
বেঙ্গালুরুর (Bangalore) ব্য়স্ততম রাস্তা থেকে অপহরণ (Kidnapping) করা হল দুই যুবককে। শুক্রবার, মধ্যরাতে এইচএসআর লেআউট এলাকা থেকে এক যুবককে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান চার ব্যক্তি। সেই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন বিজয় ডেনিস নামের এক গাড়িচালক। চোখের সামনে এক জনকে অপহরণ হতে দেখে ডেনিস পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়েই তল্লাশি চালিয়ে ১২ ঘণ্টায় মধ্যে অপহৃত যুবকদের উদ্ধার (Rescue) করে পুলিস। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
15/07/23. Time 12:06 am. this incident happened in HSR layout Hangover PUB. Informed Madivala ACP Mr. Lakshmi Narayan. @CPBlr @DCPSEBCP @DgpKarnataka @hsrlayoutps pic.twitter.com/6WYECasN0i
— Vijay Dennis (@VijayDennis1) July 14, 2023
পুলিস সূত্রে খবর, দু’জনকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তাঁদের নাম হল নন্দন এবং কার্তিক। দু’জনের বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, নন্দন এবং কার্তিককে যারা অপহরণ করেছিল তাঁরা তাঁদেরই বন্ধু। টাকাপয়সার লেনদেনের কারণে ঝামেলা হয়েছিল দু’পক্ষের মধ্যে। সেই কারণেই অপহরণ করেছিল তাঁরা।
পুলিস অপহরণের অভিযোগে চার জনকেই গ্রেফতার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন, জনার্দন, মধুসূদন, যোগেশ্বর এবং আনন্দবাবু। তবে টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁদের অপহরণ করা হয়ছিল তা জানতে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইপিএলের (IPL) লিগ পর্বের আর দুই ম্যাচ বাকি। মুম্বই বনাম হায়দরাবাদ ও গুজরাত বনাম বেঙ্গালুরু। ইতিমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় টিম হিসেবে জায়গা পাকা করে ফেলেছেন গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। কোয়ালিফায়ার পর্বে খেলবে এই দুই টিমই। এলিমিনেটর পর্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। রবিবার মুম্বই ও আরসিবির মধ্যে কে কোয়ালিফাই করে, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম প্লে-অফ খেলতে নামবে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত টাইটান্স। তিনেই শেষ করেছে লখনউ। কেকেআর-কে ৯৭ রানে হারালে কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ পেত তারা। মুম্বই অথবা আরসিবি, এই দুই দলের মধ্যে যে কোনও একটি টিমের মুখোমুখি হবে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
আইপিএল প্লে-অফে কোয়ালিফায়ারের নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়ী দল সরাসরি ফাইনালে চলে যায়। আগামী ২৬ মে এলিমিনেটর ম্যাচ। এদিনই খেলতে নামবে লখনউ সুপার জায়ান্টস। মুম্বই বা বেঙ্গালুরু দুই টিমই হারলে চার নম্বর টিম হিসেবে উঠে আসতে পারে রাজস্থান রয়্যালসও।
সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) যেন একাই একশো। তাঁর ব্যাট একাই দরমুশ করে দিলো বেঙ্গালুরুকে (Bangalore)। শুধু একা সূর্য নন, মুম্বইয়ের (MI) ম্যাচে দাপট দেখিয়ে গেছেন ঈশান কিশান, নেহাল ওয়াদেহারারা।
টস জিতে এদিন ঘরের মাঠে আরসিবিকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু প্রথম ওভারেই জেসন বেহরেনডফের বলে মাত্র ১ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিরাট। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনে নামা অনুজ রাওয়াতের উইকেট হারায় আরসিবি।
মাত্র ১৬ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে দলের রাশ ধরেন অধিয়ানায়ক ফাফ ডু’প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই জুটির ১২০ রানের পার্টনাশিপ ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বেঙ্গালুরুকে। ডু’প্লেসিস করেন ৪১ বলে ৬৫। এবং ম্যাক্সওয়েল খেলেন ৩৩ বলে ৬৮ রানের ইনিংস। তবে আরসিবির বাকি ব্যাটাররা তেমন রান পাননি। শেষে দীনেশ কার্তিকের ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে, ২০ ওভার শেষে বেঙ্গালুরু ৬ উইকেট খুইয়ে তোলে ১৯৯ রান।
মুম্বইয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন জেসন। একটি করে উইকেট পান ক্যামেরুন গ্রিন, ক্রিস জর্ডেন ও কুমার কার্তিকেয়া।
বেঙ্গালুরুর ১৯৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই ঝড় তোলেন ইশান কিশান। ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে যখন ইশান আউট হন তখন ৪ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ৫০ পেরিয়ে গেছে।
তবে এদিনের ম্যাচেও রান পেলেন না রোহিত। এদিন মুম্বই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। পরপর ম্যাচে রোহিতের এই ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেট মহলে। রোহিত আউট হতেই ম্যাচের হাল ধরেন সূর্য। নেহালকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে আসেন তিনি।
মাত্র ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন সূর্য। তাঁর ব্যাটের ঝড়ের সামনে পড়ে কিছুটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। আর তাঁকে এই ম্যাচে যোগ্য সঙ্গত দেন নেহাল। ৩৪ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ম্যাচ জিতিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নেহাল। এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে অনেকটাই ওপরে উঠে এল মুম্বই। ১১ ম্যাচে ৬টা জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে রয়েছেন রোহিতরা।