ফের হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) প্রতারণার খবর শিরোনামে। পরিশ্রম না করেই উপার্জন, এই লোভ দেখিয়েই ফাঁদ তৈরি করা হয়। আর সেই ফাঁদেই পা দিতেই খোয়াতে হল লক্ষাধিক টাকা। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার (Noida) এক মহিলার সঙ্গে। জানা গিয়েছে, তাঁকে বলা হয়েছিল ইউটিউব ভিডিওতে (Youtube Videos) লাইক করলেই মোটা টাকা উপার্জন হবে। কিন্তু সেই কাজ করেই একনিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে গেল ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপরই বুঝতে পারেন যে, প্রতারিত হয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, নয়ডার সেক্টর ৬১-এর বাসিন্দা সেই মহিলা। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য এক মেসেজ পান। প্রতারকরা তাঁকে জানান, বিনা পরিশ্রমেই অর্থ উপার্জন করতে তাঁকে শুধুমাত্র কিছু ভিডিও লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে হবে। এরপর তাঁকে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপেও যোগ করা হয়। এরপর তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হয়। আবার তাঁকে বিশ্বাস করানোর জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু ফের তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপর নয়ডা পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কারা এই ঘটনার পিছনে তার তদন্ত করছে নয়ডা পুলিস।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফের কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের (Centre)। পাকিস্তান (Pakistan) থেকে একাধিক জঙ্গি (Terrorist) সংগঠন এদেশে তাদের সমর্থকদের সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে বলে অভিযোগ। ফলে এবারে তাদের যোগাযোগের বিভিন্ন অ্যাপগুলোকে দেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হলো। সূত্রের খবর, দেশে হামলা করতে, এদেশের খবরাখবর নিতে পাকিস্তান থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। আর এই যোগাযোগের জন্য বিশেষত ১৪ টি অ্যাপ ব্যবহার করা হত। এবারে সেই ১৪ টি অ্যাপকেই দেশে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র।
নিষিদ্ধ হওয়া ১৪টি অ্যাপের নাম হলো- ক্রিপভাইজার, এনিগমা, সেফউইস, উইক্রেম, ব্রায়ার, বিচ্য়াট, নন্দবক্স, কোনিয়ন, আইএমও, এলিমেন্ট, সেকেন্জ লাইন, জানঙি, থ্রিমা। সূত্রের খবর, এই অ্যাপগুলো দিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরের ওভারগ্রাউন্ড সমর্থকদের কোডেড মেসেজ করে তথ্য আদান-প্রদান করত। কেন্দ্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
চোখে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, বা চোখের কী কী রোগ রয়েছে, তা জানিয়ে দেবে অ্যাপ (Apps)। তবে জানেন এই অ্যাপটি কে তৈরি করেছে? ১১ বছরের এক কিশোরী তৈরি করে ফেলেছে 'Ogler Eyescan' নামক অ্যাপটি। হ্যানা রাফিকের কথা নিশ্চয় মনে রয়েছে, এই আইওএস ডেভেলপার সবথেকে কম বয়সে অ্য়াপ বানিয়ে অ্যাপেলের সিইও টিম কুক থেকে প্রশংসা পেয়েছিল, তারই দিদি লীনা রাফিক (Leena Rafeeq) চোখের জন্য এই অ্যাপটি বানিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ১১ বছর বয়সী লীনা রাফিক ভারতীয় মেয়ে তবে সে দুবাইয়ে বসবাস করে। সে এই Ogler Eyescan নামক অ্যাপটি ১০ বছর বয়সে তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, এই খুদে নিজেই কোডিং করা শিখেছে ও অ্যাপটি বানিয়েছে। এই অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার সাহায্য়ে চোখের বিভিন্ন রোগ যেমন মেলানোমা, আর্কাস, ক্যাটারাক্ট ইত্যাদি রোগ ধরে যাবে খুব সহজেই।
ইতিমধ্যেই লীনা তার এই অ্যাপের খবর তার লিঙ্কডিনে পোস্ট করে বলেছে যে, সে খুবই খুশি যে, তার বানানো আইওএস অ্যাপটি এক ভিন্ন রকমের স্ক্যানারের ফলে বিভিন্ন ধরণের রোগ ধরে নিতে পারে। সে আরও জানিয়েছে, তার এই অ্য়াপটি বানাতে কারও সাহায্য লাগেনি ও মাত্র ৬ মাসেই এটা তৈরি করে ফেলেছে সে। তবে তাকে এটা বানানোর জন্য অনেক বিষয়ে যেমন চোখ, কম্পিউটার, মেশিন, সেন্সর ডেটা ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে। একবার এই অ্যাপের পরীক্ষা করা হয়ে গেলে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে জানিয়েছে লীনা।
এই অ্যাপ বর্তমানে আইফোন ১০ ও আইওএস ১৬ প্লাসে সাপোর্ট করে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এখন এটা অ্যাপ স্টোরে রিভিউয়ের জন্য রাখা হয়েছে। সে দৃঢ়বিশ্বাসী যে, এটা খুব শীঘ্রই লিস্টে যোগ করা হবে।