Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Ballot

Ballot Box: পুকুরে মাছের বদলে ব্যালট বাক্স! ব্যালট নয়-ছয়ে হৈচৈ উত্তর দিনাজপুরে

পুকুরে মাছের বদলে জালে ধরা পড়ল ব্যালট বাক্স। একেই ব্যালট ও ব্যালট বাক্সের নয়-ছয় নিয়ে হৈচৈ গোটা রাজ্যে। এরই মধ্যে পুকুরে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হল উত্তর দিনাজপুরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যালট বাক্স (Ballot Box) সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে বিরোধীরা আগেই সরব হয়েছিল। এমনকি ব্যালট বক্স নয়-ছয়ের অভিযোগে মামলাও গড়িয়েছে হাইকোর্টে। যার জেরে এই ব্যালট বাক্স নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। ভোট কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট বাক্স যত্রতত্র ফেলেও দেওয়া হয়েছে। আবার ব্যালট বাক্স সঙ্গে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। আর এই কারণেই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় পঞ্চায়েত ভোট বাতিল করে আবার পুননির্বাচন করা হয়েছে। এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন-ডিজিটাল) আসতেই ফের হইচই গোটা রাজ্যে। 

উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার করনদিঘি (Karandighi) ব্লকের বাজারগাঁও ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুয়া বুথে, হঠাৎ কিছু গ্রামবাসী পুকুরে জাল ফেলতেই মাছের বদলে জালে উঠে আসে ব্যালট বাক্স। সঙ্গেসঙ্গে কৌতুহল বসত স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হয়, খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়, সূত্রের খবর, স্থানীয় ডালখোলা থানার পুলিস এসে সমস্ত ঘটনা শুনে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 

এই ঘটনায় করণদিঘির বিডিও নীতিশ তামাং বলেন, 'করনদিঘি ব্লকের মোট পাঁচটি গনণা কেন্দ্র ছিল। যার মধ্যে একটি গনণা কেন্দ্র থেকে একটি ব্যালট বাক্স চুরি হয়েছিল। এই ব্যালট বাক্স চুরির ঘটনায় আগেই থানায় জানিয়েছিলেন পোলিং অফিসাররা। সেই চুরি যাওয়া ব্যালট বাক্সটিই ওই পুকুর থেকে পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যাটল বাক্সটিকে পুলিস থানায় নিয়ে গিয়েছে। তবে ব্যালট বাক্সটি খোলা ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি।' 

9 months ago
Court: 'ছেলেখেলা চলছে!' ব্যালট বাতিল নিয়ে কমিশনকে কড়া বার্তা জাস্টিস সিনহার

একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলার জেরে বিরক্ত হাইকোর্ট। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালট বাতিল নিয়ে কড়া মন্তব্য করে বসলেন কলকাতা হাইকোর্টের জাস্টিস সিনহা। পঞ্চায়েত ভোটে একটি বুথে বাতিল হয়েছে ৩১৯টি ব্যালট পেপার। সোমবার এই অভিযোগ শুনে বিস্মিত বিচারপতি অমৃতা সিনহা বললেন, ‘এটা কি ছেলেখেলা চলেছে? এত ভুল হলে নির্বাচন করারই দরকার নেই।’

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এর আগেও তাঁর এজলাসে মামলা উঠেছে। সেই সব মামলায় নির্দেশ অনেক ক্ষেত্রেই গিয়েছে কখনও সরকার, কখনও বা নির্বাচন কমিশনের মতামতের বিপক্ষে। তবে সোমবার বিচারপতি সিনহা সরাসরি পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ভরা আদালতে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। বিচারপতি বললেন, ‘হঠাৎ করে এত ব্যালট পেপার বাতিল হয়ে গেল কী করে? ...বার বার এত ভুল হলে নির্বাচন করারই দরকার নেই।’

পুরুলিয়ার ঝালদা-১ নম্বর ব্লকের একটি বুথে দ্বিতীয় বার গণনা করার সময় ৩১৯টি ব্যালট পেপার বাতিল হয়ে যায়। বিরোধী প্রার্থীদের অভিযোগ, এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন ওই প্রার্থী গণনাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন না। এর আগেও মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি সিনহার এজলাসে। আগের শুনানিতে এই মামলায় ওই এলাকার বিডিওর রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে আদালতে। মামলাকারীর অভিযোগে সত্যতা রয়েছে বলেও জানতে পেরেছে আদালত। এর পরেই সোমবার নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি জানতে চান, ‘দ্বিতীয় বার গণনা করা হয়েছিল কার নির্দেশে। বিডিও কি চোখ বন্ধ করে ছিলেন?’

9 months ago
Ballot: ব্যালট চুরি নয়, হারের ভয়ে এবার ব্যালট খেয়ে ফেলল তৃণমূল প্রার্থী

এতদিন রাজ্য জুড়ে ব্যালটে ছাপ্পা, ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যালট বাক্স নিয়ে ঝাঁপ মারার অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার সেসঙ্গেই ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ব্যালট গোনার কাজ চলছিল তখন, যখন প্রায় শেষ সময়। তখন দেখা যায় সিপিআইএম প্রার্থী ৪ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে। সেই মুহূর্তে টেবিলে থাকা কিছু ব্যালট মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি, এমনই অভিযোগ সিপিএইএমের।

সূত্রের খবর, এদিন হাবরার ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনা চলছিল। সেসময় ৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন বাম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। সেসময় তৃণমূল প্রার্থী আচমকা ব্যালট গিলে ফেলে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন,'এতদিন ব্যালট লুঠ করত, এবার হেরে গিয়ে ব্যালট খেয়ে নিল তৃণমূল। আমরা সংশ্লিট জায়গায় জানিয়েছি। প্রয়োজনে পুনর্নিবাচন করতে হবে।' এ বিষয়ে পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি জানিয়েছেন, 'সব মিথ্যে অভিযোগ করছে সিপিআইএম। হেরে গিয়ে তো একটা অজুহাত দরকার। সেটাই করছে বামফ্রন্ট।'

10 months ago


Birbhum: ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া প্রায় ৪০০ বিজেপি কর্মী, অভিযোগের তীর পুলিসের দিকে

পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) পরেও পুলিসি সন্ত্রাসের অভিযোগ বিজেপি সমর্থকদের। গতকাল অর্থাৎ শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে পুলিসের (police) উপস্থিতিতে ব্যালট (ballot) ছিনতাই থেকে ব্যালটে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে (Birbhum)। কিছু কিছু জায়গায় প্রতিবাদ করেন বিরোধীরা। আর প্রতিবাদ করায় পুলিস তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি বাড়ির মহিলাদেরও হুমকি দিতে বাদ রাখছেন না। এছাড়াও জিনিসপত্র ভাঙচুর, বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও মতো বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ আনেন পুলিসের বিরুদ্ধে। পুলিস তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি বাড়ির মহিলাদেরও হুমকি দিতে বাদ রাখছেন না। এছাড়াও জিনিসপত্র ভাঙচুর, বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও মতো অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। আর সেই ভয়ে বাড়ি ছাড়া সেই সব বিজেপি কর্মীরা। ইতিমধ্যে বীরভূম জেলার প্রায় চারশো বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ঘড় ছাড়া হয়েছেন।

বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, শাসকের মদতে পুলিস তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। তৃণমূলের ভয়ে নয় পুলিসের ভয়েই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হচ্ছে। সেই সব ঘড় ছাড়া বিজেপি কর্মীরা আশ্রয় নিয়েছেন সিঊরি বিজেপি জেলা কার্যালয়ে। ময়ূরেশ্বর বিধানসভার বিভিন্ন বুথে পুলিসের সাহায্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা ভোট লুঠ ও ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারই প্রতিরোধ করে বিজেপিরা। এই আক্রোশে পুলিসকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। 

গতকাল দেখা গিয়েছিল ময়ূরেশ্বর থানার বড়বাবু বুথের কাছে থাকা বিজেপি কর্মীদের অকথ্য় ভাষায় বের করে দিচ্ছেন। তার ভাইরাল ছবিও রয়েছে সিএনের হাতে। কীভাবে তৃণমূল কর্মীরা হাতে লাঠি নিয়ে বিজেপির এক এজেন্টকে হুমকি দিচ্ছে সেই ভাইরাল ভিডিও দেখা গিয়েছে। শাসকের পাশাপাশি পুলিসও বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছে, তারই জেরে এত গুলো বিজেপি কর্মী ঘড় ছাড়া বলে দাবি।

10 months ago
Nabajoar: অভিষেকের 'নবজোয়ারে' ব্যালট লুটের হ্যাট্রিক, বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিলেন সুকান্ত

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) 'নবজোয়ার' (Nabajoar) যাত্রায় হ্যাট্রিক হয়েছে ব্যালট (Ballot) বিশৃঙ্খলায়। কোচবিহার থেকে শুরু করা যাত্রায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট প্রক্রিয়া চালুর ঘোষণা করেন অভিষেক। পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে কর্মী-সমর্থকদের সুবিধা করে দিতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। যদিও দলের দাবি, কর্মীদের উৎসাহের জন্যই এমনটা হচ্ছে। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি।

গত ২৫ এপ্রিল তৃণমূলের 'নবজোয়ার' যাত্রা শুরু করেন অভিষেক। সেই দিনই কোচবিহারের গোঁসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল ব্যালট নিয়ে। এর পরে জলপাইগুড়ি জেলাতেও একই ছবি দেখা যায়। পরে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও ভোটাভুটি পর্বে গোলমাল হয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলে তুমুল হাতাহাতি। প্রার্থী বাছাই নিয়ে রবিবার হাপ্তিয়াগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে মারপিট থামাতে নামাতে হয় র‍্যাফ। মঙ্গলবার হরিরামপুরেও একই ঘটনা। অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই শুরু হয়ে যায় বিশৃঙ্খলা।

এবার অভিষেকের 'নবজোয়ার' এই যাত্রায় অংশ নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহের সভায় উপস্থিত থাকার জন্য মালদহের উদ্দেশ্যে আজ অর্থাৎ বুধবারই রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজ্ঞানের একটি বিষয় টেনে এনে মঙ্গলবার বলেন, 'জীবন বিজ্ঞানে প্রতিবর্ত ক্রিয়া পড়ানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজিয়ে কোনও কুকুরকে দিনের পর দিন খেতে দেওয়ার পরে ঘণ্টা না বাজালেও ওই সময়ে কুকুরের মুখ থেকে লালা পড়তে থাকে। তৃণমূল কর্মীদের একই অবস্থা। ব্যালট বাক্স দেখলেই লুট করতে ইচ্ছা করে। সত্যি ভোট না কি দলীয় ভোট সেই হুঁশ থাকে না।'

12 months ago


Ballot: অভিষেক মঞ্চ ছাড়তেই ফের ব্যালট নিয়ে ধস্তাধস্তি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ছে বিতর্ক

এ যেন ভোটার আগেই ব্যালট (Ballot) লুটের প্রস্তুতি। কোচবিহারের (Coochbehar) পর এবার জলপাইগুড়িতে দেদার ব্যালট পেপার লুটের অভিযোগ। রাজগঞ্জে শ্রীসংঘের মাঠ থেকে মিটিং শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যেতেই ছন্দপতন। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যেই ব্যালট লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার জন-সংযোগ যাত্রা কর্মসূচিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছেছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে৷

গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যই অভিষেকের এই জনসংযোগ যাত্রা৷ জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসভা করছেন তিনি। এমনকি, সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের সঠিক মানুষকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে এবং ফোন করে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করা হয়েছে৷ কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলাতে শুক্রবার থেকে ভোট দানে বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, কোথাও স্কুল পড়ুয়ারা ভোটদান করেছে আবার কোথাও একই মানুষ একাধিকবার ভোট দিয়েছেন। শনিবার সেই বিশৃঙ্খলা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এদিন রাজগঞ্জ বিধানসভার শ্রীসংঘের মাঠে অভিষেকের সভার পাশেই রাখা ছিল ব্যালট বক্স৷ সেখানেই ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিষেকের সভার পরেই ছন্দ পতন ঘটে। ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়৷ পুলিসের সামনেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে চলে ব্যালটের লুটপাট। সভায় উপস্থিত এক তৃণমূল কর্মী এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, 'এইভাবে ভোট হয় নাকি ! ব্যালট লুট করে নিল সবাই।'

12 months ago
Ballot: ভোটের আগেই ব্যালট লুট, অভিষেকের সভার পরে ব্যালট নিয়ে ধুন্ধুমার

পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী (TMC) কে হবেন, তা দলীয় নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বাছাই করার সুযোগ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু মঙ্গলবার সেই কর্মসূচির প্রথম দিনেই চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেল সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মঞ্চ ছাড়তেই প্রার্থী বাছাইয়ের হিড়িকে ভাঙো-ভাঙো দশা মঞ্চের। ব্যালট বক্স (Ballot Box) ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলেন তৃণমূলের এক পক্ষ। অন্য পক্ষ আটকাতে গিয়ে শুরু হল মারামারি। কুটিকুটি করা হল পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ব্যালট কাগজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে গলদঘর্ম দশা হল পুলিসের।

মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে সভা করতে যান অভিষেক। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। তাঁর মিনিট কুড়ির ভাষণের শেষাংশে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান। কিন্তু তিনি সভাস্থল ছেড়ে পরের সভাস্থল শীতলকুচির উদ্দেশে রওনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এক সঙ্গে সবাই ভোট দিতে উঠে যান মঞ্চে। এক পক্ষ ব্যালট বক্স নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। অন্য পক্ষ ভোট না দিতে পারার আশঙ্কায় ব্যালট কাগজ ছিঁড়তে শুরু করে। শুরু হয় মারামারি এবং ধাক্কাধাক্কি। পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ঠেলেঠুলে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের মঞ্চ থেকে নিচে নামায়। কিন্তু পুলিসের সামনে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর।

উল্লেখ্য, সোমবার থেকে অভিষেকের ৬০ দিনের ‘নবজোয়ার যাত্রা’র কর্সূমচি সাজিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছে কোচবিহার থেকে। তারই অন্তর্ভুক্ত ‘জনসংযোগ যাত্রা’। যার শুরুতে অভিষেক জানান, তিনি ভাল মানুষের খোঁজে পথে নামছেন। সন্ত্রাসবিহীন ভোট করতে হলে দরকার ‘ভাল প্রার্থী’র। মানুষকেই নেতা বেছে নেওয়ার ভার দিচ্ছেন তাঁরা। মানুষের মত জানার পরই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করবে তৃণমূল। সেই অনুযায়ী, কোচবিহারের একাধিক সভায় ব্যালট বক্স রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের অভিযান শুরু হয়। কিন্তু অভিযানের প্রথম দিনে বিক্ষিপ্ত এবং অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটল সিতাইয়ে।

12 months ago
Political: ভোটপর্ব অতীত, ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (পর্ব -৩)

প্রসূন গুপ্ত: সোমবার নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ের ভোট। আর কয়েক ঘণ্টা পর সমস্ত দলের প্রচার শেষ হবে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট। ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন চ্যানেলের বুথ ফেরত সমীক্ষা। অবশ্য সারা ভারতের মিডিয়ার নজরে কিন্তু ত্রিপুরা। নাগাল্যান্ড বা মেঘালয়ে মিলিজুলি সরকারের রাজ্য ছিল এবং এই দুই রাজ্যে বিজেপি কিন্তু সহযোগী দল সরকারের। কিন্তু ত্রিপুরায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি কাজেই দেখার বিষয় তারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কিনা।

ত্রিপুরার অন্দরে কিন্তু সবকটি দল ইতিমধ্যে প্রচার মাধ্যমের কাছে দাবি করেছে যে তারা ক্ষমতায় আসছে, কিন্তু সেসব তো রাজনৈতিক কথা। আসল পরীক্ষা তো ২ মার্চে সকাল ৯টা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই।

বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন যে ভোট সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে এবং রাজ্যের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছে। ফলে বিজেপির ফের ক্ষমতায় আসাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা | মানিকবাবু মিষ্টিভাষী মানুষ, ধৈর্য্য ধরে মিডিয়ার নেতিবাচক প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর  দেন। তাঁর একটাই কথা , আমার ফিরে আসছি।

ত্রিপুরার জনপ্রিয় নেতা তথা কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন সরাসারি সিএন পোর্টালকে জানালেন যে এবারের ভোট বিজেপির বিদায় আসন্ন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ক্ষমতায় জোট নাকি জোটের সঙ্গে তিপরা মোথাও থাকবে? ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিলেন সুদীপ। জোট ক্ষমতায় আসবে কিন্তু ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত দেববর্মার ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না।

শুক্রবার মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন সিপিএম প্রার্থী তথা ত্রিপুরা সিপিএমের সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। তিনি বললেন, ফলের আগে কোনও কথা বলাটা উচিত না হলেও জোটটির ক্ষমতায় আসাটা নিশ্চিত। তিনি বললেন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ করে ভোট দিয়েছে। তাঁর ধারণা ৯০% বেশি মানুষের ভোট পড়েছে এটি নাকি সরকার  বিরোধের লক্ষণ। তবে জিতেনবাবু কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন | এখন অপেক্ষা ২ মার্চ অবধি। (পরের পর্ব দেখুন)

one year ago