রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর কলকাতার বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রা। ইডি সূত্রে খবর এমনই। মঙ্গলবার সকালে ইডি দফতরে যান শংকর আঢ্যর মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্য। শংকরের নামে একাধিক এফএফএমসি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি। এমনকি তাঁর পরিবারের অন্যান্যদের নামেও এফএফএমসি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি। ইতিমধ্যেই শংকর আঢ্যর ভ্রাতৃবধূকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এ বিষয়েই হয়তো শংকর আঢ্যর মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।
উল্লেখ্য, শংকর আঢ্যর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পেতে সোমবার কলকাতা ও সল্টলেকের ৪ জায়গায় তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজরে ছিল ধর্মতলার কাছে মারকুইজ স্ট্রিটে তাঁর ফ্ল্যাট ও অফিসে। সেখানে একটি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র চলত শংকর আঢ্যর নামে। সূত্রের খবর, সেই অফিস থেকেই প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ভারতীয় টাকায় যা প্রায় ৮ লক্ষের কাছাকাছি। ইডি কর্তাদের প্রশ্ন, এত বাংলাদেশি মুদ্রা কেন অফিসে? এর সঙ্গে কোনও বেআইনি বিষয় যুক্ত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাঁটাতার ভাগ করেছে ভারত-বাংলাদেশের সীমানা। কিন্তু দুই দেশের মানুষের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা অক্ষত রয়েছে। বিশেষ করে দুই দেশের দর্শকেরা গানই হোক বা সিনেমা, তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন। এইভাবেই যেমন ভারতের অনেক অভিনেতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন বাংলাদেশবাসী। একইভাবে বাংলাদেশের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গেও পরিচিত হয়েছেন এপার বাংলার মানুষ। সেইভাবেই দর্শকেরা চিনেছেন তাসনিয়া ফারহিনকে।
বাংলাদেশের নাটক যারা দেখেন, তারা তাসনিয়া ফারহিনকে ভালোই চেনেন। প্রত্যেকটি নাটকেই তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন দর্শকেরা। বিশেষ করে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর পাশেও নিজের অভিনয় দাপট বজায় রেখেছিলেন অভিনেত্রী। পরিচালক অতনু ঘোষের 'এক পৃথিবী' সিনেমা দিয়ে, টলিউডে ডেবিউ করেছেন তাসনিয়া। তাঁকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই দর্শকদের। বিশেষ করে তাঁকে যখনই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি গোপনেই রেখেছিলেন মনের ঠিকানা। এবার জানা গেল, তাসনিয়ার মনের ঠিকানা।
সাড়ে ৮ বছর প্রেম করার পর, ১১ অগাস্ট বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর মনের মানুষের নাম শেখ রিজওয়ান। তাসনিয়া নিজে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, 'সাড়ে আট বছরের ভালোবাসা এবং বন্ধুত্ব। ১১ অগাস্ট আমরা অবশেষে অফিশিয়াল করলাম। যদিও অনেকটা সময় হয়ে গিয়েছে, কিন্তু প্রথম দিনের মতোই আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আমি তোমার মধ্যে শান্তি পেয়েছি। বাইরের চিৎকারকে অগ্রাহ্য করে আমরা শান্তির ঘর বানিয়েছি।'
একই পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, অভিনয় জগতের অংশ না হয়েও কীভাবে এই আট বছরে তাঁর পাশে থেকেছেন রিজওয়ান। তাসনিয়া জানিয়েছেন, পরিবারের কাছের সদস্যদের নিয়ে আইনি বিয়ে সেরেছেন। কারণ তাঁর স্বামী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত। তিনি ফিরে এলেই কাছের বন্ধু এবং সহকর্মীদের নিয়ে সেলিব্রেট করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তাসনিয়া। শেষে সকলের থেকে আশীর্বাদ চেয়েছেন।
সোনা পাচার (Gold Sumggler) করতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) হাতে আটক এক বাংলাদেশী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত বাংলাদেশের বনগাঁ (Bangaon) পেট্রাপোল সীমান্তে। উদ্ধার হওয়া সোনাগুলি পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। আটক ওই বাংলাদেশীকে কাস্টমস অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, আটক ওই বাংলাদেশীর নাম রত্নদীপ রায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩০.৭০ গ্রাম ওজনের সোনার চেইন ও একটি ব্রেসলেট। যার মূল্য ১৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫১৬ টাকা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাত্রীদের ভারত-বাংলাদেশ চলাচলের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশী যাত্রীকে আটক করা হয়। ওই যাত্রীর গলায় একটি ভারী চেইন দেখতে পান বিএসএফের জওয়ানরা। যা ৯৯.৯৯ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি। এরপরে, জওয়ানরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলে তার টি-শার্ট থেকে একটি সোনার মোটা ব্রেসলেট উদ্ধার হয়। বিএসএফের দাবি, এই সোনার বিষয়ে ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। তাই অবিলম্বে তাকে আটক করা হয়।
বিএসএফের আরও দাবি, বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যাত্রী বলেন, সে একজন স্বর্ণকার এবং বাংলাদেশে তার নিজস্ব সোনার দোকান আছে। সে তার দোকানে এই চেইন ও ব্রেসলেট তৈরি করে। সে আরও জানায়, কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চোখ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে ভারতে আসছিল। তবে টাকার অভাব থাকায় সে এই সোনা সঙ্গে নিয়েছিল এবং ভারতে এসে বিক্রি করতে চেয়েছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন জনসংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য। তিনি বলেন, বিএসএফ চোরাকারবারিদের প্রতিটি ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফাঁদ শক্ত করেছে। চোরাচালানকারীরা বারবার সোনা পাচারের চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।
ফের তিনটি গরু সহ বিএসএফের (BSF) হাতে গ্রেফতার (Bangladeshi Arrest) হল দুই বাংলাদেশী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায়। এই ঘটনার পরেই বিএসএফ-র পক্ষ থেকে ধৃতদেরকে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিসের (Police) হাতে তুলে দেওয়া হয়। শনিবার ধৃত দুই বাংলাদেশীকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই বাংলাদেশীর নাম সরজুল শেখ (২৪) ও আনারুল শেখে (২৪)। তারা দুজনেই বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করার সময় ওই দুই বাংলাদেশীকে দেখতে পায় সীমান্তের জওয়ানরা। এই ঘটনায় ওই দুই জনকে দেখে জওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে বিএসএফ। বিএসএফ-র দাবি, মালদহ থেকে গরু গুলো নিয়ে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা হয়ে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৫ জন বাংলাদেশী (Bangladeshi) মহিলা সহ তিন ভারতীয় এজেন্টকে গ্রেফতার (Arrest) করা হলো। গ্রেফতার করলো শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিসের নিউ জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানার পুলিস। এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। ধৃতদের সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে রবিবার গভীর রাতে অভিযান চালায় স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিস। প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিস জানায়, ধৃত বাংলাদেশী মহিলাদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে এদেশে নিয়ে আসা হচ্ছিল। তাই অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর দিনাজপুর জেলা হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছয় ওই পাঁচ মহিলা। এরপরই পুলিসের জালে ধরা পড়ে ওই পাঁচ মহিলা।
ভালো সিনেমার কোনও দেশ নেই, বিভেদ নেই। ওপার বাংলার এপার বাংলার ইলিশে চিংড়িতে তর্ক হলেও, ভালো সিনেমা তর্কাতীতভাবে গ্রহণ করতে পারেন সিনেমা প্রেমী দর্শক। 'হাওয়া' তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। সিনেমাটি কলকাতায় কার্যত তুফান তুলেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বিকেলের শো দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে সিনেমাহলে ঢুকেছিলেন কাতারে কাতারে দর্শক। বাংলাদেশে (Bangladesh) সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া 'সুড়ঙ্গ' (Suranga) সিনেমাটি নিয়েও এই বাংলার দর্শকেরা অধীর আগ্রহে ছিলেন। কোনওভাবে যদি কাঁটাতার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসে সিনেমাটি।
এবার দর্শকদের জন্য সুখবর। আফরান নিশো অভিনীত সুড়ঙ্গ এবার দেখতে পাবেন কলকাতার দর্শকেরা। কলকাতার জনপ্রিয় প্রযোজনা সংস্থা সিনেমাটি হলে প্রদর্শনীর দায়িত্ব নিয়েছেন। এই খবরে খুবই খুশি, সিনেমার কেন্দ্রীয় অভিনেতা নিশো। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'সংস্কৃতিকে সংগঠিত করায় বাংলা সিনেমার ক্ষমতার সাক্ষ্য দে সুড়ঙ্গ। আমি নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গে সুড়ঙ্গ মুক্তি পেলে সেখানকার দর্শক সিনেমাটিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন।'
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ সুড়ঙ্গ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। প্রযোজনা সংস্থা থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে ছবিটি। কথা মতো জনপ্রিয় সব সিনেমাহলে দেখা যাচ্ছে ছবিটি।
বাংলাদেশী অভিনেত্রী (Atress) পরীমণি (Pori Moni) কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কদিন আগেই তাঁর ছোট ছেলে রাজ্যর ১১ মাস পূর্ণ হয়েছে। তারপরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগেই জ্বরে অসুস্থ হয়েছিল পরীমণির সন্তান। আবারও বোধহয় অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে। তবে ছেলের এই শারীরিক পরিস্থিতি একা হাতে সামলাচ্ছেন পরিমণি। কাছে নেই সন্তানের বাবা শরিফুল রাজ। এমন সময় কী পরিস্থিতি পরীর মনের, নিজেই বললেন সামাজিক মাধ্যমে।
পরীমণি সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের একটি ছবি দিয়ে বলেছেন, ' আজ ৰিথমবার তোমার ক্যানেল করা হল। আমি একা। তোমাকে বুকে ধরে সাহস জোগায় সামনের এমন আরও কঠিন দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি। অনেক কঠিনেরে মোকাবিলা করব বলে। আমি জানি তুমি আমার স্ট্রং বয়। মায়ের সমস্ত বিশ্বাস জুড়ে থেকো। আর আমাকে আম্বা বলেই ডেকো। আমি জানি এই আম্বাটা কি। আমি তোমার আম্মাও আব্বাও।'
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই স্বামী শরিফুল রাজের অন্যান্য নায়িকার সঙ্গে কিছু ছবি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই, তাঁর সঙ্গে থাকছেন না পরীমণি। ছেলে মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি এখন একা। কারণ শরিফুল রাজ বর্তমানে নিজের শ্যুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত। অভিনেত্রীর এই সময়গুলোতে নিজেকে একা লাগলেও ছেলের মা ও বাবা দুই ভূমিকাতেই থাকতে চাইছেন অভিনেত্রী।
বাংলাদেশী (Bangladesh) অভিনেত্রী পরীমণি (Porimoni) মাঝেমধ্যেই চর্চায় উঠে আসেন। অভিনেত্রীর জীবনের প্রেম-বিবাহ-বিচ্ছেদ তাঁর ডানায় বিতর্ক জড়িয়েছে। পরীমণি ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশী অভিনেতা শরিফুল রাজকে (Sariful Raj)। তাঁদের কোলজুড়ে এসেছে সন্তান রাজ্য। কিন্তু পরীর চতুর্থ বিবাহ বোধহয় আর টিকল না। রাজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী। এমনকি তিনি আর রাজের সঙ্গে থাকতে চান না, এই ঘোষণাও করেছেন।
কিছুদিন আগেই রাজ শরিফুলের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তিন অভিনেত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরেই পরীমণি ছেলে রাজ্যকে নিয়ে শরিফুলের বাড়ি ছাড়েন। যদিও শরিফুলের বক্তব্য, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পরীমণি নিজেই সেই ভিডিও ভাইরাল করেছেন। তবে রাজের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পরী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তিনি যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাজ একবারও তাঁকে দেখতে যাননি, সেই সময়েই নাকি রাজ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সম্প্রতি পরীমণি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমি চাই সে আমার সঙ্গে বিচ্ছেদ করুক। আমি তাঁর স্ত্রী হিসেবে পরিচিত হতে চাইছি না। আমাকে রাজের প্রাক্তন বলে সম্বোধন করলে আমি বেশি খুশি হব। ' তাহলে কী পরী রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ করছেন? অভিনেত্রীর কথায়, 'আমার সঙ্গে রাজের মানসিক- শারীরিক সম্পর্ক নেই। বিচ্ছেদ তো হয়েই গিয়েছে।'
পুলিস ও বিএসএফের (BSF) যৌথ টহলদারিতে দুই পৃথক সীমান্ত থেকে ৫ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার (Arrest) করল। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার পুলিস (Police) আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিস কর্মী ও আধিকারিকরা। তখনই এমন ঘটনা ঘটে। ধৃত এই ৫ বাংলাদেশীকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিথারী সীমান্ত এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সন্দেহজনক চারজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিস। তাদের চলাফেরা দেখেও সন্দেহ হয় পুলিসের। পরে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় তারা বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে তারা এদেশে প্রবেশ করেছে। তখনই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ওই চারজন বাংলাদেশীকে। তাদের মধ্যে দু'জন পুরুষ ও দু'জন মহিলা। তারা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দিল্লি ও মুম্বইতে কাজের লোভেই তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে স্বরূপনগরেরই হাকিমপুর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশী মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমনি (Parimoni)। গত শুক্রবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, তাঁর ১০৩ জ্বর। তারপর পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ৯ মাসের সন্তান রাজ্য একেবারে ছোট। মায়ের মন সন্তানকে ছেড়ে থাকতে পারেনি। তাই হাসপাতালে মায়ের বিছানাতেই সঙ্গী হয়েছে একরত্তি। সামাজিক মাধ্যমে পরীমণি নিজেই সেকথা শেয়ার করেছেন।
মাতৃ দিবসে একটি ছবি শেয়ার করে পরীমণি লিখেছিলেন, 'মায়েদের জীবন সত্যিই সুন্দর কঠিন'। ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পরীর হাতে চ্যানেল করা হয়েছে। এদিকে তাঁর পাশে শুয়ে নিশ্চিন্ত ঘুমে রাজ্য। এই ছবি দেখে অবশ্য মন গলেছে নেটিজেনদের। তাঁরা পরীমণির মায়ের কর্তব্য পালন করতে দেখে প্রশংসা করেছেন। একসঙ্গে পরীমণির আরোগ্য কামনা করেছেন নেটিজেনরা।
বাংলাদেশের অভিনেত্রী হয়েও এই বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয় পরীমণি। ফেলে আসা বছরগুলোয় পরীর ডানায় এত বিতর্ক এসে লেগেছে যে তাঁকে নিয়ে দিকে দিকে আলোচনা হয়েছে। তাঁর সম্পর্ক নিয়ে চর্চা, তাঁকে গ্রেফতারি নিয়ে চর্চা। নেট মাধ্যমে তাঁর দিকে নেটিজেনরা কুমন্তব্য ঢেলে দিলেও, দিন শেষে পরীর সৌন্দর্যে সকলেই ঘায়েল।
বাংলাদেশে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন নুসরত ফারিয়া (Nusrat Faria)। কাঁটাতারের সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতার ছবিতে অভিনয় করেও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ভেঙে-গড়ে আরও পরিণত করে তুলছেন তিনি। দিনে দিনে বাড়ছে তাঁর ভক্ত সংখ্যা। নুসরতের সিনেমা দেখতে যেমন ভিড় জমান দর্শক ঠিক তেমনই সামাজিক মাধ্যমেও তাঁর ছবি, গতিপ্রকৃতি দেখতে আগ্রহী নেটিজেন। সম্প্রতি নিজের 'উষ্ণ' ছবি দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। নিজের ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে লিখেছেন। নতুন কাজের সুখবরও শুনিয়েছেন একইসঙ্গে।
নুসরত নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সমুদ্র কিনারে দাঁড়িয়ে একটি ছবি দিয়েছেন। নীল সুইমিং স্যুটে মোহময়ী দেখাচ্ছে তাঁকে। স্পষ্ট বক্ষ বিভাজিকা। কোমরের নীল সাদা স্লিট রাপারে উন্মুক্ত একটি পা। সেই পায়ে স্পষ্ট ট্যাটু। ছবি পোস্ট করে নুসরত লিখেছেন 'আমার উচ্চতা ৫ ফুট ৩, কিন্তু মনোভাব ৬ ফুট ১।' এই ছবি দিয়ে তিনি আসন্ন গান 'বুঝি না তো তাই' এর প্রচার করেছেন। ছবি দেখে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য সীমান্ত থেকে তিন বাংলাদেশী গ্রেফতার(Arrest)। বিএসএফ তাদের প্রথমে আটক করে, পরে স্বরূপনগর থানার হাতে গ্রেফতার তিন বাংলাদেশী। ধৃত ওই তিন বাংলাদেশীকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। সীমান্তরক্ষী সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে তিনজন বাংলাদেশী ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করছিল। ওই তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও দু'জন মহিলা ছিল। ভারতে অনুপ্রবেশের সময় হাকিমপুরের সীমন্তরক্ষী বাহিনীর ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা(BSF) তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোনওরকম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে না। যার জেরে তাঁদের তিনজনকে আটক করে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেন জওয়ানরা।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই তিনজন বাংলাদেশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও নড়াইল এলাকায়। মুম্বই যাওয়ার উদ্দেশে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরপর স্বরূপনগর থানা পুলিসের পক্ষ থেকে ওই তিনজন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে। এমনকি ধৃত ওই তিন বাংলাদেশীকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
সাইকেলের টিউবের মধ্যে বাংলাদেশী টাকা পাচার(Money Smuggling), গ্রেফতার এক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ আরশিকারি সীমান্তের ঘটনা। উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম মনসুর মোল্লা(৬০)। স্বরুপনগর বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আরশিকারি গ্রামের বাসিন্দা মনসুর। এদিন সাইকেলে চেপে স্বরূপনগরের দিকে আসছিল মনসুর। সেই সময়ই মনসুরকে দেখে ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জওয়ানদের সন্দেহ হয়। জওয়ানরা প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তারপর অভিযুক্তের সাইকেলে তল্লাশি করে। তল্লাশিতে
মনসুরের সাইকেলের টায়ারের ভিতরে টিউবের মধ্যে রোল করে রাখা সাতটি টাকার ব্যান্ডিল পাওয়া যায়। বান্ডিল খুলতেই দেখা যায় সেগুলি বাংলাদেশী টাকা।
প্রায় দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তের কাছ থেকে। পাচাকারী মনসুর মোল্লাকে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। বিএসএফ-র তরফে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়, পাচারকারীকে জেরা করছে পুলিস ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শনিবার মনসুর মোল্লাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বিএসএফ-র প্রাথমিক অনুমান, সীমান্ত সুরক্ষার নজরে এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে এই টাকা এদেশে ঢুকেছে।
নাগেরবাজার, দমদম ও নিমতা অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাত করছিল রবিউল গাজী নামে এক ওয়ান্টেড দুষ্কৃতী (Dacoity)। নাগেরবাজার থানা এলাকায় তার বিরুদ্ধে খুন এবং ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি নিমতা থানা এলাকায় একইভাবে অভিযুক্ত রবিউল। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের (Barrackpur Commissionarate) বিশেষ সিট অবশেষে গ্রেফতার করেছে রবিউলকে। জানা গিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশের বাসিন্দা, তার দমদমের (Dumdum) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বাংলদেশি পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ব্যারাকপুর কমিশনারেট তাকে ওয়ান্টেড চিহ্নিত করে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
ঠিক কী অভিযোগ রবিউলের বিরুদ্ধে? জানা গিয়েছে, গাছ থেকে নারকেল পাড়া, জঙ্গল পরিষ্কার কিংবা বাগানের গাছ ছাঁটাইয়ের নাম করে ঢুকত রবিউল। মূলত যে বাড়িতে অল্প কিছু মানুষ, সেই বাড়িকে টার্গেট করত সে। গৃহকর্তা বা গৃহকর্ত্রীর একা থাকার সুযোগে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে লুটপাট চালাত রবিউল।
নাগেরবাজারে এমন এক ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। নিমতা থানা এলাকায় এক মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যদিও এখন তিনি সুস্থ। এরপরেই ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেট নাগেরবাজার, দমদম এবং নিমতা থানার পুলিসকে নিয়ে একটি সিট গঠন করে। সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া রবিউলের ছবি সামাজিক মাধ্যমে সার্কুলেট করে পুলিস। অন্য থানার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে দমদমে অভিযুক্তর এক বাড়ির সন্ধান মেলে। সেখানে সে কয়েকদিন থেকেছে। সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রবিউলের পরিচয় এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করে পুলিস। অবশেষে পুলিসের জালে ওয়ান্টেড রবিউল।
কোয়েম্বাতুর বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) গাইতে না পেরে অভিবাসন দফতরের (Immigration Department) হাতে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake Passport) বানিয়ে পরিচয় গোপন করে ভারতে থাকছিল সে। কিন্তু জাতীয়তাবোধের পরীক্ষায় উতরোতে না পেরে ফেঁসে গেলেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। জানা গিয়েছে, শারজা থেকে এক বিমানে কোয়েম্বাত্তূরে নামে ওই বাংলাদেশি। তখনও নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে দাবি করে সে। তার পাসপোর্ট এবং জন্ম শংসাপত্র দেখতে চাওয়ায় সেই নথিও পেশ করে অভিযুক্ত। ভারত সরকারের নামাঙ্কিত পরিচয়পত্রে কোনও গোলমাল ধরতে পারেননি অভিবাসন দফতরের দুঁদে কর্তারা। কিন্তু তারপরও সন্দেহ না যাওয়ায় তাঁকে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন তাঁরা।
বাংলাদেশের নাগরিকের ভারতেরর জাতীয় সঙ্গীত জানার কথা নয়। এই ফাঁদে পা দিয়েই ফেঁসে যান ওই বাংলাদেশি। পড়শি দেশের ওই নাগরিক গানটি গাইতে না পারায় তাঁর বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় থানায়।