চিটফাণ্ড থেকে নিয়োগ দুর্নীতি। একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যে কোনও সময় ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
একেবারে ভোটের মুখে বাংলায় দাঁড়িয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে একযোগে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার পরিস্থিতি কেমন তা গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে। তৃণমূল শুধুই মুখে মা-মাটি এবং মানুষের কথা বলে। আদৌতে কী হচ্ছে তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গরু থেকে নিয়োগ, সব ক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে বলে এদিন তীব্র আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদী। বলেন, শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুরসভায় নিয়োগ। সবক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে। এমনকি গরীবদের রেশন থেকে শুরু করে সীমান্ত থেকে পশুপাচার করা হচ্ছে বলেও আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কারণেই তৃণমূলের মন্ত্রীদের বাড়িতে বিশাল নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে। যা সিনেমাতেও দেখা যায় না। অপরাধ এবং দুর্নীতির নতুন মডেল বাংলায় তৈরি হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী।
তবে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে মোদী! আর সেজন্যে ওরা দুশমন নম্বর ওয়ান আমাকে মনে করে। তবে চুরি করতে দিতে পারি না আমি। যারা গরীবদের টাকা লুঠ করেছে তাঁদের সবাইকে টাকা ফেরত দিতে হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এটা মোদীর গ্যারেন্টি বলে মন্তব্য তাঁর।
পাশাপাশি রাজ্যের কারণে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প কীভাবে আটকে রয়েছে বাংলায় সেই কথাও এদিন বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে কিন্তু কাজ করতে পারছে না তৃণমূল সরকার। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঝরিয়া আর রানিগঞ্জে কয়লা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।
গোটা দেশে দ্রুত গতিতে কাজ হলেও এখানে তা কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী। আর এই সমস্ত প্রকল্পে গতি আনতে বাংলার সব কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটানোর আবেদন করেন তিনি।
রাজ্যে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে আজ, শুক্রবার থেকেই প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন বছর বাদে বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী। এদিন আরামবাগের সভাস্থল থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি সভায় বক্তব্য় রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। তারপরে আবার ৮ তারিখে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, এমনটাই সূত্রের খবর।
অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নামেন সকাল ১০.২০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি বিমানবন্দরে হাজির হন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগেই বিজেপি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে আরামবাগে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। মাত্র ১২ ভোটে হারতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। সেকারণে আরামবাগে এবার ঘর গোছাতে তৈরি বিজেপি। আগামীকাল, শনিবার আবার কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে। এই কেন্দ্রে গতবার ভাল ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সেকারণে এবার আগে থেকেই মোদীর সভা করে ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আজ রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদী। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামীকাল সকালে তিনি চলে যাবেন কৃষ্ণনগরে সভা করতে। সেখান থেকে বিহারের গয়ায় কপ্টারে উড়ে যাবেন তিনি। মোদীর পর পর দুটি সভা ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
আজ আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী সন্দেশখালি নিয়ে কোনও বার্তা দেন কিনা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে আজই আবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে রাজ্যে। কলকাতায় বেথুন স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য়। তার মাঝেই এবার চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আরামবাগের একটি ঘটনায়। সন্দেশখালির মহিলাদের উপর নির্যাতনের মধ্য়েই পুলিসি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আরামবাগের খানাকুলে। অভিযোগ, মিথ্যা চোর অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগ স্থানীয় পুলিস ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে। ফলে শনিবার সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে রয়েছে আরামবাগের খানাকুলের মালঞ্চ এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুলের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ এলাকায় খানাকুল থানার পুলিস ফাঁড়ির পাশেই আছে একটি প্রাইমারি স্কুল। সেখানেই পড়াশোনা করে অত্যাচারিত ওই গৃহবধূর নাবালক ছেলে। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ফাঁড়ির বড়বাবু তুষার মণ্ডলের একটি সোনার ব্রেসলেট হঠাৎ হারিয়ে যায়। আর সেই ঘটনায় ওই পুলিস আধিকারিক নির্যাতিতা গৃহবধূর শিশু শ্রেণিতে পড়া ছেলেকে সন্দেহ করেন।
এরপর সেই ব্রেসলেট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূকে জোর করা শুরু করেন ফাঁড়ির বড়বাবু তুষার মণ্ডল। ওই গৃহবধূ কোনও গহনা নেয়নি বলে বারংবার জানালেও কোনও কথা শোনেননি ওই পুলিস অফিসার বলে অভিযোগ। তারপর ব্রেসলেট ফেরত পেতে ওই গৃহবধূকে টেনে হিঁচড়ে বুধবার তিনটে নাগাদ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ২ টো নাগাদ অর্ধমৃত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে বাড়িতে দিয়ে যায় অভিযুক্ত তুষার মণ্ডল নামের ওই আধিকারিক বলে অভিযোগ। এমনকি ওই নির্যাতিতার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এত নিষ্ঠুরভাবে অত্য়াচার করা হয়েছে যে চিকিৎসা করানোর জন্য ওই নির্যাতিতাকে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ওই পুলিস আধিকারিক অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছেন। অকথ্য় ভাষায় কথা বলা থেকে মারধর করা। নির্যাতিতা আরও জানান, 'কিছুই জানি না যে কে ওনার ব্রেসলেট কুড়িয়ে পেয়েছে। বারংবার বলা সত্ত্বেও তিনি আমাকে নিস্তার দেননি। প্রচুর মারধর করেছেন। এরপর আর কিছু জানি না, আমার কোনও জ্ঞান ছিল না। জ্ঞান ফিরেই দেখি আমি নার্সিংহোমে।'
ইতিমধ্যেই অত্যাচারিত ওই গৃহবধূর মা খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ওই পুলিস অফিসারকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরিবার পরিজনের অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একজন পুরুষ পুলিস কর্মী কীভাবে একজন মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতে পারে? তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তবে পুলিসের এই নির্মম অত্যাচারে আতঙ্কিত এবং ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা গ্রাম।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই, আর নতুন মাস পড়লেই বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রচারের সূচনা করতে চলেছে বিজেপি। ১ মার্চ হুগলির আরামবাগে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হুগলির আরামবাগ কেন্দ্রটিতে বিজেপি মাত্র ১২০০ ভোটে হেরেছিল। সেকারণে লোকসভা ভোটের প্রচারের শুরুটা এই আরামবাগ কেন্দ্র দিয়েই করতে চাইছে বিজেপি।
সন্দেশখালি কাণ্ডের পর শাসক বিরোধী উভয় শিবিরই পাখির চোখ করেছে সন্দেশখালিকে। কিন্তু তার আগে লোকসভা ভোটের প্রচারে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। মোদীই বঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারের সূচনা করতে চলেছে। ১ মার্চ আরামবাগে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভা দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চাইছে বিজেপি। ২ মার্চ আবার কৃষ্ণনগরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রসঙ্গত, এই কৃষ্ণনগরেই লোকসভা প্রার্থী ছিলেন মহুয়া মৈত্র। এবার তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট পাবে কিনা সন্দেহ। তবে বিজেপি আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে। সেকারণে দুই হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের সভা দিয়েই রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চাইছে বিজেপি।
এরপরে বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ৬ তারিখ বারাসতের কাছারি ময়দানে হবে সভা। সেই সভায় সন্দেশখালির নির্যাতিতারা উপস্থিত থারবেন বলে জানা যাচ্ছে। সন্দেশখালির নির্যাতিতারা তাঁদের অভিযোগ লিখিত বা মৌখিবভাবে জানাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। উল্লেখ্য, ৩ মার্চ আবার সন্দেশখালিতে সভা করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
যোদ্ধার থেকে কম কি! যে সে যুদ্ধ নয়, একেবারে জীবন যুদ্ধ জয় করে ঘরের ছেলে ফিরছে ঘরে। উত্তরকাশীর টানেলের বন্দিদশা ভেঙে অবশেষে মায়ের কোলে ফিরলেন আরামবাগের পুরশুড়ার ২ শ্রমিক সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব পরামানিক। ১৭ দিন সুড়ঙ্গে সূর্যের আলো পৌঁছত না ঠিকই, তবে আশার আলোটাকে এক মুহূর্তের জন্য নিভতে দেননি কেউ।
ভয়কে জয় করেছেন টানা সতেরো দিন ধরে। মুক্তির স্বাদ লড়াইয়ের জোর বাড়িয়েছে আরও। কাজ করতে চান, এগিয়ে যেতে চান সৌভিক, জয়দেব।
গোটা দেশ যখন দীপাবলির আলোয় উজ্জ্বল, ঠিক তখনই উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে নামে অন্ধকার। ছেলেদের এক ঝলক দেখার জন্য টিভির পর্দায় চোখ গেঁথে রেখেছিলেন ১৭টা দিন। ভাষা হারালেও প্রার্থনা থামেনি। অভাব, বেকারত্বের তাড়নায় শুধু রাজ্য নয় বোধহয় জীবন থেকেও দূরে চলে গিয়েছিল তরুণ তাজারা। একবার ফিরে পেতেই তাঁদের আর কাছছাড়া করতে চায় না কেউ।
আজ ওঁদের বাড়িতে অকাল উৎসব, যে দীপাবলিটা পালন করা হয়নি, আজ সব পুষিয়ে নেবে পাখিরা এবং পরামানিক পরিবার। স্নেহ চুম্বনে কপাল ভরিয়ে দিচ্ছে মা, ঠাকুমারা। মায়ার বাঁধন পড়ছে আরও শক্ত গিঁট। এই বাঁধনই বোধহয় মৃত্যু ছুঁয়েও ফিরে আসার সাহস জোগায়।
গরুর হাটে যাওয়ার পথে মারধর করে টাকা ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীর দল। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ গোঘাটের বেলডিহা গ্রামে। অভিযোগ, পথ আটকে মুখে কাপড় বেঁধে জোর করে পকেট থেকে টাকা বের করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনায় আহত দুই ব্যক্তির নাম শেখ আসগর আলি ও শেখ মফিজুল আলি। এদের মধ্যে আসগর আলিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন সকালে আসগর ও মফিজুল নামে ওই দুজন গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের পথ আটকে বাইক থামানো হয়। এরপর তাঁদের জোর করে বাইক থেকে নামিয়ে যা আছে তা দিয়ে দিতে বলা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বেড়ধক মারধর করার অভিযোগ উঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির কাছে তিন লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ছিল। তা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় দুষ্কৃতীদের বাঁধা দেয় দুজনে। তখনই তাঁদের বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, সব টাকা পয়াসা লুঠ করে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আহতের পরিবার থেকে গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোঘাট থানার পুলিস।
মিষ্টি খাওয়ার অপরাধে মা বাবা হারা নাবালিকার (Minor Harrasment) পিঠে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকু কাকিমার বিরুদ্ধে। এই চরম অমানবিকতার সাক্ষী রইল আরামবাগের (Arambag) গোঘাট। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে অভিযুক্ত কাকিমাকে। অভিযুক্ত কাকু এখনও পলাতক। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই কাকু কাকিমার নাম সারদামণি চ্যাটার্জী ও চিন্ময় চ্যাটার্জী।
নাবালিকার মামাবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর আগেই সে মা ও বাবাকে হারিয়েছে। তারপর থেকে কাকু ও কাকিমার কাছেই থাকতো সে। অভিযোগ, তখন থেকেই লাগাতার অত্যাচার শুরু করে কাকু ও কাকিমা। এমনকি সময়ে খেতেও দিত না। প্রায়শই মারধর ও ছ্যাঁকা দিতো বলেও অভিযোগ করে নাবালিকার মামাবাড়ি থেকে।
সূত্রের খবর, ওই নাবালিকাকে মঙ্গলবার সারাদিন কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। তাই খিদে সহ্য করতে না পেরে বুধবার ফ্রিজ থেকে একটি মিষ্টি বের করে খায় সে। সেই অপরাধেই খুন্তিকে আগুনে গরম করে ওই নাবালিকার পিঠে ছ্যাঁকা দেয় অভিযুক্ত কাকিমা। এমনকি এই ঘটনা যাতে কেউ বুঝতে না পারে তার জন্যে নাবালিকাকে টাইট পোশাক পরিয়ে স্কুলে পাঠায়। কিন্তু স্কুলের শিক্ষিকারা তার যন্ত্রনার কথা বুঝতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করে। তার পরেই উঠে আসে এই পুরো ঘটনা।
তিন দিন ধরে মেয়ের মৃতদেহ (Death) আগলে রইলেন মা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম মাধুরী দত্ত। বয়স আনুমানিক ৫৪ বছর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আরামবাগ থানার পুলিস পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার (rescue) করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে মাধুরী শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেই কারণে তাঁর কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়। তবে কিভাবে মারা গেলেন মাধুরী তা এখনও অবধি জানা যায়নি। এমনি মাধুরীর মা নাকি বুঝতে পারেননি যে তার মেয়ে মারা গিয়েছেন। এরপরে বেশ কয়েকদিন কেটে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাতে খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পচাগলা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধুরী ও তাঁর মা একটি মাটির বাড়িতে থাকতেন। মাধুরী মারা যাওয়ার পর তাঁর মা শোকে মেয়ের মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন। এই ঘটনায় রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আবগারি দফতরের (Excise Department) পরিচয়ে গ্রামে ঢুকে হঠাৎ তাণ্ডব। অভিযোগ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে শুরু করে একদল ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের (Arambagh) কাঁটাবনি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামের মানুষ একজোট হতেই লাঠি ফেলে পালিয়ে যায় তারা। প্রতিবাদে (protest) রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় আরামবাগ থানার আই সি।
জানা গিয়েছে, অন্য়ান্য় দিনের মতো এদিনও রাস্তার ধারে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল কয়েক জন যুবক। অভিযোগ, হঠাৎ সেই সময় একটি গাড়ি করে আসা বেশ কয়েক জন লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে দেয়। কোনও কারণ না জানিয়েই মারধর করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকি এক বিশেষভাবে সক্ষম যুবককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় একাধিক মোবাইল ফোন। অভিযোগ শুধু পুরুষ নয় মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়েছে। এভাবে মারধরের কারণে বেশ কয়েকজনের হাত ফেটে যায়।
তবে কেন হঠাৎ এধরনের হামলা আবগারি দফতরের। কেনই বা আবগারি দফতরের সঙ্গে থাকা পুলিসের পোশাক ছিল না। সেই সব প্রশ্ন তুলে পথ অবরোধ শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিস যায়। সেই পুলিসও মদ্যপ অবস্থায় থাকার অভিযোগ উঠে। তাঁদের ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। এর পরে আরামবাগ থানার আই সি ঘটনাস্থলে যায়। দোষীদের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মদ্যপ দুই শ্রমিকের (Workers) মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। আর তারপরই শুরু হয় মারপিট। এই ঘটনায় মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) নৈশরাই এলাকার গনপতি রাইস মিলে। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত (Death) শ্রমিকের নাম কাশিনাথ হাটি। বাড়ি আরামবাগের মইগ্রাম এলাকায়। যদিও মৃত শ্রমিকের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আরামবাগের নৈশরাই এলাকার গনপতি রাইস মিলে সীমন্ত মালিক ও কাশিনাথের মধ্যে বচসা থেকে মারপিট শুরু হয়। অভিযোগ, কাশিনাথকে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন সীমন্ত। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সীমন্ত মালিক ও কাশিনাথের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় মারপিট শুরু হয়। রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন কাশিনাথ। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান তিনি।
অপরদিকে গনপতি রাইস মিলের মালিক বলেন, রাত্রি দশটা নাগাদ খবর পান রাইস মিলে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে।
ফের নদীতে (River) স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে (Drowing) গেল তিন জন কিশোর-কিশোরী। বুধবার আরামবাগের (Arambag) আমগ্রাম এলাকায় নদীতে স্নান করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটে। তবে একদিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই নদী থেকে তাদের দেহ (Death) উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পুলিস (Police) ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত তিনজনের নাম সঞ্জিত মালিক, বর্ষা পণ্ডিত ও মানসি ধাড়া। মৃত সঞ্জিতের বাড়ি আমগ্রামে এবং বর্ষা পণ্ডিতের বাড়ি আরামবাগের বিরাটি গ্রামে, অন্যজন তথা মানসি ধাড়ার বাড়ি গোঘাটের কুলকিতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার আরামবাগের আমগ্রাম এলাকায় নদীতে স্নান করতে যায় পাঁচ জন। তখনই নদীতে স্রোত বেশি থাকায় তলিয়ে যায় তিন জন। বাকি দুই জন কোনও রকমে নদীর পাড়ে উঠে এসে খবর দেয় পরিবারকে। স্থানীয়দের দাবি, খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারের লোকজন গিয়ে দু'জনকে উদ্ধার করে। কিন্তু আর একজন নিখোঁজ থাকায় তল্লাশির জন্য নদীতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের নামানো হয়। তারপরই উদ্ধার হয় তার দেহ।
একই পরিবারে দুই ভাই-বোন উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary) প্রথম দশে। নজির গড়ল আরামবাগের (Arambagh) কুন্ডু পরিবার। একজন পঞ্চম, আরেকজন সপ্তম। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জ্বলজ্বল করছে খুড়তুতো দুই ভাই-বোনের নাম। শুধু তাই নয়, দু'জনের স্বপ্নও কিন্তু এক। ইঞ্জিনিয়ারিংয়েই ভবিষ্যত গড়তে চান কৌস্তভ কুণ্ডু ও কৌশিকী কুণ্ডু। দুই ভাই-বোনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত আরামবাগের গৌরহাটি এলাকা।
মেধাতালিকা অনুযায়ী,কৌস্তভ কুণ্ডু পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২, অন্যদিকে, ৪৯০ পেয়ে সপ্তম হয়েছেন বোন কৌশিকী কুণ্ডু। কৌস্তভ জানিয়েছেন, তিনি দিনে ১০ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন। তবে, বোন কিন্তু একেবারেই সময় মেনে পড়াশোনায় বিশ্বাসী নয়। তাঁর কথায়,'যত ক্ষণ ভাল লাগত, পড়তাম। একটানা পড়াশোনা করতে পারতাম না।' এছাড়া, ছবি আঁকতে, গান শুনতে ভালবাসেন।
উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪৪ জন। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৯১ জন। পাশ করেছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। উল্লেখ্য, এবছর যাঁরা উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন, তাঁরা কেউই করোনার কারণে ২০২১-এ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেননি। তাই, উচ্চ-মাধ্যমিকই ছিল তাঁদের জীবনের বড় পরীক্ষা।
তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের (Arambagh) পুর এলাকা। ঘটনায় আহত কমপক্ষে ৮-৯ জন। শুক্রবার বিকাল থেকেই আরামবাগের আড়ান্ডী ২ নং অঞ্চলের পুর এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের যুব ও মাদার গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন যুব গোষ্ঠীর লোকজন আচমকাই ধারালো অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। এরপরে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিলেই যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কিছু লোক বাসে ছিল। অভিযোগ এরপর তৃণমূলের অপর পক্ষ পাল্টা হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরামবাগ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে যায় আরামবাগ থানার পুলিস। এই গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই গোষ্ঠীকোন্দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে আরামবাগে। আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এইরূপ গোষ্ঠীকোন্দল অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে।
অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েতের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে (Wood Smuggling) নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambag) সালেপুর ২ অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে আরামবাগ থানার পুলিস। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক। জানা গিয়েছে, সালেপুরের বসন্তবাটি পশ্চিমপাড়া এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত অধিকারী। বেশ কয়েকদিন আগেই পঞ্চায়েতের তরফে গাছ কাটার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি শুরু হয়ে যায় সেই গাছ কাটার কাজও। তবে সেই গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকেও এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি এই বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও সালেপুর ২ নং পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত অধিকারী এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ওই এলাকায় পিএইচই প্রকল্পের পাইপ লাইন করার জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। পিএইচই-র পক্ষ থেকে বেশ তাড়াও ছিল। তাই লিখিত অনুমতি না পেলেও বিষয়টি মৌখিকভাবে বন দফতরকে জানানো হয়েছে।
সাত সকালেই আরামবাগের লোকালয়ে (Arambagh Hooghly) ঢুকে পড়ল দাঁতাল হাতি। পশ্চিম মেদিনীপুরের দিক থেকে গোঘাট হয়ে আরামবাগে ঢুকে পড়েছে দাঁতাল (Elephant Attack)। এমনটাই প্রসাশনে অনুমান। হাতির হামলায় একজন গুরুতর জখম বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সামনে চলে আসা এক যুবককে লাথি মেরেছে সেই দাঁতাল, এমনটাই অভিযোগ। বর্তমানে আরামবাগের কালীপুরের একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে দাঁতালটি। তাকে বাগে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিস ও বন দফতরের (Forest Department) কর্মীরা। তবে এভাবে হঠাৎ লোকালয়ে হাতি দেখে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। সাতসকালেই মাঠে কৃষি জমি দেখতে গিয়ে হাতি দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। তখনই গ্রামের মানুষদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং করে প্রশাসন। হাতির পিছনে দৌড়তে বারণ করা হয় স্থানীয়দের।
ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। তবে খাবারের সন্ধানে দাঁতাল লোকালয়ে ঢুকেছে বলে অনুমান। পাশাপাশি দাঁতালের সঙ্গে আরও একটি বাচ্চা হাতি রয়েছে বলে অনুমান বন দফতরের। হাতিকে আয়ত্তে আনতে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের হুলা পাটিকে খবর দেওয়া হয়েছে। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিস।
বন দফতরের এক কর্তা জানান, 'একটা দাঁতাল দেখা গিয়েছে। তার সঙ্গে বাচ্চা হাতি থাকার সম্ভাবনা। স্থানীয় পুলিস প্রশাসন এবং বন দফতর পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সজাগ রয়েছে। সবপক্ষকে এক জায়গায় করে আগামি পরিকল্পনা আলোচনা হবে।' এক স্থানীয় জানান, 'ভোর নাগাদ হাতিকে দেখে গ্রামকে সতর্ক করি। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।'