জাতীয় সড়কে (National Highway) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্য়ু হল এক বাইক আরোহীর। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরা থানা এলাকায়। অভিযোগ, বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম পঙ্কজ বিশ্বাস, ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাগডোগরা থানার পুলিস এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হাসখোয়া জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই যুবক। সেই সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের উপর পড়ে যান বাইক আরোহী। অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অপরদিকে পুলিস বাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায়শই জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে বেশিরভাগ সময়ই দেখা গিয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিংবা বেপরোয়া গতির কারণেই পথ দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে। যেভাবে প্রতিনিয়ত পথ দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার পরেও যদি মানুষ সতর্ক না হয়, তাহলে এই পথ দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকবে।
বন দফতরের প্রচেষ্ঠায় সেগুন কাঠ পাচারের আগেই গ্রেফতার করা হল গাড়ি সহ গাড়ি চালককে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছেন বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীরা। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি বাইপাসের ৩১ তম জাতীয় সড়কে। গাড়ির ভিতরে থাকা বাজেয়াপ্ত সেগুন কাঠের বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকার বেশি।
জানা গিয়েছে, অসম থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে ছয় চাকা ডাক পার্সেল কন্টেনার গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় বাগডোগরা বনদফতরের কর্মীদের কাছে গোপন সূত্রে খবর এলে তাঁরা গাড়ির পিছু নেন। গাড়িটিকে আটকানোর জন্য জাতীয় সড়কে ব্যারিকেট বানিয়ে ফাঁদ পেতেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু সেই ব্যারিকেট ভেঙে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই গাড়িচালক। অবশেষে টোল প্লাজা ব্যারিকেট ভেঙে পালানোর সময় বিধান নগরের পুলিসের মদতে গাড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হয় ঘোষপুকুর বনদফতরের কর্মীরা।
এরপর গাড়ির ভিতরে থাকা সেগুন কাঠ সহ গাড়িটিকে আটক করে বাগডোগরা বনদফতরে নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি গাড়ি চালককে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দিনের বেলায় ডার্ক পার্সেলের গাড়িতে করে এইভাবে সেগুন কাঠ পাচারের সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছেন ঘোষপুকুর বনদফতরের কর্মীরা।
জখম অবস্থায় রেললাইনের (Railway line) উপর পড়ে রয়েছেন এক ব্য়ক্তি। আরপিএফ (RPF) ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) রেললাইনে। জানা গিয়েছে, জখম ব্য়ক্তির নাম পুতুল মণ্ডল, বাগডোগরার প্রমোদ নগরের বাসিন্দা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আর পি এফ-এর নজরে আসে জখম অবস্থায় এক ব্যক্তি রেললাইনে পড়ে রয়েছেন। খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা থানার পুলিসকে। এরপর আরপিএফ ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেললাইনে পড়ে থাকার জেরে আটকে পড়েছিল একটি ট্রেন। জখম ব্যক্তিকে রেল লাইনের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ফের স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। তবে ওই ব্যক্তি এত রাতে কী করে ট্রেন লাইনে এলো, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
খড় বোঝাই পিকআপ ভ্যানে (Pickup van) অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুন লেগে প্রায় কয়েক হাজার টাকার খড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) খান্না হোটেল সংলগ্ন ৩১নং জাতীয় সড়কে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বাগডোগরার খান্না হোটেল সংলগ্ন ৩১নং জাতীয় সড়কে হঠাৎ খড় বোঝাই পিকআপ ভ্যানে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে পিকআপ ভ্যানে কোনও কারণে এই আগুন লেগেছে। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাগডোগরা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ব্যাঙডুবি দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে এই আগুন লাগল তা সঠিক ভাবে জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রচন্ড গরমের কারণে গত দু'দিনে মৃত্যু (Death) হয় দুই ভবঘুরের। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার প্রচন্ড দাবদহের (Heatwave) শিকার হয়ে মৃত্য়ু হল এক মধ্য বয়স্কা ভবঘুরে (Wanderer) মহিলার। আপার বাগডোগরা (Bagdogra) গ্রাম পঞ্চায়েত মেন গেটের সামনে এই মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কার্যালয় খুলতে এসে কর্মীদের নজরে আসে বারান্দায় এক মহিলা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। কয়েক দিন ধরে নাজাহাল অবস্থায় জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। দেখা গিয়েছে বেলা গড়াতেই ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা (Temperature) বেড়েই চলেছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে রাস্তায় বসবাস করা ভবঘুরেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ভবঘুরে মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বারান্দায় রাত্রিবাস করতেন। এদিন মৃত অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা প্রধানকে খবর দেন। খবর পেয়ে প্রধান সঞ্জীব সিনহা, ঘটনাস্থলে এসে বাগডোগরা থানায় খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
বৃহস্পতিবার ঠিক একইভাবে দাবদাহের শিকার হয়ে পানিঘাটা রোডে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। এদিন ফের দাবদাহের কারণে বলি আরেক মহিলা। প্রধান সঞ্জীব সিনহা বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করেন এর জন্য। তিনি জানান মানুষ জেনে বুঝেই নিজেদের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসছেন। বৃক্ষরোপণের উপর অবিলম্বে জোর দেওয়া না হলে এই ধরনের দাবদহের কারণে মৃত্যুর সাক্ষী হতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
ফের বড় সাফল্য পুলিসের। ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার (Brown Sugar) সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrest) করলো বাগডোগরা (Bagdogra) থানার পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগডোগরার কেষ্টপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি চার চাকার গাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। পরে ওই গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার, নগদ ৮০০০ টাকা সহ দুটি মোবাইল ফোন। এমনকি গাড়িতে থাকা ওই অভিযু্ক্ত ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শাহজামাল (২৯)। ধৃত ঠাকুরগঞ্জের বাসিন্দা। ধৃতকে আজ, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিস। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাদক মালদহ থেকে বিহারের ঠাকুরগঞ্জে পাচার করার চেষ্টা চলছিল। তবে সেই পাচারকার্য রুখলো পুলিস।
ব্রাউন সুগার (Brown sugar) সহ গ্রেফতার (Arrest) ৪ জন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। বাগডোগরা (Bagdogra) ভুট্টাবাড়ি এলাকার ঘটনা। শুক্রবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। ধৃতদের নাম উত্তরা বিশ্বাস (৩৮), সঞ্জয় বিশ্বাস (৪২), বিক্রম বাগচী (২৩) ও অরুণ মণ্ডল (৩২)। ধৃতদের মধ্যে উত্তরা ও সঞ্জয় শিলিগুড়ির সমরনগরের বাসিন্দা ও বাকি অরুণ ও বিক্রম ফাঁসিদেওয়ার টামবাড়ির বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা মুর্শিদাবাদ থেকে বাগডোগরায় মাদক নিয়ে প্রবেশ করার আগেই শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের এসওজি ও বাগডোগরা থানার পুলিস (Police) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগডোগরার ভুট্টাবাড়ি এলাকায় একটি চারচাকা গাড়ি আটক করে। গাড়ি থেকে ৮০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই মাদকের বাজারমূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা, পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে কোথা থেকে এই মাদক আনা হচ্ছিল ও কোথায় তা পাচারের ছক কষেছিল তার তদন্তে নেমেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। পথ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয় এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) কাছে। এই ঘটনার পর ওই যুবককে তড়িঘড়ি বাগডোগরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে আসে বাগডোগরা থানার পুলিস (Police)। পরবর্তীতে পুলিস দেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম জাকিম ক্রিকেটটা (২৭)।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বাগডোগরা সংলগ্ন বিজয়নগর চা বাগান থেকে ঘোষপুকুরের জয়ন্তিকা চা বাগানে একটি বাসে করে বরযাত্রী এসেছিল। বিয়ে বাড়ির শেষে বাড়ি ফেরার সময় বাগডোগরার সামনে হঠাৎ গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জানা গিয়েছে, ওই যুবক বরযাত্রীর বাসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ঝুলে ঝুলে আসছিল। গাড়ি চলাকালীনই হঠাৎ করে গাড়ির ভিতর থেকে বাইরে ছিটকে রাস্তার উপর পড়েন। তারপরেই ঘটনাস্থলে গাড়ি থামিয়ে ওই যুবককে তড়িঘড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় বাসের বাকি লোকজন। তারপরেই জানা যায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাগডোগরা (Bagdogra) সংলগ্ন কেষ্টপুর এলাকায় গৌতম মল্লিকের বাৎসরিক কালীপুজোর অনুষ্ঠানে স্বয়ং উপস্থিত হল গজরাজ (Elephant)। আচমকাই হাতি দেখতে পেয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। তবে কালীপুজোয় বিনা আমন্ত্রণে গজরাজকে দেখে হতভম্ব গ্রাম। গ্রামবাসীরা এমনও মনে করছেন মায়ের পুজোয় স্বয়ং ছেলে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন দেখার জন্য।
বুধবার রাতে খাবার সন্ধানে বাগডোগরা সন্ন্যাসী চা বাগান সংলগ্ন গ্রামে তাণ্ডব চালায় ওই হাতি। প্রাণে বাঁচে বনকর্মীর স্ত্রী ও সন্তানের। গ্রামের দুটি বাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে হাতিটিকে। হাতি দেখতে পেয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় গোটা গ্রামজুড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ার পরেও বন দফতরের কর্মীদের দেখা মেলেনি। বুধবার রাত থেকেই কেষ্টপুর এলাকার বেশ কিছু জায়গায় এই হাতিটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এমনকি এদিনের পর বৃহস্পতিবার, কিছু বাড়িতে ভাঙচুর চালায় হাতি।
এর ফলে বাড়ির ভিতরে থাকা আসবাবপত্র থেকে শুরু করে রান্নাঘরের বাসনপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তবে প্রতিনিয়ত এই হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত ওসব এলাকা। গ্রামবাসীরা চাইছেন হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক বন দফতর। যদি এই হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা না করা হয় তবে আগামীতে কোন বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে গ্রামবাসীদের।
একের পর এক হাতির তাণ্ডবে (Elephant Attack) ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন বন দফতরের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। এবার বনকর্মীর বাড়িতে হাতির তাণ্ডব। হাতির হামলায় ভাঙলো দুটি ঘর। প্রাণে বাঁচলেন শিশু-সহ মা।
জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে হাতি এসে ভাঙচুর চালায় দুটি বাড়িতে। প্রথমে বাগডোগরা সন্ন্যাসী চা বাগান সংলগ্ন গ্রামে ঘটনার দিন একটি বিশাল হাতি এসে তাণ্ডব চালায়। এরপরে ওই গ্রামেরই দুটি বাড়িতে ভাঙচুর করে হাতিটি। সেসময় বাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন দুটি বাচ্চা ও তার মা। হঠাৎ হাতি ভাঙচুর চালাতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন ওই মহিলা।
অবশেষে গ্রামবাসীরা এসে বাড়ির ভিতরে আটকে থাকা দুই শিশুকে এবং মাকে উদ্ধার করেন। মাঝেমধ্যেই হাতির দল এই এলাকা দিয়ে রাস্তা পারাপার করার সময় খাবার সন্ধানে গ্রামে ঢুকে যায় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বন দফতরের সহযোগিতায় হাতির দলকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যে দুটি বাড়িতে হাতি ভাঙচুর চালিয়েছে তার একটি বাড়ি বাগডোগরা বন দফতরের কর্মীর। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তিনি ডিউটিতে ছিলেন। হাতি তাণ্ডব চালিয়েছে শুনে বাড়িতে ছুটে আসেন তিনি।
পাচারের (Buffalo Smuggling) আগে দুটি ট্রাকের ভিতর থেকে ৩১টি মহিষ-সহ দুজন চালককে গ্রেফতার করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস (Bagdogra Police)। সারা রাজ্যজুড়ে যেখানে নববর্ষের অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা, ঠিক সেই সময় গরু পাচারকারীরা এখন মহিষ পাচারে ব্যস্ত। এতদিন রাতের অন্ধকারে পাচারকারীরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যবহার করে বাংলাদেশে গরু এবং মহিষ পাচার করতো। এখন দিনের আলোতে পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো দু'জন। বাগডোগরা থানার পুলিস ভুট্টা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় নাকা তল্লাশির সময় বিহারের নাম্বার প্লেট লাগানো দুটি ছয় চাকার গাড়ি আটক করে পুলিস।
তল্লাশিতে দেখা গিয়েছে গাড়ির ভিতরে প্রচুর পরিমান মহিষ, গাড়ির চালককে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে, গাড়ি চালক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অবশেষে পুলিস গাড়ি দুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গাড়ির দুই চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুটি গাড়ির ভিতর ৩১টি মহিষ পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে পুলিসের চোখে ধুলা দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচারকারীরা এভাবেই বাংলাদেশে মহিষ পাচার করছে। দুই চালকের নাম মহম্মদ শামসুল ও মোহাম্মদ নাসির এদের দুজনের বাড়ি বিহারের কাটিহারে। এই পাচারকারীদের সঙ্গে স্থানীয় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তাঁর তদন্ত শুরু করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
অপরদিকে ২ চালককে শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আবারও চিতাবাঘের আক্রমণে (leopard Attack) আহত এক মহিলা চা শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বাগডোগরা (Bagdogra) চা বাগানে (Tea Garden) চা পাতা তোলার সময় চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়েন মহিলা। ওই মহিলার উপর চিতাবাঘটি লাফিয়ে পড়ে। এর ফলে মহিলা মুখে গুরুতর আঘাত পান। আক্রান্ত মহিলা অঞ্জলী কেরকাট্টা (২০)। মহিলা চিৎকার শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি।
পরে শ্রমিকরা আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ক্ষত এতটাই গুরুতর যে সেখান থেকে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। অপরদিকে, ওই আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে শান্তি বরাইক নামে আরও এক মহিলা শ্রমিক চা-পাতা তুলছিলেন। চোখের সামনে সবটা দেখে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরবর্তীতে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগেও ওই এলাকায় চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে। এলাকায় চিতাবাঘ বারবার নজর আসায় আতঙ্কে রয়েছেন বাগান শ্রমিকরা।
চিতাবাঘের (Leopard) দুটি শাবককে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাগডোগরা বন দফতরের (Bagdogra) কর্মীরা প্রচেষ্টা চলায়। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে মা চিতাবাঘ নিজেই শাবকদের নিয়ে যায়। এই ছবি ক্যামেরাবন্দী করা হয় বন দফতরের (Forest Department) পক্ষ থেকে। অবশেষে সফল বাগডোগরা বন দফতরের কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, বাগডোগরার অদূরে মুনি চা বাগান এলাকায় শুক্রবার দুটি চিতাবাঘের শাবক দেখতে পায় এলাকাবাসী। সেই দেখে চা বাগানের শ্রমিক ও বাগান কর্তৃপক্ষ বাগডোগরা বন দফতরকে খবর দেয়। বন দফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে চিতা বাঘের দুটি শাবককে উদ্ধার করে এবং মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে মা চিতাবাঘ তার সন্তানের টানে ছুটে এসে তার বাচ্চাদের নিয়ে যায়।
বাগডোগরা বন দফতরের রেঞ্জার সমীরন রাজ জানান, 'চিতা বাঘের শাবকগুলিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, বেশ কয়েক ঘন্টা প্রচেষ্টায় বন কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অবশেষে চিতার শাবকগুলিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি সেটাই সবথেকে বড় পাওনা।'
চা বাগানের ওয়াটার রিজার্ভার (water reservoir) ট্যাঙ্কি থেকে মৃত চিতাকে (leopard) কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ফাঁসিদেওয়া বাগডোগরার (Bagdogra) হাঁসখোয়া চাবাগানের ওয়াটার রির্জাভারের। ঘটনায় শোকাহত স্থানীয়রা।
জানা যায়, রবিবার সকালে চা বাগানে কাজ করার সময় রিজার্ভারে চিতাবাঘটিকে দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়েই ভিড় জমান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বাগডোগরার হাঁসখোয়া বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা বনবিভাগ ও বাগডোগরা পুলিসকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাগডোগরা বনবিভাগের রেঞ্জার সমীরণ রাজ ও পুরো টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর রিজাভার থেকে চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে চিতাবাঘটি জলের ওপর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে জলের গভীরতা থাকায়, তা সম্ভব হয়নি। পরে জলের ভেতরে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চিতাবাঘটিকে ময়নাতদন্তের জন্য বেঙ্গল সাফারিতে পাঠানোর হবে। তবে রিজার্ভারে ঢাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।