নয় রাজ্যের বিধানসভা ভোট (Assembly Poll 2023) এবং চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে জেপি নাড্ডাতেই (JP Nadda) ভরসা বিজেপির। ২০২৪ পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP President) থাকছেন সেই নাড্ডাই। অর্থাৎ আরও এক বছর তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধিতে সায় মোদী-শাহদের। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও বিজেপির সংবিধান মেনে পূর্ণ সময়ের সভাপতির মেয়াদ ৩ বছর। অর্থাৎ দ্বিতীয়বার দলের শীর্ষ পদে তাঁর মেয়াদ বাড়লে ২০২৬ পর্যন্ত তাঁর সভাপতিত্ব থাকার কথা। কিন্তু আপাতত সাধারণ নির্বাচন পর্যন্তই অর্থাৎ ২০২৪ পর্যন্ত তাঁকে কাজ চালাতে বলেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
এর আগে ২০১৪ থেকে ২০২০, ছয় বছর মোট দু'দফায় বিজেপি সভাপতি ছিলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর শাহ জানান, আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত বিজেপির সভাপতি হিসাবে থাকবে নড্ডাই।
জানা গিয়েছে ২০২৪-র জুন পর্যন্ত সভাপতি থাকবেন নড্ডা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, চলতি বছর ৯ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তালিকায় আছে মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, ছত্তিশগড়, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলো। আবার এই বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তে নাড্ডায় আস্থা রেখে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে চাইছে পদ্মশিবির।
অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) ছাড়তে এসে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) গলায় 'টাইম হো গায়া' প্রসঙ্গ। কীসের 'সময় হয়েছে'? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জোর চর্চা শুরু বাংলার রাজনীতিতে (Bengal politics)। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের তোলা প্রশ্নের জবাব খানিকটা শুভেন্দুর গলা থেকেই বেড়িয়েছে। শনিবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah at Kolkata) কলকাতা বিমানবন্দরে ছাড়তে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ। সেই কর্মসূচির পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য অফিসে অমিত শাহের উপস্থিতিতে কী বৈঠক হয়েছে?
সংবাদ মাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কালকের (শুক্রবার) বৈঠকের শুধু একটা কথা আমি বলতে পারি, কেউ একজন বলেছে টাইম হো গায়া! কে বলেছে বলছি না, টাইম হো গায়া। অর্থাৎ বাংলার বড় ডাকাতরা, চোররা, অত্যাচারীরা, পরিবারবাদ এবং তোষণবাদে আমদানি করা লোকেরা, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন এবং সংবিধান মেনে যা যা ব্যবস্থা করা উচিৎ, সেটা করা হবে। এই ব্যাপারে আমার বৈঠকে আশ্বাস পেয়েছি।'
তিনি জানান, 'মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিতজির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সোমবার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে, সেই বৈঠকে আমারও ডাক পড়েছে। কিন্তু অমিতজি আমাকে বলেছেন, তুমি সোমবার ফিরবে না, মঙ্গলবার তোমাকে আধ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি সংসদে আমার অফিসে এসে সাক্ষাৎ করবে। অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করার আছে। তাই রাজ্য সভাপতি আর তোমার সঙ্গে আলোচনা করবো।'
এদিকে, শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, ভালো দিনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও। তিনি এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে বলেন, 'শুক্রবারের বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় এবং দলের আগামি কর্মসূচি নিয়ে জানতে চান অমিত শাহ। পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন, যার তর্জমা কিছুটা দাঁড়ায় আগামি দিনে বাংলার জন্য ভালো দিন বা আচ্ছে দিন।'
নবান্নে ইস্টার্ন জনাল কাউন্সিলের (Nabanna Meeting) মিটিং শেষে মধ্যহ্নভোজ সারেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah at Kolkata)। এরপরেই নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Mamata-Shah meeting)। জানা গিয়েছে, আন্তঃরাজ্য সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জলাধার থেকে জলছাড়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) পৌঁছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সেখান থেকে বিএসএফ-র বিশেষ বিমানে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় বারানসী থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে আসেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে, রাজ্যর তরফে অমিত শাহকে বিদায় জানাতে কলকাতা বিমানবন্দর উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু এবং শশী পাঁজা।
বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নবান্নে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দপাধায়-সহ ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশার প্রতিনিধিরা। ছিলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। ১) সীমান্তে বিএসএফ-র অতি সক্রিয়তা নিয়ে আপত্তি জানতে পারে মুখ্যমন্ত্রী। বিএসএফ-র এলাকা বাড়ানো নিয়েও আপত্তি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর।
২) আলোচনায় উঠে আসতে পারে অভিন্ন পুলিস আইন নিয়ে। কেন্দ্র চাইছে সারা দেশে পুলিশি ব্যবস্থা এক আওতায় আনতে। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলেছে অবিজেপি রাজ্যগুলি। সেই বিষয়েও আজকের বৈঠকে আপত্তি জানতে পারেন পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর।
৩) বিভিন্ন ক্ষেত্রে তদন্তের নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানতে পারেন পূর্ব ভারতের ৪ রাজ্য।
জানা গিয়েছে, দেড়টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজের সূচি আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর। তারপরেই কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: শনিবারে মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah at Kolkata)। তবে এটা নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎকার নয়, ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক। এই অনুষ্ঠানে আহ্বান করা হয়েছে উত্তর পূর্ব-ভারতের (North East State) স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রীদের। এই সভা হওয়ার কথা ছিল ৫ নভেম্বর কিন্তু অমিত শাহের বিশেষ সভা থাকার জন্য তা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, যা যা ঘটছে তাতে অমিতজি আসবেন না। কিন্তু এটা একেবারেই সরকারি জরুরি বৈঠক তাই বিলম্ব হলেও তিনি আজই বিকেলে কলকাতায় এসে পৌছবেন। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা আসছেন। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন তিনি আসতে পারবেন না। শনিবারের সভার পৌরহিত্য করবেন অমিত শাহ এবং চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকছেন মমতা বলেই সংবাদ।
অমিত একদিন আগেই আসছেন কারণ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর লেনে বৈঠক করবেন প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে। উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। থাকতে বলা হয়েছে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫ সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতাদের। এঁরা যথাক্রমে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতির্ময় মাহাতো ও দীপক বর্মন।
দলের অভ্যন্তরের কী অবস্থা, রাজ্য নেতৃত্বের কোনও নেতার, বিশেষ কারও বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অভিযোগ রয়েছে কিনা? সেসব শুনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যদি কোনও ড্যামেজ থাকে সেটা কন্ট্রোল করে, দলকে উজ্জীবিত করতে শুক্রবার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বসছেন অমিত শাহ। পাল্টা দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হতে পারে মুরলীধর সেন লেন, এমনটাই সূত্রে খবর।
এখনই হচ্ছে না ৫ নভেম্বরের প্রস্তাবিত পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা (Eastern Zonal Security Council) পরিষদের বৈঠক। আপাতত তা পিছিয়ে দেওয়া হল। তবে পরবর্তী দিন এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানানো হয়নি বলেই খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) পৌরহিত্যে ৫ নভেম্বর নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আয়োজক রাজ্য হিসেবে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সদস্য রাজ্য হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের। কিন্তু বিশেষ কাজ পড়ে যাওয়ার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে নবান্নকে।
সেই সঙ্গে এটাও জানানো হয় পরবর্তী বৈঠকের দিন সঠিক সময়েই জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে বৈঠক হবে ধরে নিয়ে নিজেদের সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরেছিল নবান্ন। আন্তঃরাজ্য সম্পর্কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমারেখায় বিএসএফের ভূমিকা, বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি, চোরাচালান, অনুপ্রবেশ-সহ সব বিষয়ে আলোচনা করতে নিজেদের প্রস্তুত রেখেছিল নবান্ন।
এদিকে দু’দিন আগে হরিয়ানার সূরযকুণ্ডে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বাড়ির কালীপুজো ও ভাইফোঁটা-র কারণেই মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফ থেকে ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন এডিজি হোমগার্ড নীরজ সিং। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের ডাকা হয়েছিল সেই বৈঠকে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হলেও ৫ তারিখ বৈঠক হলে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যেত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সম্ভাব্য বৈঠক ঘিরেও একটা চাপা রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছিল।
সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে নভেম্বরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, মাসের শুরু দিকে আসছেন শাহ এবং শেষের দিকে আসবেন মোদী। আলোচ্য বিষয়, দুজনের কর্মসূচিতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, শাহ ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চল পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে একটি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসবেন। ওই বৈঠকে পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন নীতিশ কুমার। ফলে তাঁর সঙ্গেও দেখা হয়ে যাবে মুখ্যমন্ত্রীর।
'নমামি গঙ্গা' কর্মসূচি উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদীর কলকাতায় আসার কথা নভেম্বরের শেষে। দিল্লিতে মোদী-মমতা বৈঠক হয়েছে মাসখানেক আগে। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় নানারকম চর্চা। এরপরে সম্ভবত এই কর্মসূচি হবে তাঁদের দু’জনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এর মধ্যেই ২ নভেম্বর মমতার চেন্নাই সফরও আছে। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই চেন্নাই যাচ্ছেন বলে খবর। চেন্নাই পৌঁছে প্রথমেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।
২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব রাজ্যে এনআইএ-র (NIA) দফতর খোলা হবে। সাইবার ক্রাইম, সন্ত্রাস, মাদক পাচারের মতো অপরাধের (Organised Crime) ক্ষেত্রে রাজ্যের পাশাপাশি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই কারণে আগামী দিনে এ ধরনের অপরাধ রুখতে রাজ্যগুলিকে এনআইএ-র সঙ্গে বোঝাপড়া করে এগোনোর পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah)।
ফরিদাবাদের সুরজকুণ্ডে দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিয়ে দু’দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কর্তা, গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান, আধাসামরিক বাহিনীর ডিজি-র উপস্থিতিতে ওই সম্মেলনে এমনটা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সম্মেলনে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সম্মেলনে যাননি মুখ্যমন্ত্রী।
যেহেতু বদলাচ্ছে অপরাধের সংজ্ঞা এবং সীমানা, আগামী দিনে এ ধরনের অপরাধ রুখতে রাজ্যগুলিকে এনআইএ-র সঙ্গে বোঝাপড়া করে এগোনোর পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ এ দিন জানান, রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা বিধিবদ্ধ করতে প্রয়োজনে আইনও আনতে পারেন তাঁরা। সে সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে বেশ কিছু সংস্কারের পথেও হাঁটছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, '২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব রাজ্যে এনআইএ-র দফতর খোলা হবে।' এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে রাজ্যে ঘটে যাওয়া অপরাধের তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধী দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ বলে সরব তৃণমূল, সিপিএম।
জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনায় নয়। বারামুলায় আয়োজিত এক জনসভায় স্পষ্ট জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, 'উপত্যকার ঘাঁটি থেকে সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটন করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গা বানাতে চাই।' কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিচ্ছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষের সুরে শাহ বলেন, 'যারা ৭০ বছর ধরে রাজত্ব করেছে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে বলে। আমরা কেন পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলব? আমরা কথা বলব না। আমরা বারামুলাবাসীর সঙ্গে কথা বলব। আমরা কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে কথা বলব।'
জনসভা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেস এবং সে রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা-মুফতিদেরও নিশানা করে। তাঁর দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে কাশ্মীরে উন্নয়ন হয়নি। তার জন্য দায়ী আবদুল্লা-মুফতি এবং নেহরু-গান্ধীরা। শাহের কথায়, 'চারটে মে়ডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছিলেন মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লা। ২০১৪ সালের পর থেকে আমরা ন’টা মেডিক্যাল কলেজ করেছি। এক লক্ষ বাড়ি বানিয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের সব গ্রামে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করেছি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সম্ভবত বছর ঘুরলেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। তাই সেই ভোটে পালে হাওয়া পেতে এখন থেকেই জমি তৈরি রাখছেন অমিত শাহ।
পুজো উদ্বোধনে শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে খবর, দলীয় কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো-সহ সল্টলেকের একটি পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি। মহালয়ার (Mahalaya) দিন আসছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। তিনি ঘুরে গিয়ে রিপোর্ট দিলেই স্থির হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চূড়ান্ত সূচি। মূলত এ বছর ইজেডসিসি-তে পুজোর আয়োজন করতে পারে বিজেপি। সেই আয়োজন খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে, এবার বিজেপির পুজোয় একাধিক সংশোধন-বিয়োজন। এই পুজোয় পুরনোদের অধিকাংশ বাদ। প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দেওয়া হয়েছে এবার পুজো কমিটি থেকে। গত দু'বছর তাঁর নামেই সংকল্প হয়ে পুজো হয়েছিল। এবার পুজো দেখবেন অগ্নিমিত্রা পাল। থাকবেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এবার নতুন পুরোহিত সামলাবেন পুজো। সব ঠিক থাকলে মহিলা পুরোহিত এবার পুজো করবেন। তাঁর নাম সুলতা মণ্ডল। গত দু'বার পুজো করেছে ক্যালচারাল সেল। এবার তাদের আয়োজন থেকে বাদ রাখা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রুদ্রনীল ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারকে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লেখেন।
প্রসূন গুপ্ত: রাজনীতি থেকে সেলিব্রেটিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচার হয়েই থাকে। এতে কোথাও মানুষের একটা উৎসাহ জাগে নতুন করে ওই সেলেবদের প্রতি। ৯০ দশকে অমিতাভ বচ্চনের একের পর এক ছবি যখন ফ্লপ করছে, তখনিই নাকি তাঁরই পরিচিতরা মিডিয়ার কাছে অমিতাভ রেখার প্রেমের গুঞ্জন তুলে ধরেছিল। তাতে আখেরে লাভ হয়েছিল বিগ বি-এর। শাহরুখ-আমিরদের ছেড়ে অমিতাভের নতুন ছবিগুলির প্রতি আগ্রহ বেড়েছিল দর্শকদের। রাজনীতিতেও নেতিবাচক প্রচার চিরকাল হয়ে এসেছে। ওই প্রচারে লাভবান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই যাঁকে নিয়ে গুঞ্জন বা নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী নিয়ে চূড়ান্ত নেতিবাচক প্রচার হয়েছিল। স্বয়ং রাহুল গান্ধী সারা দেশে প্রচার করেছিলেন ,"চৌকিদার চোর হে"। এই প্রচারে আখেরে লাভ হয়েছিল মোদীরই। সেটা ভোট পরবর্তী ফলেই প্রতিফলিত হয়েছিল।
মানুষের ভাবনার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল মোদীর বিষয়। এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে মোদী-সহ বিভিন্ন দিল্লির নেতারা মমতাকে " দিদি ও দিদি " বা নানা কটূক্তিতে ভরিয়ে দিয়েছিলেন, মমতা বিশাল ভোট নিয়ে ফিরে এসেছেন। একই ঘটনা হয়েছিল অভিষেকের ক্ষেত্রেও। শুভেন্দু থেকে নানা নেতা তাঁকে 'তোলাবাজ' ইত্যাদি বাক্য দিয়ে কোনঠাসা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু নেতিবাচক প্রচারে লাভবান হয়েছিলেন অভিষেক। আজ তৃণমূলের নিচুতলায় তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এমনটাই শাসক শিবির সূত্রে খবর।
এবার সেই অভিষেক ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে বললেন, অমিত শাহ নাকি দেশের সবচেয়ে খ্যাতনামা পাপ্পু। পরদিনই বাজারে হাজার হাজার টি শার্ট বেরিয়ে গেলো অমিত শাহের ছবি সমৃদ্ধ। সোশাল নেটওয়ার্ক (বিশেষ করে তৃণমূলীদের) গমগম করছে অমিত শাহর পাপ্পু ছবি বা শার্ট।
সবাই জানে মোদী যদি ২০২৪ এর নির্বাচনে জিতে আসেন তবে হয়তো এটাই তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের লাস্ট টার্ম। এরপরে কে? ২০১৪-র নির্বাচনের আগে আরএসএস দেখেছিল সেসময়ে মোদী ইতিবাচক বা নেতিবাচক ক্ষেত্রে সবচেয়ে নামি মুখ। এবার দেখার পালা সারা দেশে তাঁর পরে কে বেশি জনপ্রিয়। অমিত শাহের এই ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রচার যত বেশি হবে ততই তাঁর ইউএসপি বাড়বে। কাজেই অভিষেকের পাপ্পু প্রচার কিন্তু অমিতকে নিয়ে ভাবনার জায়গাটা অনেক বাড়িয়েছে। বুদ্ধিমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু বলতেই পারেন, "অমিত খুশ হুয়া"।
মেঠো ভাষণ আর আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় অনেক ফারাক। মাঠে ময়দানের ভাষণ সাধারণত একটা হৈহৈ বা হওয়া গরম করা কথাই পেশ করেন রাজনীতিবিদরা। বাম জমানায় প্রমোদ দাশগুপ্ত এ বিষয়ে এক্সপার্ট ছিলেন কিন্তু হওয়া গরম ভাষণ কোনও দিনও জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেববাবুরা দিতে পারতেন না। কংগ্রেসি সংস্কৃতির ভাষণও সে প্রকার। তাঁরা কখনও নরেন্দ্র মোদীর মতো মেঠো বক্তৃতা দিতে পারেন না, যা ইন্দিরা পারতেন। মেঠো ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা উত্তর যুগে অন্যতম সেরা। তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে হিন্দি ইংরেজি ইত্যাদি মিলিয়ে মিশিয়ে ভাষণ দিয়ে থাকেন চিরকাল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই ভিন্ন চরিত্রের। তাঁর উঠে আসা মাত্র কয়েক বছর কিন্তু নিজেকে গড়েপিঠে তৈরি করেছন। এবং কখনও নরম, কখনও গরম ভাষণ দিলেও তার মধ্যে যুক্তি সর্বদা এমন ভাবেই খাড়া করেন যে মানুষ, যারা শ্রোতা তারা ভাবেন, তাই তো এমনটাই ঘটেছে।
ব্যতিক্রম ছিল না সোমবারও। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান একদিন উদযাপন করে টিএমসিপি। এই অনুষ্ঠানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন অরূপ বিশ্বাস এবং ববি হাকিম। এরপরেই অভিষেক তাঁর ভাষণে প্রথমে ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'ঘরে ঘরে গিয়ে গরিব ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য।' এরপর তিনি আস্তে আস্তে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ ছিল অমিত শাহ ও তাঁর পরিবারকে আক্রমণ। তিনি সোজাসুজি বললেন, 'কয়লা গরু পাচারের দায়ে কার? কেন্দ্রীয় পুলিস কী করছে এবং তাদের মন্ত্রী অমিত শাহ দায় এড়াতে পারেন কি?' অর্থাৎ প্রকারান্তে অনুব্রত থেকে অন্যান্য নেতাদের আগে কয়লা-গোরু পাচার-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় পুলিস জবাব দিক।
এরপরই রবিবারের হাই ভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বিরাট-হার্দিক-রোহিদের জয়ের প্রসঙ্গ টানেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা করেন বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহের পুত্র জয় শাহকে। একটি ছবি এবং ভিডিও সোশাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারত জেতার পর গ্যালারিতে বসা জয় শাহকে কোনও এক ক্রীড়া অনুরাগী একটি জাতীয় পতাকা হাতে দিতে চাইছে, সেই তেরঙ্গা নিতে অস্বীকার করছেন অমিত পুত্র।
এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, 'এটা দেশ-বিরোধী কাজ অতএব জয়কে অবিলম্বে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বহিষ্কৃত করা হোক।' পাশাপাশি দেশের নানা প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'সংবাদ মাধ্যম সত্যিটা তুলে ধরুন।' অবশ্য তিনি দলনেত্রীর মতো মিডিয়াকে আক্রমণ করেননি।'
ঠিক কী কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
প্রসূন গুপ্ত: ২০১৯-এর ভোটে বাজপেয়ী বা আদবানি ঘনিষ্ঠ অনেকে বিজেপির টিকিট পায়নি। বয়সের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর জোশীর মতো নেতাদের। প্রার্থী ছিলেন না যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা-সহ অনেকেই। তাৎপর্যের বিষয় এই যে এঁরা সকলেই বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এদের কেউ কেউ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন, কেউ আবার কংগ্রেস বা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শত্রুঘ্ন তো সম্প্রতি ফের লোকসভা সদস্য হয়েছেন তৃণমূলের টিকিটে।
এই ব্যতীত বিজেপির সংসদীয় বোর্ড আছে নীতি নির্ধারক কমিটি। যার সদস্যরা প্রবল ক্ষমতাবান এবং দলের সংগঠনের পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকে। ১১ জন সদস্য সারা ভারত থেকে এই দায়িত্বে।
সদ্য গঠিত বোর্ড দেখলেই বোঝা যাবে আসন্ন ২০২৪-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে মূলত মোদী, অমিত শাহ ঘনিষ্ঠরাই দায়িত্বে এলেন। নতুন কমিটির প্রায় সবাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের নেতা। কিন্তু এই সংসদীয় কমিটি আরএসএস-র নির্দেশে হয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলো না। এই কমিতিতে জায়গা পায়নি যোগী আদিত্যনাথ।
তবে বাদ গিয়েছেন জাতীয় রাজনীতির মামা অর্থাৎ দীর্ঘদিনের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। শিবরাজ বরাবর আদবানি ঘনিষ্ঠ হিসেবে গেরুয়া শিবিরে পরিচিত। সবাইকে চমকে দিয়ে বাদ গিয়েছেন বাজপেয়ী-আদবানি ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়িও।
নীতিন গডকড়ির বাদ যাওয়া সম্ভাব্য ছিল, কিন্তু যোগী? জানা গিয়েছে, গুণগানে তিনি কোনও দিনই মোদীর পছন্দের নয়। পছন্দের নয় অমিত শাহেরও। অথচ শোনা যাচ্ছিলো মোদীর পর নাকি যোগীই বিজেপির মুখ। সেই রাস্তাটাই কি এবার তবে বন্ধ করে দেওয়া হলো? মোদীর উত্তরসূরি হিসেবে খুলে গেলো অমিত শাহের সম্ভাবনা? অন্যদিকে কমিটিতে এলেন কর্ণাটকের বিতর্কিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়াদুরাপ্পা। এ ছাড়া যাঁরাই এসেছেন তাঁরা মোদী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ব্যতিক্রম শুধু রাজনাথ সিং। বাজপেয়ীর স্নেহধন্য রাজনাথ রয়ে গেলেন, তবে তা কতদিনের জন্য তার উত্তর পাওয়া যাবে ২০২৪ এর টিকিট তাঁর ভাগ্যে আছে কিনা দেখার পর।
দেশের মাটিতে স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আনন্দ। যুদ্ধ, আন্দোলন, অন্যায় অত্যাচার, সহস্র প্রাণের বলিদানের বিনিময়ে পাওয়া ১৯৪৭-র ১৫ অগাস্ট। এ বছর আবার সেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অর্থাৎ ৭৫তম বর্ষ (75th Independence Day)। সে উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ নজির স্থাপন এবং উল্লেখযোগ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৫১ জন পুলিসকর্মীকে (Police) এই পদক দেওয়া হবে বলে জানায়। ১৫১ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ২৮ জন। এই তালিকায় রয়েছে বাংলার ৮ পুলিসকর্মী। আর সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে ১৫ জন সিবিআই (CBI) আধিকারিকের নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিস (Maharastra Police)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সিবিআই কর্মকর্তাদের মধ্যে ডেপুটি সুপার, ইনসপেক্টর রয়েছেন। কয়েকজনের নাম-- নয়াদিল্লির সিবিআই শ্রী সুরেন্দর কুমার রোহিলা, ভাদৌরিয়ার সিবিআই শ্রী প্রমোদ কুমার, গান্ধীনগরের শ্রী সন্দীপসিং সুরেশসিংহ, শ্রী কুমার ভাস্কর, কলকাতার শ্রী দীপক কুমার, ইন্সপেক্টর, সিবিআই।
অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের তরফ থেকে সম্মান পাবেন ১২ জন আইপিএস। রেড রোডের মঞ্চ থেকেই আইপিএসদের সম্মান তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'চিফ মিনিস্টার পুলিস মেডেল' নামে এই সম্মান আইপিএসদের তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। হাওড়ার পুলিস কমিশনার। কলকাতা পুলিসের তিনজন ডেপুটি কমিশনার। ডিআইজি র্যাঙ্কের দুই আইপিএস অফিসার। এছাড়াও ডিআইজি এবং এডিজি র্যাঙ্কের পুলিস আধিকারিকদের তুলে দেওয়া হবে সম্মান।