া শিল্পতালুকে স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় বিস্ফোরণ (Exploison)। শরীর ঝলসে আহত কমপক্ষে ১৫ জন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১০ জনকে দুর্গাপরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেসে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১০-১২ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময় ব্লাস্ট ফার্নেসের ভিতরে ধাতব তরল তাঁদের গায়ে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময় আরও বেশি শ্রমিক সেৎানে থাকতে পারেন। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। কীভাবে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বড়জোড়া শিল্পতালুকে এই অঘটনের পরই প্রশ্ন উঠছে। এই জাতীয় অঘটন, আগেও ঘটেছে। আহত হয়েছেন শ্রমিক। সুরক্ষাবিধি ঠিকঠাক মানা হত, কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অভিযান চালিয়ে বিপজ্জনক উপকরণ দিয়ে তৈরী বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ (Fake Alcohol) উদ্ধার করল আবগারি দফতর (Excise Division)। সোমবার রাতে বাঁকুড়া (Bankura) ও পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সীমানাবর্তী এলাকার ঘটনা। লাইসেন্স বিহীন ভাবে মদ মজুত ও ব্যবসার অভিযোগে, হোটেলের মালিক সোমনাথ প্রামানিককে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। এই ধরনের নকল মদ কোথায় তৈরী হয়েছে এবং তা কিভাবে জেলার সীমানাবর্তী এলাকার হোটেলগুলিতে পৌঁছে যাচ্ছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে আবগারি দফতর।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় রমরমিয়ে চলা নকল মদের ব্যবসা নিয়ে। এরপরই ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি একাধিক সূত্রকে তথ্য সংগ্রহে তৎপর করা হয়। তবে সোমবার সন্ধ্যার মুখে খবর আসে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার সীমানায় ৬০ এ জাতীয় সড়কের ধারে মা রক্ষাকালী হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নামের একটি হোটেলে বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ মজুত করা হয়েছে।
খবর পেয়েই অভিযানে নামে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই হোটেলে বেআইনি ভাবে মজুত সমস্ত মদ। আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত সমস্ত মদই নকল বিদেশী মদ। বিভিন্ন নামী দামী মদের লেভেল ও বোতল ব্যবহার করা হলেও আসলে বোতলের ভিতর থাকা অধিকাংশ মদই বিপজ্জনক স্পিরিট দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
নর্দমা (Drain) থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পচা-গলা মৃতদেহ (Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কেরানীবাঁধ এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস (Police)। পুলিস নর্দমার ঢাকনা সরিয়ে পচা গলা দেহটি উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, এলাকাবাসীরাই প্রথমে নর্দমার ঢাকার ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ পান। পরে তাঁরা দেখতে পান নর্দমার ভিতরে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান, এই ব্যক্তিকে কেউ খুন করে নর্দমার মধ্যে ফেলে গিয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
তীব্র গরমে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংকট এলাকায় (Waterproblem)। পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো (Demonstration) বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোড়া ব্লকের অন্তর্গত খাঁড়ারী গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরীশা গ্রামের মহিলারা। ফুলবেড়িয়া থেকে রামহরিপুর রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, পানীয় জলের সমস্যার কথা প্রশাসনকে বারংবার জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সুব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে।
শনিবার, সকাল থেকে গ্রামের মহিলারা দলবদ্ধ ভাবে মেটিয়া পাড়ার মোড় দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এর পর রাজ্য সড়কের মাঝে কলসি বালতি রেখে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকারি আধিকারিকরা এসে পানীয় জলের সুবিধা করে দিচ্ছে ততক্ষণ অবরোধ থেকে উঠবে না এমনটাই দাবি করেন ওই মহিলারা। পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে পথ অবরোধ থাকার ফলে ভোগান্তির শিকার হয় বহু মানুষ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বড়জোড়া থানার পুলিস। বিক্ষোভকারী মহিলাদের সাথে কথা বলেন তাঁদের অভিযোগের কথা শুনে ব্লক অফিসে জানানোর পর সরকারি অফিসার আসে ঘটনাস্থলে। এর পরে পুলিস ও সরকারি আধিকারিকরা বোঝানোর পরে পথ অবরোধ থেকে বিক্ষোভকারীরা উঠে যান। বড়জোড়া থানার পুলিসের তৎপরতায় যানবাহন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়। নিরীশা গ্রামের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে পানীয় জলের কারণে ভুগছে গ্রামবাসীরা। এখন দেখার বিষয় গ্রামের মানুষ প্রশাসনের কাছ থেকে কত শীঘ্রই পানীয় জলের সুবিধা পায়। সেই দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।
চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ভৈরবস্থান এলাকায় অবস্থিত রেলস্টেশনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস (Police) ও জিআরপিএস (GRPS)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিস। মর্মান্তিক এই খবরে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সন্তোষ দে (৪৫)। তিনি বাঁকুড়া শহরের চক বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, সন্তোষ দে অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পরিবারের অনুমান, ঋণের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বাঁকুড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব দে ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মৃতের পরিবারে মা, বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তিনিও বুঝে উঠতে পারছেন না, বলে জানান।
এদিন পুলিস ও জিআরপিএস ওই এলাকা থেকে মৃত সন্তোষের বাইকটি উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
রাস্তা থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হায়নার (Hyena) মৃতদেহ উদ্ধার (Dead Body)। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠান তাঁরা। গাড়ির ধাক্কাতেই হায়নার মৃত্যু হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান বন দফতরের কর্মীদের।
মনে করা হচ্ছে, খাবারের খোঁজে অথবা নতুন বাসস্থানের খোঁজে হায়নাটি এসে পড়েছিল তালডাংরার জঙ্গলে। এলাকা নতুন হওয়ায় ওই এলাকার পরিবেশের সঙ্গে তেমন পরিচিতি ছিল না হায়নাটির। তাই রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কাতেই ওই হায়নাটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বন দফতরের দাবি, হায়নাটির মর্মান্তিক মৃত্যু বেদনাদায়ক হলেও তালডাংরা ও পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে হায়নার আগমন প্রমাণ করছে ওই জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র ভালো হয়েছে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জঙ্গলে বিভিন্ন সময় হায়নার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও তালডাংরা লাগোয়া জঙ্গলে হায়নার দেখা মেলেনি। তালডাংরা থেকে পাঁচমুড়ার রাস্তায় এই হায়নার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রমাণ হল, তালডাংরা জঙ্গলেও হায়নার বসবাস রয়েছে। হায়না একা থাকে না তাই বন দফতরের ধারণা, তালডাংরা ও আশপাশের জঙ্গলে আরও একাধিক হায়না রয়েছে।
বড় দুর্ঘটনার থেকে বাঁচল মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক হঠাৎ রেলের (Railway) হাইটেনশন (Hightension) পোলের উপর উঠে পড়ে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ওই যুবককে নামানোর চেষ্টা করে স্থানীয়রা। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে দেখতে পেয়ে গেটম্যান সঙ্গে সঙ্গে রেলের কন্ট্রোল রুমে জানান। এই জেনে তৎক্ষণাৎ ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। বাঁকুড়া (Bankura) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস সংলগ্ন রেলের ৩ নম্বর গেটের ২৩১/৩১ রেলের পোলের উপর এই ঘটনাটি ঘটে।
সূত্রের খবর, ওই যুবকটি পোলের উপরে থাকার কারণে হাইটেনশন লাইনের ইলেকট্রিক সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানতে পারা গিয়েছে। তারপরেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেলের পুলিস। তাঁরা ওই যুবকটিকে পোলের উপর থেকে নামানোর চেষ্টা করে। খানিকক্ষণ চেষ্টার পরে ওই যুবক নিজেই নিচে নেমে আসে। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাঁকুড়ার রেল পুলিস (Police)।
রেল পুলিস সূত্রে খবর, ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিচয় জানা গেলেই তাঁকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেবে রেল পুলিস, এমনটাই জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) যত এগিয়ে আসছে ততই গ্রামাঞ্চলের বাস্তব চিত্রটা সামনে আসছে। কোথাও বেহাল রাস্তার (Road Problem) অভিযোগ, কোথাও আবার পানীয় জলের দুর্দশা। সবক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে প্রশাসনের উপরে। এবার বেহাল রাস্তার অভিযোগ বাঁকুড়ার (Bankura) উখড়াডিহি গ্রামে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উখড়াডিহি ফরেষ্ট অফিস থেকে আখড়ার মোড়-বারালি গ্রাম পর্যন্ত, তিন কিলোমিটার রাস্তা গত ১৯ বছরেও সংস্কার হয়নি। অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি।
উখড়াডিহি গ্রামের ষোলো আনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০০২-০৩ সালে প্রধান মন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে রাস্তা তৈরী হয়। কয়েক বছরের মধ্যেই সেই রাস্তার একাংশ যান চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে 'পথশ্রী' প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এলাকার প্রায় ৩০ টি গ্রামের মানুষের দাবি মানা হয়নি। এবিষয়ে বারবার স্থানীয় ব্লক কার্যালয় থেকে জেলা পরিষদ সর্বত্র দরবার করেও কোনওরকম কাজ হয়নি। এবার ঐ দাবি পূরণ না হলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা 'বয়কট' করবেন বলেই জানিয়েছেন। এবার দেখার বিষয় প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয় কিনা!
কলে জল (Water) নয় পড়ে বালি আর কাদা। একদিকে যেমন তীব্র দাবদহ (Heat wave) তেমন অন্যদিকে জলের অভাব। জলসংকটে ভুগছে বাঁকুড়া (Bankura) ওন্দা ব্লকের দামোদরবাটি গ্রামের একটা অংশ। এই তীব্র গরমে পানীয় জলের প্রবল সংকটে নাজেহাল বাসিন্দারা।
কল আছে তবে সেই কলে জলের বদলে বের হয় কাদা আর বালি। পাইপ লাইন থেকেও না থাকা। যার কারণে অসহায় হয়ে এই প্রবল গরমে পানীয় জল আনতে গ্রামবাসীদের ছুটতে হচ্ছে এক কিমি দূরে থাকা নলকূপে। এই নলকূপই এখন বড় ভরসা বাঁকুড়া ওন্দা ব্লকের দামোদরবাটি গ্রামের একটা অংশের মানুষের। প্রশাসন স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও হয়নি কোন সমাধান। এই গরমে পানীয় জলের পরিষেবা না পেয়ে এবার ব্যাপক ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয়দের দাবী, এই প্রচন্ড গরমের মধ্যেও প্রয়োজনীয় পানীয় জলটুকু পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে প্রতিদিন জল আনতে যেতে হয়। কারণ জলই জীবন জল ছাড়া মানুষ বাঁচবে কীভাবে? পঞ্চায়েতে জলসংকটের কথা জানানো হলে সেখান থেকে কল ঠিক করে দেওয়া আশ্বাস দেওয়া হয়। এবার দেখার বিষয় কবে জলের সমস্যার সমাধান মেলে।
হঠাৎই হরিণের (deer) দেখা জঙ্গল লাগোয়া চাষের জমিতে। রাইপুর (Bankura) থানার মটগোদা বিট এলাকার লোহামেড়্যা গ্রামে দেখা মিললে একটি পূর্ণবয়স্ক হরিণের। জঙ্গল লাগোয়া জমিতে হরিণটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা কয়েকজন হরিণের সেই মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন।
খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বন দফতরের (Forest Division) মটগোদা বিট অফিসে। পরে বন দফতরের লোকজন এসে এলাকায় হরিণটির খোঁজ খবর চালায়। তবে রাত পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি হরিণটির। এমনকি কোথা থেকে এলো এই হরিণ এবং কোথায় বা গেল হরিণ, তার তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর।
তফসিলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে কুড়মিদের (Kurmi) ঘাঘর ঘেরা কমিটির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে বুধবার সকাল থেকেই স্তব্ধ হল বাঁকুড়া (Bankura) এবং ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জনজীবন। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুর, খাতড়া, সারেঙ্গা, পি মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় বনধের সমর্থনে পথে নামেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বিক্রমপুর এলাকায় বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক এবং খাতড়া এলাকায় বাঁকুড়া-রানিবাঁধ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হন কুড়মিরা।
বুধবার সকাল থেকেই বনধের প্রভাবে বাঁকুড়ার রাইপুর, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা, সিমলাপাল এবং খাতড়া ব্লকের দোকান-বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। বাস এবং অন্যান্য যাত্রিবাহী গাড়ি চলাচলও বন্ধ। ফলে অসুবিধায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তবে বাঁকুড়া সদর মহকুমা এবং বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায় কুড়মিদের বন্ধের সে অর্থে কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি। ওই দুই মহকুমা এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দোকান-বাজারও খোলা।
কুড়মিদের তফসিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা এবং কুড়মালি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে সপ্তাহ দুই আগে পুরুলিয়ার কুস্তাউর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে ‘রেল টেকা, ডহর ছেঁকা’ (রেল রোকো ও পথ অবরোধ) কর্মসূচির ডাক দেন কুড়মিরা। এই কর্মসূচির জেরে টানা ৫ দিন ধরে বিপর্যস্ত ছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা এবং খড়্গপুর শাখার রেল চলাচল। একাধিক সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় যান চলাচলেও তার প্রভাব পড়ে। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার সাধারণ মানুষ। পাঁচ দিন পর সরকারি আলোচনার আশ্বাসে অবরোধ উঠলেও তখনই আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন যে দ্রুত দাবিপূরণ না হলে তাঁরা আবার আন্দোলন করবেন। কুড়মি নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পরেও কুড়মিদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার ব্যাপারে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ না করায় বুধবার আবার জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে ‘হুড়কা জাম’ (বন্ধ)-এর ডাক দেয় কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কমিটি। এই আন্দোলনকে বাইরে থেকে সমর্থন জানায় কুড়মিদের আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন।
বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ঝাড়গ্রামে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিসবাহিনী। বুধবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথার মোড় প্রায় জনশূন্য। সকাল থেকে খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট। যেখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক দূরপাল্লার সরকারি এবং বেসরকারি বাস। সেখানে কেবলমাত্র একটি সরকারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় কলকাতা যেতে গিয়েও বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের। কলকাতাগামী সরকারি বাসের এক কন্ডাক্টর বলেন, ‘সকালে বাস নিয়ে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় আবার ফিরে এসেছি। কলকাতা যেতে পারিনি। বন্ধের জেরে সকাল থেকে কোনও বেসরকারি বাসের দেখা নেই। ভাবছি, বাস ডিপোতেই ফিরে যাব।’
ঝাড়গ্রাম শহরের দোকানপাট সকাল থেকেই বন্ধ। কয়েকটি স্কুল ছাড়া শহরের সরকারি, বেসরকারি স্কুলগুলোও বন্ধ রয়েছে। কুড়মি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের সংগঠনের পতাকা বেঁধে দিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম পুরসভার গেটেও বাধা রয়েছে কুড়মি সামাজিক সংগঠনের ঝান্ডা। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি, শিলদা, বিনপুর, গিধনি, গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইলেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে এই বন্ধের। আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো বলেন, ‘সকাল থেকে বনধের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। আমাদের দাবিগুলো সাধারণ মানুষ সমর্থন করছেন। তাই রাস্তাঘাট ফাঁকা এবং দোকানপাটও বন্ধ।’
এপ্রিলের তীব্র গরমে (Heat wave) হাঁসফাস অবস্থা সাধারণ মানুষের। তবে শনিবার সকালে সামান্য স্বস্তিতে বাঁকুড়াবাসী। তাপমাত্রার রেকর্ড বলছে, বাঁকুড়া (Bankura) জেলার পারদ ৪৪ ডিগ্রি থেকে নেমে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। শুক্রবার মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং হালকা বাতাস অনুভব করেছেন বাঁকুড়াবাসী। শনিবার সকাল থেকে কয়েকদিনের তুলনায় গরম সামান্য কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়াবাসী যে তীব্র দাবদাহ অনুভব করেছেন, শনিবার তার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী থাকবে। যার ফলে জেলাবাসী একটু হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারবেন। কয়েকদিনের গরমে রীতিমতো হাঁসফাস করছিলেন বাঁকুড়া জেলাবাসী।
শুক্রবারের শীতল হাওয়ায় সামান্য পারদ পতনে, শনিবারে কিছুটা হলেও আস্বস্ত হয়েছেন বাঁকুড়াবাসী। সেখানে তাপমাত্রা শনিবার এবং সোমবার পর্যন্ত নিম্নমুখী থাকবে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এখনই গরম কমছে না, বরং পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (Bank) ম্যানেজার সহ কোষাধক্ষ্য এবং দুই সিএসপির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সোনামুখী বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কে বিক্ষোভ (Agitation) করলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া (Bankura) জেলার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২০০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ৯১টি গোষ্ঠীর প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। যার ফলেই বিক্ষোভে নামেন গোষ্ঠীর সদস্য মহিলারা। বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় একাধিক গাড়ি ফলে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, যাঁরা এই টাকা আত্মসাৎ করেছে, অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়া হোক।
এক বিক্ষোভকারী জানায়, গোষ্ঠীর সব টাকা আত্মসাত্ করেও তাঁদের উপরে লোনের বোঝা চাপানো হয়েছে। এমনকি প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।