প্রসূন গুপ্তঃ স্বাধীনতা উত্তর যুগে যে কয়েকটি এলাকা লাল দুর্গ হিসাবে খ্যাত হয়েছিল তার অন্যতম যাদবপুর। এর কারণও ছিল। অঞ্চলের বিশাল স্থানে এসেছিলো উদ্বাস্তুরা এবং ইতিহাস বলে বাম বা সিপিএম বা নক্সালরা যেখানে সংগঠন পোক্ত করেছিল তার বেশির ভাগই উদ্বাস্তু এলাকা ছিল। কিন্তু এই মিথটি ভেঙে দিয়েছিলেন ১৯৮৪/৮৫ তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ফের এই লোকসভা সিপিএমের হাতে চলে যায় ১৯৮৯ তে। ফের তৃণমূল দল তৈরি হলে এই যাদবপুর থেকে জিতে আসেন কৃষ্ণা বসু। ফের ২০০৪-এ ফের সিপিএমের হাতে আসে এই লোকসভা। কিন্তু ২০০৯ থেকে এই লোকসভা ফের চলে আসে তৃণমূলের হাতে।
যাদবপুর লোকসভায় ৭টি বিধানসভা আছে। টালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর ১ ও ২, বারুইপুর ১ ও ২ এবং ভাঙ্গর। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ৭টির মধ্যে ৬টি বিধানসভা যেতে তৃণমূল। একমাত্র ভাঙ্গরে আইএসএফ এর প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকী জেতেন। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী বিজেপির অনুপম হাজরাকে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে পরাজিত করেন। এবারে কিন্তু মিমি আর লড়াইয়ে নেই, এসেছেন আর এক গ্ল্যামার দুনিয়ার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। বিরুদ্ধে বিজেপির উচ্চ শিক্ষিত অনির্বান গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্য।
লড়াইটা কেমন হবে উঠেছে প্রশ্ন? প্রথমত এবারে লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপি নাকি তৃণমূলের লড়াই সিপিএমের সঙ্গে? বাম প্রার্থী সৃজন নব্য যুবা। জনপ্রিয়তা আছে তাঁর। একই সাথে জানতে হবে যে গতবারে লড়াই কিন্তু ত্রিমুখী হয়েছিল এই যাদবপুরেই। একমাত্র সিপিএম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য সারা বাংলায় নিজের জামানত রাখতে পেরেছিলেন। যদি সেই মোতাবেক ভোট হয় তবে সায়নীর বড়সড় ভোট জিতে আসাটা সমস্যার হবে না। কিন্তু যদি সৃজনকে খোদ সিপিএম ভোট না দিয়ে অনির্বাণকে দেয় তবে লড়াই জোরদার। আবার যদি সিপিএমের পুরাতন ভোট দলেই ফিরে আসে তবে লড়াই জোরদার তৃণমূলের সঙ্গে তাদের। সে যাই হোক না কেন কলকাতা, বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতা লাগোয়া যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র কিন্তু তৃণমূলের অন্যতম খাসতালুক ফলে অনেকটাই পা বাড়িয়ে খেলছেন সায়নী।
ভোটপ্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। রোড শো চলাকালীন উপস্থিত মহিলাদের থেকে কোথাও নিকাশি নিয়ে অভিযোগ শুনতে হল, কোথাও আবার রাস্তা কিংবা পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার রোড শো করছিলেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। তৃণমূল প্রার্থীকে সামনে পেয়ে অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ বছর ধরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। বিধায়ক শাসকদলের, পুরসভাও। তারপরেও কেন কাজ হয়নি? কেন ইচ্ছে করে গড়িমসি করা হয়েছে? ২০০৯ থেকেই যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কোনও তারকাকে প্রার্থী করেছে। কবীর সুমন, সুগত বসু এবং মিমি চক্রবর্তী এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তারকারা জয়ী হওয়ায় কি মাটির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। সেই জন্যই কি ন্যূনতম কাজও হয়নি? এমন ঘটনায় তৃণমূলকে পাল্টা জমিদার কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি।
বস্তুত, ভোটের আগে বিক্ষোভে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসকদল। বিরোধীরা ক্ষোভের ফায়দা তুলতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার।
রাজ্যে যুক্ত হল আরও নয়া দুর্নীতি মামলা। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মনরেগা প্রকল্পের অর্থ তছরূপের দুর্নীতির তদন্ত। এদিন চার জেলায় ছটি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন ইডির আধিকারিকেরা। রাজ্যে প্রথম এই দুর্নীতির তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এদিন ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতিতে মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
দীর্ঘ চার ঘন্টা অভিযান চালানোর পর সঞ্চয়ন পানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বেশকিছু নথি সহ পুরনো একটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা জব কার্ড তৈরী করে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। তাই তাদের নজর এবার পড়েছে সরকারি আমলাদের ওপর। যাদের হাত ধরে বছরের পর বছর এই সরকারি প্রকল্পগুলি চলে আসছিল।
সঞ্চয়ন পানের মা মঞ্জু পান জানান, আজ সকালে বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা এসেছিল। কিন্তু কী অভিযোগে তল্লাশি চালানো হয়েছে সেটা তাঁরা জানায়নি। কিন্তু চারঘন্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে একটি ল্যাপটপ, কিছু জমির নথি, এবং সঞ্চয়নের স্ত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। তাঁর আরও মা বলেন, আমার ছেলে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেই।
মনের ভক্তি ও ইচ্ছা শক্তিতে নিজের হাতে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের রামায়ণের গোটা চিত্র তুলে ধরেছেন তাঁত শাড়িতে। প্রায় এক বছর সময় ধরে একটির পর একটি সুতো দিয়ে নিখুঁতভাবে গোটা রামায়ণের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁত শাড়িতে রানাঘাট থানার হবিবপুর রাঘবপুর মাঠপাড়ার বাসিন্দা হস্তচালিত তাঁতশিল্পী পিকুল রায়।
সেই শাড়ি অযোধ্যার রামমন্দিরের রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন ভগবান সীতা মায়ের চরণে অর্পণ করতে চান শিল্পী পিকুল রায়। আগামী ২২ তারিখে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। সেই দিনের উদ্দেশেই হবিবপুর স্টেশন থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে ট্রেনে রওনা তাঁতশিল্পী পিকুল রায়ের। তিনি সঙ্গে নিয়েছেন হাতে তৈরি রামায়ণের গোটা চিত্র ফুটিয়ে তোলা তাঁত শাড়ি। ভাইয়ের এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন দাদা অনন্ত রায়। তাই ভাইকে সঙ্গ দিতে ভাইয়ের সাথে দাদা অনন্তও অযোধ্যায় রওয়ানা দিয়েছেন। তিনি জানালেন, অযোধ্যার রামমন্দিরের তরফ থেকে তেমন কোনও সাড়া মেলেনি। অযোধ্যা মন্দিরের তরফে কোনও সাড়া না মিললেও, মনের ভক্তির বলেই সেই ইচ্ছাপূরণের জন্যই অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা। তবে পিকুল রায় ও দাদা অনন্ত রায়ের অযোধ্যায় যাওয়ার খবর জানাজানি হতেই গোটা গ্রাম উপচে পড়ে উৎসাহিত করতে।
পিকুল রায়ের একবছর সময় লেগেছে শাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করতে। সম্পূর্ণ তাঁতের উপর হাতের বুনোনে তৈরি এই শাড়ি দেখলে মনে হবে এটা ছাপা অথবা প্রিন্টের, কিন্তু না গোটাটাই হস্তশিল্প। এই হচ্ছে বাংলার তাঁত শিল্পের অবদান, যা আজকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন শিল্পী পিকলু রায়। রাম-সীতা, লক্ষণ, হনুমানকে হাতের বুনোনের মাধ্যমে শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছেন পিকলু। আগামী ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে শাড়িটি উপহার হিসেবে দেবেন ও সেখানে উপস্থিত থেকে অঞ্জলিও দেবেন দাদা-ভাই।
অয়ন শীলের ডায়েরি থেকেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সুজিত বসুর নাম! এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সুপার অ্যাকশন মোডে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনার পর এবারে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রায় ১২ ঘণ্টা পরও এখনও চলছে তল্লাশি। এদিন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ডায়েরির সাঙ্কেতিক কোড থেকেই জানা যায় সুজিত বসুর নাম।
জানা গিয়েছে, সকাল থেকে সুজিত বসুর পুরনো বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর ইতিমধ্যেই সেখান থেকে বেরিয়ে যায় ইডি। এর পর সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্র বসুকে নিয়ে পাশের একটি অফিস ও বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও চলেছে তল্লাশি। এই দফতরের বাইরে রয়েছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিধান নগর পুলিসের বাহিনীও। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে চারজন ইডি আধিকারিক বেরিয়ে গেলেও কয়েকজন আধিকারিক এখনও চালাচ্ছেন তল্লাশি। অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ডায়েরির সাঙ্কেতিক চিহ্ন থেকেই পাওয়া যায় মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম। এছাড়াও ইডি দফতরে একাধিকবার বিভিন্ন এলাকার চেয়ারপার্সন, প্রাক্তন চেয়ারপার্সনকে তলব করে উঠে আসে মন্ত্রীর নাম। ফলে সুজিত বসুর বাড়ি-অফিসে হানা দিয়ে কী কী তথ্য পাওয়া যায়, সেদিকে তাকিয়েই বাংলা।
ফের শহরের বুকে গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা! ঘরের মধ্যে পড়ে স্ত্রীর গলা কাটা দেহ। পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর দেহ, কাতরাচ্ছেন দু'জনের কন্যা সন্তান। আর এই দেখেই আঁতকে উঠলেন প্রতিবেশীরা। শনিবারের হাড়হিম করার ঘটনাটি বিধাননগরের নারায়ণপুর থানা এলাকার।
সুখী পরিবার বলেই জানতেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু সেই সুখী পরিবারে কি এমন অন্ধকার নেমে এল যার জন্য স্বামী, স্ত্রী দুজনকেই মৃত অবস্থায় তাঁদের আবাসনে পাওয়া গেল। শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এক বহুতল আবাসনের নিচতলা থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ আর তার পাশাপাশি উদ্ধার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ। নারায়ণপুর অঞ্চলের এই ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায়কে গলা কেটে খুন করার পর তাঁর কন্যা সন্তানেরও গলা কাটেন। এরপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের নিচের তলার ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। তবে তাঁদের কন্যা সন্তান জীবিত থাকায় তাকে চিনারপার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় ও বিধাননগরের কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী সাগর মুখোপাধ্যায় কেন এই কাজ করলেন, বা এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দেহ দুটিকে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসবে।
সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) 'স্বামী বিবেকানন্দ'কে নিয়ে মন্তব্যের কারণে বিতর্ক তুঙ্গে। ফলে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রাজ্যের শাসকদল। অমিত শাহ-সুকান্ত মজুমদারের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করে শাসকদলের নেতারা। এদিন মিছিল করে, ফুটবল খেলে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের।
রবিবার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হয় লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। এই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ঘিরে সরব তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, সুকান্ত স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। পবিত্র গীতাপাঠের আসরে দাঁড়িয়ে কুৎসিত রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন এবং সেটা করতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দকে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আর এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার পথে প্রতিবাদে নামে যুব তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'বাংলা বহু যুগ ধরে সনাতন সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। পশ্চিমবঙ্গ একটা সময় ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল।' এরপরেই তিনি জুড়েছিলেন, 'গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো, যাঁরা বলছেন তারা বামপন্থী প্রোডাক্ট।'
শাসকের প্রতিবাদ, সুকান্ত মজুমদার এভাবে ভারতবর্ষে যুবশক্তির ধারককে অপমান করতে পারেন না। মঙ্গলবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে পদযাত্রা হাতিবাগান এবং হেদুয়া হয়ে শেষ হয় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে। মিছিলে উপস্থিত যুব তৃণমূলের অনেক সদস্য। ছিলেন সৌম্য বক্সী, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ-সহ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর একটি মিছিল হয় ভবানীপুরে। এদিকে যখন তৃণমূল বিজেপিকে ধিক্কার জানাতে পথে নেমেছে তখনই এই দিনই বঙ্গ সফরে জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। বিবেকানন্দকে নিয়ে কটুক্তি করায় ক্ষমা চাইতে হবে সুকান্ত মজুমদারকে এই দাবি তুলে ধিক্কার দেন শাসকদলের নেতৃত্বরা।
এদিন পথে নেমে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি সায়নী ঘোষের নেতৃত্বে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য তার লজ্জা পাওয়া উচিত। বাংলার মনীষীদের সম্পর্কে এই ধরণের কটুক্তি করে নিজেদের জায়গাটাই বাংলার মাটিতে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে বলে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী।
এদিকে সুকান্তর বিরুদ্ধে যখন সুর চড়িয়েছে শাসকদল, তখন সুকান্ত মজুমদারও টুইটে সাফ জানান, স্বামীজি রাজনীতির ঊর্দ্ধে। তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে টুইটে উল্লেখ করেন, স্বামীজির মূর্তির হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ধরানোর প্রয়োজন নেই। বিজেপির মৃল আদর্শের মধ্যেই রয়েছেন স্বামীজি। সুতরাং চোরেদের জ্ঞান বাণী নিষ্প্রোয়োজন।
পুরনিয়োগ দুর্নীতির জট বিস্তৃত অনেক দূর পর্যন্ত, তা কার্যত স্পষ্ট তদন্তে। তদন্তে আরও দেখা যাচ্ছে বহু পুরসভার কাউন্সিলর, ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে এর আগেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। প্রয়োজনে জোর কদমে চলেছে জেরা। সোমবার জানা গিয়েছিল, কামারহাটি পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬২ লক্ষ টাকার সোনা এবং হীরের গয়না। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ১৩০০ পাতার নথি। এরপর তথ্য উঠে এল দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তকে নিয়ে।
সূত্রের খবর, নিতাই দত্তর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, তাঁর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে একাধিক নথিপত্র। জানা যায়, তাঁর স্ত্রী এবং ভাই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা ও পুরসভায় দুর্নীতির বৃহত্তর চক্র থেকে একাই ৩৫০ কোটি টাকার কুবের-ভান্ডার গড়ে তুলেছেন প্রোমোটার অয়ন শীল। এর আগে বহুবার নিয়োগ দুর্নীতিতে 'মানি মেশিন' অয়ন শীল উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। ইডি সূত্রের খবর, অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্তে উঠে আসে এই নিতাই দত্তের নাম। তাই এখন নিতাই দত্ত সম্পর্কে আরও কী কী তথ্য পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে উঠে আসে, সেটাই দেখার।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর ৯৯ তম জন্মবার্ষিকীতে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে সুশাসন দিবস। শহর কলকাতাতেও হয়নি তার অন্যথা। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে সল্টলেকের ইজেডসিসি হলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন বঙ্গ বিজেপির।দিনটিকে সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করার এই মহান কর্মকাণ্ডে সামিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে সল্টলেকের ইজেডসিসি হলে আয়োজিত হল একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে মাল্যদান ও উনার স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মূলত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। যে মন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর দিকে এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন বিজেপি নেতৃত্ববর্গ।
সল্টলেকের সেই ছবি ধরা পড়ল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের সামনেও।বড়দিনের সকালে রাজ্য স্বাস্থ্য সেলের তরফে হাসপাতালের সামনে এদিন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ছবিতে মাল্যদান ও গরীব দুঃস্থদের হাতে কেক তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হল সুশাসন দিবস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য স্বয়ং।
ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম স্তম্ভ অটল বিহারী বাজপেয়ী। যার চিন্তাধারাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছ দল। দেশের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই তাদের মহান কর্তব্য বলে মনে করে গেরুয়া শিবির। ৯৯ তম জন্মবার্ষিকীতে অটলজির প্রতি দেশের এই শ্রদ্ধা নিবেদন আবারও মনে করিয়ে দিল দেশের প্রতি তাঁর আত্মত্যাগ।
ধৃত অয়ন শীলের নাম ফের উঠে এল পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ইডির হাতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আর এই ফোনেই হদিশ পাওয়া গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের। যেখানে 'অ্যাডমিন' অয়ন শীল ও সেখানেই পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সুপারিশ দিতেন নিয়োগের জন্য। ইতিমধ্যেই ১৪ টি পুরসভার নাম উঠে এসেছে এই দুর্নীতি মামলায়।
এর আগেও ইডির হাতে গ্রেফতার প্রোমোটার অয়ন শীলের সম্পর্কে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবারে ইডির দাবি, এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই পাঠানো হত চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। জানা গিয়েছে, সেই গ্রুপেই চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করতেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। এরপর সেই নির্দেশ মতই অয়ন শীল চাকরিপ্রার্থীদের কাছে চাকরি 'বিক্রি' করতেন। অর্থাৎ টাকার অঙ্ক থেকে শুরু করে ওএমআর শিটে বিকল্প তৈরি করা, নম্বর বাড়িয়ে প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নিজের সংস্থার কর্মীদের বলে দিতেন অয়ন শীল। পুরসভার চেয়ারম্যানদের সুপারিশ মতই নিয়োগ দেওয়াতে তৎপর হতেন অয়ন শীল। ফলে ইডির এই দাবির পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই অযোগ্য প্রার্থীদের পুরসভায় নিয়োগ দেওয়া হত? এই তথ্য উঠে আসার পর ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটাই এখন দেখার।
শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম ধর্মগুরু গুরু নানকের জন্মদিন সোমবার। গুরু নানক জয়ন্তী মানেই ছুটির দিন। সেকারণে এদিন কলকাতা মেট্রোর তরফে মেট্রো পরিষেবা কম থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। সোমবার, সপ্তাহের শুরু দিন শহরের অন্যান্য দিনের থেকে মেট্রো পরিষেবা অনেকটাই কম থাকবে৷ বাড়ি থকে বেরনোর আগে দেখে নিন মেট্রোর সমসূচি৷
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে (নীল লাইন) ২৮৮টি মেট্রোর পরিবর্তে ২৩৪টি মেট্রো চলবে। যার মধ্যে ১১৭টি আপ ও ১১৭টি ডাউন মেট্রো পরিষেবা। এই লাইনে প্রথম এবং শেষ পরিষেবার সময় অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রথম পরিষেবা শুরু হবে:
০৬:৫০ টায়। দমদম থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
০৬:৫০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
০৬:৫৫ টায় দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
০৭.০০ টায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
শেষ পরিষেবা শুরু হবে:
৯:২৮ টায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
৯:৩০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
৯:৪০ টায়। দমদম থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
৯:৪০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দমদম। (পরিবর্তন নেই)
গ্রীন লাইন এবং পার্পল লাইনে পরিষেবা অপরিবর্তিত থাকবে।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর হাতে খুন হল স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শুক্রবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নলিকাটার মোড় এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর মৃত মহিলার নাম অপর্ণা বৈদ্য (৩২) এবং অভিযুক্তের নাম পরিমল বৈদ্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জয়নগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাট এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা বৈদ্য। তাঁর সঙ্গে ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় পরিমল বৈদ্যর। পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন পরিমল বৈদ্য। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বানাতেন অপর্ণা। তাই তাঁর বেশকিছু বন্ধুবান্ধবও ছিল। তার জেরেই প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এমনকি কিছুদিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। ছেলেটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে ও মেয়েটি নার্সারিতে পড়ে।
ছেলে অয়ন বৈদ্য জানায়, প্রায়ই বাবা ও মায়ের মধ্যে ঝামেলা হত। এমনকি বাবা মাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিত৷ তারপর এদিন সকালে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরে দেখে তার মা রক্তাক্ত অবস্থায় রান্না ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। এরপর স্থানীয়রা খবর দেন পুলিসকে। তবে শুধুই কি পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
এবার এক নতুন চরিত্রের জন্য তৈরি হচ্ছেন অভিনেতা রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)। তাঁর আসন্ন সিনেমা রামায়ণ (Ramayan)। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে এই সিনেমা নিয়ে জোর চর্চা। এর আগেও বলিউডের অনেক অভিনেতা কাজ করেছেন রামায়ণের চরিত্রে। কিন্তু 'ব্রক্ষ্মাস্ত্র' সিনেমায় রণবীরের অভিনয় দেখে দর্শক তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করছেন।
জানা যাচ্ছে, পরিচালক নীতিশ তিওয়ারির সিনেমা রামায়ণের জন্য রামের চরিত্রে নির্বাচিত করা হয়েছে অভিনেতার রণবীর কাপুরকে। মহাভারতের মূল চরিত্র শ্রী রাম। দেশজুড়ে বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই চরিত্রটির সঙ্গে। তাই এই মুহূর্তে সেই চরিত্রটির জন্য নিজেকে তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেতা।
বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের দাবি, শ্রী রাম হয়ে উঠতে রণবীর নাকি মাদক এবং মাংস ছাড়তে চলেছেন। প্রভু শ্রী রাম পবিত্র। তাই দায়সারাভাবে চরিত্রটিতে অভিনয় করতে চাইছেন না রণবীর। বরং অন্তর থেকে রামের পবিত্রতাকে ছুঁতে চাইছেন অভিনেতা। তাই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন রণবীর।
জানা যাচ্ছে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে রামায়ণের শ্যুটিং। অগাস্ট মাসের মধ্যেই শ্যুটিং শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা পরিচালকের। যদিও সিনেমায় অন্যান্য চরিত্রে কাদের দেখা যাবে, তার আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি।
আজ, ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) জন্মদিন। গান্ধী জয়ন্তীতে (Gandhi Jayanti 2023) এদিন সকাল সকাল দিল্লির রাজঘাটে (Rajghat) পৌঁছে যান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে পুস্পাঞ্জলি প্রদান করেন তিনি। তবে তিনি একাই নন, জাতির জনককে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। টুইটেও জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে ৭টা নাগাদ দিল্লির রাজঘাটে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পর মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে পুষ্প অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। ফুল দেওয়ার পরই প্রণাম করেন তিনি। মোদী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন। টুইটে তিনি লেখেন, 'গান্ধী জয়ন্তীর বিশেষ ক্ষণে আমি মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাই। ওনার কালজয়ী শিক্ষা আজও আমাদের পথকে আলোকিত করে। বিশ্বব্যাপী প্রভাব রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর।'
অন্যদিকে দুপুর ১ টা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও মন্ত্রীরা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে যাবেন। এরপরে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ দেখাবেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দির স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম (Swaminarayan Akshardham) খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হতে চলেছে দেশের বাইরে। জানা গিয়েছে অন্যতম বৃহৎ মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে (New JerSey)। ৮ অক্টোবরেই এই মন্দির উদ্বোধন করা হবে ও সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দ্বার খোলা হবে আগামী ১৮ অক্টোবর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ মন্দির হতে চলেছে এই মন্দিরটি। ইতিমধ্য়েই স্বামীনারায়ণ অক্ষরধামের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এই মন্দিরের ছবিগুলি দেখেই মন জুড়িয়ে যাচ্ছে, এমনই তাঁর কারুকার্য, স্থাপত্য।
বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ওয়াট। কার্যত তারপরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দির হতে চলেছে এই স্বামী নারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির। ১৮৩ একর জমির ওপর নির্মিত এই মন্দির তৈরি করতে ১২ বছর সময় লেগেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রায় ১২৫০০ জন মিলে এই নির্মাণটি শেষ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দিরটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের বাইরে থেকে ভিতর, ছাদ থেকে প্রতিটি মিনার চোখধাঁধানো, নজরকাড়া কারুকাজে সাজানো। নিঁখুতভাবে খোদাই করা হয়েছে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন গল্প ও চরিত্রদের। মন্দিরের গায়ে ১০ হাজার মূর্তি খোদাই করা আছে। এছাড়াও ভারতের বাদ্যযন্ত্র, ঐতিহ্য, নৃত্যের অঙ্গি-ভঙ্গি মন্দিরের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।