ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। সোমবার চেন্নাই জুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর এবার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আছড়ে পড়তে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে মছলিপত্তনম এবং নেল্লোরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা। তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টির জেরে বানভাসি চেন্নাইয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
সোমবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু জুড়ে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী দুদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পুদুচেরি, করাইকানাল, ইয়ানাম-সহ একাধিক জায়গায়। চেন্নাইয়ের নিচু এলাকাগুলো জলের তলায়। চেন্নাইয়ে জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো। চেন্নাই বিমানবন্দরের অবস্থাও খারাপ। জলের তলায় রানওয়ে। বিপর্যস্ত বিমান চলাচল। রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ পরিষেবা। একাধিক বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। বহু ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবাও। চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটা এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিঘ্নিত হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজ।
অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরামে দু'টি ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৫০ জন। এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে এদিন একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই লাইনে রেল পরিষেবা কার্যত ব্যহত হয়েছে। কোন ট্রেনগুলি বাতিল হয়েছে, আর কোনগুলির যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে, দেখে নেওয়া যাক...
সোমবার বাতিল ট্রেনগুলি হল
০৮৫২৭ রায়পুর-বিশাখাপত্তনম প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ও ০৮৫২৮ বিশাখাপত্তনম-রায়পুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল।
যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে যে ট্রেনগুলির
১১০২০ ভুবনেশ্বর-মুম্বই কোনারক এক্সপ্রেস, ১২৭০৩ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, ১২২৪৫ হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস, ০৩৩৫৭ বারউনি-কোয়েম্বাটুর স্পেশাল
এছাড়া, বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০৮০৯ সম্বলপুর-হুজুর সাহিব নান্দেদ সুপারফাস্ট ট্রেন। এই ট্রেনটি বিজয়নগরম পর্যন্ত গিয়ে ফের সম্বলপুর ফিরবে। আর ১৭৪৭৯ পুরী-তিরুপতি এক্সপ্রেস বালুগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাবে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ভিজিয়ানগরামে বিশাখাপত্তনম-পলাশা প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও বিশাখাপত্তনম রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফলে লাইনচ্যূত হয়ে যায় ৩টি বগি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল কর্মীদের ‘ভুল’-এই দুর্ঘটনা। লোকো পাইলট সিগন্যাল দেখেননি। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। শোকপ্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত আদালতের। অন্ধ্রপ্রদেশ ডেভেলপমেন্ট মামলায় শনিবার সকালে টিডিপির প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। মাঝরাত পর্যন্ত চলে জেরা। এরপরই রবিবার সকালে চন্দ্রবাবুকে পেশ করা হয় বিজয়ওয়াড়ার অ্যান্টি কোরাপশন কোর্টে। সন্ধ্যায় তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
রবিবার ৩০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে এই নির্দেশ দেয় আদালত। আগেই চন্দ্রবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করেন তিনি। এদিন বিজয়ওয়াড়ার এসআইটির অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। সোমবার ভোরে রাজামুন্দ্রির জেলে পাঠানো হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশের স্কিল ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি অভিযোগের তদন্ত করছে রাজ্যের সিআইডি। সিআইডি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে নন্দিয়াল থানার পুলিশ ও সিআইডির একটি দল। এদিকে তাঁর ছেলে নারা লোকেশকেও আটক করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
তেলেগু দেশম পার্টি সূত্রে খবর, দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়ালে ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। ওই কর্মসূচি শেষ করে একটি ভ্যানিটি ভ্যানে বিশ্রাম করছিলেন তিনি। শনিবার ভোরে সেখানে হানা দেয় সিআইডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের একটি বিশেষ দল। এবং সকাল ৬টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারির পর নান্দিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারপর বিজয়ওয়াড়া নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শনিবারই চন্দ্রবাবুকে আদালতে তোলা হবে।
জনসাধারণের টাকা লুট করার অভিযোগ করেছিলেন অন্ধ্রের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মেরুগা নাগার্জুন। কয়েকদিন আগেই চন্দ্রবাবু নিজেই দাবি করেছিলেন, খুব শীঘ্রই তিনি গ্রেফতার হতে চলেছেন।
এবারে কেজি প্রতি টোম্যাটোর দাম হল ৪ টাকা! কিছুদিন আগেই টোম্যাটোর (Tomato) দাম হয়েছিল আকাশছোঁয়া। দাম বাড়তে বাড়তে তা পৌঁছে গিয়েছিল ২০০ টাকায়। ফলে মধ্যবিত্তের পকেটে পড়েছিল টান। হেঁশেলে কয়েকদিন দেখাই পাওয়া যাচ্ছিল না টোম্যাটোর। কিন্তু এবারে দাম কমে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হলেন কৃষকরা। তাই তাঁরা টোম্যাটো রাস্তায় ফেলে দিয়ে এক অভিনব পন্থায় বিক্ষোভ দেখালেন। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) কুর্নূলের।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নূলের স্থানীয় একটি বাজারে টোম্যাটো বিক্রি করা হচ্ছে ৪ টাকা কেজি দরে। আর এতেই ক্ষুব্ধ সেখানকার কৃষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, টোম্যাটোর দাম ২০০ টাকা প্রতি কেজি থেকে কমে ৪ টাকা কেজি হয়েছে। কিন্তু টোম্যাটো চাষ করে ফলাতে এর থেকে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। তাছাড়াও বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসার পরিবহণ খরচও রয়েছে। ফলে ৪ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হলে কোনও খরচই উঠবে না কৃষকদের। তাই এই পরিস্থিতিতে আর কোনও উপায় না পেয়ে রাস্তায় সব টোম্যাটো ঢেলে দেন এক দল কৃষক। টোম্যাটোর বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করার দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
অন্ধ্রপ্রদেশে পড়তে গিয়ে কলকাতার আরও এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। সৌরদীপ চৌধুরীর পর এবার রীতি সাহা। স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়েই ভিনরাজ্যে যাওয়া। কিন্তু সব শেষ। হস্টেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে রীতির মৃত্যু হয়েছ। কিন্তু তাঁর পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ উঠেছে ব়্যাগিংয়েরও।
পরিবার সূত্রে খবর, ১৪ জুলাই রাতে হস্টেলের সুপার ফোন করে জানান, ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে রীতি। খবর পেয়ে ১৫ তারিখই বিশাখাপত্তনমে পৌঁছন তাঁরা। তখন হাসাপাতালে ভর্তি তাঁদের একমাত্র মেয়ে। কিন্তু, শেষপর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না তাঁকে। দু'দিন পরেই স্তব্ধ হয়ে গেল হৃদস্পন্দন, বাঁচানো গেল না রীতিকে।
জানা গিয়েছে, রীতির বাড়ি টালিগঞ্জে। পরিবার সূত্রে খবর, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন রীতি। স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেকারণে পাড়ি দিয়েছিলেন অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনমে। সেখানকার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন। হস্টেলে থাকছিলেন। সেই হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রীতির।
হস্টেল কর্তৃপক্ষ বলছে আত্মহত্যা। আর পরিবার বলছে খুন। মৃতার বাবা জানান, হস্টেলের ঘরে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছিল, সেই অভিযোগ জানিয়েছিল তাঁর মেয়ে। সেই আক্রোশ থেকেই খুন করা হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুতে টনক নড়েছে ইউজিসি থেকে শুরু করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের। এই আবহেই এবার আরও এক বাংলার পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে রহস্যমৃত্যু হয় মেদিনীপুরের সৌরদীপ চৌধুরীর। পরিবারের অনুমান, অত্যাধিক ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েই প্রাণ গিয়েছে সৌরদীপের। যাদবপুর ঘটনার পর সৌরদীপের মৃত্যুর বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে মৃত যুবকের পরিবার।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সৌরদীপ, অর্থাৎ তিনিও ছিলেন প্রথম নরসের পড়ুয়া। উচ্চমাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭৫%, এরপর ভিন রাজ্যের ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তাঁর বাবার কাছে ফোন আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সৌরদীপের। প্রশ্ন উঠছে তবে কি একধিক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজই এই ব়্যাগিং পুষছে?
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায় একটি বাস। সোমবার, ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) প্রকাশম জেলার দারসিতে। জানা গিয়েছে, বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিস (police) সূত্রে খবর, এই ঘটনায় মৃত্যু (death) হয়েছে এক শিশু-সহ সাত জনের। আহত হয়েছেন প্রায় ২৯ জন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় উদ্ধারকারী (rescuer) দল এবং পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পোডিলি থেকে কাকিনাড়ার উদ্দেশ্য়ে আসছিল বিয়েবাড়ির যাত্রীবোঝাই একটি বাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দারসির কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে বাঁদিকে চলে যায় বাসটি। তখনই রাস্তার পাশের গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে গতি বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান চালক।
VIDEO | Several people killed after a bus fell into a canal in Andhra Pradesh's Prakasam district earlier today. pic.twitter.com/wZ03asZOjB
— Press Trust of India (@PTI_News) July 11, 2023
রাস্তার পাশেই নাগার্জুন সাগর খালে বাসটি পাল্টি খেয়ে খালের মধ্যে পড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর যাত্রীদের উদ্ধার করে দারসি এবং ওঙ্গোলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, বিয়েবাড়িতে যাওয়ার জন্য ওই সরকারি বাসটি ভাড়া করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শাক-সবজির (Vegetables) দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে চোরেরা এখন হয়তো সোনা লুঠ করা ছেড়ে সবজি লুঠ করতেই নেমেছে! কারণ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, কর্নাটকে এক চাষের ক্ষেত থেকে চুরি হয়েছে লক্ষাধিক টাকার টোম্যাটো (Tomato)। এবারে ফের এমনই খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এবারের জায়গা হল অন্ধ্রপ্রদেশ। জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের এক বাজার থেকেই এবারে চুরি করা হল টোম্যাটো ও লঙ্কা। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ডোরনাকালের।
লাকপথি নামের এক সবজি বিক্রেতা জানিয়েছেন, বুধবার তিনি তাঁর সবজির দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলেন। এরপর রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এসে বাক্সে বাক্সে ভরা টোম্যাটো ও লঙ্কা চুরি করে চম্পট দিয়েছে। প্রায় ২০ কেজির মতো টোম্যাটো চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এছাড়াও অন্য দামী দামী সবজি লুঠ করেছে বলে দাবি তাঁর।
লাকপথি আরও জানিয়েছেন, তাঁর দোকানের সবজি চুরির জন্য তিনি পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও পরে সেই বাজারে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দুষ্কৃতীদের মুখ দেখা গিয়েছে। তাদের খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
ফের দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল রেল। এবারে স্থানীয়দের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার থেকে প্রাণে বাঁচলেন আরও একটি যাত্রীবাহী ট্রেন (Train)। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বাপাতলা জেলায়। জানা গিয়েছে, রেললাইনে ছিল ফাটল, আর এটি প্রথম স্থানীয়দেরই চোখে পড়ে। আর তা দেখা মাত্রই বিষয়টি রেলকর্মীদের খবর দেন স্থানীয়রা। সেই সময় ওই পথ দিয়ে আসছিল সঙ্ঘমিত্রা এক্সপ্রেস। ফলে ট্রেনটি থামানো হয় ও অল্পের জন্য রক্ষা পায়।
২২ জুন, বৃহস্পতিবার সকালে চিরালা টাউন এলাকার কাছে রেললাইনে ফাটল দেখতে পান ইপুরুপালেম এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। এরপরই তড়িঘড়ি রেলকর্মীদের খবর দেন তাঁরা। অন্যদিকে সেই লাইন দিয়েই সেসময় আসছিল সঙ্ঘমিত্রা এক্সপ্রেস। সেই সময় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রেলকর্মীদের একটি দল। ফলে ফাটলের বিষয়ে জানার পর সঙ্গে সঙ্গে রেলকর্মীরা ওই ট্রেনটিকে থামান। এরপর রেললাইন মেরামতের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেন রেলের আধিকারিকরা। সারানো হয় রেললাইন। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়েছিল সঙ্ঘমিত্রা এক্সপ্রেস। রেললাইন ঠিক করার পরই ফের ওই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
বিয়ারের বোতল (Beer Bottle) ভর্তি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যেতেই অবাক করা কাণ্ড। গাড়ি উল্টে যেতেই সেখান থেকে দেদার চুরি হয়ে যাচ্ছে বিয়ারের বোতল। মঙ্গলবারের ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (AndhraPradesh) কাসিমকোটা মন্ডল জেলার।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেয়াভরামের জাতীয় সড়কে মদ বহনকারী একটি ট্রাক যাওয়ার সময় উল্টে যায়। গাড়িতে মোট ২০০টি বক্স ভর্তি বিয়ার ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যাওয়ার পরে বিয়ারের বোতল গাড়ি থেকে মাটিতে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু বিয়ারের বোতল ভেঙে যায়। এরপর বিয়ারের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, এই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা ট্রাকের চালককে সাহায্য করার পরিবর্তে একে একে বিয়ারের বোতল কুড়োতে থাকেন।
অন্যদিকে জানা যায়, এই ঘটনার পর ট্রাকের চালক আহত হয়েছেন। তবে এমন মদ চুরি করার ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন কিছু নয়। মদ বহনকারী ট্রাক এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরে অন্ধ্রপ্রদেশে স্থানীয় মানুষজনদের মদের বোতল চুরি করার রেকর্ড এর আগে একাধিক রয়েছে।
ফের বন্দে ভারতকে (Vande Bharat Express) লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে ট্রেনের জানলার কাঁচ ভাঙার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পাথরের আঘাতে ট্রেনের সি-৮ কোচের জানলার কাঁচ ভেঙে যায়। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমে। এই নিয়ে গত তিন মাসে তিন বার বিশাখাপত্তনম-সেকেন্দ্রাবাদ বন্দে ভারতে পাথর হামলার ঘটনা ঘটল। ফেব্রুয়ারিতে এই শাখার বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ায় আপৎকালীন জানলার কাঁচ ভাঙে। জানুয়ারিতেও পাথর মারা হয়েছিল বন্দে ভারতে।
রেল সূত্রে খবর, বিশাখাপত্তনম স্টেশন থেকে ট্রেনটিকে যখন কোচিং ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময়ই এই ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর মারায় ট্রেনের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। ফলে বিশাখাপত্তনম স্টেশন ছেড়ে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে যাওয়া ট্রেনটি চার ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে।
ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অনুপ কুমার সেতুপতি জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকীরাদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরপিএফ অফিসারেরা অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করছি এই ধরনের কাজে প্রশ্রয় দেবেন না। ট্রেনের এক একটি জানলার কাচের দাম ১ লক্ষ টাকা।”
মার্চ মাসে তেলঙ্গানার একাধিক জায়গায় বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল। তখনই দক্ষিণ-মধ্য রেল কঠোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে বলেন, অভিযুক্তদের পাঁচ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হবে। কিন্তু তারপরেও বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। রেলের তরফে বার বার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও বন্দে ভারতে পাথর হামলা হয়েই চলেছে।
একটি মামলার প্রেক্ষিতে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের (Andhra Pradesh High Court) মন্তব্য, ঘরকন্নার কাজ না পারায় শাশুড়ির বকাঝকাকে গার্হস্থ্য হিংসা বলা যাবে না। এমনকি এই ‘অপরাধে’ কারও বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় মামলাও হতে পারে না। জানা গিয়েছে, ২০০৮-র এপ্রিল মাসে বিয়ে হওয়া মাত্র ৮ মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় তরুণীর। মৃতার পরিবারের তরফে স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় অভিযোগ, বিয়েতে পণ দিতে না পারার কারণেই মেরে ফেলা হয়েছে মেয়েকে। এমনকি মৃতা বাড়ির কাজ করতে না পারলে তাঁর উপর ভীষণ অত্যাচারও করা হত, এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনা। তবে এই বিষয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি ভিআরকে কৃপাসাগর তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, 'এর মধ্যে হিংসার কিছু নেই।'
এই ঘটনাকে বিচারপতি গৃহহিংসার তকমা না দিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, 'প্রতিটি সংসারেই ঘরকন্নার কাজ করতে না পারলে পুত্রবধূদের বকাঝকা করা হয়। কোনও কোনও সময় অন্যের উদাহরণ টেনে ভাল কাজ করার প্রেরণাও জোগানো হয়। কিন্তু এমনটা কখনও ঘটে না যে, কেউ সংসারের কাজ না পারলে তাঁকে মারধর করা হয়। পণ না পাওয়ায় অত্যাচার করা হলে তখনই সেটি হিংসার পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।' এই বলে মৃতার শাশুড়ি এবং স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল তা খারিজ করে দেন বিচারপতি।
ওষুধের ল্যাবে অগ্নিকাণ্ড। আগুনে (Fire) পুড়ে মৃত্যু (Death) হয়েছে সেখানে কর্মরত ৪ কর্মীর। সোমবার সন্ধ্যায় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগুনে গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) আনকাপল্লির একটি ওষুধের ল্যাবে (Pharma Company Lab)।
পুলিস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরবদা লরাস ফার্মা ল্যাবস লিমিটেড কোম্পানির ওষুধের ল্যাবে সোমবার রাতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় কর্মরত ৪ জনের।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিস এবং দমকলে। দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আহত কর্মী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অমরনাথ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিকে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন। শিল্পমন্ত্রী এও বলেন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটনা, তার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একসঙ্গে প্রায় ৪০টি বাঁদরের (monkeys) মৃতদেহ (Dead) উদ্ধার। স্থানীয়রা ঝোপের মধ্যে স্তূপাকৃত অবস্থায় এতগুলো বাঁদরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এই অমানবিক ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীকাকুলাম (Srikakulam) জেলার কবিতা মণ্ডলম শিলাগাম এলাকার।
স্থানীয়রা জানায়িছেন, আরও কয়েকটি বাঁদর অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। তাঁরা ওই অচেতন বাঁদরগুলিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না তারা। বন বিভাগ মৃত বাঁদরগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং পশু আইনে মামলা দায়ের করে।
শ্রীকাকুলামের কাসিবুগা বন কর্মকর্তা মুরালি কৃষাণ বলেন, 'আমরা জেলায় এমন ঘটনা আগে দেখিনি। কেউ বানরগুলোকে ট্রাক্টরে করে গ্রামের বনাঞ্চলের কাছে ফেলে রেখেছিল। এই ঘটনায় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বাঁদর মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই বানরগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। এ ঘটনায় পশু আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।'