মাফিয়া আতিক আহমেদ (Gangster Atiq) হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরগরম উত্তর প্রদেশের রাজনীতি। সেই ঘটনার দিন কয়েক পরে এবার রাজ্যব্যাপী দুষ্ট দমনে কোমর বাঁধছে উত্তর প্রদেশ পুলিস (Uttar Pradesh Police)। জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলা ধরে ধরে মাফিয়া-তোলাবাজদের তালিকা তৈরি করেছে পুলিস। এদের ভবিষ্যৎ কী, ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। জানা গিয়েছে, এসব মাফিয়া-তোলাবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পথেও হাঁটতে পারে পুলিস।
এদিকে, সম্প্রতি এক বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের বার্তা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছেন, 'কোনও মাফিয়া বা গ্যাংস্টারকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। উত্তরপ্রদেশ সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে তাঁদের নিরাপত্তার। উত্তরপ্রদেশ সরকার আপনাদের এবং আপনাদের বিনিয়োগের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিচ্ছে। এখন থেকে কোনও জেলায় কাউকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।'
অপরদিকে, আতিক-কাণ্ডে হইচইয়ের মধ্যেই আদালতে গড়িয়েছে এই হত্যাকাণ্ড। এখন সেদিকে তাকিয়ে ইউপিবাসী।
গ্যাংস্টার তথা সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদকে অবশেষে গুজরাতের সবরমতী জেল থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলের মধ্যে প্রয়াগরাজে নৈনি জেলে পৌঁছন উত্তর প্রদেশ পুলিসের বিশেষ দল। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মোহিত জয়সওয়ালের উপর হামলা, অপহরণ ও গুন্ডাগিরির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আতিককে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালে সবরমতী জেলে পাঠানো হয় আতিককে। এই মামলার শুনানির জন্যই তাকে প্রয়াগরাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এই মামলা ছাড়াও ১০০টির বেশি ফৌজদারি মামলার সঙ্গে জড়িত আতিক। মোহিত জয়সওয়ালের মামলা ছাড়াও আতিক ২০০৫ সালের বিজেপি নেতা রাজু পাল খুনে প্রধান অভিযুক্ত। আবার রাজু পাল খুনের প্রত্যক্ষদর্শী উমেশ পালকেও অপহরণের পিছনে তারই হাত ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার জন্যও তাকে বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
তবে মোহিত জয়সওয়ালের ঘটনায় এবার তাকে ফের প্রয়াগরাজে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উঠলে ফের শিরোনামে উঠে এসেছে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। এই মামলায় আগামী বুধবার, ২৯ মার্চ তাকে প্রয়াগরাজ আদালতে তোলা হবে। আর তার জন্যই তাকে সবরমতী থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসা। রবিবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের পুলিস পৌঁছে গিয়েছিল সবরমতী ও সেখান থেকে রওনা দেয় রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ। অন্যদিকে রবিবার সবরমতী কেন্দ্রীয় সংশোধনারগার থেকে বেরোনোর সময় সে খুন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গ্যাংস্টারের পরিবার।