সিকিমে প্রবল তুষারপাতে আটকে পড়েছিলেন হাজারের বেশি পর্যটক। পুরু বরফের স্তরে ঢেকে গিয়েছে পূর্ব সিকিমের রাস্তাঘাট। বুধবার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন কয়েক হাজার পর্যটক। দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় ভারতীয় সেনারা বুধবার রাতে ১২০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে। এরপর তাঁদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান সেনারা।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু মিলিয়ে রাতে প্রায় ১২০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের রাতে সেনা ক্যাম্পগুলিতে রাখা হয়। গরম পোশাক, চিকিৎসা সহায়তা এবং গরম খাবার দেওয়া হয় পর্যটকদের। ইতিমধ্যেই তাদের সমতলে নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে। ঘটনার খবর পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পস অক্লান্তভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই তুষারপাতের কারণে সিকিমে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। সেক্ষেত্রে তাঁদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। চলতি বছরে এই নিয়ে নয়টি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি পর্যটককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। বুধবার সকাল থেকে সিকিম সহ কালিম্পং এবং দার্জিলিঙের একাধিক জায়গায় শুরু হয় প্রবল তুষারপাত।
শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক সেনাবাহিনীর জওয়ান। অভিযুক্তের নাম রিশভ প্রধান। বাড়ি নকশালবাড়ির বাবুপাড়া এলাকায়। আজ, সোমবার ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এটিএম লুঠের অভিযোগ দায়ের করা হয় নকশালবাড়ি থানায়। ধৃতকে আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে নকশালবাড়ি বাজারে অবস্থিত এক সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে সাইরেন আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি থানার পুলিস। এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ওই যুবক। অনুমান মেশিন থেকে টাকা বের করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতের। ঘটনাস্থল থেকে পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। পাথর দিয়ে এটিএমের দরজায় আঘাত করা হয় বলে অনুমান। ধৃত যুবক রিশব প্রধান, গোর্খা রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত মদ্যপ অবস্থায় এই কাজ করেছেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
সেনাবাহিনীর বাকি মহিলা অফিসারদের মতোই অগ্নিবীর প্রকল্পে নিযুক্ত মহিলা জওয়ানরাও মাতৃত্বকালীন, সন্তান পালন এবং দত্তক নেওয়ার যাবতীয় সুবিধা পাবেন এখন থেকে। প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
কেন্দ্রের বিবৃতি অনুসারে, মহিলা সেনার পদ মর্যাদা নির্বিশেষে সকলেই একই সুবিধা পাবেন। প্রসঙ্গত, এত দিন পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদেই মহিলাদের নিয়োগ করা হত। অগ্নিবীর প্রকল্পে তার থেকে নিচু পদেও নিয়োগ করা হচ্ছে।
এখন থেকে সেনাবাহিনীতে সকল পদের মহিলারাই গোটা কর্মজীবনে সন্তান পালনের জন্য সর্বোচ্চ ৩৬০ দিনের ছুটি পাবেন। সন্তানের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই ছুটি পাবেন। যাঁদের সন্তান শারীরিক ভাবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত অক্ষম, তাঁদের জন্য নিয়মে ছাড় রয়েছে। মহিলা জওয়ানেরা ১৮০ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সারা কর্মজীবনে দু’বার সন্তান ধারণ করলে বা দু’টি সন্তানের জন্য এই ছুটি পাবেন। এক বছরের কম বয়সি শিশু দত্তক নিলে, দত্তক নেওয়ার দিন থেকে ১৮০ দিন ছুটি পাবেন সকল মহিলা জওয়ান।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সেনাবাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্স। ঘটনায় আহত চালক সহ গাড়িতে থাকা মোট ছয়জন। বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির গুড়াপ থানার অন্তর্গত কংসারিপুরে জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে গাড়িতে থাকা ছয় জনকেই উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিস সুপার জানিয়েছেন, এদিন সকালে সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সটি বর্ধমানের দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। বর্তমানে আহত ওই ছয় জন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
তবে এই দুর্ঘটনার ফলে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ওই অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ। যদিও দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটিকে এখনও উদ্ধার করা হয়নি।
উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়। তিস্তার করালগ্রাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিকিমে। কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। অসমর্থিত সূত্রের খবর, এখনও নিখোঁজ ১০২ জন। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হল সেনার ট্রাক। তিস্তার স্রোতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে ট্রাকগুলি।
সিকিমের চুংথাম, ডিকচু, সিংতাম, রংপোর মতো একাধিক এলাকা গ্রাস করেছে তিস্তা। সিকিমের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে প্রায় ৩০০০ পর্যটক আটকে আছে। ২ বছর আগের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা জিওমরফোলজি জার্নালের গবেষণা কিন্তু আগেই জানিয়েছিল, এমন বিপদসঙ্কুল স্থানে দাঁড়িয়ে আছে সিকিম।
২০২১ সালে জিওমরফোলজি জার্নালের একটি গবেষণা জানিয়েছিল, গত কয়েকবছর ধরে লোনক হ্রদ আকারে, আয়তনে বেড়ে যাচ্ছে। হিমবাহের পরিমাণ ও হিমবাহের গলনের প্রবাহে এই হ্রদ ভেঙে যেতে পারে। বুধবার ভোররাতে এই হ্রদের জলই ভেঙে তিস্তায় গিয়ে মেশে। এরপরই ফুলে ফেঁপে ওঠে।
ভয়ঙ্কর বিপর্যের মুখে উত্তর সিকিম (Sikkim)। মেঘভাঙা (Cloud Burst) বৃষ্টি শুরু হয়েছে সিকিমে। বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে লোনক হ্রদ ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে ও এর পরই সেই জল নেমে আসে তিস্তায়। আচমকাই হড়পা বান আসায় তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায়। আর তাতেই ভেসে নিখোঁজ হয়ে যান সেনার ২৩ জওয়ান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে ওই ২৩ জন সেনা কর্মীর কোনও খোঁজ মিলছে না। ফলে ২৩ সেনা কর্মীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সেই সঙ্গে সিকিম জুড়ে গোটা এলাকায় বহু বাড়ি জলের নীচে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, গতরাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে গতরাতেই ৬টি সেতু ধুয়ে যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, সিংথামে তিস্তার উপর একটি ফুটব্রিজ ছিল। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে সেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। আর আজ তিস্তা নদীর জলে তলিয়ে গেল সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়েছে। চুংথাম বাঁধ ভেঙে বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। এর ফলে মুহূর্তে তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। আর তিস্তার এই প্রবল জলোচ্ছাসেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেনা ছাউনি। তিস্তা নদীর জলের তোড়ে ভেসে যান ২৩ জন জওয়ান।
ইতিমধ্যেই নিখোঁজ জওয়ানদের খোঁজে শুরু হল উদ্ধারকাজ। বৃষ্টি কমলে আরও জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানো হবে বলেই জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। তিস্তা, নামচিতে জারি করা হল লাল সতর্কতা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এখই কাটছে না দুর্যোগ।
চতুর্থ দিনেও গুলির লড়াই অব্যাহত জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে। সেনা বাহিনীর ধারণা, জঙ্গিদের কাছে প্রচুর অস্ত্র মজুত রয়েছে। আর সেকারণেই তিনদিন অতিক্রান্ত হলেও গুলি চালাচ্ছে তারা। অনন্তনাগের একটি পাহাড়ের গুহায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর। সেখান থেকেই সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। যদিও পালটা জবাব দিয়েছেন জওয়ানরা। জঙ্গিদের খতম করতে এবার মর্টার ব্যবহার শুরু করল সেনা। পাশাপাশি রকেট লঞ্চার এবং ড্রোন দিয়েও হামলা চালানো হচ্ছে।
বুধবার অনন্তনাগে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। সংখ্যায় তারা দুই বা তিন। সেদিন থেকেই ব্যপক গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের গুলিতে চার জওয়ান শহিদ হয়েছেন। জঙ্গিরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছে তার একদিকে খাদ এবং অন্যদিকে পাহাড়ি জঙ্গল রয়েছে। ইতিমধ্য়ে সেনা জওয়ানরা অন্য একটি রাস্তা ব্যবহার করে জঙ্গিদের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।
কাশ্মীরে অনন্তনাগের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। জঙ্গির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন তিন নিরাপত্তা আধিকারিক। এদিন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাল শ্রীনগর। শহিদ জওয়ানদের ছবি নিয়ে মিছিল করেন। চোখের জলে তাঁদের স্মরণ করেন। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই সেনা অফিসার ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরা হলেন কর্নেল মনপ্রীত সিংহ, মেজর আশিস ধোনাক ও ডিএসপি হুমায়ুন ভাট।
ওদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আহত হলেন আরও দুই সেনা জওয়ান। পাশাপাশি আরও এক জওয়ান নিখোঁজ রয়েছেন বলেই খবর। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করেন জওয়ানরা। সেসময়, গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গভীর রাত পর্যন্ত তুমুল সংঘর্ষ চলতে থাকে। তখনই জঙ্গিদের গুলিতে দুই জওয়ান আহত হন বলে খবর।
বুধবার অনন্তনাগে জঙ্গিদের চালানো গুলিতে শহিদ হন এক কর্নেল, মেজর এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডি এস পি। ওই ঘটনার পর সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করা হয়। উল্লেখ্য, বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনন্তনাগে চলছে সেনা-জঙ্গি সংঘাত। গারুল এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকেই তারা আক্রমণ চালায়।
বিয়ের করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন প্রেমিকা, আর এই চাপ সৃষ্টি করার জন্যই তাঁকে খুন করলেন প্রেমিক সেনা জওয়ান (Army Officer)। এমনটাই অভিযোগ উঠে এল এক সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি দেরাদুনের (Dehradun) ও ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্ত সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত সেনা জওয়ানের নাম রমেন্দু উপাধ্যায় ও সে বিবাহিত। অন্যদিকে প্রেমিকা তথা নিহত মহিলার নাম শ্রেয়া শর্মা। তিনি নেপালের বাসিন্দা। রমেন্দুর দেরাদুনে পোস্টিং হওয়ার পর শ্রেয়াকেও সঙ্গে করে সেখানেই নিয়ে গিয়েছিল সে। এর পর একদিন তাকে 'লং ড্রাইভ'-এ নিয়ে গিয়ে এক নির্জন এলাকায় খুন করে বলে তদন্ত করে জানতে পেরেছে পুলিস।
পুলিস তদন্ত করে আরও জানতে পেরেছে, শনিবার রাতে দেরাদুনের রাজপুরে এক ক্লাবে যান তাঁরা। সেখানে তাঁরা মদ্যপান করেন ও এর পর লং ড্রাইভ-এ বেরিয়ে যান। রাত ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ রমেন্দু এক নির্জন জায়গায় যায়। এর পর এক হাতুড়ি দিয়ে একাধিকবার শ্রেয়ার মাথায় আঘাত করে খুন করে তাঁকে। খুন করার পর রাস্তার ধারে মৃতদেহ ফেলে চম্পট দেয় রমেন্দু।
প্রসঙ্গত, বিবাহিত হলেও প্রায় তিন বছর ধরে শ্রেয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল রমেন্দু। জানা গিয়েছে, শ্রেয়ার সঙ্গে তার আলাপ হয় এক পানশালায়। এর পর দেরাদুনে তার পোস্টিং হয়ে গেলে তার সঙ্গে শ্রেয়াকে নিয়ে যায় সে। কিন্তু দেরাদুনে যাওয়ার পর থেকেই শ্রেয়া তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। আর তার জেরেই শ্রেয়াকে নির্মম ভাবে খুন করে রমেন্দু, এমনটাই পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে।
গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) মৃত্যু হল ৯ সেনা জওয়ানের (Indian Army)। একাধিক সেনা জওয়ান এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। ঘটনাটি লাদাখের (Ladakh)। সূত্রের খবর, শনিবার লাদাখের নিয়মা জেলার কিয়ারি নামক শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। বেস ক্যাম্পে যাওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় বলে অনুমান। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় রাস্তার ধারে গভীর খাদে। এর জেরে ৯ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে, লে থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে কিয়ারিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিয়ারিতে ঢোকার ৭ কিলোমিটার আগে পিচ্ছিল রাস্তা থেকে পিছলে খাদে গিয়ে পড়ে যায় বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেনার ওই গাড়িতে মোট ১০ জন জওয়ান ছিলেন। তার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে এবং এক জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
তবে নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ি ও জওয়ানদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভারত-চিন সীমান্তে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু (Accident Death) হল এক সেনা জওয়ানের। গত ৮ অগাস্ট ডিউটিতে যাওয়ার পথে সিকিমের নাতুলাতে ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই জওয়ানের মৃতদেহটি কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) বাড়িতে আনা হয়। তারপর শুক্রবার সকালে গান স্যালুটের মাধ্যমে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, মৃত ওই জওয়ানের নাম সমিত মাইতি (৩৫)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রাজনগর-শ্রীনাথ গ্রামে। জানা গিয়েছে, গত ৮ অগাস্ট ডিউটিতে যাওয়ার পথে সিকিমের নাতুলাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি সেনা জিপ। তার মধ্যেই ছিলেন সমিত মাইতি। শুধুমাত্র সমিত মাইতিই নয়, এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক জওয়ানের।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকদ্বীপের বাড়িতে ফেরে সমিতের দেহ। এদিন তাঁর মরদেহটিকে গ্রামের স্কুলে আনা হয়। শিক্ষক থেকে পড়ুয়া তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। তারপরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। বাড়িতেও তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হয়।
ভোটগণনা (Vote) ঘিরে জেলায় জেলায় বাড়ছে উত্তেজনা। তারই মধ্য়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর। সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Army) বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার, সামশেরগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুরে ভোটগণনা ঘিরে এবিএস বিদ্যাপীঠে চরম অশান্তির চিত্র লক্ষ করা গিয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বারংবার এসে জমায়েত হচ্ছিলেন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। যার কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠি উঁচিয়ে সেই ভিড় সরানোর চেষ্টা করলেও বারবারই ব্য়র্থ হচ্ছিল তারা। এই কারণে ভিড় এড়াতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত শুরু করে কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ানরা।
সম্প্রতি সেই ভিড়ের মধ্য়েই ছিলেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকেও সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চায়। সেই সময় বিধায়কের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধায়ক আমিরুল ইসলামের দাবি, ইলেকশন এজেন্ট হিসাবে বৈধভাবেই আমি এসেছিলাম। তবে এই কথা কেন্দ্রীয় বাহিনী মানতে একেবারেই নারাজ। তাদের একটাই দাবি, ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে কোনওভাবেই ভিড় করা যাবে না।
নিয়ম অনুযায়ী, ভোটগণনা কেন্দ্রে আগে কাউন্টিং অফিসার ঢুকবে পরে ইলেকশন এজেন্ট বা প্রার্থী প্রবেশ করবে। কিন্তু এই সব কোনও নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে না। ফলে সমস্য়ার মুখে পড়েছে ইলেকশন এজেন্টরা।
শুক্রবার সকালেই জম্মুর (Jammu) রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে সন্ত্রাসদমন (Crime Control) অভিযানে সেনা জওয়ানদের (Army) লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জন সেনা আধিকারিকের। পরে আরও তিন জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে আছেন দার্জিলিঙের বিজনবাড়ির বাসিন্দা সিদ্ধান্ত ছেত্রীও। গোপন সূত্রে জঙ্গিদের আনাগোনার খবর পেয়ে কাশ্মীরের বারামুলায় যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সেনা এবং পুলিসের একটি দল। শনিবার সকালে সেই যৌথ অভিযানেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক লস্কর জঙ্গির।
বারামুলা জেলার কারহামা কুঞ্জর এলাকায় শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় সন্ত্রাসদমন অভিযান। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ওই এলাকা ঘিরে ফেলতেই জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। দীর্ঘ লড়াই শেষে মৃত্যু হয় ওই লস্কর জঙ্গির। বাকিরা পালিয়ে যায়। তাদের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সেনা সূত্রে। সেনার ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রথমে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনীও।
তুষারপাতের (Snowfall) জেরে পূর্ব সিকিমে (East Sikim) আটকে পড়েছিলেন প্রায় ৩০ জন পর্যটক। তাঁদের উদ্ধার (Rescue) করল সেনা (Army)। সোমবার, ত্রিশক্তি কপস সেনার তরফে জারি এক প্রেস বিবৃতিতে সেকথা জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার পূর্ব সিকিমে খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৩০ জন পর্যটক আটকে পড়েন। গাড়ি সহ বহু পর্যটক আটকে পড়ে প্রতিকূল পতিস্থিতির মধ্যে৷ সেনার তরফে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর থেকে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলে। প্রায় ৩০ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে সেনা৷ তাঁদের মধ্যে বয়স্ক থেকে বাচ্চারাও ছিল। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের পূর্ব সিকিম থেকে নিচের দিকে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে পর্যটকদের সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে তাঁদেরকে গরম কাপড় থেকে খাওয়ারসহ ওষুধও দেওয়া হয় সেনার তরফে। অন্যদিকে আটকে পড়া গাড়িগুলিও উদ্ধারের কাজও শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে তুষারে ঢেকে যাওয়া রাস্তাগুলি পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
আবারও দুর্ঘটনার মুখে জওয়ানদের গাড়ি। খাদে পড়ে গেল জওয়ানদের একটি অ্যাম্বুলেন্স (Army ambulance)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে (Rajouri)। এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জওয়ানের (Jawans)। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৩ জওয়ান। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই সেনা-অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় বলে সেনা সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে খবর, নিহত দুই জওয়ান হলেন সুধীর কুমার ও পরমবীর শর্মা। হাবিলদার পদে কর্মরত সুধীর কুমার বিহারের বাসিন্দা এবং পরমবীর শর্মা রাজৌরির বাসিন্দা। গুরুতর জখম ৩ জওয়ান স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই সেনা-অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে সেনা অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছিলেন ৫-৬ জওয়ান। রাজৌরি জেলার কেরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। তারপর খবর পেয়ে পুলিস ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যায় এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্স ও আহত জওয়ানদের উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারর পর মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম এক জওয়ানের। বাকি ২ জন এখনও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে উত্তর সিকিমে একইভাবে রাস্তায় পিছলে গিয়ে খাদে পড়ে গিয়েছিল সেনা-জওয়ানদের একটি গাড়ি। সেই দুর্ঘটনায় ১৬ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৪ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন।