Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Asset

Sheikh Shahjahan: উত্তরোত্তর সাম্রাজ্য বিস্তার শাহজাহানের, ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির নথি ইডির হাতে

শেখ শাহজাহান যে প্রভূত সম্পত্তির মালিক। সাম্রাজ্যবিস্তারে মনোনিবেশ তার মনোযোগ সহকারে, তা তার কাজকর্ম থেকে আঁচ করতেই পারছিলেন রাজ্যবাসী। দ্বিতীয়বার অভিযানে গিয়ে ইডি সফল হয় শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে। আর বেতাজ বাদশার বাড়ি তদন্ত অভিযান চালিয়ে ইডির হাতে উঠে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি শাহজাহানের সম্পত্তির বিষয়।

সূত্রের খবর, শাহজাহানের বাড়ি থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ১৪০-১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির নথি পেয়েছে ইডি। এছাড়াও জানা গেছে, গত ১০ বছরে শেখ শাহজাহানের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৩০০ গুনের বেশি। ইডি উদ্ধার করতে পেরেছে শেখ শাহজাহানের ২০১৮ সালের ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলও। তাহলে ১০ বছরের মধ্যে সম্পত্তির এমন শ্রীবৃদ্ধিতে টাকার যোগান দিয়েছে কে? তা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

প্রসঙ্গত, এসব ছাড়াও ২৪ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়ি তল্লাশির সময় ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন বেশকিছু সোনার গয়নার ট্যাক্স ইনভয়েস, এসকেএস বিল্ডিং সুপার মার্কেটের প্রজেক্ট বই, বেশকিছু বিমানের টিকিট, জীবন বিমার নথি এবং ইলেকশন সার্টিফিকেট। তারপর সবমিলিয়ে ১৫০ কোটির সম্পত্তির নথি ইতিমধ্যেই ইডির আধিকারিকদের হাতে। তবে এই সবকিছুর মূল কেন্দ্রবিন্দু শেখ শাহজাহান এখনও বেপাত্তা।

বাড়ি তল্লাশির পর তার বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে ইডির পক্ষ থেকে।  আগামী ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরাও দিতে বলা হয়েছে। এখন সেদিন আত্মগোপনকারী বেতাজ বাদশা সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির তলব মেনে দেখা দেয় কি না, এখন সেটাই দেখার।

4 months ago
ADR: দেশের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জানুন তাঁর সম্পদের পরিমাণ

গচ্ছিত সম্পদের (Asset) নিরিখে দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী মুখ্যমন্ত্রী অন্ধপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডি (Andhra Pradesh CM)। সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দাখিল হলফনামা উল্লেখ করে এই দাবি করেছে সাম্প্রতিক অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস। এই সংস্থা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এডিআর (ADR) নামে পরিচিত। এই সংস্থার দাবি, ভোটের হলফনামা অনুসারে দেশের ৩০ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৯ জন কোটিপতি। যে মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির মোট ৫১০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে৷

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গচ্ছিত সম্পদ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এমনটাই বলছে এডিআর রিপোর্ট। এডিআর রিপোর্ট অনুযায়ী ২৮ রাজ্যের এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী তালিকায় আছেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী নেই। এই রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৯ জন কোটিপতি এবং প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর গড় সম্পদ ৩৩.৯৬ কোটি টাকা।

রিপোর্ট বলছে, ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধমূলক মামলা রুজু রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর মতো অপরাধ। গুরুতর ফৌজদারি মামলাগুলির মধ্যে কয়েকটি আবার জামিন অযোগ্য অপরাধ, যাতে দোষী প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ড। এমনটাই রিপোর্টে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রিপোর্টে উল্লেখ সম্পদের দিক থেকে শীর্ষ তিন মুখ্যমন্ত্রী অন্ধ্রপ্রদেশের জগন মোহন রেড্ডি, অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডু (যার সম্পদের পরিমাণ ১৬৩ কোটি টাকার বেশি) এবং ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক (৬০ কোটি টাকার বেশি)।

এদিকে সবচেয়ে কম ঘোষিত সম্পদের তিনজন মুখ্যমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি (১৫ লাখের বেশি), কেরালার পিনারাই বিজয়ন (এক কোটি টাকার বেশি) এবং হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর (এক কোটি টাকার বেশি)।

প্রতিবেদনে উল্লেখ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল উভয়েরই তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক।

one year ago
Lucknow: যত্নে রাখেন না পুত্র-কন্যা!কোটি টাকার সম্পত্তি রাজ্যপালের নামে করলেন বৃদ্ধ

সম্পত্তির ভাগ পুত্র, সন্তান এবং পুত্রবধূদের না দিয়ে রাজ্যপালের নামে লিখে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক বৃদ্ধ। পুত্র এবং পুত্রবধূদের প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ার কারণে তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলেন বৃদ্ধ। এমনকি নিজের মেয়েদেরকেও কোনও সম্পত্তির ভাগ দেননি অশীতিপর নাথু সিং। জানা গিয়েছে, মুজফফরনগরের এক বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধ। 

তাঁর পুত্র এবং পুত্রবধূ তাঁর প্রতি একদমই যত্নশীল নয়। তাঁদের এরকম ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন তিনি। এছাড়াও বৃদ্ধের তিন মেয়ে থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধাশ্রমে দিন কাটাতে হয় তাঁকে। তাই তাঁর মেয়েদেরকেও সম্পত্তির উত্তরাধিকার হওয়ার যোগ্য মনে করেন না নাথু সিং। তাঁর সম্পত্তির অর্থমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। সবদিক ভাবনা-চিন্তা করেই তাঁর সম্পত্তি রাজ্যপালের কাছে তুলে দেন নাথু।

বৃদ্ধার একটাই অনুরোধ, 'তাঁর মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তি যেন স্কুল বা হাসপাতাল নির্মাণের কাজে ব্যবহার করে সরকার।' সংবাদমাধ্যমে বৃদ্ধ বলেন, 'এই শেষ বয়সে আমার পরিবারের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু ওরা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাই আমি আমার সম্পত্তি সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে এই সম্পত্তি ভাল কাজে ব্যবহার করা হয়। বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালিকা রেখা সিং জানিয়েছেন, শনিবার উইল তৈরি করে সম্পত্তি দান করে দিয়েছেন বৃদ্ধ। তিনি তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি এতটাই বিরক্ত যে, জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর শেষকৃত্যের সময়েও যেন ছেলে বা মেয়ে কেউ না থাকে।'

one year ago


Manik: মানিক ভট্টাচার্যর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে ইডিকে হাইকোর্টের নির্দেশ

তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁর দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তি ইডিকে বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৫ জানুয়ারি এই সিঙ্গল বেঞ্চ পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। অভিযোগ, 'দু'সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা জমা না করায় মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর নির্দেশ হাইকোর্টের।'

জানা গিয়েছে, ২০১৭-র টেট পরীক্ষার্থী সাহিলা পারভিন তথ্য জানার অধিকার আইনে তাঁর উত্তর পত্র বা OMR শিট দেখতে চেয়ে আবেদন জানান। নির্ধারিত টাকা দিয়ে তিনি এই আবেদন জানান। যদিও সেই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, 'যথাযথ  OMR শিট তাঁকে দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।' এরপরেই জরিমানা করা হয় মানিকবাবুকে। কিন্তু অভিযোগ, কোর্ট নির্ধারিত তারিখ পেরোলেও জরিমানা টাকা জমার ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্চ্য করেননি পর্ষদের অপসারিত সভাপতি।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে জেলবন্দী মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর আদেশ পৌঁছে দিতে হবে।'

one year ago
Habra: সম্পত্তিগত বিবাদে অশীতিপর মাকে মারধরে অভিযুক্ত ছেলে-বৌমা, বিহিত চেয়ে থানায় বৃদ্ধা

এক অমানবিক ঘটনা! সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ৮০ বছরের বৃদ্ধা মাকে মারধর এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ গুণধর ছেলে (son) ও বৌমার বিরুদ্ধে। মাকে বাঁচাতে গিয়ে রক্তাক্ত হলেন বৃদ্ধার ছোট ছেলেও। ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ (complaint) দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হাবরার (Habra) জয়গাছি ৩১ নম্বর রেলগেট এলাকায়।

জানা যায়, আক্রান্ত ওই বৃদ্ধার নাম রেণু পাল। তাঁর চার সন্তান, সম্পত্তি নিয়ে ৪ ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ ছিল। অশান্তি, বচসা লেগেই থাকত। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ সেই অশান্তি চরেম ওঠে। ৮০ বছরের বৃদ্ধা ছোট ছেলের হয়ে কথা বলতে গেলেই সেজো বৌমা প্রথমে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। বৃদ্ধার ছোট ছেলে বাঁচাতে এলে তাঁকেও লাঠি দিয়ে নাক ও মাথায় আঘাত করে বৃদ্ধার সেজো ছেলে এবং স্ত্রী। বৃদ্ধাকে ঠেলে মাটিতে ফেলে দেওয়ার সেই দৃশ্য ধরা পড়ে স্থানীয় এক যুবকের মোবাইল ক্যামেরায়।

মারধরের ঘটনার পরে সেজো ছেলে সোনা পাল ও তাঁর স্ত্রী মিঠু পালের বিরুদ্ধে হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধা। পাশাপশি বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে অভিযুক্ত সেজো ছেলের স্ত্রী মিঠু পাল জানিয়েছেন, "সব সময় আমাকে গালাগালি করেন। তাই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছি।" এমনকি তাঁরাও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় অভিযোগ করতে এসে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বৃদ্ধা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বৃদ্ধা জানান, "প্রায়ই আমাকে মারধর করে। আজ বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করতে এলাম।" 

2 years ago


Asset: মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলা কি গ্রহণযোগ্য? জানতে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি (CM Mamata) মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য কিনা, সবপক্ষ থেকে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বাদী-বিবাদী সবপক্ষকে আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা (Affidavit) আকারে জমা দিতে হবে। এমনটাই এদিন নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনের শুনানি প্রসঙ্গে মামলাকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, '২০১১-র পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চিটফান্ড-কাণ্ডের পর ২০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি কিনেছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার। এই অভিযোগ সংক্রান্ত নথি আমরা জমা দিয়েছি। আমরা কোর্টকে জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনে দাখিল হলফনামায় উল্লেখ সম্পত্তির সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।' 

তিনি জানান, সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর এই মামলার অন্যতম পক্ষ। প্রত্যেকেই হলফনামা জমা দেবে। সমাজসেবীর পরিবার লক্ষ-কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে। আদালত আমাদের সওয়াল শুনে জনস্বার্থ মামলাটি গ্রহণ করেছে। ২৮ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি। গ্রহণযোগ্য কিনা, সেই প্রশ্নের উপর শুনানি হলফনামা দাখিলের পর হবে।

তাঁর মন্তব্য, 'উনি আমার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উনি পরিষ্কার হয়ে আসুক। উনার উচিৎ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো থেকে নিজেকে পরিষ্কার রাখা। বলা উচিৎ ছিল আয়কর দফতর বা ইডি ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করুক।'

2 years ago
CM Asset: 'টালির চালায় থেকে এত সম্পত্তি কীভাবে', প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা। ২০১১-র পর থেকে বিপুল সম্পত্তিবৃদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সাধারণ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন বারবার। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম (পাবলিক ডমেন) যে নথি রয়েছে, সেই নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে 

২০১১-র পর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিবৃদ্ধির উৎস কী? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আদালতে দরবার করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্থান অনেকের অনুপ্রেরণা। কিন্তু বিশেষ করে ২০১৩-র পর থেকে তাঁর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধির রকেট গতি দেখা গিয়েছে। আর সেই বছরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, চিটফান্ডের সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকোনো রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ নিজেকে সমাজসেবী বলে দাবি করেন।

আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, 'আমার মামলায় দুটি আবেদন করা হয়েছে। প্রথমে যারা সমাজকর্মী বলে দাবি করেন তাঁদের এহেন সম্পত্তিবৃদ্ধি কারণ কী? আয়কর দফতর বিষয়টার তদন্ত করুক, আর দুই ইডি-কে দিয়ে এই বিপুল তহবিলের উৎস সন্ধান করা হোক।' টালির চালায় যারা থাকে, তাঁদের কাছে এত সম্পত্তি আসল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই মামলা। আগামি ৬ তারিখ পরবর্তী শুনানি। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান তরুণজ্যোতিবাবু।  

ঠিক কী বলেছেন এই আইনজীবী? 

যদিও এই মামলা প্রসঙ্গে এদিন মেয়ো রোডের সভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। তিনি বলেন, 'আমার সম্পত্তি নিয়ে মামলা এখানে কেন আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে তো বিজেপি যা শিখিয়ে দেবে তাই বলবে।'

শুনুন সেই বক্তব্য: 

2 years ago
Asset: এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে মামলা হাইকোর্টে, তালিকাভুক্ত সুজন-রূপাও

বাংলার শাসক-বিরোধী নেতাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset Case) নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের (Union Minister) এবং রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতার সম্পত্তি খতিয়ান চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা (PIL)। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার প্রধান বিচারপতির কাছে এই মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলে, কোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।

নতুন এই মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজনাথ সিংয়ের নাম রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে বিরোধী দলের দুই পরিচিত মুখ সুজন চক্রবর্তী এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও যুক্ত হয়েছে মামলায়। আদালতের কাছে আইনজীবীর আবেদন, 'ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে এই নেতারা তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান দিক। সেই খতিয়ান তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। গরমিল পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক।'

সম্প্রতি তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশের বিরোধিতায় আবার পাল্টা আবেদন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেই আবেদনের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর ১৭ জনের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। এই মামলায় তালিকাভুক্ত হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তন্ময় ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিমের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নামে মামলার দিকে তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।

2 years ago


Court: ১৭ বিরোধী নেতানেত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে মামলা, সোমবার পর্যন্ত পিছলো শুনানি

১৭ বিরোধী নেতার (Opposition Leader) সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে করা মামলার (PIL) শুনানি পিছলো। আগামি ২৯ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার শুনানিতে মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্য জানান। আগেও তাঁরা সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও জানাবেন। তবে বিজেপির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) সময় চাওয়া হয়েছে। সবপক্ষকে মামলার নথি দেওয়ার নির্দেশ আবেদনকারী সুজিত গুপ্তকে দিয়েছে আদালত।

ইতিমধ্যে তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে চলছে। সেই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে পাল্টা হলফনামা দিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। এই আবহে বিরোধী ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।

এই তালিকায় নাম আছে সিপিএম-র মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ তাঁর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর নামও আছে তালিকায়।  

2 years ago
Asset: বিরোধী দলের নেতাদের নামে কোর্টে মামলা, তরজায় জড়ালেন সুকান্ত, অধীর, কুণাল

তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset Case) নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারাধীন জনস্বার্থ মামলা (PIL)। পাশাপাশি বিরোধী দলের ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও বৃহস্পতিবার পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টেই। এবার শাসক-বিরোধী দলের নেতাদের নামে চলা এই জোড়া মামলা ঘিরে তুঙ্গে চাপানউতোর। বিরোধী দলের যে ১৭ নেতানেত্রীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে, সেই তালিকায় নাম আছে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, সৌমিত্র খাঁ প্রমুখদের। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা ইডি, সিবিআই যে কোনও ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তৃণমূল নেতারা ইডির বিরোধিতা করে কোর্টে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের কেউ বিরোধিতা করতে কোর্টে যাবে না।'

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা কষ্ট করে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। এদিকে তৃণমূল নেতারা যা সম্পত্তি বানিয়েছে, তাঁদের কাছে আমরা অনেকটাই ক্ষুদ্র। পাল্টা দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় নাম আছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের। সেই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমরা চাই সবার তদন্ত হোক। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তিরও তদন্ত হোক। আমি শুধু জানতে চাই বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেতন না নিয়ে দিদির চলে কীভাবে?'

তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল নেতাদের নামে মামলা হলে সব ঠিক আছে। আর বিজেপি কারও নামে মামলা হলে সেটা প্রতিহিংসা। ২০১৬ সালে তো বিজেপিই পার্টি অফিসে টিভি চালিয়ে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ছবি দেখিয়েছিল। এবং স্লোগান তুলেছিল সিবিআই চাই। শুভেন্দু তো এখন তাঁদের সঙ্গেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।'

ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদারম, অধীর চৌধুরী এবং কুণাল ঘোষ?

2 years ago


Reaction: 'সম্পত্তিবৃদ্ধিতে নাম বাম-কংগ্রেস নেতাদেরও', দাবি ব্রাত্যর, মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ সেলিমের

নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় বিরোধীদের তরফে কাঠগড়ায় তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রী (TMC Leaders)। এবার সেই আক্রমণ ভোঁতা করতে পাল্টা আসরে রাজ্যের শাসক দল। এই জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট (Pil in High court) রায়ের অর্ধেক অংশ তুলে ধরা হচ্ছে প্রচার মাধ্যমে। পুরো কোর্ট অর্ডারে উল্লেখ আছে, বাম-কংগ্রেস (Left-Congress) নেতাদের নামও। যাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও পর্যবেক্ষণ রয়েছে হাইকোর্টের। আর সেই তালিকায় নাম আছে সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য এবং অধীর চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের নেতারা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

যদিও তৃণমূলের তরফে তোলা এই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা পার্টিকে বেতনের টাকা দিই, তার বিনিময়ে পার্টি আমাদের একটা লেভি দেয়। আমাদের ব্যক্তিগত কোনও রোজগার নেই। আর ওরা একটা সিআইডি তদন্ত করুক, তাতেই বেড়িয়ে যাবে আমার কত সম্পত্তি বেড়েছে। ব্রাত্য বসু একদম নতুন ওর অনেক আয়ের উৎস।'

তিনি জানান, তৃণমূল মানে সবাই চোর। পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোর। বাম জমানার অপর এক মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, 'কোর্ট কি এই নামগুলো বলেছে? তাহলে চোরেদের পার্টি কী অভিযোগ করল, তার জবাব কেন দেব? সিপিএম পার্টি সেই ধাতুতে গড়া নয়।'

তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আরও আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে আরও যা নাম আছে কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধান আরও যারা নেতা আছে ওদের তাঁদের নাম দেব। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম ব্রাত্য বসুকে। সূর্যকান্ত মিশ্র, জ্যোতি বসু এঁদের নাম নিচ্ছেন, ওরা কোর্টে গিয়ে হলফনামা দিয়ে সিপিএম নেতাদের সম্পত্তি খুঁজতে ইডিকে পার্টি করুন। সাহস আছে, ইডিকে পার্টি করার? কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। রায়ে ওদের ১৯ জনের নাম আছে, রায় আর পিটিশনের তফাৎ বুঝতে হবে।'

যদিও এই বিষয় বিচারাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিজেপি।

2 years ago
TMC: 'তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর, এই প্রচার অপমানজনক', সরব ফিরহাদ, ব্রাত্য, মলয়রা

পাঁচ বছরে নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাপক সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset) কীভাবে? এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে (ED) যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই নেতা-মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে শুধু তৃণমূলের (TMC) ১৯ জনের। এই প্রচার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক-সহ ওই ১৯ জন। এবার বিরোধীদের আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে শাসক শিবির। বুধবার বিধানসভায় একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের একটা অংশ তুলে ধরা হচ্ছে। বাকিটা সামনে আসছে না। বুধবার মহামান্য প্রধান বিচারপতির সেই রায়ের কপি আপলোড করেছে। সেই কপি দেখেই এই সাংবাদিক বৈঠক। তাঁদের দাবি, 'সম্পত্তিবৃদ্ধির নিরিখে শুধু শাসক দল নয়, বাম, কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে আদালতের কপিতে।'  

এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'চক্রান্ত করে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করছি, সেই টাকা দিয়ে মানুষের কাজ করেছি এবং তার থেকেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি করেছি। অনেকে রোজগারের টাকায় করে, আমি ব্যবসা করে করেছি। এতে অন্যায়ের কী আছে? মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে।'

তিনি জানান, একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি নাকি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? তাহলে তো আয়কর দফতর ধরতে পারতো। অদ্ভুত লাগে এই মামলায় কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অর্ধসত্য প্রকাশিত হচ্ছে।

সূর্যকান্তবাবুকে বলছি। জ্যোতি বসু আসার আগে চন্দন বসুর নাম শুনিনি। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অমিত শাহর ছেলে জয় সাহা আছেন।

ব্যবসা করছেন, সম্পত্তি বেড়েছে। আমি সুজনবাবুকে বলি, সিপিএম-এর ছেলেদের জিজ্ঞাসা করুন চেতলায় আমার নামে কোনও অভিযোগ আছে কি না? শুধু তৃণমূলের নেতাদের নাম নেবেন। আর কারও নাম নেবেন না, সেটা ঠিক নয়।

এই জনস্বার্থ মামলায় সম্পত্তিবৃদ্ধির তালিকায় নাম এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। এদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোর্ট পর্যবেক্ষণের একটা অংশ তোলা হচ্ছে। পুরো কোর্টের রায় আমরা তুলে ধরছি। নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে যে মামলা, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য,

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, তরুণকান্তি ঘোষ,

চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতদের।  সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল প্রত্যেকের নাম আছে। কিন্তু সিপিএম, কংগ্রেস টানা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে যাচ্ছে। এটা ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতিবিদ মানে সমাজের কাছে ভিলেন, মানুষের শত্রু, এমন উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে। এর শেষ কোথায়?' 

ব্রাত্য বসু জানান, আমরা দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবো। ২০১৬ সালে বিরোধীদের এমন কোনও প্রার্থী নেই, যিনি ২০২১-এ জিতেছেন। এঁরা যদি আবার ২০২৬-এ লড়েন, সে সময় তাঁদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হোক। আমরা নজর রাখবো। 

রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'এই মামলাতে আয়কর দফতরের একটা ফাঁক আছে। আমাদের এখন যা সম্পত্তি আছে, তার মূল্য দিনের পর দিন বাড়বে।

রাষ্ট্রপতি হোক বা কেন্দ্রীয় সংস্থা, প্রত্যেককে বিজেপি ব্যবহার করছে।

এখানেই থামেননি তৃণমূল ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এসব নিয়ে কুৎসা করব না, আবার গান্ধীগিরিও করব না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।


2 years ago