Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

BJPMLA

Gujarat: তিন যুবককে তলিয়ে যেতে দেখেই জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন বিজেপি বিধায়ক

জলে তলিয়ে যাচ্ছিলেন চার যুবক, সেকথা জানতে পেয়েই তড়িঘড়ি জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন বিজেপি বিধায়ক হিরা সোলাঙ্কি (Hira Solanki)। ঘটনাটি গুজরাতের (Gujarat) পাটোয়া গ্রামের। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরের দিকে সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন চার যুবক। কিন্তু স্রোতের টানে অনেক দূর চলে গেলে তাঁরা ডুবতে শুরু করেছিলেন। ফলে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এই দেখে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হীরা সোলাঙ্কি এক মুহূর্ত নষ্ট না করে জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন তিন যুবকের। তবে অনেক চেষ্টা করেও আরেকজনকে বাঁচানো সম্ভন হয়নি।

সূত্রের খবর, রাজুলা এলাকার বিজেপি বিধায়ক হিরা সোলাঙ্কি বুধবার সমুদ্রসৈকতে গিয়েছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে। সেসময় চার যুবক স্নান করতে সমুদ্রে নামলে সমুদ্রের ঢেউ তাঁরা সামলাতে পারেননি। ফলে স্রোতের টানে অনেকটা গভীরে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকেরা ছুটে যায়। কিন্তু তাঁদের বাঁচাতে কেউই জলে নামে না। এরপর বিধায়ক হীরা জিজ্ঞাসা করাতে তাঁদের বাঁচাতে জলে ঝাপ দেন। নিজের প্রাণের পরোয়া না করে চার জনের মধ্যে তিনজনকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন তিনি।

পুলিস জানিয়েছে, কল্পেশ সিয়াল, বিজয় গুজারিয়া, নিকুল গুজারিয়া এবং জীবন গুজারিয়া— এই চার জনের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করা গেলেও জীবন তলিয়ে যান। সন্ধ্যায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।

11 months ago
CID: এইমস-কাণ্ডে নীলাদ্রি দানার সিআইডি হাজিরা, 'মিথ্যা মামলা', দাবি বিজেপি বিধায়কের

কল্যাণী এইমস-এ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়াল বাঁকুড়ার বিজেপি(BJP) বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার (Niladri Sekhar Dana)। তবে এই ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট সামান্য আলাদা। এবার কল্যাণী এইমসে (AIIMS) নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের  মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠায় সিআইডি (CID)। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫মিনিট নাগাদ ভবানীভবনে আসেন এবং সিএইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি। বিধায়কের কন্যা মৈত্রেয়ী দানার এইমস নিয়োগ নিয়ে জেরায় একাধিক প্রশ্ন করা হয় বলে সূত্রের খবর। প্রায় ৭ ঘণ্টা ভবানী ভবনে ছিলেন তিনি।

ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে বিধায়ক বলেন, এ ব্যাপারে আইনগতভাবে তিনি এগোবেন যা বলার বলবেন দলের সভাপতি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বাম আমল থেকে শুরু করে এই আমলেও সেই ধারা অব্যাহত। গোটা ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যোগসাজসের অভিযোগও করেছেন তিনি।

উলেখ্য, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে, এই অভিযোগে এফআইআর (FIR) করা হয়েছিল চাকদহ থানায়। যেখানে নাম ছিল ৮ জনের। এরপরেই আদালতের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। এর আগে মৈত্রেয়ী দানাকে বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম ভাবেই বাবা বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার প্রভাব নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন মৈত্রেয়ী। কিন্তু এরপর তদন্তে নেমে জানা যায় এইমসে মেয়েকে নিয়ে নিজে গিয়েছিলেন বিধায়ক।

শুধু তাই নয়, যে এজেন্সি মারফত মৈত্রেয়ীর চাকরি হয়েছে সেখানে স্বয়ং বিধায়কের সুপারিশপত্র গিয়েছিল বলেও দাবি সিআইডি আধিকারিকদের। আর সেই বিষয়ে বিশদে জিজ্ঞসাবাদ করার জন্যই এদিন আবার তলব করা হয়েছিল বাঁকুড়ার বিধায়ককে বলে খবর।

শিক্ষা সংক্রান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দুর্নীতির একের পর এক চিত্র উঠে আসছে রাজ্যের রাজনৈতিক ক্যানভাসে। প্রভাব খাটিয়ে ছেলে, মেয়ে, পরিবার, পরিজন বা বন্ধু স্থানীয়দের বাড়ির লোকের হাতে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা তুলে দিয়েছেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র! এসব ঘটনা সামনে আসতেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অযোগ্য হয়েও বাবার প্রভাবে চাকরি পাওয়ায় স্কুল চাকরি গিয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। নাম জড়িয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যারও, এবার শেষে একই অভিযোগ কি বিদ্ধ বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা?

তবে এই গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে পাল্টা অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। "যেহেতু সিবিআইয়ের (CBI) জালে তৃণমূলের নেতারা ছটফট করছেন, বড় বড় দুর্নীতি করে মুখ কালো করে বসে রয়েছেন, তাই তার প্রতিহিংসা হিসেবেই কোথাও কিছু নেই তাও আমাদের নেতাদের দিনের পর দিন ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে।" ঠিক এভাবেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।

2 years ago
Bankura: যারা টাকা নিয়েছে, তাদের টুঁটি টিপে আদায় করুন, নিদান বিজেপি বিধায়কের

এবার বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। শুক্রবার একটি জনসভায় যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা (Amarnath Sakha)। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কটাক্ষের সুরে বলেন, "কেউ চাকরির (job) জন্য তৃণমূল নেতাদের (trinamul leader) টাকা দিয়েছেন, কেউ আবার সরকারি বাড়ি পাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছেন। যারা টাকা নিয়েছে তাদের টুঁটি টিপে টাকাটা আদায় করুন। নাহলে গয়ারাম নেতারা পালিয়ে যাবে। অনেকেই বাইরে জায়গা কিনে নিয়েছে। তারা পালিয়ে যাবে।" বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই পারদ চড়তে শুরু করেছে বাঁকুড়ার (Bankura) রাজনৈতিক মহলে।

জানা যায়, বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভার জামজুড়ি গ্রামে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। সেখানে দলীয় কর্মী ও এলাকার বাসিন্দাদের এমন নিদান দেন বিধায়ক। তাঁর সেই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁর এমন বক্তব্যে তৃণমূলের দাবি, উস্কানিমূলক এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি বিধায়ক আসলে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এরপর এলাকায় কোনও অশান্তি হলে তার দায় বিধায়কের। 

তৃণমূলের এই বক্তব্যকে অবশ্য বিধায়ক বিশেষ একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, তাঁর ওই বক্তব্য ছিল দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতাদের জন্য। তৃণমূলের উপর থেকে নিচ সকলেই চোর। সেই চোর নেতাদের কাছ থেকেই দেওয়া টাকা আদায়ের কথা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরা হয়েছেন তিনি। 

2 years ago