
বিজেপি (BJP) প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। তিহাড় (Tihar) জেল থেকে বেরিয়ে বললেন তৃণমূল সাংসদ (MP) দোলা সেন (Dola Sen)। শুক্রবার তিহাড়ে অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মালও। এদিন জেল থেকে বেরিয়ে দোলা সেন জানান, সুস্থ আছেন অনুব্রত ও সুকন্যা। তাঁর অভিযোগ, বাবা-মেয়েকে অকারণে আলাদা রাখা হয়েছে। সুকন্যা তো রাজনীতিতেই ছিলেন না। কিন্তু অনুব্রতকে চাপ দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে সুকন্যাকে। এরপরই বিজেপির 'প্রতিহিংসা'-র রাজনীতি নিয়ে সরব হন তিনি।
এদিন, সকাল ১১টা নাগাদ তিহাড়ে যান দোলা এবং অসিত। বেশ কিছু সময় সেখানে ছিলেন তাঁরা। অনুব্রতর পাশে যে দল আছে, সেই বার্তা দিতেই দলের উচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদনেই তিহাড়ে যান দোলারা। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বৃহস্পতিবারই গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অনুব্রতের জামিনের আবেদন নিয়ে মামলার শুনানিও স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি। আগামী এক মাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা কম। গোটা জুন মাসও তিহাড়েই কাটবে অনুব্রত ও সুকন্যার।
দিনহাটায় মায়ের সামনে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি (BJP Leader) নেতাকে খুনের অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, ওই বিজেপি নেতার নাম প্রশান্ত রায় বসুনিয়া। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Dead) বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিনহাটার (Dinhata) শিমুলতলা এলাকায়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিধায়ক উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই খুন। অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত বিজেপি মন্ডল সভাপতি ছিলেন। এলাকার সংগঠনের কাজে সক্রিয় ছিলেন।
পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে বাড়িতে খাটে বসেছিলেন প্রশান্ত। সেই সময় কয়েকজন যুবক ঘরে ঢুকে তাঁকে গুলি করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জলে তলিয়ে যাচ্ছিলেন চার যুবক, সেকথা জানতে পেয়েই তড়িঘড়ি জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন বিজেপি বিধায়ক হিরা সোলাঙ্কি (Hira Solanki)। ঘটনাটি গুজরাতের (Gujarat) পাটোয়া গ্রামের। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরের দিকে সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন চার যুবক। কিন্তু স্রোতের টানে অনেক দূর চলে গেলে তাঁরা ডুবতে শুরু করেছিলেন। ফলে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এই দেখে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হীরা সোলাঙ্কি এক মুহূর্ত নষ্ট না করে জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন তিন যুবকের। তবে অনেক চেষ্টা করেও আরেকজনকে বাঁচানো সম্ভন হয়নি।
সূত্রের খবর, রাজুলা এলাকার বিজেপি বিধায়ক হিরা সোলাঙ্কি বুধবার সমুদ্রসৈকতে গিয়েছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে। সেসময় চার যুবক স্নান করতে সমুদ্রে নামলে সমুদ্রের ঢেউ তাঁরা সামলাতে পারেননি। ফলে স্রোতের টানে অনেকটা গভীরে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকেরা ছুটে যায়। কিন্তু তাঁদের বাঁচাতে কেউই জলে নামে না। এরপর বিধায়ক হীরা জিজ্ঞাসা করাতে তাঁদের বাঁচাতে জলে ঝাপ দেন। নিজের প্রাণের পরোয়া না করে চার জনের মধ্যে তিনজনকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন তিনি।
পুলিস জানিয়েছে, কল্পেশ সিয়াল, বিজয় গুজারিয়া, নিকুল গুজারিয়া এবং জীবন গুজারিয়া— এই চার জনের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করা গেলেও জীবন তলিয়ে যান। সন্ধ্যায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
৩০ মে, মঙ্গলবার ৯ বছর পূর্ণ হল মোদী সরকারের (Modi Government)। আর নবম বর্ষপূর্তিতে সরকারের কাজের প্রশংসা শোনা গেল একাধিক মন্ত্রীদের গলায়। মঙ্গলবার সকালেই দেশবাসীর উদ্দেশে টুইট করে জানালেন, আজ কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ৯ বছর পূর্তি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অতীতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জনগণের ভালোর জন্যই নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও জনগণের সেবায় তাঁর সরকার নিয়োজিত থাকবে বলে আবেগঘন বার্তায় আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে লিখেছেন, 'আমরা আজ জাতির সেবায় ৯ বছর পূর্ণ করেছি। বিনয় ও কৃতজ্ঞতায় ভরে গিয়েছে আমার মন। এই সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ, মানুষের জীবনকে আরও উন্নত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। উন্নত ভারত গড়তে আমরা আরও কঠোর পরিশ্রম করে যাব।' ২০১৪ সালে প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এরপর ২০১৯ সালের ৩০মে দ্বিতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। ফলে দেখতে দেখতে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হয়ে গেল। ফলে তিনি তাঁর টুইটে বিজেপি সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিজেপির তরফে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা দেশব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আবার মোদী সরকারের প্রশংসা করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, মোদী সরকারের ফলেই বিশ্বের কাছে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রসূন গুপ্তঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ছিল, বিরোধীদের বৈঠক হোক কিন্তু দিল্লিতে নয়, হোক পাটনায়। যেদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব নবান্নে এসেছিলেন সেদিনই এই প্রস্তাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে রাখেন। পরে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলে মূলত নীতীশের আয়োজনে পাটনায় এই বৈঠক হচ্ছে।
এবারে প্রশ্ন, উপস্থিত থাকছেন কারা? গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যাবেন না। দেখা গেল আগে না জানালেও অধিকাংশ অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই গরহাজির। পরদিন রবিবার ছিল নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। সেখানেও বিরোধী ২০টি বিরোধী দল অনুপস্থিত ছিল। যুক্তি ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানো। যদিও বাহানা রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি কিন্তু ওই ঘটনার মাধ্যমে একটা বিরোধী ঐক্য গড়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে ভারতের পদক জয়ী খেলোয়াড়দের গ্রেফতারির ঘটনাও তাঁদের নতুন তথ্য জোগান দিয়েছে।
বিরোধীদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী কংগ্রেস যেমন জোট হওয়ার কাজে উদ্যোগ নিয়েছে, তেমন রয়েছে নীতীশের জেডিইউ, লালুর আরজেডি, জেএমএম, ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব) ইত্যাদি। তবে কংগ্রেসের বিরোধী হলেও থাকছে তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, তেলেঙ্গানার টিআরএস।
তবে কি বিজেপি একা। না তার অনেক সমর্থক এসে গিয়েছে যাদের ঠিক জোটসঙ্গী বলা যায় না। আছে বিজেডি, এআইএডিএমকে, শিরোমনি আকালি দল। অন্ধ্রের চন্দ্রবাবুর দল বা জগন্ময় রেড্ডির দলও রয়েছে মোদীর পাশে। মজার বিষয় এক সময়ের মোদী বিরোধী দেবেগৌড়ার দল জেডিএস সম্প্রতি কর্ণাটকের ভোটে খুবই খারাপ ফল করেছে, কাজেই তাদের কোনও পছন্দ নেই। সুতরাং রবিবারে আসবো না বলেও সংসদ ভবনের উদ্বোধনে তারা উপস্থিত ছিল।
২০২৪-এর নির্বাচনের আগে সাভারকরের জন্মদিনে সংসদ ভবন উদ্বোধন করে প্রকারান্তে আরএসএস-কে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রাচীন পুকুর ভরাটের (Pond Fill Up) অভিযোগে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এমনকি পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে যশোর রোডে প্রতীকি নিয়ে অবরোধ বিজেপির (BJP)। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার (Gaighata) বকচরা ১ নম্বর টালিভাটা এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবার সকালেও সেই বিক্ষোভ জারি রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা৷
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা ব্লকের বকচরায় কয়েক বিঘা জায়গা নিয়ে একটি পুকুরকে ভরাট করছে প্রোমোটার, তেমনই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি সদস্যদের দাবি, পুকুর ভরাট করে এখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে তেমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষেকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন এই প্রোমটার। কিন্তু এই পুকুর ভরাট হলে বকচরা এলাকার সাধারণ মানুষ আগামী দিনে বেশ সমস্যায় পড়বেন। তাই সেই কারণেই বুধবার বিকেল যশোর রোডের বকচরাতে রাস্তা অবরোধ করেছে বিরোধী দলের নেতারা। এমনকি প্রতীকি নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ করার পর পুলিস সেই অবরোধ তুলে দেয়। তবে তাতেও থেমে নেই তাঁরা। তাই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ফের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা গোবিন্দ হালদার নামে এক ব্যক্তি জানান, এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত নিয়েই এই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। পুকুরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গাও রাখা হয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্যই একটি হাসপাতাল নির্মাণ করার কারণেই পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে। আর যাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছে তাঁরা এই এলাকার সাধারণ মানুষ নয়। এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে মতামত নিলে তাঁরাই সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
ফের কোটি কোটি টাকার (Money) দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বিজেপির (BJP) তরফে এ অভিযোগ আনা হয়। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বর (Birbhum) থানার অন্তর্গত ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকে। ওইদিনই অভিযোগ জনানো হয় ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের বিডিও-র কাছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান রথীন সরকার।
এই বিষয়ে রথীন সরকার দাবি করেন, তাঁর আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে আগের পঞ্চায়েত প্রধান সায়েরা বিবির আমলেই এই দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চায়েতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ প্রাক্তন প্রধানের স্বামী নাসিম শেখ। এই ঘটনায় যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত। অভিযোগ, প্রায় দেড় কোটি টাকার গাছ বিক্রি করেছে। এছাড়াও রথীন সরকারের নামে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী নাসিম শেখ।
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা শ্যামল মণ্ডল জানান, গাছ চুরি থেকে আবাস যোজনার বাড়ি সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে এই পঞ্চায়েত জড়িত। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সমস্ত তথ্য ব্লক আধিকারিককে দেওয়া হয়েছে। যদি তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে, এমনটাই জানান তিনি।
নবম বর্ষপূর্তির প্রচার চলেছে বিজেপির। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের যে নরেন্দ্র মোদীকেই দলের মুখ করা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু লোকসভার আগে চার রাজ্যের ভোটের কাঁটা রয়েছে তাদের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং তেলেঙ্গানা। কর্ণাটক এবং হিমাচল তাদের হাতে নেই, কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছে। কাজেই এই চার রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা থাকাই স্বাভাবিক।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা রয়েছে যে কর্ণাটক এবং হিমাচলে মোদীকে সামনে রেখে ফল অতি খারাপ হয়েছে। জনগণের কাছে কে হবে রাজ্য নেতা তার কোনও পরিষ্কার বার্তা ছিল না। আমল দেওয়া হয়নি ইয়াদুরাপ্পাকে। কাজেই সেই ভুল আর করতে চায় না কেন্দ্রীয় বিজেপি। আপাতত রাজস্থান জয়ের বিষয়ে কিছুটা স্বস্তিতে তারা। এর অন্যতম কারণ রাজস্থানে প্রতি ৫ বছর অন্তর সরকার বদল হয়। একই সঙ্গে সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। মধ্যপ্রদেশে গতবারে ক্ষমতায় এসেছিলো কংগ্রেস কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে দেওয়াতে এবং কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরিয়ে কমলনাথের মন্ত্রিসভা ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবারে কিন্তু হওয়া উল্টো পথে।
অবস্থা বুঝে আদবানি ঘনিষ্ঠ শিবরাজকেই মুখ করছে বিজেপি। ছত্রিশগড়ের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা কাজেই ওই রাজ্যে পুরাতন মুখকেই ভরসা করছে দল। রইলো বাকি তেলেঙ্গানা। এখানে মূল লড়াই এতদিন ছিল কংগ্রেস এবং টিআরএসের মধ্যে। বিজেপি সংগঠন বাড়ালেও এমন শক্তিশালী হয়নি যে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারবে। কাজেই স্থানীয় মুখের সন্ধানে দল।
অন্যদিকে, কর্ণাটক দখল করে কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আবার ওই রাজ্যের। কিন্তু এটাও বাস্তব বহু রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি হ্রাস পেয়েছে কাজেই যে যে রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল, সে রাজ্যে তারা বন্ধুর খোঁজে রয়েছে। নিয়মিত তাদের ম্যানেজাররা যোগাযোগ রাখছে নীতীশ কুমার সহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে। আসন্ন চার রাজ্যের নির্বাচন কিন্তু দুই দলের কাছে সেমিফাইনাল ম্যাচ।
প্রসূন গুপ্তঃ রবিবার বিজেপির রাজ্য কমিটির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। আয়োজিত হয়েছিল কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে। সভার আলোচনার মূল বিষয় ছিল, নরেন্দ্র মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর বক্তব্যে জানান, সরকারের বর্ষপূর্তি এবং কাজের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে জানাতে হবে। আগামী ৩০ মে থেকে ৩০ জুন অবধি রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযানে নামবেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। বনশল জানান, দলের মধ্যে ছ্যুৎমার্গ চলবে না। পরোক্ষে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বোঝান বনশল। এই ভাবে চললে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে, জানান বনশল।
পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ার জন্য। অবশ্য সুর চড়া করে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন যে, সংগঠনের ত্রুটি রয়েছে। নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে উচ্চ নেতাদের যোগাযোগ নেই মোটেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলায় জেলায় গিয়ে দেখেছেন যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কর্মীদের উপর। তিনি তাঁর বক্তব্যে কড়া বার্তা দেন। তাঁর ভাষণের বিরোধিতা করতে দেখা যায় নি। বিজেপি কর্মীদের অন্দরের কথা, দিলীপবাবু যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন সংগঠন চাঙ্গা ছিল এবং এই সময়েই বিজেপির ভোট বাড়ে। গত লোকসভায় বিজেপি ১৮টি আসন জয় করে দিলীপের নেতৃত্বে। দিলীপবাবু 'চায়ের আড্ডা' যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল বলে দাবি দলের কর্মীদের।
অবিশ্যি এটাও বাস্তব যে বিজেপির ভোট বেড়েছিল মূলত সিপিএম তথা বামেদের ভোটেই। ২০১৬ তে বিজেপির ভোট এই রাজ্যে ছিল মাত্র ১০ শতাংশ, কিন্তু ২০১৯-এ তা বেড়ে হয়ে যায় ৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে, বামেদের ভোট কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭-৯ শতাংশ। কাজেই প্রশ্ন থাকে বাম ভোট কমে কি বিজেপিতে গেলো? খতিয়ে দেখছে দল যে কোনও কারণে ২০২১ ভোট পর থেকেই বিজেপির ভোট ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে। সাগরদিঘিতে বিজেপির জামানত গিয়েছে এবং নদীয়া জেলায় সমবায় ভোট বিজেপি শূন্য হয়ে গিয়েছে যেখানে সিপিএমের ভোট বেড়েছে। কাজেই সুনীল বনশল দলের সংগঠনের উপর জোর দিচ্ছেন।
পূর্বসূচি অনুযায়ী আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে ফের 'নবজোয়ার' (Nabajoar) যাত্রা শুরু করবেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সিবিআইয়ের তলবে হাজিরা দিতে বাঁকুড়া থেকে কলকাতা আসেন তিনি। সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা দেওয়ার পর অভিষেককে যে আরও উৎফুল্ল দেখিয়েছে সেটা গোটা রাজ্যই দেখেছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি সিবিআইয়ের হাজিরার পর অভিষেকের ও তৃণমূলের পালে আরও হাওয়া লাগবে। পাশাপাশি তৃণমূলের সিংহভাগ নেতৃত্বের অবশ্য দাবি 'নবজোয়ার' সফলই ছিল, এই ঘটনার পর আরও বৃহৎ চেহারা নেবে এই 'নবজোয়ার।'
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ চপারে ইন্দাসে পৌঁছবেন অভিষেক। প্রথমে সেখানে বজ্রপাতে মৃত এবং আহত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর জয়পুর এবং বিষ্ণুপুরে কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তার আগে বিষ্ণুপুরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইন্দাসের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন খোদ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দাবি, সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে জনপ্লাবন হবে।
শুক্রবার দুপুরে সিবিআইয়ের তলব পেয়ে, রাতে বাঁকুড়া থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রবিবার হাজিরা দিয়ে ফের সোমবার থেকে নবজোয়ার যাত্রা শুরু হবে। শনিবার রাতে সিবিআইয়ের এই তলব প্রসঙ্গে বিজেপিকে মূলত টার্গেট করেন অভিষেক। জেরা শেষে বেরিয়ে অভিষেক স্পষ্ট বলেন, 'নবজোয়ার যাত্রা দেখে বিজেপি সহ্য করতে পারছে না, তাই চক্রান্ত করে বিজেপি এই যাত্রাকে আটকানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তোপ দাগেন মোদি ও অমিত শাহকেও।' এই বিষয়ে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিবিআইয়ের এই তলব প্রসঙ্গে বিজেপিকেই দুষছেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের দাবি মানতে নারাজ। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, 'চোর চুরি করেছে, সিবিআই তদন্ত করছে, এত ভয় পাওয়ার কী আছে।'
সকাল থেকেই কিন্তু অভিষেককে (Abhishek Banerjee) চাঙ্গাই লেগেছে। যদিও বেশি চাঙ্গা লাগলো সিবিআই (CBI) জেরা সেরে বেরিয়ে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘন্টার সিবিআই জেরা সেরে বেরিয়ে তুলোধনা করলেন বিজেপিকে (BJP)। নিশানায় থাকলেন বাম-কংগ্রেস ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও। শুক্রবার কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার বেলা ১১ টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি দিল্লির কাছে হার মানিনি তাই আমার বিরুদ্ধে এজেন্সি লাগানো হয়েছে। দিল্লির পোষা কুকুর হবো না, বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে থাকব।'
নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক বিজেপিকে তীরে বিঁধলেন ও হাঁটলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের পথে, বললেন, 'বিজেপি নবজোয়ার যাত্রায় লোকের উন্মাদনা সহ্য করতে পারছে না, তাই এই নবজোয়ার যাত্রা বানচাল করার জন্য এত কিছু।' যেমনটা শুক্রবার মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেরার শেষে বেরিয়ে এসে প্রথমেই বললেন, 'যারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের সময় নষ্ট। আর আমারও সময় নষ্ট।' একার্থে তিনি বুঝিয়ে দিলেন এই জিজ্ঞসাবাদের ফলাফল শূন্য। এমনকি মুখেও তিনি বললেন এই ফলাফলের কথা। বললেন, 'এই জেরার নির্যাস শুন্য। একটি অস্টডিম্ব বেরিয়েছে।'
মোটের উপর সিবিআইয়ের এই হাজিরার পর যে অভিষেকের নবজোয়ারে নতুন পাল এলো সেটা কিন্তু তিনি বুঝিয়েই দিলেন। শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদেরও তুলোধনা করতে ছাড়েন নি অভিষেক। অভিষেক সিবিআইকে টার্গেট করে বলেন, '৩ বছর আগে আমাকে ডেকেছিল, আমি আগে যা বলেছি তিন চার বছর পরে তাই-ই বলব। সিবিআই তো গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষায় দুর্নীতির তদন্ত করছে ফলাফল কি?' তিনি আরও বলেন, 'সিবিআই তো জ্ঞানেশ্বরীর তদন্ত করছে, ১৫ বছর ধরে নোবেল চুরির তদন্ত করছে ফলাফল কি?' সব শেষে হুঙ্কারের সুরেই বললেন, 'ইডি-সিবিআই লাগবে না, অভিযোগ থাকলে তথ্য প্রমান আনুন অন্যদিকে ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করুন।'
শনিবার অভিষেক মোদী ও অমিত শাহকেও ছাড়েন নি। নিজের দলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'তৃণমূল একমাত্র দল যে দলের মন্ত্রী থাকা কালীন গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিস্কার করেছে,আর চোর ও দুষ্কৃতীরা বিজেপির সম্পদ।' মোটের উপর গোটা ঘটনায় বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে তৃণমূল সেটা কিছুটা স্পষ্ট শনির সন্ধ্যার পর। '
প্রসূন গুপ্তঃ দল বদল করাটা মহাপাপ নয়। কিন্তু দেখার বিষয় কী হেতু দলটি বদলাচ্ছে ব্যক্তি বিশেষ। ইন্দিরা গান্ধী দুবার দল ভেঙে নতুন দল গড়েছিলেন। প্রথমে নব কংগ্রেস পরে ইন্দিরা কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইন্দিরা যেখানে কংগ্রেসও সেখানেই প্রমাণিত হয়েছে। দলের সঙ্গে সিম্বলটিও বদলেছিলেন ইন্দিরা। প্রথমে জোড়া বলদ, পরে গাই বাছুর এবং শেষে হাত চিহ্ন। দল ছেড়ে নতুন দল গড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। সারা ভারতে এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। কমিউনিস্টরা ভারতে বারবার দল ভেঙে দল গড়েছে। একেবারে প্রথম ছিল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া বা সিপিআই, যার চিহ্ন ছিল কাস্তে ধানের শীষ। পরে ভেঙে হয়েছে সিপিএম, আরএসপি, এসইউসি ইত্যাদি। নকশালদের জন্মও ওই কাস্তে ধানের শীষের থেকেই।
এতো গেলো দল ভেঙে দল গড়া। কিন্তু দল ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার ইতিহাসও কম কিছু নয়। এও চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার একটা চল শুরু হয়েছিল ২০১৯ থেকে ২০২১ অবধি। অবশ্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুকুল রায়ের হাত ধরে বাম দলগুলি থেকে বহু কর্মী দলে যোগ দেন। আজ তার খেসারত দিতে হচ্ছে পার্টিকে।
আবার তৃণমূল থেকে বহু নেতা দল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভোটে ফের পায়ে ধরে ফিরেছে দলে, যথা সব্যসাচী দত্ত বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইত্যাদি। টিকিট না পেয়ে দল ছেড়েছিলেন এক সময়ে মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ। যতদিন তৃণমূলে ছিলেন এবং যত মমতার নাম ছড়িয়েছিলো, তত পথেঘাটে রোয়াবি দেখিয়েছিলেন সোনালী। হাওড়ার পুলিস স্টেশনে ঢুকে জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন পুলিস কর্তাকে। দাপট কী প্রচন্ড ছিল তাঁর। পরে টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে যান এবং বিজেপি ক্ষমতায় না আসার পর ফের মমতাকে হাতে পায়ে ধরে ফিরতে চান। কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্য ফেরত নেওয়া হয়নি। এখন ফের তিনি ফিরতে চাইছেন বিজেপিতে। এবারে কিন্তু অধিকাংশ বিজেপি নেতা কর্মীরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন সোনালী নিয়ে। কাজেই? আসলে এই সোনালী গুহরা আদৌ বদলায় কি? সোনালীরা বদলায় না।
শনিবার সকাল আটটা থেকে কর্নাটকের (Karnataka) ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ৩ ঘন্টা পার হবার পর কর্ণাটকের আগাম ফলাফলের ছবি কিছুটা পরিষ্কার। যদিও এখনও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে। বেশরিভাগ ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে কংগ্রেস। কোথাও আবার অনেকটা এগিয়ে বিজেপি।
সকাল ১১ টা নাগাদ যখন পোস্টাল ব্যালট গণনার ট্রেন্ড সামনে আসে তখন দেখা যায় ২২৪ আসনের কর্নাটকে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে কংগ্রেস। কিন্তু সকালের দিকে কখনও কখনও বিজেপি এগিয়ে যায়। যদিও সকাল ১১ টা অবধি পাওয়া খবরে বিজেপি এগিয়ে ৭০ টি আসনে, কংগ্রেস এগিয়ে ১২০ টি আসনে, জেডি(এস) এগিয়ে ২৫ টি আসনে অন্যান্যরা ৮ টি আসনে।
প্রথম তিন ঘণ্টার যা ট্রেন্ড তাতে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছ। যদিও এটা মাঝ রাউন্ড। তবে ঘন্টা তিনেক পার হয়েছে গণনার। এটা স্পষ্ট যে, কর্নাটকে দ্রুত সব কিছু বদলে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ৩৬ টি গণনা কেন্দ্রে চলছে ভোট গণনা। যাখবোও অবধি গণনায় কংগ্রেস পেয়েছে ৪৫ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়েছে ৩৮ শতাংশ ভোট। মধ্য কংগ্রেস ও কর্ণাটকের উপকূলবর্তী এলাকায় এগিয়ে কংগ্রেস।
সকাল ১১ টা নাগাদ খবর চান্নাপাটনা আসনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী পিছিয়ে রয়েছেন। জয়ের আনন্দ শুরু করেছে কংগ্রেস, গোটা বেঙ্গালুরু জুড়ে কংগ্রেসের বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে সবুজ আবির নিয়ে খেলা শুরু হয়েছে।
মৃত বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির বাড়িতে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী (CISF)। আদালত পূর্বেই মৃত বিজয়কৃষ্ণের (BijayKrishna) বাড়িতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়ার বাড়িতে সিআইএসএফ নিরাপত্তা রক্ষীদের মোতায়েন করা হয়।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে বনধ ও প্রতিবাদ করে বিজেপি। এই জল গড়ায় আদালতে। আদালতে পরিবারের দাবিতে মৃত ওই ব্যক্তির পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেইমতো ময়নাতদন্ত হয়।
জল গড়ায় অনেক দূর। এ ঘটনায় বিজেপির তরফে ও মৃত বিজেপি কর্মীর ছেলে সিবিআই তদন্তের দাবি করে। পাশাপাশি এই ঘটনায় পরিবারের তরফে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস, তাঁদের মধ্যে ৪ জন তৃণমূল কর্মী।
লোকসভা (Loksava) ভোটের আগে প্রতিমাসে রাজ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Home Minister) তথা বিজেপির (BJP) দক্ষ সংগঠক অমিত শাহ। শাহের এই সিদ্ধান্তে বেশ কয়েকরকমের মত থাকছেই। একদিকে যখন লোকসভা ভোটের গড় আকড়ে ধরার জন্য প্রতিমাসে রাজ্য আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমিত শাহ। তখন একদল মনে করছেন অমিত শাহ রাজ্যে এলে কর্মীরা সজাগ হবেন, এছাড়া কর্মীদের সক্রিয় করতে পারদর্শী অমিত শাহ। অন্যদিকে তখন একদল মনে করছেন, অমিত শাহের ক্রমাগত রাজ্যে আসা, ২০২১ অর্থাৎ গত বিধানসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে, ফলে বহিরাগত তত্ত্ব তৃণমূলের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দেবে।
হতে পারে বিজেপির অন্যতম দক্ষ সংগঠকের মস্তিষ্কে তখন অন্য কিছু চলছে। আসন্ন পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে যে বিজেপির সাংগঠনিক হাল বেহাল সেটা বিজেপির সংগঠক অমিত শাহ বুঝেছেন। বিরোধীদের মত অবশ্য কিছুটা এরকম যে আর কিছুদিন পর লোকসভা ভোট। তার আগে পঞ্চায়েত ভোট। বিজেপির সংগঠনের হাল যদি এমন হয় তবে লোকসভাতে ভালো ভাবেই তৃণমূলের কাছে ঠোকর খেতে হতে পারে সে কথা কিন্তু অমিত শাহ জানেন, সে জন্যই হয়ত সংগঠন সামলাতে প্রতিমাসে রাজ্যে আসবেন।
এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তৃণমূল আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালনের লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করবে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন দলকে। শাহের গত মঙ্গলবারের সফরটি ছিল বিগত ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয়। এবার তিনি প্রতিমাসে আসতে চান বলে মঙ্গলবার সফরের শেষ লগ্নে নৈশভোজের আসরে নিজেই বলেন।