
অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দুই শিশু সহ ৬ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ানরা । পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পৃথক দুই সীমান্ত তারালি ও বিথারী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় আটক করা হয় তাঁদের।
পুলিস আরও জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদেরকে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতরা হলেন আন্না দে, বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। তাঁর সঙ্গে আরও দু'জন শিশু সন্তান ছিল। বাংলাদেশের রাজবাড়ী এলাকার আরেক বাসিন্দা শিহাবউদ্দিন খান, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা আলামিন গাজী ও সাইফুল্লাহ্ মোল্লাও অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য পুলিসের জালে ধরা পড়লেন। ধৃত বাংলাদেশিদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠায় স্বরূপনগর থানার পুলিস।
ফের বড়সড় সাফল্য পেল বিএসএফ জওয়ান। বুধবার রাতে ট্রাকের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বিস্কুট পাচারের সময় আটক সোনার বিস্কুট সহ ট্রাক চালক৷ বিএসএফ জানিয়েছে, ৬০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। যার ওজন প্রায় ৭ কেজি৷ ভারতীয় বাজারমূল্য প্রায় ৪.৫ কোটি টাকা। ধৃত ট্রাক চালকের নাম, সুরজ মগ৷ বাড়ি বনগাঁ থানার জয়পুর এলাকায়৷
বিএসএফ সূত্রে আরও খবর, সোমবার পণ্য নিয়ে বেনাপোল বর্ডার গিয়েছিল অভিযুক্ত ট্রাকচালক৷ এরপর বুধবার রাতে বাংলাদেশে পণ্য খালি করে ভারতে ফিরেছিল৷ সেই সময় ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানেরা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এলাকায় ট্রাকটিকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। তারপর কেবিনের ভিতরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে তল্লাশি চালিয়ে একটি কাপড়ে মোড়ানো ৬০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়৷
অভিযুক্ত ট্রাকচালক ও উদ্ধার হওয়া সোনাগুলি কলকাতা শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ৷ তবে কোথা থেকে এবং ঠিক কি উদ্দেশ্যে সোনার বিষ্কুট আনা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরা পথে ডেঙ্গি (Dengue), ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট (Malaria test kit) ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ (BSF)৷ উদ্ধার হল কয়েক লক্ষ টাকার সরঞ্জাম। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার আংরাইল সীমান্ত এলাকায়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, একটি ব্যাগ থেকে ৮০২টি ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানরে জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগদার রনঘাট এলাকায় নজরাদারি বাড়ায়। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জওয়ানরা দেখেন এক চোরাকারবারী রনঘাট গ্রাম থেকে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে সীমান্তের দিকে আসছে। সেনারা ওই পাচারকারীর পথ আটকালে ব্যাগ ফেলে ঘন জঙ্গলে পালিয়ে যায় সে৷ ব্যাগটি উদ্ধার করে তল্লাশি চালালে তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার কিট৷
বিএসএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চোরাকারবারীরা সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এর আগেও পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া ডেঙ্গি কিট উদ্ধার করেছে বিএসএফ। বর্ষা মরসুমে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি থাকে৷ সে কারণে চোরাকারবারীরাও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার পণ্য পাচারের চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেন।
আবারও রাজ্যে আত্মঘাতী বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan)। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি (Sitalkuchi)। বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী (Death) হয়েছেন তিনি। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম এন এম স্বামী। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গাদোপোতায় ক্যাম্পে থাকতেন তিনি। অন্যান্য জওয়ানরা জানান, শুক্রবার ভোররাতে আচমকা গুলির শব্দ পান তাঁরা। তখনই দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এন এম স্বামী। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন ঘটনা হতে পরে বলে আশঙ্কা করছেন সহকর্মীরা।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিএসএফের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গায় পাঠানো হয়েছে। জওয়ানের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে বাহিনীর তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সেনা জওয়ানদের আত্মঘাতী হওয়ার খবর সামনে এসেছে।
সীমান্তে ফের অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণে ফেন্সিডিল (Phencidyl) সহ আটক এক পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বসিরহাটের (Basirhat) স্বরুপনগরের হাকিমপুর সীমান্তের অভিযানে নামে বিএসএফ জওয়ানরা। এরপর সীমান্তে চেকপোস্ট থেকে আসা একটি চারচাকা গাড়ি সহ এক পাচারকারীকে আটক করে বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সাব্বির শেখ। বাড়ি স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিথারী শেখ পাড়ায়। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ফেন্সিডিলগুলো বাংলাদেশের পাচারের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওই পাচারকারী। কিন্তু পাচারের আগেই দুষ্কৃতীদের ছক বানছাল করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই ফেন্সিডিল গুলো চারচাকা গাড়ির ভিতরে লুকিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার জন্য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে। হাকিমপুর চেকপোস্টের দিক থেকে আসা একটি চার চাকার গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালাতে শুরু করে বিএসএফের জওয়ানরা। এরপর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সেই গাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ১৯৪ বোতল ফেন্সিডিল। উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ সহ পাচারকারীকে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এরপর পুলিস ওই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে।
সোনা পাচার (Gold Sumggler) করতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) হাতে আটক এক বাংলাদেশী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত বাংলাদেশের বনগাঁ (Bangaon) পেট্রাপোল সীমান্তে। উদ্ধার হওয়া সোনাগুলি পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। আটক ওই বাংলাদেশীকে কাস্টমস অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, আটক ওই বাংলাদেশীর নাম রত্নদীপ রায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩০.৭০ গ্রাম ওজনের সোনার চেইন ও একটি ব্রেসলেট। যার মূল্য ১৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫১৬ টাকা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাত্রীদের ভারত-বাংলাদেশ চলাচলের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশী যাত্রীকে আটক করা হয়। ওই যাত্রীর গলায় একটি ভারী চেইন দেখতে পান বিএসএফের জওয়ানরা। যা ৯৯.৯৯ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি। এরপরে, জওয়ানরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলে তার টি-শার্ট থেকে একটি সোনার মোটা ব্রেসলেট উদ্ধার হয়। বিএসএফের দাবি, এই সোনার বিষয়ে ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। তাই অবিলম্বে তাকে আটক করা হয়।
বিএসএফের আরও দাবি, বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যাত্রী বলেন, সে একজন স্বর্ণকার এবং বাংলাদেশে তার নিজস্ব সোনার দোকান আছে। সে তার দোকানে এই চেইন ও ব্রেসলেট তৈরি করে। সে আরও জানায়, কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চোখ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে ভারতে আসছিল। তবে টাকার অভাব থাকায় সে এই সোনা সঙ্গে নিয়েছিল এবং ভারতে এসে বিক্রি করতে চেয়েছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন জনসংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য। তিনি বলেন, বিএসএফ চোরাকারবারিদের প্রতিটি ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফাঁদ শক্ত করেছে। চোরাচালানকারীরা বারবার সোনা পাচারের চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।
১৫ টি সোনার (Gold) বাট সহ এক পাচারকারীকে (Smuggling) গ্রেফতার (Arrest) করলো বিএসএফ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। রবিবার বিএসএফ (BSF) আধিকারিকেরা সোনারবাট সহ ধৃত ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর কাস্টমসের হাতে তুলে দেন।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই পাচারকারীর নাম জোহিরুল শেখ। শনিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত বিএসএফ-র নজর এড়াতে মোটর বাইকে করে সোনার বাটগুলি পাচার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফ-র। তারপরেই তাঁরা ওই মোটর বাইকটিকে আটকে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার করা হয় ১৫ টি সোনার বাট। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৫ টি সোনার বাটের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। যা ওই ব্যক্তি রঘুনাথগঞ্জের সাইদাপুর এলাকায় হাতবদলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।
ফের তিনটি গরু সহ বিএসএফের (BSF) হাতে গ্রেফতার (Bangladeshi Arrest) হল দুই বাংলাদেশী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায়। এই ঘটনার পরেই বিএসএফ-র পক্ষ থেকে ধৃতদেরকে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিসের (Police) হাতে তুলে দেওয়া হয়। শনিবার ধৃত দুই বাংলাদেশীকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই বাংলাদেশীর নাম সরজুল শেখ (২৪) ও আনারুল শেখে (২৪)। তারা দুজনেই বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করার সময় ওই দুই বাংলাদেশীকে দেখতে পায় সীমান্তের জওয়ানরা। এই ঘটনায় ওই দুই জনকে দেখে জওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে বিএসএফ। বিএসএফ-র দাবি, মালদহ থেকে গরু গুলো নিয়ে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা হয়ে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
গরু পাচার করার সময় বাধা পেয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আক্রমন, বাহিনীর পাল্টা গুলিতে মৃত এক পাচারকারী। বুধবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বৈরাগীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ইচ্ছাগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃত পাচারকারীর নাম মোকলেশ্বর হক, তিনি দিনহাটার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেই পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। পাশাপাশি পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বুধবার কাকভোরে বৃষ্টির সুযোগে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে একদল গরু পাচারকারী গরু পাচারের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাগঞ্জ এলাকায় হাজির হয়। তখন সেখানে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানের হাতে ধরা পরে সেই গরু পাচারকারী দল। বাধা দিতে গেলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আক্রমণ করে পাচারকারী দল। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সীমান্ত রক্ষীর দাবি, আত্মরক্ষার জন্যই গুলি করতে বাধ্য হন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি গরু ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিস।
দিনহাটার বাসিন্দা মোকলেশ্বরের পরিবার, তাঁর মা, বাবা, স্ত্রী ও এক ছেলে আছে বলে জানা গিয়েছে। মোকলেশ্বরের দাদার দাবি, মোকলেশ্বর ছোটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি গরুপাচারকারী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা! এই বিষয়ে পরিবার কিছু জানেন বলেই দাবি। আদেও কি তিনি গরু পাচারকারীর দলের সঙ্গে যুক্ত? এ বিষয়ে পুলিস স্পষ্ট কিছু না জানালেও, এ ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বুথে মাত্র একজন জওয়ান থাকলে তাঁর প্রাণের ঝুঁকি থাকতে পারে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। বৃহস্পতিবার রাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর আইজি (বিএসএফ)-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিএসএফ, আইটিবিপি-সহ সব বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় এক সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। এক সেকশনের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে, হিংসা, বুথ দখলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে হাফ সেকশন অর্থাৎ ৪ জনকে প্রতি বুথে রাখতে হবে। এই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগেই গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে অশান্তি। কিন্তু রোজ কেন বাড়ছে এই খুনোখুনি? তাঁর কারণ আরও স্পষ্ট করে জানতে রবিবার নিজের কোচবিহার (Cooch Behar) সফরে বিএসএফ (BSF) কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল (Goverment) সিভি আনন্দ বোস। সিতাইয়ে গিয়ে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মূলত জানতে চান, সীমান্ত ঘেষা এই জেলায় ভোটের আগে অশান্তির বাড়বাড়ন্ত কেন?
পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণা থেকেই সীমান্তবর্তী উত্তরবঙ্গের এই জেলা অশান্ত। বিশেষ করে দিনহাটা থেকে রোজই অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার গীতালদহে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। সম্প্রতি জেলা সফরে পঞ্চায়েতের প্রচার করতে এসে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদতেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকছে দুষ্কৃতীরা।
এই পরিস্থিতিতে এদিন সিতাই বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। শনিবারই দিনহাটায় তিনি জানান, পঞ্চায়েতে হিংসা তিনি রুখবেনই। তার জন্য তাঁকে যেখানে যেতে হবে, সেখানেই যাবেন। তাঁর এই ঘোষণার পরেও রবিবার উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা।
কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএসএফের গুলিতে আগে অনেকেই মারা গিয়েছেন। আমি বিএসএফ কে মনে করিনা সবাই খারাপ । শুধু বলব ইনডিপেন্ডেটলি কাজ করার জন্য, নিরপেক্ষ কাজ করার জন্য।'
এদিকে, কোচবিহারে তৃণমূল কর্মী খুনে বাংলাদেশি সীমান্তবর্তী এলাকার দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বাংলাদেশের বর্ডার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করেছেন কোচবিহারের তৃণমূল কর্মীকে।
উল্লেখ্য, কোচবিহারের সভা থেকেই বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন, 'বিএসএফের ভয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন না। বাইরে বেরিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। বিএসএফের জুলুমবাজি রুখতে হবে। কারণ, ভোটের সময় সীমান্তের কাছে থাকা পরিবারগুলিকে ভয় দেখানো হতে পারে।'
ফের সামনে এলো গরু (Cow) পাচারকাণ্ড। গরু পাচার করার সময় বিএসএফ (BSF)-এর গুলিতে আহত হয় এক গরু পাচারকারী। শুক্রবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ধানতলা থানার ভারতও-বাংলাদেশ সীমান্তে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর রাতে ধানতলা থানার দত্তপুলিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর ৪ নম্বর ব্যাটালিয়ান টহলদারি করছিল। সেই সময় তারা খেয়াল করে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, বিএসএফ-এর জওয়ানরা গরুপাচারকারীদের আটকাতে গেলে গরু পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ করে বোমা ছোড়ে। আর এর পরেই বিএসএফের তরফে পাচারকারীদের লক্ষ করে লাইট ফায়ারিং করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছে এক গুরু পাচারকারী। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি গরু। আহত গরু পাচারকারীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএসএফ (BSF)-গরু পাচারকারীদের (Cow Smuggler) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার (Nadia) ধানতলা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গরু নিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল গরুপাচারকারীরা। সেইসময় বিএসএফ বাধা দেওয়ায়, তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফও। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইছামতি বর্ডার আউটপোস্টের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।
বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, জওয়ানদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনা প্রথমবার ঘটল। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের দিকে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় পাচাকারীদের বাধা দিলেই তারা বোমা ও অস্ত্র বের করে। বিএসএফকে উদ্দেশ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
মণিপুরে (Manipur) আতঙ্কবাদীদের (Terrorists) গুলিতে মৃত্যু (Death) হল এক বিএসএফ (BSF) কমান্ডো বাহিনীর জওয়ানের। মঙ্গলবার ভোরে মণিপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ফোন করে এই খবরটি বিএসএফ কমান্ডোর মৃত্যুর খবরটি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই জওয়ানের নাম রঞ্জিত যাদব (৩৬)। তিনি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুুকিয়া পাড়া এলাকার ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা। মঙ্গলবার ভোরে দেশের জন্য গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন তিনি। বিএসএফ কমান্ডো রঞ্জিত যাদবের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং এলাকা সহ শোকে ভেঙে পড়েছে।
মৃত জওয়ানের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কমান্ডো রঞ্জিত যাদব ২০০৯ সালে বিএসএফ-এ যোগদান করেন। তিনিই বাড়ির একমাত্র ছেলে। সরকারের কাছে তার পরিবারের একটাই আবেদন, তাঁদের বাড়িতে আয় এবং উপার্জন একমাত্র রঞ্জিত যাদব করতেন। তাই পরিবারের কাউকে যদি একটা চাকরি দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের পরিবারটা রক্ষা পাবে।