
ফের খড়িবাড়িতে বিপুল পরিমাণে ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার দুই যুবক। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দুই যুবকের নাম বিষ্ণু বর্মন (২২) ও দেবব্রত বর্মন (১৮)। দুজনেই পানিট্যাঙ্কির উওর রামধন জোতের বাসিন্দা। রবিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কি সংলগ্ন দুধগেট এলাকায় খড়িবাড়ি থানার পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিস ও এসওজি যৌথভাবে অভিযান চালায়। এরপর অভিযানে নেমে সন্দেহজনক একটি স্কুটিকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে ২৬৩ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে পুলিস। উদ্ধার করা মাদকের বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিসের অনুমান, আটক করা স্কুটিতে থাকা ওই দুই যুবক পানিট্যাঙ্কি থেকে বাতাসির দিকে মাদক বিক্রি করতে যাচ্ছিল। পরে আটক ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কার কাছ থেকে, কি কারণে মাদকগুলি আনা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতী। সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে কল্যাণী থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার, ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও ধৃত ওই তিনজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে কল্যাণী থানার পুলিস। এরপর ওই তিন অভিযুক্তকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আটক করে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএসপি জাবেদ হোসেন জানান, ধৃতদের বাড়ি রানাঘাট এলাকায়। ওই তিন অভিযুক্তের কথাবার্তা শুনে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিসের জেরায় তাদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পুজোর আগে থেকে লাগাতার অস্ত্র উদ্ধার হয়ে চলেছে বিধানচন্দ্র রায়ে শহর কল্যাণী থেকে। তবু এখনও পর্যন্ত অপরাধমূলক কাজ খামতি নেই কল্যাণী নগরে।
চাল পড়া খাওয়ানোর ভয় দেখিয়ে শিশু হত্যার কিনারা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হাবড়ার বয়রাগাছি এলাকায়। অভিযোগ, শিশুটিকে তার বৌদি দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। তার জেরে মৃত্যু হয় ওই শিশুটির।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশু মেয়েটির নাম সুমি সিং (৩)। জন্মের পরেই তার মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সে তার পিসি ও পিসেমশাইয়ের বাড়িতে থাকত। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে বাড়িতে চা বিস্কুট খাইয়ে তার পিসির ছেলে রঞ্জিত সর্দার ও পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজে চলে যান। সেই সময় বাড়িতে শুধু রঞ্জিত সর্দারের স্ত্রী সাথী সর্দার ছিল। এরপর সে মাঠে গিয়ে সবাইকে জানায় সুমি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর এলাকারবাসীরা সুমিকে দ্রুত হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর শুক্রবার বিকেলে শিশুটির সঙ্গে থাকা তার বৌদি সাথী সর্দারকে পরিবারের সদস্যরা সন্দেহবশত কারণে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন এলাকার এক ব্যক্তি কুসংস্কারের খাতিরে কিছু চাল পড়া নিয়ে এসে বলে যে ওই শিশুটির ক্ষতি যে করেছে সে এই চাল খেলে রক্ত বমি উঠে মারা যাবে। তখন সাথী সেই চাল খেতে অস্বীকার করে এবং জানায় সে নিজে হাতে শিশুটিকে দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছেন। কারণ জানতে চাইলে সে জানান, শ্বশুরবাড়িতে তার থেকে বেশি ভালোবাসা ননদ (মানে ওই বছর তিনের শিশুটিকে) দেওয়া হচ্ছে। তাই সে এমন কাজ করেছেন।
এরপর অভিযুক্ত সাথী সর্দারের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামী সহ এলাকার বাসিন্দারা কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। ডিজি রেঙ্ক-এর অফিসারদের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের নিচু তলার অফিসারদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এই প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম, রাহিস। তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ, শনিবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের নজরে আসে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যের নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁর নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। যারা এই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করছেন তাঁদেরকে মেসেঞ্জারে এসএমএস করা হচ্ছে যে, তিনি একটি মিটিংয়ে রয়েছেন ফোন করতে পারছেন না। সমস্যার মধ্যে পড়েছেন, তাঁর টাকার প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। এই বিষয়টি নজরে আসতেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস ২৮ অগাস্ট একটি সুয়ো মোটো কেস করেন। তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই চক্রটি রাজস্থান থেকে চালানো হচ্ছে। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের একটি টিম রাজস্থান গিয়ে অভিযুক্ত যুবক রাহিসকে গ্রেফতার করে। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে শুধু এই রাজ্যে নয়, বিভিন্ন রাজ্যের ডিজি র্যাঙ্কের অফিসারদের ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হত। যারা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতো তাদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেওয়া হত। এইভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এই যুবক প্রতারণা করেছে। পুলিস মনে করছে এই চক্রের সঙ্গে একটি বড় গ্যাং রয়েছে। সেই বিষয়ে জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিধান নগর মহাকুমা আদালতে তুলে আজ তাকে পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিস।
আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ১৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। মূল অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও ৪ জনকে গ্রেফতার এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিস। মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। চার ধৃতদের নাম আলি আকবর মণ্ডল, কাজি আনোয়ার হোসেন, শামসুদ্দিন মণ্ডল ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। প্রত্যেকেরই বাড়ি আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাডাঙা এলাকায়। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠায় আমডাঙা থানার পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে অভিযুক্তরা। বোমার আঘাতে রূপচাঁদের ডান হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওইদিন রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনোয়ার হোসেন নামে একজন। তার বেশ কয়েকদিন পর গ্রেফতার করা হয় আরেক অভিযুক্তকে। তবে অধরা ছিল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন।
অবশেষে গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ ৪ জনকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি আকবর মণ্ডলই নাকি বোমা ছুঁড়েছিল রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
৩০৭ গ্রাম হেরোইন সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ফরাক্কা থানার পুলিস। শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছ থেকে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুভাষ মন্ডল (৪০) ও সঞ্জিৎ মন্ডল (৩৫)। দুজনের বাড়ি মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার চড়সুজা পুর। শনিবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে দশ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়ে জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। দুজনের ব্যাগ তল্লাশি করে ৩০৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে দুই জন অভিযুক্তকে হেরোইন সহ গ্রেফতার করে ফরাক্কা থানার পুলিস। পুলিসের অনুমান, মুর্শিদাবাদ থেকে মাদকগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়।
তবে কোথা থেকে, কী উদ্দেশ্যে ওই দুই ব্যক্তি ফরাক্কায় হেরোইন নিয়ে এসেছিল তার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানার পুলিস।
বাবাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছেলের। অভিযোগ, খুন করে নিজেই ফোন করে সে কথা জানায় তার শ্বশুর বাড়িতে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ছেলে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম বাসুদেব পাত্র। অভিযুক্ত ছেলের নাম বিশ্বজিৎ পাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটির উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল পুলিস মর্গে পাঠায়। তারপর এদিন অভিযুক্তকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসুদেব পাত্র মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ও তার ছেলে দুজনেই গোয়ালার কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাসুদেব পাত্র ও তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ পাত্র বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গোয়াল ঘরে কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকাই বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ছেলে বিশ্বজিৎ। তার কিছুক্ষণ পরেই সমস্ত ঘটনার কথা নিজেই ফোন করে শ্বশুর বাড়িতে জানায় বিশ্বজিৎ। তারপর অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ এর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করা হয় বাসুদেব বাবুর ভাইকে। ঘটনার কথা জানতে পেরে বাসুদেব বাবুর ভাই ও প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন গোয়াল ঘরের পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাসুদেব বাবু। এরপর খবর দেওয়া হয় মাধবডিহি থানার পুলিসকে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ কয়েকদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। যার ফলেই সে তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়েছে বলে অনুমান। তবে আদৌ কি মানসিক ভারসাম্যহীন কারণ নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে এর পিছনে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ির অর্ড চা বাগানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নিতেন ওরাঁও ও সুমেশ সাউরিয়া। ধৃত দুজনই হল নকশালবাড়ি বেলগাছি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলার পর, ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিযেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে ফোন করে চা বাগানের নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই যুবক। তারপর যুবতীকে ধরে বেঁধে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই যুবক বলে অভিযোগ। এরপর সুযোগ বুঝে ওই যুবতী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাড়িতে। সমস্ত ঘটনা জানাতেই বুধবার রাতেই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা নকশালবাড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সেদিন রাতেই নকশালবাড়ি থানার পুলিস অভিযুক্ত ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
নেশার প্রতিবাদ করায় জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এনআরএস মেডিকেল কলেজের ঘটনা। এ ঘটনায় এখনও অবধি ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এন্টালি থানার আধিকারিকরা। এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, নেশার প্রতিবাদ করায় জনা দুয়েক জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এনআরএসে নতুন নির্মীয়মান বিল্ডিং-এর শ্রমিকরা। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছেন এন্টালি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এনআরএস হাসপাতালের নতুন নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে কিছু শ্রমিক অশালীন কাজ করছিল ও নেশা করছিল। তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ জানায় কিছু জুনিয়র চিকিৎসকরা। তখন ওই শ্রমিকরা তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপর জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তাররা এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। চিকিৎসকদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক সেনাবাহিনীর জওয়ান। অভিযুক্তের নাম রিশভ প্রধান। বাড়ি নকশালবাড়ির বাবুপাড়া এলাকায়। আজ, সোমবার ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এটিএম লুঠের অভিযোগ দায়ের করা হয় নকশালবাড়ি থানায়। ধৃতকে আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে নকশালবাড়ি বাজারে অবস্থিত এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে সাইরেন আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি থানার পুলিস। এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ওই যুবক। অনুমান মেশিন থেকে টাকা বের করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতের। ঘটনাস্থল থেকে পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। পাথর দিয়ে এটিএমের দরজায় আঘাত করা হয় বলে অনুমান। ধৃত যুবক রিশব প্রধান, গোর্খা রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত মদ্যপ অবস্থায় এই কাজ করেছেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
গতসপ্তাহে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ গোটা রাজ্যে। তৃণমূল নেতা খুনের পর তাঁর অনুগামীরা প্রতিশোধ স্পৃহায় অভিযোগ এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করে। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তের এলাকায় বাড়ি-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেসময় বিশাল পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ৩টি মামলা শুরু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন নস্করকে খুনে অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকা সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিআইএম সমর্থক পরিবারের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে তিন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে আমানুল্লাহ জামাদার, নজরুল মন্ডল ও আকবর ঢালি নামে এই তিন ব্যক্তিকে দোলুয়াখাকি গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
গত সোমবার দিওয়ালির দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। সেসময় তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালান দুষ্কৃতীরা। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও এলাকার সংগঠনের অন্যতম শক্তিশালী নেতা ছিলেন সইফুদ্দিন। তাঁর স্ত্রী এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে দুজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় একজনের। অন্য অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা খুনে সিপিআইএম প্রার্থী জড়িয়ে থাকার বিষয়টি সামনে আসতেই প্রতিহিংসায় দুষ্কৃতীরা দোলুইখাঁকি গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দলুইখাঁকি গ্রামে মূলত সিপিআইএম সমর্থকদের বাস। খুনের ঘটনায় এই নিয়ে দুজন গ্রেফতার হলেও বাড়িতে আগুন ও গ্রামে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় গতকাল অবধি দোষীদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। এবার অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৩।
পাচারের আগেই ভারত-নেপাল সীমান্তে মাদক সহ গ্রেফতার দুইজন পাচারকারী। তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার মাদক। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল মহম্মদ রহিম (২৫) ও মহম্মদ আতারুল (২৩)। দু'জনই বুড়াগঞ্জের কিলাঘাটার বাসিন্দা।
পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খড়িবাড়ি থানার অন্তর্গত পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিস ও এসওজি যৌথ অভিযানে নামে। এরপর নেপাল সীমান্ত লাগোয়া পানিট্যাঙ্কি নিউ মার্কেটে সন্দেহজনক একটি বাইককে আটক করে পুলিস। তারপর আটক করা বাইটিকে তল্লাশি চালিয়ে বাইকের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ২৫৪ গ্ৰাম ব্রাউন সুগার।
পুলিসের অনুমান, ধৃতরা পানিট্যাঙ্কিতে মাদক বিক্রি করতে এসেছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিস জালে ধরা পড়ে যায় মাদক সহ ওই দুই ধৃত। পুলিস ধৃতদের গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের তোলা হয়।
ভুয়ো পুলিস সেজে পুলিসের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস। তবে এখনও ধৃতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, নদিয়া শান্তিপুর এলাকার এক ব্যক্তি ভুয়ো পুলিস সেজে পুলিসের চাকরি দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিল।অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি পায়নি কেউ।এরপর সন্দেহবশত কারণে ওই প্রতারকের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চান প্রতারিতরা। অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতারক ওই ব্যক্তি প্রথমে হুমকি দেয়। পরে প্রতারিতদের বাড়ি রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে।
এরপর প্রতারিতরা প্রতারক ওই ভুয়ো পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শান্তিপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, এর আগেও ধৃত ওই ব্যক্তিকে পুলিসের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল শান্তিপুর পুলিস। আবারও একই ঘটনার পুুনরাবৃত্তি হওয়ায় তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিটাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি মা ও ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই দার্জিলিং জেলা পুলিশের খড়িবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিস ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর ১১ বছরের পুত্র সন্তানকে হোমে পাঠানো হয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে। ইতিমধ্যেই খড়িবাড়ি থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শায়েস্তা হানিফ (৬২) ও আরিয়ান মহম্মদ হানিফ (১১)। বৃহস্পতিবার বিদেশি আইনে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নেপালের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ান হাইওয়ে সেতু হয়ে শিলিগুড়ি বিভাগের খড়িবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিটাঙ্কিতে পৌঁছায় পাকিস্তানি মা-ছেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করে এসএসবি জওয়ানরা। এর পর তাঁদের দুজনকেই আটক করা হয়।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি মহিলা শায়েস্তা হানিফের আসল নাম গৌরী দে এবং তাঁর আদি বাড়ি অসমের শিলচরে।১৯৭৫-এর দিকে কর্মসূত্রে এই মহিলা মুম্বইতে যান। সেখানে এক পাকিস্তানি যুবক মোহম্মদ হানিফের সঙ্গে আলাপ হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিবাহে পরিণত পায় ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর মুম্বই থেকে তাঁরা পাকিস্তানের কারাচিতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর থাকার পর মোহম্মদ হানিফ কর্মসূত্রে সৌদি আরব যান এবং সেখানে স্বর্ণশিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সেখানেই তাঁরা বসবাস করছিলেন।ছেলেকে নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ভারতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল গৌরীর।
ভারতের ভিসা না পাওয়ায় শায়েস্তা হানিফ উরফে গৌরী দে তিনি নেপালের ভিসা নিয়ে নেপালে আসেন। সেখান থেকে ভারত নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় এসএসবি জাওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় মা ও ছেলেকে আটক করে এবং তল্লাশি করার পর তাঁর ব্যাগ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই পাকিস্তানি মা ও ছেলের সম্পর্ক কি সত্যিই সেই নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে।
তৃণমূল নেতা খুন এরপর আক্রোশে পাল্টা খুনে এখনও বুধবার সকাল থেকে থমথমে রয়েছে দলুয়াখাকি এলাকা। কেউ ঘর ছাড়া, কেউ আবার পুড়ে যাওয়া ভিটে আগলে পড়ে রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বামনগাছির দোলুয়াখাকি গ্রামে ঘর ছাড়া সকলে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ বারাসতের সিপিআইএমের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে আছে দলুয়াখাকি গ্রামের আক্রান্ত সিপিআইএমের ২৫ টি পরিবারের মহিলা সদস্যরা। সেই সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু বাচ্চা।
সোমবার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথেই খুন হন জয়নগরের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর। তারপর নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দলুয়াখাকি গ্রাম। সিপিএমদের অভিযোগ, একের পর এক সিপিএম সমর্থদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এবং গ্রামবাসীদের বেধড়ক মারধর পর্যন্ত করা হয়। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
অভিযোগ, ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও দলুয়াখাকি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ায়নি প্রশাসন। ঘটনার পর দলুয়াখাকি গ্রামে দেখা যায় আগুনে পুড়ে গিয়েছে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র। আর সেই পুড়ে যাওয়া ঘরে শীতের রাতে থাকতে হচ্ছে কিছু মহিলাদের। এখনো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত দলুয়াখাকি গ্রামের মানুষ। যদিও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।
যদিও গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কান্তী গাঙ্গুলী ও সুজন চক্রবর্তীরা এই ঘটনায় আক্রান্ত মহিলাদের নিয়ে গ্রামে ফেরাতে গেলে পুলিস তাঁদেরকে বাধা দেয়। পরবর্তীতে জয়নগর থানায় গিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানায়। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পোশাক ও খাবার নিয়ে গ্রামে আসছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁকেও আটকে দেয় পুলিস। গ্রামে প্রবেশ করতে না পেরে পুলিসের হাতে সেই খাবার গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তুলে দেয় নওশাদ। সেই খাবার এখনও পৌঁছায়নি গ্রামে।