অটোর ভাড়া নিয়ে অটোচালক (Auto-Driver) ও এক মত্ত ব্যক্তির মধ্যে বচসা, এরপর যৌন নিগ্রহ (Sexual Assault) করারও অভিযোগ উঠল সেই অটোচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মুম্বইয়ের (Mumbai) ঘাটকোপার এলাকার। বুধবার পুলিস জানিয়েছে, সেই মত্ত ব্যক্তি ২৫ বছর বয়সী অটোচালকের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত শনিবার রাতের দিকে ঘাটকোপার এলাকায় মদ্য়প অবস্থায় ৩১ বছর বয়সী এক পুরুষ যাত্রী অটোতে ওঠেন। এরপর প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করার ফলে তিনি অটোচালককে ঠিক করে বলতেই পারেন না যে কোথায় যেতে চান তিনি। এভাবে তিনি অটো-চালককে এদিক-ওদিক ঘোরাতে শুরু করলে এরপর অটোচালক তাঁকে অটো থেকে নেমে যেতে বলেন। এরপর সেই ব্যক্তি ২৫০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা দিতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান অটোচালক। অভিযোগ, তখনই পাশের এক জায়গায় জোর করে নিয়ে গিয়ে তাঁকে যৌন নিগ্রহ করে ও পরে এটিএমে নিয়ে গিয়েও ২০০ টাকা তুলিয়ে নেয়, আবার তাঁর ফোন ও এটিএম দুটি নিয়েই চম্পট হয় অটোচালক।
এরপরই সেই ব্যক্তি মঙ্গলবার পুলিস স্টেশনে গিয়ে সেই অটোচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর, ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ও ৩৯৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে সেই অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই ঘটনার তদন্তেও নেমেছে পুলিস।
বেপরোয়া অটোচালক। যার জেরে দুর্ঘটনায় (Accident) ক্ষতবিক্ষত (Scarred) এক ছাত্রীর (Student) পা। হাবরা (Habra) থেকে অটোতে করে অশোকনগরের দিকে আসার পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। যার জেরেই দুর্ঘটনার শিকার ওই কলেজ ছাত্রী। আহত ওই ছাত্রীর নাম জয়ত্রী চন্দ্র। বাড়ি হাবরা হিজল পুকুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, হাবরা থেকে ওই ছাত্রী অটোতে করে অশোকনগরের দিকে আসছিলেন। সেই সময় নালন্দা মোড়ের কাছে অটোচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মারে। অটোর সামনের বাঁদিকে বসে ছিলেন ছাত্রী। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই ছাত্রী। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তাঁর পা। ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাবরা হাসপাতালে।
আহত ছাত্রী জানিয়েছেন, অটোচালক খুব জোরে অটোটি চালাচ্ছিলেন। এমনকি অটো চালানোর সময় অটোচালক মোবাইল ফোনে কথাও বলছিলেন, সে সময় দুর্ঘটনা ঘটে। হাবরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ছাত্রীর এক পা পুরো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে দুর্ঘটনায়।
সারাদিন রোদে-গরমে দাঁড়িয়ে থেকে, অনেকক্ষণ অটো চালিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন অটো চালকারা (Auto Driver)। রাস্তায় কত ধরনের মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, তাঁদের প্রত্যেকেই যে অটো চালকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন, তা কিন্তু নয়। তবে এক তরুণী এমন এক কাজ করলেন, যা দেখে এক অটোচালকের মুখে হাসি চলে আসে। তাঁর সেই ক্লান্ত মুখে সামান্য হাসিটা যে কোনও ব্যক্তির দিন ভালো করে দিতে পারে।
সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, এক তরুণী অটোতে চেপে যাচ্ছেন, সেই সময়েই তিনি মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে সেই অটো চালকের একটি ছবি এঁকে দেন, তারপর সেই ছবি অটো চালককে দেখাতেই তাঁর মুখে হাসি চলে আসে। এই ভিডিওটি artcartbydiksha নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এতে ২ লক্ষের লাইক এসেছে। ভিউ এসেছে ১০ লক্ষের উপরে।
সেই তরুণী ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন যে, ছবিটি খুব একটা ভালো হয়নি। কারণ তিনি চলন্ত অটোতে বসে এটি করেছেন। তবে নেটিজেনরা তাঁর এই কাজের জন্য প্রশংসা করেছেন। কারণ তাঁর আঁকাটি তো ভালো হয়েছিলই, এর পাশাপাশি তিনি সেই অটো চালকের মুখে হাসিও এনে দেন। ব্যস্ততার জীবনে যখন প্রত্যেকেই নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত, সেই সময়ে এই তরুণীর এমন কাজ সত্যি হাসি ফুটিয়েছে নেটিজেনদের মুখেও।
১০০ টাকা না দিতে পারার অপরাধে খুন (Death) এক বৃদ্ধ অটোচালক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হায়দরাবাদের আফজলগঞ্জের। এক বেসরকারি হাসপাতালের (Hospital) সামনে ঘটা এই ঘটনায় পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অটোচালকের (Auto Driver) নাম সাইক আমজাদ, বয়স ৬২ বছর।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শনিবারও বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন অটো চালক আমজাদ। সেই সময় এক মহিলা বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটোয় ওঠেন। সঠিক জায়গায় পৌঁছনোর পর, অটোর ভাড়া দাঁড়ায় ১৪০ টাকা। কিন্তু মহিলা যাত্রী অটো চালককে ২০০ টাকা দিয়েছিলেন। অটোচালক খুচরো হবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেন। অগত্যা ওই মহিলা যাত্রী তখন এক ফুটপাতবাসীর কাছে যান এবং তাঁর থেকে ভাড়ার টাকা খুচরো করে অটোচালককে দিয়ে হাসপাতালের চলে যান।
এরপর ফুটপাতবাসী অটোচালকের কাছে ১০০ টাকা চান। সাইক টাকা দিতে আপত্তি জানালে, ওই ফুটপাতবাসী আমজাদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। অটোচালককে বেধড়ক ঘুষি মারতে আরম্ভ করেন অভিযুক্ত। বারবার করে ঘুষি মারায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ায় ওই অটোচালককে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিস তদন্তে নেমে গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।
নৃশংস ঘটনা! অটোচালক প্রেমিককে খুন (murder) করার অভিযোগ। তদন্তে নেমে বারুইপুর (Baruipur) থানার পুলিস অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার (arrest) করে। পুলিস (police) সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম রাজু মীর ও তৃষা রায়।
এবিষয়ে মৃত আলফিকারের বাবা আয়ুব আলি গাজী জানান, গত ২২ শে জুন বাড়ি থেকে অটো নিয়ে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। বাড়িতে জানিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুরে যাচ্ছেন। এরপর ২৩ শে জুন সকাল ১০ টায় খবর পান বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা যায়, ছেলে বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুরে অরুপ ভদ্র সরনীর কাছে রাস্তায় পড়ে ছিল। এরপর ছেলেকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২৪ শে জুন মারা যান তিনি। বাবা আয়ুব আলি গাজীর অভিযোগ, ছেলের সঙ্গে বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুরের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ে ও তাঁর পরিবার মিলে তাঁর ছেলেকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। তাঁরা অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চান।
অন্যদিকে পুলিস জানিয়েছে, আলফিকার দীর্ঘদিন ধরে চাইছিলেন প্রেমিকার স্বামী রাজু মীরকে সরিয়ে দিতে। ২২ শে জুন, রাজু মীরকে আলফিকার ফোন করে তৃষাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য এবং ডিভোর্স দেওয়ার জন্য গালাগালি দিতে থাকে। তারপরে সেই রাতে সোনারপুরের বাড়ি থেকে রাজু মীর বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুরে যান। সেই রাতেই দুজনের সঙ্গে ব্যাপক বচসা বাঁধে তৃষাকে নিয়ে। শুরু হয়ে যায় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি। সেই সময় আলফিকার রাস্তায় পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। এর জেরেই রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আলফিকারের। তদন্তে গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস।