আত্রেয়ী নদীর ঘাট থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের সাহেব কাছারি এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রুদ্র বিশ্বাস (২৭)। বাড়ি বালুরঘাট শহরের উত্তমাশায়। পেশায় টোটো চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বালুরঘাট থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নজরে আসে জলে ওপর ভাসছে একটি দেহ। এরপর খবর দেওয়া হয় বালুরঘাট থানায়। যদিও গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত থেকে নাকি ওই যুবক নিখোঁজ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে কি করে ওই নিখোঁজ যুবকের দেহ আত্রেয়ী নদীতে এলো তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস প্রশাসন। মৃত্য়ুর আসল কারণ জানতে পুরো ঘটনার খতিয়ে দেখছে পুলিস।
রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হল একটি শিশু ভ্রুণ (Foetus)। বুধবার বালুরঘাট শহরের আত্রেয়ী নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে ঘটনাটি। বাসিন্দারা দেখতে পান, একটি কুকুর মুখে করে কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছে। খেয়াল করতে দেখেন মানব শিশু ভ্রুণ। এরপর খবর দেওয়া হয় বালুরঘাট থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বালুরঘাট থানার পুলিস এসে ওই শিশু ভ্রুণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বালুরঘাট পুরসভার মাতৃসদন নার্সিংহোম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ওই নার্সিংহোম থেকেই এই মানব শিশুর ভ্রুণটি এসেছে। মনে করা হচ্ছে নার্সিংহোমের আবর্জনার সঙ্গে কোনওভাবে ওই ভ্রুণটি ডাস্টবিনে ফেলা দেওয়া হয়। আর সেখান থেকেই কুকুর মুখে করে নিয়ে আসে। যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিভাবে বা কোথা থেকে এই ভ্রণটি এসেছে তা পুলিসের তদন্ত করে দেখা উচিত।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানিয়েছেন, এটি একটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এই ঘটনার পিছনে যে বা যারা যুক্ত রয়েছে তাদের যেন উপযু্ক্ত শাস্তি হয়। ইতিমধ্যে পুলিস গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে।
সোমবার থেকে নিখোঁজ (missing) বছর দুয়ের এক শিশু কন্যা (Girl)। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি নিখোঁজ শিশুর খোঁজ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রীতে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। অভিযোগ করার পরে ওই এলাকায় পৌছয় পুলিস। পাশাপাশি নিয়ে আসা হয় সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিদের। বাড়ির পাশের পুকুরগুলিতে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই শিশুটির কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই শিশু কন্যাটির নাম আরমিনা খাতুন। আরমিনা খাতুনের মা সারবানু মণ্ডল ও বাবা আইফুল মণ্ডল। শিশুটির মা জানান, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি মায়ের বাড়িতে চলে যান। তারপর থেকে মায়ের বাড়িতেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকেন তিনি। বাবা না থাকায় সকলের আদুরে ছিল আরমিনা। বাড়ির সামনেই রোজ খেলাধুলা করত। তবে সোমবার বিকেলেও খেলাধুলা করছিল সে। কিন্তু সন্ধ্যের দিক করে তাকে আর দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তারপর থেকেই চলছে খোঁজাখুঁজি। তিনি দাবি করেন, বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিস তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে। এলাকার পুকুর গুলোতেও ডুবুরি নামানো হয়েছে।
যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে যাদবপুরের বয়েস হোস্টেলে মৃত্যু হল এক তরতাজা ছাত্রের। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এমনকি শুরু হয়েছে প্রতিবাদ মিছিলও। এমতাবস্থায় বালুরঘাট (Balurghat) গার্লস কলেজে (Girls Hostel) কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলছে হোস্টেলের আবাসিকরা। অভিযোগ, মহিলা হোস্টেলের দরজা জানালা ভেঙে (Bad Condition) রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। খবরের কাগজ, বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে জানালাগুলি। বারবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি। যার ফলে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হোস্টেলের আবাসিকরা। এমনকি এই গাফিলতির জন্যে যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে নানান দুর্ঘটনা।
হোস্টেলের ছাত্রীদের অভিযোগ, হোস্টেলে আসার পর থেকেই দরজা জানালা ভাঙা, জলের আ্যকোয়ার্গাড ভাঙা অবস্থাতেই দেখেছে তাঁরা। যার ফলে পানীয় জল থেকে শুরু করে রান্নার যাবতীয় সামগ্রী কিনতে হচ্ছে হোস্টেলের ছাত্রীদেরই। এমনকি ভাঙা জানালা গুলির বাইরে ঝোপঝাড়, নোংরা থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তা পরিস্কার করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু কলেজের অধ্যাপককে এই সমস্যার কথা বললে তিনি ছাত্রীদেরই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কথা বলেন, এমনটাই অভিযোগ। তাঁদের দাবি, অতিশীঘ্রই কলেজের তরফ থেকে হোস্টেলে জানালা, দরজা বসানো হোক। পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ঝোপঝাড়, নোংরা সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হোক।
এই বিষয়ে বালুরঘাট কলেজের গার্লস হোস্টেলের সুপারিনটেনডেণ্ট জানান, হোস্টেলের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। খুব তাড়াতাড়িই এই সমস্যাগুলির সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বৈদ্যুতিক শক (Electric shock) খেয়ে মৃত্য়ু হল বছর বারোর এক নাবালকের। সোমবার, সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট থানার অন্তর্গত বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর গ্রামে। এই নাবালকের মৃত্য়ুর ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এলাকার এক দোকানদারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই নাবালকের নাম প্রীতম প্রামানিক (১২)। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাস্থলে বালুরঘাট থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্লভপুর গ্রামের স্থানীয় এক দোকানদারের দোকানের টিনের সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। আর তার সংস্পর্শে এসেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে ওই ছাত্রটি ছাগলের খাবারের জন্য কাঁঠাল পাতা আনতে গিয়েছিল। সেই সময় কাঁঠাল গাছের সঙ্গে লাগোয়া একটি দোকানের বৈদ্যুতিক সংযোগ টিনের তৈরী দেওয়ালের সংস্পর্শে এলে বৈদ্যুতিক শক পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছাত্রটি।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বালুরঘাট থানার পুলিস পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে ময়না তদন্তের জন্য। এই ঘটনায় বালুরঘাট থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। নাবালকের মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে।
কল আছে জল (Water) নেই। প্রখর গরমে (Heat wave) জলের সংকট। বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদ গ্রামে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে গ্রামে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পাইপ লাইন পৌঁছলেও, এখনো সেই ট্যাপ দিয়ে জল পড়েনি।
স্থানীয়দের দাবি, বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনওরকম সমাধান মেলেনি। তীব্র গরমে পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে এই কাঠফাটা রোদের মধ্য দিয়ে গ্রাম থেকে দূর দূরান্তে জল আনতে যেতে হয় গ্রামের মানুষদের। দৈনন্দিন কাজের জন্য জলের প্রচুর অভাব পড়ে তাঁদের। বাড়িতে ট্যাপ থাকা সত্ত্বেও সেই কলে জল নেই। এমনকি টিউবওয়েলেও পর্যন্ত জল নেই। পঞ্চায়েত থেকে জলের ট্যাব দেওয়ার পর ৫ থেকে ৬ মাস জল আসার পর আর জল পাওয়া যায়নি ট্যাব থেকে। পঞ্চায়েতের তরফে জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কিন্তু জলের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। যার কারণে কাপড় কাচা থেকে স্নান করা সবটা পুকুরের জলে সারলেও পানীয় জলের প্রবল সংকটে রয়েছে গোটা গ্রামবাসী। কবে থেকে আবার কলে জল পড়বে সেই অপেক্ষায় মুখ চেয়ে রয়েছে গ্রামের মানুষেরা।
ব্রিজ ও সাঁকোর (Bad Bridge Condition) বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত বিপদে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। বালুরঘাটের (Balurghat) মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে আত্রেয়ী নদীর খাড়ি। তার উপর রয়েছে লোহার ফুট ব্রিজ। বছর দুয়েক ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। শহরের ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাথে ১৮ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগকারী এই ফুটব্রিজ ভেঙে পড়েছে। সেই সমস্যা সংশ্লিষ্ট চারটি ওয়ার্ড-সহ শহরের নাগরিক।
একই দশা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের এক সাঁকোর অবস্থা। ক্যানিং পূর্বের মালিকধার কাঠের সাঁকোর বেহাল দশা। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী এবং এলাকাবাসীরা সমস্যায় পড়েছে। অভিযোগ, নজর নেই প্রশাসনের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। মেরামতি হয়নি কাঠের সাঁকো। কবে তৈরি হবে কাঠের সাঁকো এই অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে গ্রামবাসীরা। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।
অবশেষে উদ্ধার হল বালুরঘাটের (Balurghat) আট বছরের নিখোঁজ (missing) শিশুর দেহ। শোকের ছায়া এলাকায়। রবিবার সন্ধ্যায় শিশুটির দেহ (deadbody) অভিযুক্ত মানস সিং-এর বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনার পরই অভিযুক্ত মানস সিং, বোন মানসী সিং, বাবা রবীন সিং, মা শৈল সিং-কে গ্রেফতারের পর পুলিস অভিযুক্তের মাসি মুন্নী সিং-কেও গ্রেফতার (arrest) করে।
এই ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয়রা রবিবার রাতেই অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে। সোমবার সকালেও এলাকা থমথমে রয়েছে। দীপের পরিবারের লোকজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সোমবার দীপের দেহ বালুঘাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত মানস সিং সহ চারজনের বালুরঘাট আদালতে তুলে পুলিস রিমান্ড নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে আট বছরের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবারই অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে পুলিসি তল্লাশি। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তের বোন নিখোঁজ বাচ্চাটিকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সময় শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ।
ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে আট বছরের শিশুকে অপহরণের (Kidnapping) অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা এলাকার একে গোপালন কলোনি এলাকার। খবর পেতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে পুলিসি তল্লাশি। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পুলিস (police) সূত্রে খবর, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তের বোন নিখোঁজ বাচ্চাটিকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সময় শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ।
পরিবার সূত্রে খবর, আট বছরের দীপ হালদার নামের ওই শিশুটিক শনিবার রাত থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী এক যুবক ঘুড়ি কিনে দেয় এবং সেটা নিয়ে খেলতে যায় পাশের একটি মাঠে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামলেও বাড়ি ফেরেনি আট বছরের শিশুটি। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার আত্মীয়-স্বজনরা। কিন্তু তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দীপ হালদারের ঠাকুমা দীপ্তি মহন্তের অভিযোগ, স্থানীয় মানস সিং নামের এক যুবক শনিবার ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে দীপকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি এই ঘটনায়। এলাকাবাসীদের দাবি, খুঁজে বার করা হোক অপহৃত শিশুকে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবক মানস সিংহের বাড়ির লোকজন পলাতক বলেই জানা যায়। জনশূন্য হয়ে রয়েছে তাঁদের বাড়ি।
দুর্গাপুজো (durga puja) কার্নিভালে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj) ষাঁড়ের তাণ্ডবে এক ব্যক্তির মৃত্যুর (death) পর, এবার দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলা প্রশাসন রাস্তায় থাকা গরু (Cow), ষাঁড়ের (bull) বিষয়ে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। বালুরঘাট পুর এলাকায় গরু, ষাঁড় শুয়ে থাকার কারণে পথচারীদের বিভিন্নভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় নিত্যদিন। পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এবার এই সমস্ত মালিকবিহীন ষাঁড়দের এবং গরুদের রাস্তা থেকে সরাতে অভিযানে নামল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পুরসভা।
গরু মালিক, যারা গবাদি পশুদের রাস্তায় ছেড়ে রাখেন, তাঁদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করেছে বালুরঘাট পুরসভা। বলা হয়েছে, তাঁদের গরু তাঁরা যেন বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। রাস্তাঘাটে অনেক গরু, ষাঁড়ের উপদ্রব নিরসনে এবার রবিবার রাতে অভিযানে নামে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বালুরঘাট পুরসভা। এদিন প্রথমেই এই সমস্ত গরুগুলিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর সমস্ত নিয়ম মেনে এই গরু ও ষাঁড়গুলিকে খামারে রাখা হবে বলে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান জানান।
বালুরঘাটের রাস্তা স্থানীয়দের জন্য সুরক্ষিত করতেই জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পুরসভার এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
দিদি নাকি মোদি কে এগিয়ে তা তো বোঝা যাবে ১১ ই আগস্ট রাখি বন্ধন উৎসবের (Rakhi bandhan festival) দিনেই। তবে আপাতত দুজনেরই চাহিদা রয়েছে বলেই জানা যায়। ভাবছেন কীসের কথা বলা হচ্ছে? ১১-ই আগস্ট রাখি বন্ধন উৎসব। এবছর বাজারে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি দেওয়া রাখি। আর এই রাখির চাহিদা ভালোই রয়েছে বলে জানালেন বালুরঘাটের রাখি বিক্রেতারা। যদিও অন্য বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি কিছুটা কম।
রাখি বন্ধন উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) সদর শহর বালুরঘাটের নিউমার্কেট, ডানলপ মোড়, বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন এলাকায় রাখির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বিভিন্ন অলংকারিক রাখির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রং-এর রাখি। বিশেষ বিশেষ রংয়ের রাখি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাধারণত এই উৎসবকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া রাখি। তবে কে এগিয়ে তা কিন্তু খোলসা করে বলতে চাননি বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, দুজনেরই চাহিদা রয়েছে বাজারে। তবে এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি, তাই বলা সম্ভব নয় বিক্রিতে কে এগিয়ে থাকবে। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের মুখ লাগানো রাখির বাইরে অন্য সাধারণ বা আলঙ্কারিক রাখি বেশি কিনতে আগ্রহী সাধারণ মানুষ।