
সোমবার উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যের ১১৯টি আসনে চলছে ভোট গ্রহণ। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের ৫৯টি আসনে সকাল থেকে শুরু ভোটগ্রহণ। জানা গিয়েছে সেভেন সিস্টার্সের আওতাভুক্ত এই দুই রাজ্য মিলিয়ে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫২ জন। ভোটগ্রহণ শুরু বিকেল ৪টে পর্যন্ত এবং ভোটগণনা হবে ২ মার্চ। সকাল ৯টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ভোট গ্রহণ প্রায় ১১ শতাংশ আর নাগাল্যান্ডে ভোট গ্রহণ প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ।
মেঘালয়ে গত পাঁচ বছর ন্যাশানাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি এবং বিজেপির জোট সরকার চলেছে। কিন্তু এবার ভোটে পৃথক ভাবে লড়ছে দুই দল। এদিকে ত্রিপুরার পর প্রথমবার মেঘালয়ের ভোটে অংশ নিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে জোট করে লড়ছে বিজেপি। এনডিপিপি-র সঙ্গে জোট করে লড়ছে পদ্মশিবির।
এদিকে, সোমবার ভোট শুরু হওয়ার পরেই ‘কংগ্রেসকে সুযোগ দিন’ বলে দুই রাজ্যের ভোটারদের কাছে আর্জি করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি দলে দলে এসে ভোট দিতে, মেঘালয়-নাগাল্যান্ডের নতুন ভোটারদের টুইটবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে নাগাল্যান্ডের ভোট হিংসা এড়াতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে চলা গুলিতে আহত এক এনপিপি সমর্থক।
অভিযোগ, বুথের ভিতরেই এনপিপি সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক এনপিএফ সমর্থক। ওই বুথে ভোটগ্রহণ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকলেও আবারও শুরু ভোটগ্রহণ। এখন সেভেন সিস্টার্সের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে ২ মার্চ ফল ঘোষণা। মানুষের রায় কোনদিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
ববছরের প্রথম ভোট উৎসবে কড়া নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট গ্রহণ (Tripura Poll)। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় (Assembly Election 2023) বিকেল ৪টে পর্যন্ত পর্যন্ত ভোট পড়ে ৮১%-র কিছু বেশি। জানা গিয়েছে, ভোট উৎসবের শরিক হতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের (Voters) ভিড় চোখে পড়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ পর্ব বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরেও একাধিক বুথের বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। এই ভোটদানের শতাংশ জুড়লে আরও বাড়বে ভোট গ্রহণের শতাংশ।
এদিকে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে রাজ্যের সবকটি বুথ। এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও ভোট দেন। টাউন বরদোয়ালি আসনের এই বিজেপি প্রার্থী ভোট দিয়ে বেড়িয়ে জানান, '২০১৮ সালের আগে এখানে কখনও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি। সায়েন্টিফিক রিগিংয়ের নাম শুনতাম। সেই দু'জন (পড়ুন বাম-কংগ্রেস) আবার হাত মিলিয়েছে। এবার কোথাও কোনও বোমাবাজি হচ্ছে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা অশান্তি, বোমাবাজির শিক্ষা পায়নি।'
নাম না করে বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষের সুরে বিধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মানুষ সাড়া দিয়েছে। রেজাল্টের দিন সেই সাড়া কেমন বুঝতে পারবেন। আমাদের এবারের চ্যালেঞ্জ অশুভ জোটকে প্রতিরোধ করা।' তিনি জানান, 'বিরোধীরা অশান্তি তৈরি চেষ্টা করছে। ওদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে সবাই জানে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে। ত্রিপুরায় উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়বোই। আগেরবারের চেয়ে আসন সংখ্যা বিজেপির আরও বাড়বে।'
পাশাপাশি আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। এদিন ভোট দিয়ে বেড়িয়ে কংগ্রেস প্রার্থী জানান, 'দু'দিন ধরে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এদিন ভোর থেকেই মানুষের লাইন ভোট কেন্দ্রের বাইরে দেখা গিয়েছে। যা আশাব্যাঞ্জক, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে এই উৎসাহ।'
অপরদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা ইভিএম ত্রুটির খবর আসেনি। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন বহিরাগত প্রবেশ রুখতে সীমান্ত এলাকাগুলি ঘিরে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ভোট মূলত ত্রিমুখী লড়াই। ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৫৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জোটসঙ্গী আইপিএফটি বাকি আসনে লড়ছে। বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী দিয়েছে ৪৭টি এবং ১৩টি আসনে। পাশাপাশি ত্রিপুরায় ভাগ্য পরীক্ষা করতে নামা তৃণমূল ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এমনকি এই ভোটে সম্ভাব্য 'কিং মেকার' হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে তিপ্রা মোথা দলকে। তারা প্রার্থী দিয়েছে ৪২ আসনে।
উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে বিধানসভা (Assembly Vote) ভোট ছাড়াও দেশের একাধিক রাজ্যে লোকসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচন (Assembly ByPoll)। সেই নির্ঘণ্ট বুধবার ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপের একটি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। একইভাবে অরুণাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গের একটি করে এবং মহারাষ্ট্রের দুটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অতএব একটি লোকসভা আসন এবং ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সব আসনে ভোট হবে। যদিও ভোট গণনা ২ মার্চ।
এই আসনগুলির মধ্যে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ (এসটি) লোকসভা আসন। বিধানসভা আসনগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের লুমলা, ঝাড়খণ্ডের রামগড়, তামিলনাড়ুর ইরোড (পূর্ব), পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি, মহারাষ্ট্রের কসবা পেঠ এবং চিঞ্চওয়াড়।
সাগরদিঘি আসনের বিধায়ক সুব্রত সাহারত প্রয়াণে এই শূন্য বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। তবে জাতীয় রাজনীতির চোখ অবশ্যই থাকবে উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের দিকে।
প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরায় যত বাঙালি থাকে এখন তাদের মধ্যে ৯০% ওপার বাংলার, মূলত কুমিল্লার। একটা সময়ে কুমিল্লার মধ্যেই ত্রিপুরার অবস্থান ছিল অথবা ত্রিপুরা কুমিল্লার সমগোত্রীয় ছিল। এবারে প্রশ্ন থাকছে ত্রিপুরায় মুসলিম ভোটাররা এল কোথা থেকে, যাদের একটা সামান্য ভোট শতাংশ আছে। এটা বিভিন্ন মত আছে, কেউ বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওদেশ থেকে মুজিব-বিরোধী একটি সংখ্যা ত্রিপুরায় আসে। আবার অনেকেই বলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকে বাণিজ্য করতে ওই রাজ্যে গিয়ে থেকেছে। এটাও সত্যি ত্রিপুরার আদিবাসীদের মধ্যেও অনেক মুসলিম ভোটারও আছে। তবে এদের ভোটের উপর ভরসা করে কোনও দলই ভোটের হাওয়া ধরে না, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই মুসলিম ভোটাররাই আবার রাজনৈতিক দলের ভরসা।
আদিবাসী ত্রিপুরীদের বাঙালিদের উপর চিরকাল একটা বিদ্বেষ আছে। ফলে উপজাতি নেতা বিভিন্ন দলে রাখতেই হচ্ছে। উপজাতি ভোটের সহযোগিতা না পেলে ত্রিপুরা দখল কঠিন। এটা মানেন ডান, বাম সবপক্ষ। বাম বা সিপিএম আমলে এদেরকে অনেকটাই বশে আনতে পেরেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। পরে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরও বামেরা কিন্তু আদিবাসী ভোট পেয়েছিল। কিন্তু মূল ভোট টেনে নিয়ে যায় বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি। এবার ভোটে ওই আইপিএফটি ভোটে থাবা বসাবে নতুন দল টিপরা মোথা। এই উপজাতিরা, শেষ খবর অবধি যা জানা যাচ্ছে যে, তারা ত্রিপুরার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে। যে ভাবে উত্তরবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে নেপালি বা গোর্খা ভোট। বর্তমান বিজেপি সরকারে এই উপজাতির পক্ষে মন্ত্রী রয়েছে। তাই এঁদের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে রাজ্য বিজেপি।
অন্যদিকে কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মন ত্রিপুরী উপজাতির সঙ্গে অনেকটা সম্পৃক্ত। তিনি তাঁদের ভাষা অনর্গল বলতে পারেন। সুদীপ বিজেপিতে যাওয়ায় গেরুয়া শিবিরের গত নির্বাচনে ভোট বেড়েছিল। এবার সুদীপ কংগ্রেসের মুখ ফলে এই দিকটা রাজ্য বিজেপির একটা চিন্তা। (পরের পর্ব)
প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট (Tripura Vote) আসন্ন কিন্তু ঠিক কবে ঘোষণা হয়নি। একবার শোন যাচ্ছিলো যে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে। কিন্তু সে রাজ্যেও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মতোই। তবে কি এপ্রিল বা মে নাগাদ? নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) সেই সূচি ঘোষণা করবেন।
আগের পর্বে জানিয়েছিলাম সিপিএম বা তৃণমূলের প্রাথমিক অবস্থান। আজ জানাবো বিজেপি এবং কংগ্রেস কে কোথায় দাঁড়িয়ে। কয়েক মাস আগে অবধি কংগ্রেসের অবস্থান অত্যন্ত করুণ ছিল উত্তর-পূর্বের সে রাজ্যে। একটা সময়ে ত্রিপুরায় দুটি দলই ছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু ২০১৮ র নির্বাচনে কংগ্রেসের সব ভোট গিয়ে পড়ে বিজেপির বাক্সে। পক্ষান্তরে কংগ্রেস শূন্য হয়ে যায়। পরে কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি ফের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ফের ভোট দাঁড়িয়ে জিতেও আসেন। কার্যত সুদীপবাবু মানেই কংগ্রেসের সংগঠন প্রমাণিত। কিন্তু একা সুদীপবাবু কি লড়াই দিতে পারবেন বিজেপির সঙ্গে? ভোটের পূর্বাভাস কিন্তু তা বলছে না।
অন্যদিকে বর্তমানে সরকারে থাকা বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি এবারও কি বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে? জানা যাচ্ছে জনজাতি গোষ্ঠীর এই দলটির ক্ষমতা ত্রিপুরার বিশেষ কিছু অঞ্চলে যেখানে ত্রিপুরীদের বসবাস। আবার ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোতকিশোর ,এই রাজ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। একসময় ত্রিপুরার মহারাজদের সহযোগিতায় কংগ্রেস বারবার ক্ষমতা পেয়েছিল। এখন সেই বংশের অন্যতম প্রদ্যোৎকিশোর নতুন দল গড়েছেন জনজাতিদের নিয়ে 'ত্রিপুরা মোথা'। শোনা যাচ্ছে এরাও এবারের ভোট অংশ নেবে।
তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে অনেক দল আলাদা আলাদা করে দাঁড়াচ্ছে? বামেরা, কংগ্রেস, তৃণমূল ,ত্রিপুরা মোথা ইত্যাদি। এটা বাস্তব যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কাজে অখুশি ছিল ত্রিপুরার মানুষ। বিপ্লব মূলত দিল্লি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দ্রুত বিপ্লবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে নিয়ে আসা হয় প্রাক্তন কংগ্রেসী মানিক সাহাকে।
মানিকবাবুর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে কাজেই ফের তিনিই দলের মুখ। পঞ্চমুখী লড়াইতে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। (চলবে)
আসন্ন গুজরাত বিধানসভা (Gujrat Vote) ভোটে বড়সড় চমক বিজেপির। ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার (Ravindra Jadeja) স্ত্রী রিভাবাকে প্রার্থী করল পদ্মশিবির। বৃহস্পতিবার বিজেপি (Gujrat BJP) গুজরাতের ১৮২টি আসনের মধ্যে প্রায় ৯০% আসন অর্থাৎ ১৬০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জামনগর উত্তর আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে রিভাবাকে।
২০১৯-র ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রিভাবা। সে সময় তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত শিকে ছেড়েনি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য তিন বছর আগে লোকসভা ভোটের আগেই রবীন্দ্রের বাবা অনিরুদ্ধসিন ও বোন নৈনবা কংগ্রেসে যোগ দেন। সে সময় তাঁদের কংগ্রেসে এনেছিলেন পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল। ঘটনাচক্রে হার্দিক এখন বিজেপিতে। তাঁকেও আমদাবাদের বিরামগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির।
আমদাবাদেরই ঘাটলোদিয়া আসনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ২০১৭ সালেও তিনি ওই আসন থেকেই জিতেছিলেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা রুখতে বিজেপি এবার গুজরাতে তাঁদের বিদায়ী ৩৮ জন বিধায়ককে টিকিট দেয়নি। অপরদিকে বুধবার গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তাঁরা আগেভাগেই নিশ্চিত হয়েছিলেন, এবার টিকিট পাবেন না, তাই এই ঘোষণা।
দীপাবলির (Diwali 2022) পরে বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। হিমালয়ের কোলের ছোট এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ (Assembly Poll) ১২ নভেম্বর, গণনা ৮ ডিসেম্বর। এমনটাই জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে আশা জাগিয়েও গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এদিন প্রকাশ করেনি কমিশন। খুব শীঘ্র সেই ঘোষণা হবে। এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, হিমাচলে ১৭ অক্টোবর নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি, সেদিন থেকে শুরু মনোনয়ন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৯ অক্টোবর মনোনয়ন পরীক্ষা।
৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় ভোটগ্রহণ এক দফায়। মূল লড়াই কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে। এই মুহূর্তে হিমালয়ের ছোট এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। কংগ্রেসও কোমর বেঁধেছে জনগণের রায় তাদের পক্ষে আনতে। পৃথকভাবে লড়তে পারে আম আদমি পার্টি, বিএসপির মতো দলগুলো। জানা গিয়েছে, পুরোদমে শীত পড়ার আগে সে রাজ্যে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে কমিশন। হিমাচলের ইতিহাসে প্রতি ভোটেই নিয়ম করে পালাবদল হয়ে থাকে। এই ভোটেও সেই প্রথা বজায় থাকে কিনা সবার চোখ সে দিকে।
এদিকে, শুধু হিমাচল প্রদেশ নয়, এ বছর ভোটমুখী অন্যতম রাজ্য গুজরাত। দীর্ঘ প্রায় দু'দশক পশ্চিমের এই রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি। মোদী-শাহর রাজ্য তাই আগামী দিনেও ধরে রাখার তাগিদ গেরুয়া কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। পাশাপাশি গুজরাতে বিরোধী শিবির দখল করতে চাইছে আম আদমি পার্টি। সে রাজ্যে ইতিমধ্যে যাতায়াত শুরু করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখন দেখার জাতীয় রাজনীতিতে বহুচর্চিত এই রাজ্যের রায় কোন দিকে যায়।