
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ত্রিপুরায় (Tripura Government) শপথগ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha) এবং তাঁর মন্ত্রিসভার ৮ জন সদস্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি (BJP President JP Nadda) জগত প্রকাশ নাড্ডার উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ করেন তাঁরা। এই নয় জনকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য। এদিন শপথ নেওয়া ৯ জনের মধ্যে মানিক সাহা-সহ পাঁচ জন আগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে মন্ত্রিসভায় ছিলেন সুশান্ত চৌধুরী, রতনলাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং সান্তনা চাকমা। নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রিসভায় গেলেন বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু দাস, টিংকু রায় এবং আইপিএফটি-র শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া।
এদিকে, এদিন শপথ নেওয়ার আগে লক্ষীনারায়ণ মন্দিরে পুজো দেন মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-সহ অরুণাচল এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীরাও। সদ্যসমাপ্ত ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে বিজেপি এবং আইপিএফটি জোট ৩৩টি আসন পেয়েছে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা তিপ্রা মোথার ঝুলিতে ১৩ আসন। অন্যদিকে জোট বেঁধে লড়াই করা বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে ১৩টি আসন।
আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যেদিন বিজেপি সরকারকে (BJP Government) আসবে, বাংলায় বিনিয়োগের বন্যা বইবে। শনিবার সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) পাশে বসিয়ে এই দাবি করেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তিনি জানান, 'এতো বিনিয়োগ হবে চোখে দেখে মনে করবেন এটা সত্যি না স্বপ্ন। আমি একজন ছোট অভিনেতা, কিন্তু বড় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের বক্তব্য একটাই, টাটা পর্বের পর আমরা একটু ভিত।' পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) সাম্প্রতিক অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন টলিউডের মহাগুরু।
তিনি বলেন, 'কিছু কিছু জিনিস বন্ধ হয়নি। যেটা প্রচার চলছে, বন্ধ করে দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে, সেটা বন্ধ হয়নি। আপাতত ভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। পজ দেওয়া হয়েছে, পজ কেন করা হয়েছে? কেন্দ্র হিসেব চাইছে, ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছে, তার হিসেব দিন। সেই হিসেব দিয়ে দিলেই কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠাবে কেন্দ্র।'
এদিকে, মিঠুন চক্রবর্তীর 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগ বন্যা' সংক্রান্ত মন্তব্যকে খোঁচা দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'মিঠুন দা যখন সুভাষবাবুর সঙ্গে ঘুরতো তখন শিল্প আসেনি। মাঝে আমাদের সাংসদ হয়েছিল, তখন শিল্প আনতে পারেনি। এখন বিজেপির সঙ্গে ঘুরলেও শিল্প আসবে না। সুতারাং মিঠুন দা কী বললো, ওসব হয় মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। ওদের ভাবনা সিনেমার মতো করেই হয়। বাস্তব, শিল্প আনতে গেলে যে সরকার দরকার, স্থায়ী, বনধ-ধর্মঘট করতে দেয় না, সচল; এমন সরকার। তাই আদানির মতো সংস্থা এখানে আসছে। তাঁরা জানে বাংলায় মমতার নেতৃত্বে শিল্প পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে।'