দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর ৯৯ তম জন্মবার্ষিকীতে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে সুশাসন দিবস। শহর কলকাতাতেও হয়নি তার অন্যথা। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে সল্টলেকের ইজেডসিসি হলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন বঙ্গ বিজেপির।দিনটিকে সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করার এই মহান কর্মকাণ্ডে সামিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে সল্টলেকের ইজেডসিসি হলে আয়োজিত হল একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে মাল্যদান ও উনার স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মূলত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। যে মন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর দিকে এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন বিজেপি নেতৃত্ববর্গ।
সল্টলেকের সেই ছবি ধরা পড়ল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের সামনেও।বড়দিনের সকালে রাজ্য স্বাস্থ্য সেলের তরফে হাসপাতালের সামনে এদিন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ছবিতে মাল্যদান ও গরীব দুঃস্থদের হাতে কেক তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হল সুশাসন দিবস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য স্বয়ং।
ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম স্তম্ভ অটল বিহারী বাজপেয়ী। যার চিন্তাধারাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছ দল। দেশের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই তাদের মহান কর্তব্য বলে মনে করে গেরুয়া শিবির। ৯৯ তম জন্মবার্ষিকীতে অটলজির প্রতি দেশের এই শ্রদ্ধা নিবেদন আবারও মনে করিয়ে দিল দেশের প্রতি তাঁর আত্মত্যাগ।
বিহারের (Bihar) পাটনার এক পার্কের নাম ছিল 'অটল বিহারী বাজপেয়ী পার্ক' (Atal Bihari Vajpayee ark)। কিন্তু সেই নামই পরিবর্তন করল বিহার সরকার। আর এই ঘটনার পরই বিজেপির তীব্র কটাক্ষের মুখে নীতীশ সরকার। জানা গিয়েছে, এই পার্কের নাম বদলে রাখা হয়েছে কোকোনাট পার্ক (Coconut Park)। এই নাম পরিবর্তন করে সেই পার্কের উদ্বোধনও করলেন রাজ্য়ের পরিবেশমন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব (Tej Pratap Yadav)। জানা গিয়েছে, এই নাম বদলের ঘোষণা করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)।
পাটনার কনকরবাগে অবস্থিত অটল বিহারী বাজপেয়ী পার্কটি। জানা গিয়েছে, এই পার্কের নাম আগে ছিল কোকোনাট পার্ক। কিন্তু পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই পার্কের নামকরণ তাঁর নামে করা হয়। কিন্তু পার্কের নাম আগের নামে করা হলে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিহার সরকারের এই কাজের নিন্দা করে একে 'আপত্তিকর' ও 'বড় অপরাধ' বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তেজস্বী যাদবের এই সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য পরামর্শ দেন। নয়তো নীতিশ কুমারের নামও একদিন বদলে দেবেন তেজস্বী যাদব, এমনটাই সংবাদমাধ্যমে জানান বিজেপি সাংসদ নিত্যানন্দ রাই। তিনি আরও জানান, এই পার্কে অটলজির মূর্তিও রয়েছে। আর তিনি সারা ভারতবাসী বিশেষ করে বিহারীদের মনে রাজ করেন। ফলে নীতীশ কুমারকে গভীরভাবে চিন্তা করতে বলেন ও এই সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য তেজস্বী যাদবকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন।
আজ দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) চতুর্থ প্রয়াণ দিবস। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকীতে(death anniversary) দিল্লির অটল সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও এদিন শ্রদ্ধা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। পাশাপাশি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন(pay tribute) করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দত্তক কন্যা নমিতা কল ভট্টাচার্য।
দিল্লির অটল সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবসে টুইটে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটে লেখেন, “ভারতের গৌরব পুনঃস্থাপিত করতে জীবনের প্রতি মুহূর্ত ব্যয় করেছিলেন শ্রদ্ধেয় অটলবিহারী বাজপেয়ীজি । ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি গরীব কল্যাণ ও সুশাসনের নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। একইসঙ্গে গোটা বিশ্বকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে ভারত কতটা শক্তিশালী।”
রাজনাথ সিং টুইটে লেখেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীজির পুণ্যতিথিতে তাঁকে নতমস্তকে প্রণাম জানাই। দেশের জন্য তাঁর অবদান কোনওদিন ভোলা যাবে না। ভারতের বিকাশ যাত্রায় যাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।”
पूर्व प्रधानमंत्री श्रद्धेय अटल बिहारी वाजपेयी जी की पुण्यतिथि पर मैं उन्हें स्मरण करते हुए नमन करता हूँ। देश को विकास और सुशासन का मंत्र देने वाले अटलजी का पूरा जीवन उनके व्यक्तित्व की गहराई और कृतित्व की ऊँचाई का प्रतिबिम्ब है।भारत की विकास यात्रा में उनका योगदान अविस्मरणीय है।
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) August 16, 2022
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের মত মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা হিসেবে এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এর বাইরে থেকে পূর্ণ মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।