এতদিন আপনাদের ইচ্ছা হলেই দোকানে গিয়ে নতুন সিম কার্ড (Sim Card) কিনে এনে তা ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু এখন থেকে তা আর করা যাবে না। কারণ সম্প্রতি সিম কার্ডের বিক্রি নিয়ে এক বড়সড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সিম বিক্রির জন্য সিম ডিলারদের পুলিস ভেরিফিকেশন করা বাধ্যতামূলক। আর তা না মানলেই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন, এখন থেকে সিম কার্ড বিক্রি করার জন্য সিম ডিলারদের পুলিসি ভেরিফিকেশন ও বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশনও বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। আর এই নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়াও যাঁরা সিম কিনছেন ও যাঁরা সিম বিক্রি করছেন তাঁদের কেওয়াইসি করাতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সিমকার্ড ব্যবসা নিয়ে খুব শীঘ্রই আইন আনা হবে।
বর্তমানে ডিজিলাইজেশনের যুগে সাইবার ক্রাইম এখন সচরাচর দেখা যাচ্ছে। চারিদিকে খবর পাওয়া যায়, প্রতারকরা তাদের নিত্য নতুন কৌশলের সাহায্যে মানুষকে ফাঁদে ফেলে তাঁদের তথ্য এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই এবার সাইবার ক্রাইম কে দমন করতে সরকারের এই নতুন পরিকল্পনা। কেন্দ্রের মতে, এমনটা করলেই ভুয়ো সিম কার্ড বিক্রি এবং একই নামে বা আইডিতে একাধিক সিম কার্ড বিক্রি বন্ধ হবে। ফলে এই অবস্থায় সিম কার্ডের বিক্রি এবং ব্যবহার নিয়ে কড়া বিধি কেন্দ্রের। এবার থেকে সিম বিক্রি করা মোটেই সহজ হবে না।
চলতি বছরের বাজেট প্রস্তাবের সময়ই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন 'পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্প'-এর (PM Vishwakarma Yojana) কথা। এরপর দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনী অনুষ্ঠানের সময় জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি জানান যে, পরেই মাস বিশ্বকর্মা জয়ন্তী ও সেই দিন থেকেই বিশ্বকর্মা প্রকল্প চালু করা হবে। আর এই ঘোষণার একদিন পরেই অর্থাৎ বুধবার এই প্রকল্প চালুর সরকারি নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার তরফে ঘোষণা করা হল এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ কারিগর পরিবার সুবিধা পাবে।
The PM in Union Cabinet meeting today approved ‘PM Vishwakarma’ scheme to support people with traditional skills. Under this scheme, loans up to Rs 1 lakh will be provided on liberal terms: Union Minister Ashwini Vaishnaw pic.twitter.com/CcDkV5slX1
— ANI (@ANI) August 16, 2023
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendr Modi) অধীনে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, এই প্রকল্পের অধীনে প্রথমে দেশের কারিগরদের কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে। প্রায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে ও দ্বিতীয় দফায় ঋণ দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সুদ দিতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ হারে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৩ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাজেটে 'বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্প'র কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের জন্য স্বর্ণকার, ধোপা, নাপিত, দক্ষতা সম্পন্ন কারিগররা একাধিক সুবিধা পাবেন। এছাড়াও আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি, কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও পণ্যের প্রচার কীভাবে হয়, তাও শেখানো হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
আজ অর্থাৎ সোমবার লোকসভায় (Loksabha) পাস হয়ে গেল 'ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল' ২০২৩ (Digital Personal Data Protection Bill)। বিলটিতে বলা হয়েছে, বিধি লঙ্ঘন করলে জরিমানার অঙ্কের কথাও। জানা গিয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য এই ডেটা সুরক্ষা বিল পাস করা হয়েছে। অর্থাৎ ডিজিটাল মাধ্যমে আরও সুরক্ষিত হবে ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য।
গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল ২০২৩ পেশ করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বিলটি পেশ করার সময়েই বিরোধীরা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তিনি তখন তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই আজ লোকসভায় পাস করা হল এই বিল। তবে এই বিল লোকসভায় পাস হয়ে গেলেও রাজ্যসভার অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। রাজ্যসভার অনুমোদন পেলেই এই বিল আইনে পরিণত হবে।
এই বিল পাস করায় এবার থেকে অফলাইন ও অনলাইন ডেটা সমস্ত কিছু আইনি ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত হবে। এমনকি ব্যক্তিগত ডেটাও। তবে সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত করার আগে ব্যক্তির থেকে অনুমতি নেওয়া হবে। জানানো হয়েছে, এই ডোমেইনে সব তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। তবে সোমবার লোকসভায় যে ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল পাস হল, সেখানে স্পষ্ট বলা রয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য বিলের লঙ্ঘন হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করা হবে।
অবশেষে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Train Accident) ৫১ ঘণ্টা পরে বালাসোরের (Balasore) রেলপথে ফের চালু হল ট্রেন। দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টার টানা চেষ্টায় মিলল সাফল্য। ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা। রবিবার রাতে শুরু হল ট্রেন পরিষেবা। পরপর দু’টি মালগাড়ি এবং আপ লাইনে একটি ট্রেন চালানো হয়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করলেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। ট্রেন চালুর পর আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি। মৃত ও আহতদের নিয়ে কথা বলার সময় কার্যত কেঁদে ফেললেন রেলমন্ত্রী। হাত জোড় করে ভগবানকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। বিপর্যয়ের পর থেকে দুর্ঘটনাস্থলেই রয়েছেন তিনি।
প্রত্যেকের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। তারমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে স্বাভাবিক হল রেল পরিষেবা। দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রেন পরিষেবা ফের স্বাভাবিক ছন্দে আনার নিরলস চেষ্টা করে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রবিবার রাতে ওই রেলপথ দিয়ে ডাউন লাইনে প্রথম ট্রেনের ট্রায়াল রান শুরু করে রেল। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। এর পর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২টা ৫ মিনিটে। আজ, সোমবার সকালেও বালাসোরের সেই রুট দিয়েই এগোল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
ট্রেন চালুর পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার সকাল থেকে তিনি রয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলেই। রেলমন্ত্রী বলেন, 'দুটি ট্র্যাক পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ৫১ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ট্র্যাক লাইনটি এখন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত।'
অশ্বিনী বৈষ্ণব কর্মরত কর্মকর্তা এবং শত শত কর্মীদের উপস্থিতিতে বালেশ্বর রেললাইনে ট্রেন চলাচলের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। পুনরুদ্ধার করা ট্র্যাক ধরে ট্রেনটি চলার সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদের ও তাঁকে হাত জোড় করে প্রার্থনা করতেও দেখা গিয়েছে। টুইটারে রেলমন্ত্রী বলেন, 'ডাউন-লাইন পুনরুদ্ধার সম্পন্ন হয়েছে। সেকশনে প্রথম ট্রেন চলাচল।'