
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওড়িশার (Odisha) বাহানাগা (Bahanaga) স্টেশনে কোনও ট্রেন (Train) দাঁড়াবে না। ফলে, যাত্রীরা ওই স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে বা নামতে পারবেন না। রেলের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। পাশাপাশি রেল সুরক্ষা কমিশনের তরফেও তদন্ত চলছে।
এদিকে ট্রেন না দাঁড়ানোর নির্দেশিকায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, কবে এই ঘটনার তদন্ত শেষ হবে সেবিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হবে। ঘটনার তদন্তভার নিয়েই খড়গপুরে পৌঁছেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে বেশ কয়েকজন রেলকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি বাহানাগা স্টেশনে পৌঁছেও পুরো ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন।
তবে ঘটনার ২দিন পরেই রেলের তরফে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করা হয়। তাতে সিগন্যালিং ব্যবস্থার ভুলের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।
বাহানাগায় (Bahanaga) সিবিআই (CBI)। বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে (Accident) হাজির হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা। গত শুক্রবারের দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মঙ্গলবারই তারা হাজির হলেই ঘটনাস্থলে। কী ভাবে দুর্ঘটনা হয়েছে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনও চলছে। রেলের দাবি সঙ্গে মিলছে না প্রত্যক্ষদর্শী এবং উদ্ধারকারীদের বয়ান। সবার বয়ান রেকর্ড করা হবে বলেই জানিয়েছে সিবিআই।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে হাজির হন ১০ জনের দল। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা। গত কয়েকদিন ধরেই রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা মূল কারণ চিহ্নিত করে ফেলেছে। এরমধ্যেই ভিন্ন মত দেখা দিয়েছে দুই ট্রেনের চালকের বয়ানে। যশবন্তপুরের আহত চালক দাবি করেছিলেন, দুর্ঘটনার সময় দুটি ট্রেন পাশাপাশি ছিল। কিন্তু সোমবার তার ঠিক উল্টো দাবি করেন করমণ্ডলের চালক। তাঁর দাবি, মনে হয় তাঁর গাড়ি লুপ লাইনে চলে গিয়েছিল।
এদিকে বালেশ্বরের দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু লুঠের অভিযোগ উঠছে। বালেশ্বরের হাসপাতালে এখনও অনেক দেহ পড়ে রয়েছে, যাদের পরিচয় জানা যাচ্ছে না।