আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির (Arms Recover) উদ্দেশে আসা দুই ব্যক্তিকে বমাল গ্রেফতার করল ডোমকল থানার পুলিস (Murshidabad)। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম রফিকুল আলম মণ্ডল (৪০) ও মোজাফফর মণ্ডল(২৪)। দু'জনেই নদিয়া জেলার বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডোমকল থানার পুলিস কাটাকোপরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিস (Police)। তাদের কাছে দু'টি পাইপ গান-সহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের গ্রেফতারির পর ছয় দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। কাকে বিক্রি করার উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি নিয়ে আনা হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিস। এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার আবু তাহেরপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে তল্লাশি চালিয়ে এক পিস্তল-সহ ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়।
রশিদ শেখ (বাড়ি নতুন বামনাবাদ)-কে গ্রেফতার করে সাগরপাড়া থানার পুলিস। শনিবার তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা ছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিস।
অস্ত্র চোরাচালান (Arms Recover) রুখতে আবারও সাফল্য পেল বারুইপুর পুলিস জেলা (Baruipur Police)। বারুইপুর পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) এবং কাশিপুর থানার যৌথ অপারেশনে বমাল ধরা পড়েছে এক অস্ত্র পাচারকারী। ওই ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েক রাউন্ড গুলি। ধৃতের নাম আসান মোল্লা, বাড়ি কাশিপুর থানার বানিয়াড়া গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শোনপুর বাজার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।
সূত্রের খবর, পুলিস খবর পায় রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে এক ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে সোনপুর বাজারে আসছে বিক্রির জন্য। সেই খবর পাওয়া মাত্রই আগে থেকে সোনপুর বাজারে কাশিপুর থানা ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা পৌঁছে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে দেখা যায় বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল করে সোনপুর অটো স্ট্যান্ডে হাজির। পুলিস নিশ্চিত হতেই ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি চালায়।
তাঁর ব্যাগ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিস ওই ব্যক্তির মোবাইল ও মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃত ব্যক্তি জেরায় স্বীকার করেছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিস তাঁকে হেফাজতে নিয়ে অস্ত্রগুলির উৎস এবং নেপথ্যে কারা, জানার চেষ্টা করবে।