
৮০-এর দশকে সিনেমা জগতের প্লে ব্যাকে ডেবিউ করেছিলেন কুমার শানু। তারপর দশকের পর দশক শ্রোতারা তাঁর গানে বুঁদ হয়ে থেকেছেন। শোনা যায়, তাঁর গাওয়া 'যব কোয়ি বাত বিগড় যায়ে' গানটি শুনে আত্মহননের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন এক শ্রোতা। উইকিপিডিয়া বলছে, কুমার শানু (Kumar Shanu) ২৫ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন এখনও পর্যন্ত। হিন্দি ও বাংলা সংগীতজগৎকে তিনি শুধুই দিয়েছেন। বদলে কোনও স্বীকৃতিই তাঁর ভাগ্যে জোটেনি। এত বছর পরে অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক।
এক সাক্ষাৎকারে গায়ক বলেন, 'আমার অবশ্যই একটি জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিৎ। একটি পদ্মশ্রী পাওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু আমি এই নিয়ে ভাবিত নয়। এটি তাঁদের বিষয়। এটি অবশই একটি সম্মান, এবং ব্যথা লাগে। অবশ্যই ব্যথা লাগে কিন্তু আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। তোমার যদি যথেষ্ট আবেদন না থাকে এবং তেল দেওয়ার দক্ষতা না থাকে তাহলে এই পুরস্কার পাওয়া সম্ভব না। তুমি তখনই পুরস্কার পাবে, যখন তোমার আবেদন থাকবে।
এর আগেও শ্রোতারা অনেকবার কুমার শানুর জন্য গলা ফাটিয়েছেন। সামান্য জনপ্রিয়তা পেয়েই যেখানে হাতে পুরস্কার উঠে যাচ্ছে সেখানে এমন গায়কের হাতে কোনও পুরস্কার নেই, এই নিয়ে ক্ষোভ জমেছে তাঁর ভক্তদের মনেও। ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে যে কুমার শানুর মনেও অভিমান জমেছে, তা স্পষ্ট হল।
'লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কারে' (Lokmanya Tilak National Award) ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi)। ১ অগাস্ট, মঙ্গলবার পুনেতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের লোকমান্য তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্ট আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় ও একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে এই পুরস্কার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ২৬টি বিরোধী দল জোট বেঁধে গঠন করেছে 'ইন্ডিয়া'। যাকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেই 'ইন্ডিয়া' জোটের অন্যতম নেতা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের উপস্থিতিতে এদিন পুনেতে সম্মান গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই বিষয়টিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্মান গ্রহণ করে দেশের ১৪০ কোটি জনগণের কাছে উৎসর্গ করেছেন। এরপর তিনি জানান, এই পুরস্কার পেয়ে তিনি উৎফুল্ল ও সম্মানিত। এই পুরস্কারের ১ লক্ষ টাকা তিনি 'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পে দান করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল পুরস্কার (Florence Nightingale Award) পেল ধূপগুড়ির (Dhupguri) অবিস্মিতা ঘোষ। সেরা সেবিকার পুরস্কার হিসেবে ধূপগুড়ি ফের দেশের এক নম্বরে। মঙ্গলবার ভারতীয় নার্সিং ফেডারেশনের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানেই প্রকাশ হয়েছে তাঁর নাম। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এরাজ্যের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ধূপগুড়ির অবিস্মিতা ঘোষই এই ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন। যদিও অবিস্মিতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ১৪ জন এই প্রাপ্ত অ্যাওয়ার্ডের তালিকায় রয়েছেন। জীবনের সেরা স্বীকৃতি হিসেবে জুন মাসের মাঝামাঝিতেই নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নিজে অবিস্মিতার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন।
জানা গিয়েছে, মাগুরমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের পূর্ব আলতাগ্রাম সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কমিউনিটি হেলথ অফিসার হিসেবে কর্মরত অবিস্মিতা ঘোষ। ২০০৫ সালে প্রশিক্ষণ শেষের পর ২০০৯ সালে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। টানা ১০ বছর সফলভাবে নার্সিং করার পর ২০১৯ সালে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে যোগ হন তিনি। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্কুল শিক্ষক স্বামী এবং দুই সন্তান। পরিবার সামলে অবিস্মিতা সমানতালে নিজেকে স্বাস্থ্য পরিষেবায় শোঁপে দিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, এর আগেও ২০২০ সালে নাগরাকাটা ব্লকে কর্মরত ধূপগুড়ির সুনীতা দত্ত এবং ২০২১ সালে ফালাকাটা ব্লকে কর্মরত ধূপগুড়ি শহরের স্মিতা কর রাজ্যের হয়ে সর্বভারতীয় এই সম্মান পেয়েছিলেন। তবে এবার সেই একই সম্মান পেতে চলেছেন অবিস্মিতা ঘোষ।
শনিবারে হঠাৎই সরগরম হয়ে উঠেছিল সামাজিক মাধ্যম। কলকাতার একটি জনপ্রিয় সম্মাননা অনুষ্ঠানের মনোনয়নপত্র ঘুরেছে নেট দুনিয়ায়। সেই পোস্টে দেখা গিয়েছে, মনোনয়ন গীতিকার শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায়ের নামে। বিষয়টি এতটুকু হলে হয়তো এই নিয়ে কোনও কথা হত না। কিন্তু মনোনয়নের বিষয় দেখে একপ্রকার আঁতকে ওঠেন নেটিজেনরা। সেখানে লেখা 'মন রে কৃষিকাজ জানো না' গানটি লেখার জন্য শ্রীজাতকে (Srijato Bandopadhyay) মনোনয়ন করেছেন তাঁরা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে।
'মন রে কৃষিকাজ জানো না' গানটি সাধক রামপ্রসাদ সেনের লেখা এবং সুর করা, সেই স্থানে শ্রীজাতর নাম দেখে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা নেটিজেনদের। প্রসঙ্গত, শ্রীজাত পরিচালিত প্রথম সিনেমা মানবজমিনে অরিজিৎ সিং রামপ্রসাদী এই গানটি গেয়েছিলেন। সেই থেকেই হয়তো মনোনয়ন কর্তৃপক্ষের ভ্রান্ত ধারণা থেকেই এই অঘটন। কিন্তু নেট মাধ্যমে শনিবার অবাধ সমালোচনা হয়েছে এই নিয়ে। তাঁদের সমস্ত রাগ ধেয়ে গিয়েছে শ্রীজাতর দিকে। কিন্তু যাঁকে ঘিরে এই এতো আলোচনা তিনি নীরব ছিলেন।
শনিবার পেরিয়ে রবিবারে মুখ খুললেন শ্রীজাত। রবিবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে শ্রীজাত লিখেছেন, ‘মন রে, কৃষিকাজ জানো না – টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডস-এর তরফে এই গানটির জন্য সেরা গীতিকারের মনোনয়নপত্রটি যখন আমার ফোনে আসে, তখন আমি একটি বিজ্ঞাপনের কাজে ভীষণ ব্যস্ত। তাই খুলে দেখা হয়নি। পরে চিঠির প্রতিলিপি খুলে তুমুল অঘটনটি দেখামাত্র আমি চেষ্টা করি কোনওভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানাতে। আমাদের ছবির প্রযোজক রানা সরকার মারফত আমার সঙ্গে কথা হয় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় কাঞ্জিলালের। তাঁকে আমি স্পষ্টতই জানাই, বিরাট আকারের এক ভ্রান্তি হয়ে গিয়েছে তাঁদের তরফে এবং পুরস্কার তো অনেক পরের কথা, এই মনোনয়ন মেনে নেওয়াই আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সব শুনে তিনি ভুল স্বীকার করেন এবং জানান যে যত দ্রুত সম্ভব এই ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত স্তরে এই ঘটনার জন্য তিনি আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি ছড়িয়ে পড়েছে হু হু ক’রে।'
সমালোচক নেটিজেনদের উদ্দেশে শ্রীজাত লিখেছেন, 'রামপ্রসাদ সেনের গানের জন্য আমাকে মনোনীত করা যেমন বিস্ময়কর অজ্ঞানতা বা অসাবধানতার পরিচায়ক, তেমনই এই মনোনয়নের জন্য আমাকে আক্রমণ করাও অশিক্ষা ও অভব্যতার সামিল। প্রথমত, অনেকেই দেখলাম ধরে নিয়েছেন যে, এই পুরস্কার আমি পাচ্ছি ও গ্রহণ করছি। তাঁরা সম্ভবত মনোনয়ন এবং পুরস্কারের তফাতটুকুও জানেন না। এই দুয়ের মধ্যে কতগুলো পর্যায় আছে বা থাকতে পারে, তাও তাঁদের জানা নেই।'
এই ভুলে শ্রীজাতর ভূমিকা কোথায়? তাও স্পষ্ট করে দিয়ে শ্রীজাত লিখেছেন, 'মনোনয়ন ব্যক্তি-মানুষের গ্রহণ বর্জনের বাইরে। গ্রহণ বা বর্জনের বিষয় তখনই আসে, যখন কেউ পুরস্কৃত হন। নইলে নয়। তাই আমি কেন এই মনোনয়ন গ্রহণ করলাম, এ-প্রশ্ন ভিত্তিহীন। কিন্তু এই মনোনয়নের বিরোধ নিশ্চয়ই করা উচিত, যা আমি যথাস্থানে করেওছি।'
যদিও শ্রীজাতর লেখা পোস্টে তিনি সমালোচকদের উদ্দেশে আরও কড়া কথা শুনিয়ে লিখেছেন, 'যাঁরা যে-কোনও বিষয়ের কারিগরি দিকগুলি বিচার না-করেই ময়দানে নেমে পড়েন, তাঁদের নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। যেমন খতিয়ে দেখা বা পড়ার মতো বাজে সময় তাঁদেরও নেই, বদলে খেউড়ে অংশ নেবার মতো মহান কাজে নিবিষ্ট থাকতে হয়। দ্বিতীয়ত, বহু মানুষ, হয়তো ইচ্ছাকৃত ভাবেই, এই ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী করছেন। এখন, দায়ী করলেই কেউ দায়ী হয়ে যায় না। সে তো মাঝেমধ্যে সিরিয়ায় বোম পড়ার জন্যেও ফেসবুকে আমিই দায়ী থাকি। সেটা কথা নয়। এতে বরং অভিযোগকারীদের অশিক্ষা ও উদ্দেশ্যই প্রকাশ পায়।'
বেগুনি রঙের প্রিন্সেস গাউন পরে ৬৮ তম ফিল্মফেয়ার (Filmfare Awards) এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। স্ট্র্যাপলেস গাউনে স্বর্গ থেকে নেমে আসা পরীর থেকে কিছু কম লাগছিল না জাহ্নবীকে। নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে সেই ছবি আপলোড করেছিলেন জাহ্নবী (Janhvi Kapoor)। দর্শকেরা কমেন্ট বক্সে নিজের ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলেন। সেসব ছবি তোলার পরে গাড়ি করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছন অভিনেত্রী। সেখানেই ঘটে যায় অনভিপ্রেত একটি ঘটনা।
অনুষ্ঠানস্থলের সামনে গাড়ি থেকে নামতে যাবেন অভিনেত্রী, এমন সময় তাঁর অত সুন্দর বেগুনি গাউন ছিঁড়ে যায়। গাড়িতে বসেই তাঁর ওই পোশাক সেলাই করতে হয়েছে। সেই ছবিও জাহ্নবী সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'তোমার গাউনের চেন যখন রেড কার্পেটের ৫ মিনিট আগে এবং পারফরমেন্সের ১২ মিনিট আগে ছিঁড়ে যায়।'
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হল ৬৮তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস (FilmFare Awards 2023) বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ডস। এই অনুষ্ঠানের জন্য মুখিয়ে থাকেন বলি অভিনেতা থেকে শুরু করে পরিচালক-সংগীতশিল্পীরা। বৃহস্পতিবার সেই অপেক্ষার অবসান হল। মুম্বইয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হল পুরস্কার। এবারের অনুষ্ঠানের অন্যতম চমক ছিল সঞ্চালনায়। এবারে সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন সলমন খান (Salman Khan)। এছাড়াও ছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা ও মণীশ পল।
এর পাশাপাশি অনুষ্ঠানের দর্শকদের এন্টারটেন্ট করতে নাচ-গান-বিনোদনে মঞ্চ মাতিয়েছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ থেকে শুরু করে টাইগার, ভিকি কৌশল, জাহ্নবী কাপুক সহ বহু তারকা। তবে এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। তিনি যেমন সেরা অভিনেত্রীর তকমা ছিনিয়ে নিয়েছেন, তেমনই তাঁর অভিনীত ছবি 'গাঙ্গুবাই কাথিয়ায়াড়ি' সেরা ছবি হিসাবে পুরস্কার পেয়েছে। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের পুরো তালিকা দেখুন এক নজরে।
সেরা ছবি- গাঙ্গুবাই কাথিয়ায়াড়ি
সেরা ছবি ক্রিটিক্স- বাধাই দো
সেরা অভিনেতা- রাজকুমার রাও
সেরা অভিনেত্রী- আলিয়া ভাট
সেরা অভিনেতা ক্রিটিক্স- সঞ্জয় মিশ্রা
সেরা অভিনেত্রী ক্রিটিক্স- ভূমি পেনডেনকর ও টাব্বু
সেরা পরিচালক- সঞ্জয় লীলা বনসালি
সেরা সহ অভিনেতা- অনিল কাপুর
সেরা সহ অভিনেত্রী- শিবা চাড্ডা
সেরা মিউজিক অ্যালবাম- প্রিতম
সেরা গায়ক- অরিজি সিং
সেরা গায়িকা- কবিতা শেঠ
সেরা সিনেমাটোগ্রাফি- সুদীপ চ্যাটার্জি
লাইফটাইম অ্যাচিফমেন্ট অ্যাওয়ার্ড- প্রেম চোপড়া
জাতীয় পুরস্কার (National Award) পেয়েও পেটের টানে চালাতে হচ্ছে অটো। অটোর এক আরোহীই তাঁকে চিনতে পেরে সেই কাহিনি লিখেছেন টুইটারে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরে (Kashmir)। জানা গিয়েছে, ওই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর (Artist) নাম সৈয়দ আইজাজ শাহ। পেপার ম্যাশ বা কাগজের মণ্ড থেকে শিল্পদ্রব্য তৈরির করার জাদুকর তিনি। ভারতের কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকও তো পুরস্কার দিয়েছে সৈয়দ আইজাজকে। বহু দেশে গিয়েছেন কাজ শেখাতে। এমনকি তাঁর নাম বেরিয়েছে দেশ-বিদেশের নানা সংবাদমাধ্যমে। তবে সময়ের যাঁতাকলে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল ওই শিল্পীর পরিচয়। তবে আইজাজ শাহের অটোর এক আরোহীই তাঁর পরিচয় আবার তুলে ধরলেন নেট দুনিয়ায়।
জানা গিয়েছে, ওই আরোহীর নাম আচাকজাই। তিনিই টুইটারে পরপর টুইট আর ছবি শেয়ার করে লিখেছেন শিল্পী সৈয়দ আইজাজ শাহের কথা। টুইটারে তিনি বলছেন, ‘‘আজকের যানজটের একমাত্র ভাল (আসলে দুঃখের) দিক হল, আমি একটা অটো নিলাম আর চালক সৈয়দ আইজাজকে চিনতে পারলাম। বহু পুরস্কার এবং প্রশংসাজয়ী শিল্পী। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও তাঁর কাজ সমাদৃত এবং পুরস্কৃত হয়েছে।’’
তিনি আরও লিখেছেন, 'কাশ্মীরে হস্তশিল্প থেকে আয় হয় সামান্যই। আইজাজ তা থেকে পরিবারকে টানতে পারেন না। পুরস্কার আর স্বীকৃতির চেয়ে টুক-টুক চালানোই এখন তাঁর কাছে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।' আচাকজাই লিখেছেন, 'আইজাজ চমৎকার মানুষ! এখনও উনি সকাল আর সন্ধেয় সময় বার করে ওঁর হাতের কাজ নিয়ে বসেন। দিনে অটো চালান। সন্ধেয় ডুবে যান রঙের জগতে। অসমাপ্ত ম্যুরাল আর অবশিষ্ট স্বপ্নের জগতে।'
তবে এখন কাশ্মীরের পেপার-ম্যাশ শিল্পের অবস্থা সামগ্রিক ভাবেই খারাপ। অনেক শিল্পীই কাজ ছেড়ে কেউ অটো চালাচ্ছেন, কেউ আবার সেলসের কাজ করছেন। আইজাজ নিজেও এই বিষয়ে বলছেন, 'আর পাঁচ-দশ বছরের বেশি আয়ু নেই এই শিল্পের। অনটনে সবাই একে একে কাজ ছাড়ছে। তকদীর বনি, বনকর বিগড়ি, দুনিয়া নে হমে বরবাদ কিয়া।'
৭৯ বছরে প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী উত্তরা বাওকার (Uttara Baokar)। টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিনি। শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal) থেকে মৃণাল সেন (Mrinal Sen), তাবড় তাবড় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। অভিনয় যাত্রার সমাপ্তি হল বুধবার। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অভিনয় জগৎ। তাঁর সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরাও মর্মাহত।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী উত্তরা বাওকারের অভিনয়ে হাতেখড়ি থিয়েটারে। দীর্ঘ সময় থিয়েটারে অভিনয় করেন। এরপর শ্যাম বেনেগালের টেলিভিশন সিরিজ 'যাত্রা' ও গোবিন্দ নিহালনির 'তামস' দিয়ে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে মৃণাল সেনের 'এক দিন আচানক' ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এমনকি ওই সিনেমায় তাঁর অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পরবর্তীকালে শিক্ষিকা পদে যোগ দেন অভিনেত্রী। উড়ান, অন্তরাল, রিশতে কোড়া কাগজ, নজরানা, কসমকশের মতো ধারাবাহিকেও অভিনয় করেন তিনি। অভিনয়ে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৪৮ সালে সংগীত নাটক একাডেমির তরফেও পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। পরিবারের উপস্থিতিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
এক বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে দেশের সেরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সাংসদ রত্ন সম্মানে (Award) ভূষিত হলেন দুই বঙ্গ সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) এবং সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এক বেসরকারি সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে, কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলের বাংলার রাজ্য সভাপতিরা সম্মানিত হলেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি সাংসদ রত্ন পুরষ্কার কমিটি ঘোষণা করে। ১৩ জন সাংসদ এবং ১ জন বর্ষিয়ান সাংসদকে তাঁদের জনহিতকর প্রশ্ন ও সরকারকে দিশা দেখানো কর্মকুশলতার জন্য, সাংসদ রত্ন সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে।
অধীর ও সুকান্ত ছাড়াও সংসদ রত্ন সম্মান পেলেন বিজেপির বিদ্যুৎ বরণ মাহাতো, হীনা বিজয়কুমার গাভিট, গোপাল চিনায়া শেঠি ও সুধীর গুপ্ত। কংগ্রেসের কুলদীপ রাই শর্মা ও ছায়া বর্মা। এনসিপির ডা.আমোল রামসিং কোলহে ও এফ টি এ খান। সিপিআইএমর ডা. জন ব্রিটাস, আরজেডির মনোজ কুমার ঝা ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ভি পি নিশাদ।
১৪ বছর পর রেড কার্পেটে জয় হিন্দ ধ্বনি। ভারতের ঝুলিতে জোড়া অস্কার (Oscar2023)। সেরা গানে অস্কার জয় নাটু-নাটুর (Natu Natu Song) আর ছোট তথ্যচিত্র বিভাগে অস্কার জয় 'দা এলিফ্যান্ট হুইস্পার্সের'। এদিকে অস্কার মঞ্চে ভারতের এই বিশ্বজয়কে কুর্নিশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অস্কারজয়ীদের টুইট করে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘নাটু নাটু’র জয় প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, 'ব্যতিক্রমী। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা নাটু নাটুর। এটা এমন একটা গান, যেটা আগামী বহু বছর ধরে শ্রোতার মনে থেকে যাবে। এমএম কীরাবনী এবং চন্দ্র বোস-সহ পুরো টিমকে এই জয়ের জন্য শুভেচ্ছা। ভারত আপ্লুত এবং গর্বিত।'
Exceptional!
— Narendra Modi (@narendramodi) March 13, 2023
The popularity of ‘Naatu Naatu’ is global. It will be a song that will be remembered for years to come. Congratulations to @mmkeeravaani, @boselyricist and the entire team for this prestigious honour.
India is elated and proud. #Oscars https://t.co/cANG5wHROt
অপরদিকে গুনীত মোঙ্গা প্রযোজিত ‘দা এলিফ্যান্ট হুইস্পার্স’ ছোট তথ্যচিত্রে অস্কার জিতেছে। দক্ষিণ ভারতের এক আদিবাসী দম্পতি বোমান এবং বেলির কাছে রঘু নামে এক হাতি শাবকের বেড়ে ওঠার কাহিনী তুলে ধরেছে এই তথ্যচিত্র। এই তথ্যচিত্রকে কুর্নিস জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'এই সম্মানের জন্য কার্তিকী এবং গুনীত-সহ পুরো টিমকে শুভেচ্ছা। আপনাদের কাজের মধ্যে দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে থাকা এবং তার উন্নতির গুরুত্বের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।'
ফের বলিউডে (Tollywood) দুঃসংবাদ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি পরিচালক শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal)। কিডনির অসুখে (Kidney failure) ভুগছেন ৮৮ বছরের বর্ষীয়ান পরিচালক। তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দুটি কিডনি একেবারে অচল হয়ে পড়ে। ডায়ালিসিস চলছে পরিচালকের। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসকদের পরামর্শে রয়েছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন থেকেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ছিল পরিচালকের। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায়, বাড়ির মধ্যে অফিসেও যেতে পারছেন না। তবে জানা গিয়েছে, এর মধ্য়েই পরের ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’ -এর কাজের কথা ভাবছেন। এই ছবির কাজের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্যাম বেনেগল।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে ‘অঙ্কুর’ ছবির হাত ধরে আত্মপ্রকাশ তাঁর। প্রথম ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে পরপর পাঁচ বছর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন শ্যাম বেনেগাল, যা তাঁর কর্মজীবনের অনন্য নজির। পরিচালকের ‘জুনুন’, ‘মন্থন’, ‘আরোহণ’ ছবি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। এছাড়াও দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
মাঝরাতে গায়িকা ইমনকে (Iman Chakraborty) অশালীন ইঙ্গিতের অভিযোগ। পুলিসের দ্বারস্থ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী। এই ঘটনায় (Lewd Comments) গ্রেফতার এক। খাস কলকাতায় (Kolkata Incident) একটি ফলের দোকানে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে ইমন চক্রবর্তীকে। এমনটাই গায়িকার তরফে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই ইমন, তাঁর স্বামী এবং কিছু বন্ধু-সহ ব্যাডমিন্টন খেলতে যান। বৃহস্পতিবারও খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। খেলা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে একটি ফলের দোকানে যান।
ফল কিনতে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। নানারকম ফলের নামকরণ করে ব্যঙ্গ করতে থাকেন এক ব্যক্তি। এমনকি শারীরিকভাবেও নানা কুরুচিকর ইঙ্গিত করেন অভিযুক্ত বলে খবর।
এই ঘটনার প্রতিবাদ ফেসবুক লাইভে এসে করেন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি জানান, অশালীন অচরণ মেনে নিতে না পেরে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রিজেন্ট পার্ক থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস অভিযুক্ত গ্রেফতার করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশালীন,অসভ্যতা,নিকৃষ্টতর আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন গায়িকা। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে নারী সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন।
এটাও বলেন, 'আমরা মেয়েরা বাইরে বেরোয়,রাস্তায় চলাফেরা করি তাই অনেক সমস্যার শিকার হতে হয়। তাই কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।'
প্রথা মেনেই ঘোষিত দেশের অন্যতম নাগরিক সম্মান পদ্ম পুরস্কার (Padma Award) প্রাপকদের নাম। মরণোত্তর পদ্মসম্মান পাচ্ছেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিংহ যাদব-সহ (mulayam Singh Yadav) বাঙালি চিকিৎসক তথা ওআরএস-র (ORS) উদ্ভাবক দিলীপ মহলানবিশ এবং স্থপতি বালকৃষ্ণ দোশি। তাঁদের তিন জনকেই পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2023)। তার আগে প্রথা মেনে বুধবার এ বছরের পদ্মসম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এ বছর মোট ১০৬ জনকে পদ্মসম্মান দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন ৬ জন। ৯ জন পাচ্ছেন পদ্মভূষণ সম্মান। পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে ৯১ জনকে।
এছাড়া তালিকায় নাম আছে সদ্য গোল্ডেন গ্লোব প্রাপক সঙ্গীত পরিচালক এমএম কেরাভনি, এসএম কৃষ্ণ এবং প্রয়াত বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। পদ্মবিভূষণ প্রাপকদের মধ্যে আছেন তবলা বাদক ওস্তাদ জাকির হুসেন। পদ্মভূষণে সম্মানিত হচ্ছেন সমাজকর্মী সুধা মূর্তি, যিনি ইনফোসিস প্রধান নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী। শিল্পপতি কুমারমঙ্গলম বিড়লা এবং অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন।
এদিকে কলেরা কিংবা ডায়রিয়া রোগকে বাগে আনতে ওআরএসের বহুল প্রয়োগের সূচনা হয়েছিল। আর এই ওআরএস যাঁর হাত ধরে, সেই প্রয়াত বাঙালি চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ ২০২৩ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মবিভূষণের জন্য মনোনীত হলেন। এছাড়া চলতি বছর পদ্মসম্মান পেয়েছেন আরও চার বাঙালি— সূচিশিল্পী প্রীতিকণা গোস্বামী, প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী মঙ্গলকান্তি রায়, ভাষা গবেষক ধনীরাম টোটো এবং চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর। উল্লেখযোগ্য এঁদের মধ্যে রতনচন্দ্র আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা। চার জনই পদ্মশ্রী পেয়েছেন।
পদ্মশ্রীর তালিকায় জলপাইগুড়ি জেলার দু’জন। এঁদের মধ্যে ১০২ বছর বয়সী মঙ্গলকান্তি প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র সারিন্দা বাদক। সারিন্দায় পাখির ডাক বাজাতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, ধনীরামের খ্যাতি উত্তরবঙ্গের বিপন্ন জনজাতি টোটোদের ভাষার লিপির উদ্ভাবক হিসাবে। বস্তুত, তাঁর হাত ধরেই পুনর্জন্ম হয়েছে টোটো ভাষার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সূচিশিল্পী প্রীতিকণার কাঁথা স্টিচের কাজের খ্যাতি রয়েছে বাংলার সীমানা ছড়িয়ে। একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ৬৬ বছরের চিকিৎসক রতনচন্দ্র তাঁর জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় ব্যয় করেছেন জারোয়া, ওঙ্গি, গ্রেট আন্দামানিজদের মতো জনজাতির মানুষের চিকিৎসায়।
অস্কারের (Oscar Award 2023) জন্য বাছাই ৩০১টি ছবির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বহুচর্চিত 'দা কাশ্মীর ফাইলস।' অস্কার কমিটি প্রাথমিক বাছাই পর্বের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ভারতীয় ছবি 'দা কাশ্মীর ফাইলস (The Kashmir Files)।' এই সুখবর দিয়েছেন খোদ বিবেক (Vivek Agnihotri)। পাশাপাশি এই ছবির কলাকুশলীকে টুইটে জানান বিজেপি সাংসদ এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
BIG ANNOUNCEMENT: #TheKashmirFiles has been shortlisted for #Oscars2023 in the first list of @TheAcademy. It’s one of the 5 films from India. I wish all of them very best. A great year for Indian cinema. 🙏🙏🙏
— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) January 10, 2023
এ প্রসঙ্গে চলতি বছরের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে অকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। ২৪ জানুয়ারি মুক্তি পাবে চূড়ান্ত পুরস্কার মনোনয়নের তালিকা। তার আগে যে যে ছবি চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য, তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অ্যাকাডেমি কমিটি। ৩০১টি ছবির এই তালিকায় ‘দা কাশ্মীর ফাইল্স’ ছাড়াও নাম রয়েছে দক্ষিণের সুপারহিট ছবি এসএস রাজামৌলির ‘আরআরআর’, আলিয়া ভাটের ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’, সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত কন্নড় ছবি ‘কান্তারা’ এবং প্যান নলিনের ছবি ‘চেলো শো’। এদের মধ্যে প্যান নলিনের ‘চেলো শো’ ভারতের তরফে অস্কারের সরকারি এন্ট্রি। রাজামৌলির ‘আরআরআর’-এর ‘নাটু নাটু’ গানটি মনোনীত হয়েছে অস্কারের সেরা গানের বিভাগে।
জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত এক মহিলা বক্সারকে (Female Boxer) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর নামে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করা ও তাঁর আপত্তিকর ভিডিও করার অভিযোগও করেছেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
নির্যাতিতা ওই মহিলা বক্সার জানান, ২০১৬ সালে একটি বিয়ে বাড়িতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তারপর ওই ব্যক্তি নানান ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এমনকি ফাঁকা বাড়িতে ডেকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাঁর সঙ্গে। এরপর অভিযুক্ত আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকেন তাঁকে।
তিনি আরও জানান, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করতে বাধ্য করে ওই ব্যক্তি। এমনকি বিয়ের পরেও চলে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। ছবি ও ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতার জমানো টাকা ও তাঁর বাবার কাছ থেকেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা নেয় অভিযুক্ত।