কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সিআইডির (CID) হাতে ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (Bnak Manager)। মঙ্গলবারের বসিরহাট (Basirhat) হাড়োয়া এলাকার ঘটনা। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাম যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়া। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ছিল, এবং ওই ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি।
ব্যাঙ্ক মারফত খবর, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রাহকদের তরফে অভিযোগ আসছিল, বসিরহাটের মোহনপুরের সমবায় সমিতির ব্যাংকের গ্রাহকদের লোন দেওয়ার নাম করে সই নকল করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সমবায় ব্যাংকের ম্যানেজারে যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পরই তদন্তে নামে সিআইডি। এলাকার বেশকিছু গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানায় বেশ কিছুদিন আগেই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি।
তদন্তে নেমে মঙ্গলবার গভীর রাতে মোহনপুর এলাকা থেকে ব্যাংক ম্যানেজার যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃত ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে যজ্ঞেশ্বর ভূঁইয়াকে পেশ করে সিআইডি। ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে আবেদন জানিয়েছে সিআইডি।
প্রতারণার (fraud) ঘটনা নতুন কোনও কিছু বিষয় নয়। প্রতিদিনই কোনও না কোনওভাবে সাধারণ মানুষ এই প্রতারণার শিকার। যার পিছনে রয়েছে বড় একটি প্রতারণা চক্র। ফের রাজ্যে এমনই এক প্রতারণার পর্দা ফাঁস। ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা দেব, তাঁর টাকাও অ্যাকাউন্ট থেকে এক নিমেষেই গায়েব। অভিযোগ, গত ২১ তারিখ এক অজানা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। বলা হয় তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার (Bank manager) বলছেন এবং তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে। কারণ, তিনি নাকি ব্যাঙ্ক এসএমএস লক্ষ্য করেননি। এরপরই তাঁর কাছে ওটিপি থেকে শুরু করে এটিএম কার্ডের নম্বর-সহ একাধিক তথ্য জেনে নেওয়া হয়। পক্ষান্তরে গ্রাহকের বেশ কিছু তথ্য সঠিকভাবে পরিবেশন করেন জনৈক 'ব্যাঙ্ক ম্যানেজার'।
অভিযোগ, এটিএম কার্ডের নম্বর বলার পরেই তৎক্ষণাৎ "উহু" নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর ফোনে এসএমএস আসে। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৭০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ পুরো ব্যালেন্সটাই তুলে নেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপরই অন্নপূর্ণা দেবী বুঝতে না পেরে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন, কোনও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে ফোন করেনি। তিনি জালিয়াতির শিকার। সমস্ত টাকাটাই জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে একটি চক্র। এরপরই তিনি বারাইপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ করা হয় সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে।
কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এভাবেই ফোন করে একাধিক সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে অচিরেই এই ধরনের প্রতারণাকারী চক্র বিশ্বাসের জাল বিছিয়ে রয়েছে। আর তারপরেই খোয়া যায় মূল্যবান টাকা। তাই সজাগ, সচেতন এবং অবশ্যই সতর্ক থেকে লক্ষ্য রাখতে হবে এই ধরনের প্রতারণার চক্রে যাতে পা না দেওয়া হয়।