
গুজরাতের রাজকোটে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শেষ ম্যাচ। টসে জিতল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে প্রথম ব্যাট করবেন প্যাট কামিন্সরা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দুই ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন রোহিত শর্মা। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কে এল রাহুল। তৃতীয় ম্যাচে ফের দলের দায়িত্বে হিটম্যান।
ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ টিম ইন্ডিয়ার দখলে। আজ শুধু নিয়মরক্ষার ম্যাচ। এই ম্যাচে ৩-০ করতে চায় ভারত। এদিনের ম্যাচে, ভারতীয় দলে একাধিক ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে একাধিক বদল আনা হয়েছে। রোহিতের পাশাপাশি, বিশ্রাম নিয়ে এদিন দলে ফিরছেন হার্দিক পান্ডিয়া, বিরাট কোহলিরা।
এদিকে, বিশ্বকাপের আগে টিম ইন্ডিয়ার ফর্ম দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। তাঁর কথায়, বিশ্বকাপে ভারতকে যাঁরা হারাতে পারবেন, তাঁরাই ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জিততে পারেন। এবারে বিশ্বকাপে রোহিতদের রোখা মুশকিল।
ইন্দোরে সিরিজ জেতা সম্পন্ন হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না হলেও বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে এক নম্বর টিম ইন্ডিয়া। এবার রাজকোটে সিরিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই পাঁচ ক্রিকেটার হলেন, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমন গিল, শার্দূল ঠাকুর, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও তিলক ভার্মা।
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাজকোট ভারতীয় দলে ফিরছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, বিরাট কোহলি এবং কুলদীপ যাদব। ইন্দোর ম্যাচে ছিলেন না যশপ্রীত বুমরা। তিনি ফিরবেন রাজকোট ম্যাচে। ফলে তাঁর বদলি হিসাবে দলে জায়গা পাওয়া মুকেশ কুমারকে আপাতত আর কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, এটা রুটিন পরিবর্তন। বিশ্বকাপের আগে দলের উপর চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্রামের বিষয়টি মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় কোচ ও জাতীয় নির্বাচকদের।
ইন্দোরেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯৯ রানে জয় ভারতের। এই ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় রাহুল ব্রিগেডের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের ৩৯৯ রান, ডাকওয়ার্থ লুইসে কমে যায় ৩১৭। ১৭ ওভার কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ রেফারি। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও পরপর উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। একা বুক চিতিয়ে অর্ধশতরান করেন সিন অ্যাবট। হাফ সেঞ্চুরি করে ডেভিড ওয়ার্নারও। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের সামনে কার্যত ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তিন উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মোহালি ও ইন্দোরে জিতে সিরিজ পকেটে পুরল কে এল রাহুল ব্রিগেড।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪০০ রানের টার্গেট দেয় ভারত। প্রথম ওভার বল করতে এসে প্রথম দুই বলেই উইকেট পান প্রাসিদ কৃষ্ণা। প্রথম বলে ফেরান ম্যাথিউ শর্টকে। দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে ফেরান স্মিথকে। ৯ ওভার নাগাদ ফের বৃষ্টি শুরু হয়। ডাকওয়ার্থ লুইসে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট দাঁড়ায় ৩১৭ রান। অশ্বিনের পরপর তিন উইকেটে কার্যত ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ। রান আউট হয়ে ফেরেন ক্যামেরুন গ্রিন। কিন্তু ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস আসে সিন অ্যাবটের ব্যাট থেকে। ১৬ বলে ২৩ রান করেন জোসে হ্যাজেলউড।
ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা ও অশ্বিন। ২ উইকেট প্রাসিদ কৃষ্ণার। ১ উইকেট পেলেন মহম্মদ শামি। এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজ গাইকোয়াড় ফিরলেও শ্রেয়স আইয়ার ও শুভমান গিল বড় পার্টনারশিপ করেন। কেরিয়ারের ৬ নম্বর সেঞ্চুরি করেন শুভমান গিলও। দুই ব্যাটসম্যান আউট হলেও আক্রমণ থামায়নি ভারত। অধিনায়ক কে এল রাহুলের ব্যাটে আসে ৩৮ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ইশান কিষাণ করেন ১৮ বলে ৩১ রান। ৩৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৩৯৯ রান।
ইন্দোরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১১ মাস পরে সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স আইয়ার। সেঞ্চুরি করেই সিন অ্যাবটের ডেলিভারিতে ১০৫ রানে ফেরেন তিনি। এদিকে সেঞ্চুরি করে ফেললেন শুভমান গিলও। ভারতের রান ৫ উইকেটে ৩৭৫। পাশাপাশি শ্রেয়সের ও গিলের উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক কে এল রাহুল ও সূর্য কুমার যাদবও হাফ সেঞ্চুরি করেন।
এদিন ইন্দোরে একাধিক পরিবর্তন করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া দুই দলই। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। নেতৃত্ব দেন স্টিভ স্মিথ। ছিলেন না মিচেল মার্শও। ভারতীয় দলে দুই তারকা পেসার বুমরা ও সিরাজকেও বিশ্রামে পাঠানো হয়। রুতুরাজ গাইকোয়াড় শুরুতে আউট হলেও অধিনায়ক কে এল রাহুলের উদ্বেগ কমালেন দুই ব্যাটসম্যান। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জিতে নেবে টিম ইন্ডিয়া।
টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে একটা উইকেট গেলেও হাল ধরে গিল ও শ্রেয়স।দুজনেরই জোড়া সেঞ্চুরিতে রীতিমত কুপোকাত অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। গিল ৯৭ বলে ১০৪ এবং আইয়ার ৯০ বলে ১০৫ রান করে আউট হলে ম্যাচে আরও গতি আসে। এরপরে কিষান, রাহুল, ও যাদবের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত ৩৯৯ রান করে। এছাড়া সিন ও গ্রীন দুজনেই বলের ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলে। অস্ট্রেলিয়াকে এখন জিততে হলে ৫০ ওভারে ৪০০ রান করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়াকে কার্যত দুরমুষ করেই ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজ শুরু করেছে ভারত। মোহালির জয় বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বরের তাজ উঠছে টিম ইন্ডিয়ার মাথায়। নজির গড়ে তিন ফরম্যাটেই এখন এক নম্বর ভারতীয় ক্রিকেট। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার ইন্দোরেই সিরিজ গুটিয়ে দিতে চান অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজকে প্রস্তুতি হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তাতে মোহালির ম্যাচে দারুণভাবে সফল মহম্মদ শামি। তাঁকে আপাতত একদিনের ক্রিকেটের জন্য ভাবা হয় না। কিন্তু গত ম্যাচে তাঁর ৫১ রান দিনে পাঁচ উইকেট, নতুন করে ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ফলে ইন্দোরে শামি খেলছেন এটা কার্যত নিশ্চিত।
রানা তাড়া করতে নেমে, ভারতীয় টপ অর্ডার অজি পেস অ্যাটাককে শাসন করেছে। রুতুরাজ থেকে সূর্য কুমার ব্যাটে রান পেয়েছেন। উইকেট কিপিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, এশিয়া কাপের পর এই সিরিজেও রানেই আছেন লোকেশ রাহুল। শুভমন গিল মোহালি ম্যাচেও অনবদ্য।
তাই মনে করা হচ্ছে, আজ, রবিবার হোলকার স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে দল অপরিবর্তিত রাখতে পারে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে রান করবে, নাকি রান তাড়া করবে, তা ঠিক করবে টস।
মোহালিতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে অধিনায়ক কে এল রাহুলের ব্যাটেই এল জয়। অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারাল ভারত। শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা গড়াতেই দিল না। ৮ বল বাকি থাকতেই প্রথম ওয়ানডে জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। ৫৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন রাহুল। এই ম্যাচে জিতে ওয়ানডে ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে গেল রাহুল ব্রিগেড। সিংহাসনচ্যূত হল পাকিস্তান।
মোহালির উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের সামনে ২৭৭ রান তোলা সহজ ছিল না ভারতের। কিন্তু ওপেনিং পার্টনারশিপে সেই কাজ সহজ করে দেন শুভমান গিল ও রুতুরাজ গাইকোয়াড়। ৭১ রান করে রুতুরাজ। ৭৪ রানে ফেরেন শুভমান। শ্রেয়স আইয়ার রান আউট হলেও ক্রিজে টিকে যান রাহুল। ১৮ রান করে ফেরেন ইশান কিষান। রাহুলের সঙ্গে পার্টনারশিপ করেন সূর্যকুমার যাদব। হাফসেঞ্চুরি করে অ্য়াবটের ডেলিভারিতে ফেরেন। কিন্তু রান তাড়া করে ম্যাচ বের করে ফেরেন অধিনায়ক রাহুল।
এদিন টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান অধিনায়ক কে এল রাহুল। প্রথমে ব্যাট করে ২৭৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ফিরলেও বড় রান করেন ওয়ার্নার, স্মিথ, লাবুশেন, ক্যামেরুন গ্রিন, জোশ ইগলিসরা। শেষদিকে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ৯ বলে ২১ রানে ২৭০ রানের গণ্ডি পেরোয় অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ফিল্ডিং নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় নেটমাধ্যমে। উইকেটের পিছনে একাধিক সুযোগ মিস করেন রাহুল। ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান তাড়া করে সেই সমালোচনারই যেন জবাব দিলেন রাহুল।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল ভারত। মোহালিতে কে এল রাহুলের নেতৃত্বে রান তাড়া করবে ভারত। টিমে ফিরলেন রুতুরাজ গাইকোয়াড়, সূর্যকুমার যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মহম্মদ শামি।
ভারতের হয়ে ওপেন করবেন রুতুরাজ ও শুভমান। তিনে শ্রেয়স আইয়ার, চারে কে এল রাহুল। ইশান কিষাণ, সূর্যকুমার যাদবও আছেন। জাদেজা-অশ্বিন জুটিতে অনেকদিন পর দেখা যাবে। বোলিং আক্রমণে অশ্বিনের সঙ্গে আছেন শার্দুল, বুমরা ও শামি।
অস্ট্রেলিয়া টিমে অভিষেক করলেন ম্যাট শর্ট। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, লাবুশানে আছেন। আছেন অলরাউন্ডান ক্যামেরুন গ্রিন, মার্কাস স্টয়নিস। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ছাড়াও টিমে আছেন শর্ট, সিন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে দুটি ভাগে দল ঘোষণা করা হয়েছ। প্রথম দুটি ম্যাচের জন্য এবং তৃতীয় ম্যাচের জন্য আলাদা আলাদা দল ঘোষণা করা হল।
সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে চোটের সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। সেকারণে প্রথম দুই ম্যাচে বাদ রাখা হয়েছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা সহ একাধিক ক্রিকেটারকে। যদিও তৃতীয় ম্যাচে তাঁদের প্রত্যেককেই দলে রাখা হয়েছে। মূলত এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই যাঁরা খেলেছেন তাঁদের প্রথম দুটি ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। প্রথম দুটি ম্যাচের অধিনায়ক থাকছেন কে এল রাহুল এবং তৃতীয় ম্যাচের জন্য রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করা হয়েছে।
প্রথম দুই ম্যাচের দল- কেএল রাহুল (অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাদেজা, ঈশান কিশান, শার্দূল ঠাকুর, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়ার,মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যশপ্রীত বুমরা, এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
তৃতীয় ম্যাচের দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), কেএল রাহুল , শার্দূল ঠাকুর, অক্ষর পটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, সূর্যকুমার যাদব, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ।
প্রাথমিক দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল টেস্টে ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটার মানস লাবুশেনকে। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলেও তাঁকে রাখা হল না। এই টুকু বাদ দিয়ে প্রায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে আসছে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বুধবার তাদের ১৫ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছে।
স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে এই দলে রাখা হয়েছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। যদিও তাঁর খেলা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তবে ভারতের মাটিতে অ্যাডাম জাম্পার বদলে দলে রাখা হয়েছে স্পিনার অ্যাস্টন আগরকে। রয়েছেন মিচেল মার্শ, ক্যামরন গ্রিনের মতো অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপ খেলার আগে ভারতের মাটিতে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবেন অজিরা। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এই সিরিজ হবে। আট অক্টোবর, চেন্নাই থেকে বিশ্বকাপ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষ ভারত
কয়েক মাস আগেই খবরে এসেছিল মানুষের মস্তিষ্কে ব্রেন খেকো অ্যামিবার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এবারে আরও এক খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যা শুনে হতবাক সাধারণ মানুষ। আর এর থেকেও বেশি চিন্তিত চিকিৎসকমহল। কারণ এবারে এক মহিলার মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া গিয়েছে জীবন্ত প্যারাসাইটিক রাউন্ডওয়ার্ম বা গোলকৃমি (Parasitic Round Worm)। একজন মানুষের মাথায় তা কীভাবে আসতে পারে তা ভেবেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, অস্ট্রেলিয়ার এক ৬৪ বছর বয়সী মহিলার মাথায় এই জীবন্ত কৃমি পাওয়া গিয়েছে। যা ইতিমধ্যেই অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা। তিনি ২০২১ সাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। সেসময় থেকেই তার মধ্যে কিছু উপসর্গ যেমন- তলপেটে ব্যথা, ডায়ারিয়া, শুকনো কাশি, জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া ইত্যাদি দেখা যেত। এরপর ২০২২ সালে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। তখন স্মৃতিশক্তি চলে যাওয়া, ডিপ্রেশনের মত লক্ষণও দেখা যাচ্ছিল। এরপর তাঁকে ক্যানবেরা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তখন তাঁর ব্রেনের এমআরআই করানো হয়। আর তখনই ধরা পড়ে ৮ সেন্টিমিটারের এই জীবন্ত কৃমি। একাধিক চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করার পর জানা যায়, এটির নাম Ophidascaris robertsi, যা সাপেদের দেহে পাওয়া যায়।
ফলে সাপেদের মধ্যে পাওয়া এই ধরণের কৃমি কীভাবে মহিলার ব্রেনে প্রবেশ করল, তা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা। তবে প্রাথমিক অনুমান করে জানানো হয়েছে, হয়তো এই কৃমির লার্ভা কোনও শাক-সবজি খাওয়ার মাধ্যমে তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছিল। তবে এই ধরনের কৃমি মানুষের শরীরে পাওয়া সত্যিই বিশ্বে প্রথমবার ঘটেছে। তবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটিকে মহিলার মাথা থেকে বের করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার (Australia) সমুদ্র-সৈকতে হঠাৎ দেখতে পাওয়া গিয়েছে দৈত্যাকার এক ধাতব বস্তু (Mysterious Object), আর এই নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরে হইহই পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। এর আগে সমুদ্র-সৈকতে প্রাণী-মানুষের দেহ ভেসে আসতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারে সিলিন্ডারের মত এক ধাতব বস্তু ভেসে আসতে দেখে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার জুরিয়েন সমুদ্র সৈকতে দেখতে পাওয়া যায় এই বস্তুটি। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি চন্দ্রযান ৩-এর ভেঙে যাওয়া অংশ হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ সূত্রে খবর, এই ধাতব বস্তুটি প্রায় ৩ মিটার লম্বা ও ২.৫ মিটার লম্বা। তবে এটি কোথা থেকে এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে এক টুইট বার্তা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্পেশ এজেন্সি বলেছে, তারা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জুরিয়েন বে-এর কাছে একটি উপকূলে কয়েকটি বস্তু পেয়েছে। যেগুলি কোনও মহাকাশযানের অংশ হতে পারে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'আমরা বর্তমানে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জুরিয়েন বে এর কাছে একটি সমুদ্র সৈকতের এই বস্তুর অনুসন্ধান করছি। বস্তুটি একটি বিদেশী মহাকাশ লঞ্চ যান থেকে হতে পারে এবং আমরা তথ্য পেতে বিশ্বের একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।'
We are currently making enquiries related to this object located on a beach near Jurien Bay in Western Australia.
— Australian Space Agency (@AusSpaceAgency) July 17, 2023
The object could be from a foreign space launch vehicle and we are liaising with global counterparts who may be able to provide more information.
[More in comments] pic.twitter.com/41cRuhwzZk
বিরাট শতরান করেও দেশকে উদ্ধার করতে পারলেন ইংরেজ অধিনায়ক (Cricketer) বেন স্টোকস (Ben Stokes)। তিনি ১৫৫ রানে আউট হতেই লর্ডসে অ্যাসেজ সিরিজে (Ashes 2023) দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৪৩ রানে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে পঞ্চম দিনে উত্তাপ ছড়াল ঐতিহাসিক লং রুমেও। জনি বেয়ারস্ট্রোর আউট ঘিরে লং রুমে সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন দুই অজি ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার এবং উসমান খোয়াজা। চার উইকেটে ১১৪ রান থেকে ইংল্যান্ড শেষ ৩২৭ রানে। ম্যাচে তিনটি করে উইকেট স্ট্রার্ক, কামিন্স এবং হ্যাজেলউডের।
ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার পর থেকে ব্রিটিশ ক্রিকেটের মধ্যে নতুন আগ্রাসন এনেছেন ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম। তাঁর ডাকনাম বাজ। আর তাই এখন ইংল্যান্ডে চলছে বাজবল ক্রিকেট। কিন্তু অ্যাসেজের প্রথম দুটি টেস্টেই সেই বাজবল ক্রিকেট মুখ থুবড়ে পড়েছে। শেষ দিনে রান তাড়া করতে নেমে ছুটছিলেন ব্রিটিশরা। ন্যাথন লায়ন নেই, সেই সুযোগটাই নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু তিন অজি পেসার যে ভাবে ইংরেজ ব্যাটারদের গিলে খেলেন, তাতে কোনও ভুল নেই এই অস্ট্রেলিয়া অ্যাসেজে অনেক এগিয়ে।
২৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে লাঞ্চের আগেই জনি বেয়ারস্টো উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। আর তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় ইংল্যান্ডের এই ম্যাচের ভাগ্য। ক্যামেরন গ্রিনের বাউন্সার থেকে মাথা বাঁচিয়ে নেওয়ার পর বেয়ারস্টো ভুলেই গিয়েছিলেন বল কোথায়। ক্রিজ ছেড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। উইকেট কিপার অ্যালেক্স ক্যারি বল ছুড়ে উইকেট ভেঙে দেন। এই আউট নিয়েই এখন চলছে যাবতীয় আলোচনা। ব্রিটিশ সমর্থকদের অভিযোগ, ক্রিকেটের স্পিরিট দেখায়নি অস্ট্রেলিয়া।
তাতে অবশ্য কিছু যায় আসছে না। কারণ, অ্যাসেজে স্কোর বোর্ড বলছে অস্ট্রেলিয়া ২ ইংল্যান্ড ০। চার বছর আগের হেডিংলি আর ফিরল না। এবার ট্র্যাজিক হিরো ব্রিটিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। হাতে রয়ে গেল শুধু ১৫৫ রানের একটা লড়াকু ইনিংস।
বিশ্বকাপের (World Cup) আগে ভারতে আসছে অস্ট্রেলিয়া (Australia)। অজিদের বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ানডে (ODI) খেলবে টিম ইন্ডিয়া। এমনই জানিয়েছে বিসিসিআই। দিনক্ষণ এখনও পাকা না হলেও বিসিসিআই সূত্রে খবর, এশিয়া কাপের ঠিক পরে এবং বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচগুলি শুরু হওয়ার আগে এই তিনটি ম্যাচের আয়োজন করা হবে। ক্রিকেট মহলের দাবি, এই ছোট তিনটে ম্যাচই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য আদর্শ হতে চলেছে ভারতের জন্য। কারণ অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেললে ভারতের শক্তি আর দুর্বলতাগুলিও পরীক্ষা করে নেওয়া যাবে।
১৭ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ শেষ হচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরু ৮ অক্টোবর। অনেকে বলছেন, আইপিএল থেকে সেভাবে বিশ্রাম পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। একের পর এক ম্যাচ খেলছেন। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের আগে আবার যদি তিনটে ম্যাচ খেলতে হয় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, তা বেশ চাপের হবে রোহিতদের জন্য।
উসমান খোয়াজার (Usman Khawaja) ব্যাটেই বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার (Australia) জিয়ন কাঠি। অ্যাসেজ সিরিজের (Ashes Series) দ্বিতীয় দিনের শেষে এখনও ৮২ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। স্বস্তি একটাই তৃতীয় দিন অপরাজিত ১২৬ রান থেকে শুরু করবেন খোয়াজা। সঙ্গী উইকেট কিপার ব্যাটার অ্যালেক্স কেরি। তাঁর অবদান অপরাজিত ৫২। চার উইকেটে ১৪৮ রান থেকে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর পাঁচ উইকেট ৩১১। অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে মইন আলির অবদান দুই উইকেট।
১১২ রানের মাথায় আউট হয়েছিল উসমান খোয়াজা। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে বোল্ড হয়েছিলেন। কিন্তু নো বল করায় সেই আউট বাতিল হয়ে যায়। এই ঘটনা নতুন করে অক্সিজেন দিয়েছে অজিদের। কারণ, দ্বিতীয় দিনের শুরুতে যে ঝটকা খেতে হয়েছিল সদ্য বিশ্ব টেস্ট জয়ীদের, তাতে লজ্জা অপেক্ষা করছিল। ৬৭ রানের মধ্যে ধসে গিয়েছিল টপ অর্ডার। ওভালের মাঠে শতরান করা স্টিভ স্মিথও আউট হলেন ১৬ রানে। তার আগে ওয়ার্নারে ৯ আর বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটার মানার্স ল্যাবুশানে শূন্য।
এই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি ভারতের বিরুদ্ধে ওভালে শতরানকারী ট্রাভিস হেডের। অল্প সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ক্যামরন গ্রিনের। ইনিংসে এখনও পর্যন্ত দুটি করে উইকেট ব্রড এবং মইনের। একটি উইকেট ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের। সেটাও আবার স্টিভ স্মিথের। প্রথম ইনিংসে আট উইকেট তিনশো তিরানব্বই রান করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। পরিস্থিতি যা তাতে বিরাট অঘটন না ঘটলে ফয়সালার পথে অ্যাসেজের প্রথম টেস্ট।
ওভালে (Oval) ভারতকে (India) ২০৯ রানে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া (Australia)। বিশ্ব টেস্টের (WTC) ফাইনাল জিততে পারলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওভালে পঞ্চম দিনে এক ঘণ্টার মধ্যেই কাগুজে বাঘদের গিলে খেয়ে নিল অস্ট্রেলিয়ার পেস ব্যাটারি। কামিন্স, বোল্যান্ড, স্ট্রার্কদের পাশে এই পিচেও বল হাতে উজ্জ্বল হয়ে থাকলেন ন্যাথন লায়ন। তিন উইকেট ১৬৪ রান। এই পুঁজি নিয়ে শুরু করেছিলেন বিরাট এবং রাহানে। একওভারে বিরাট এবং জাডেজা আউট হতে ধস নামল। ৪৯ রানে বোল্যান্ডের বলে আউট কোহলি। রাহানের অবদান ৪৬ রান।
একটা গোটা দিনে দরকার ছিল ২৮০ রান। একটা পুরো দিন ব্যাট করার শৈলী দেখাতে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটাররা। ম্যাচ শুরুর আগে বিরাট দাবি করেছিলেন, তিনি এখন জীবনের সেরা ক্রিকেটীয় ফর্মে মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তবে তা লক্ষ করা গেল না। যে ম্যাচে তাঁর রাজা হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেই ম্যাচেই তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেন।
আসলে শুরু থেকে শেষ, গোটা টেস্ট ম্যাচে একদিনও ভারতের জন্য বলার কিছু রইল না। তাই সাড়ে চারদিনের আগেই শেষ হলে একটা টেস্ট ম্যাচ। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে সবমিলিয়ে ভারতের স্কোর ২৩৪ রান। হার ২০৯ রানে। ৪১ রান দিয়ে ওভালের এই পিচেও চার উইকেট নিলেন ন্যাথন লায়ন। আর রোহিত শর্মা সিদ্ধান্তের জেরে মাঠের বাইরে বসে রইলেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন।