Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

AmitShah

BJP: দল ভেঙে বিজেপিতে

প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা নির্বাচনের আর মাস দুয়েকও নেই। কিন্তু ২০১৯-এর বিজেপি তথা এনডিএর বিশাল জয় এবং একই সাথে ইন্ডিয়া জোটের হতশ্রী অবস্থা দেখে বিভিন্ন দল থেকে সাংসদ-বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা বিজেপিতে যেতে চাইছে। যাচ্ছেও বটে। একটা সময়ে এই বিজেপি দল ছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ। মূলত আরএসএস করা কর্মী এবং প্রচারকরা জনসঙ্ঘতে আসতো। এটিই দস্তুর ছিল। পরে ১৯৭৭-এ ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার পরে গোটা দলটাই নব নির্মিত জনতা পার্টিতে যোগ দেয়। জনতা পার্টি ভেঙে যায় '৭৯ তেই। তৈরি হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তখন পুরাতন জনসঙ্ঘ ছাড়াও অনেকেই এই দলে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই সঙ্ঘ পরিবারের হাতেই অনেকটা নিয়মাবলী ছিল।

১৯৯৮-তে প্রথম বিজেপির নেতৃত্বে ভারতের ক্ষমতায় আসে এক নতুন জোট নাম এনডিএ। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স। এই জোটে বহু দলের সমন্বয় ছিল। এখানে যেমন সোশ্যালিস্ট পার্টির একটি অংশ ছিল তেমনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান্ধীবাদী কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন দলও ছিল। সময় পাল্টেছে ফের গত ১০ বছর ক্ষমতায় সেই এনডিএ। তবে তা নামমাত্র। আসলে বিজেপি একাই একক শক্তি নিয়ে ক্ষমতায়। একটু ভুল হলো, আসলে এটি মোদী সরকার। এখানে প্রবল প্রতাপান্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে অমিত শাহ। প্রশাসন মোদীর হাতে সংগঠন শাহের কব্জায়। ইতিমধ্যে রাজ্যে রাজ্যে ভোট হয়েছে বহুবার। সব জায়গাতেই বিজেপি জিতেছে এমন নয় কিন্তু যেখানেই যে দল জিতুক না কেন লোকসভা ভোট এলেই ফের মোদী।

ব্যতিক্রম নয় এবারেও। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বিভিন্ন দল ভেঙে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। বিরোধীরা বলছে যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির চাপে নাকি এই বদল কিন্তু অন্য বিষয়ও আছে। কংগ্রেস বা অন্য বিরোধীরা বুঝেছে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসা অসম্ভব না হলেও কঠিন কাজেই ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে গেলে বিজেপিতে যাওয়া দরকার।

বিজেপি তাদের দলে নিচ্ছেও কিন্তু এই ভাবে বিভিন্ন মতবাদের মানুষ নিয়ে বৃহৎ দল তৈরি করলে বিপদও আছে। একটা সময় আসবে যখন নানা মুনির নানা মতে দলে ভাঙন লাগতে পারে। যা হয়েছিল ১৯৭৭ বা ১৯৮৯ এ। এতো দলের মধ্যেই উপদল হয়ে যাবে। শাহের মাথায় আছে কি তা?

2 months ago
Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় কারা ?

প্রসূন গুপ্ত: নরেন্দ্র মোদী লোকসভা চলাকালীন আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে দাঁড়ায় এই যে, এপ্রিলের আগে ভোট হবে না, কিন্তু ইতিমধ্যেই দেশের ৫৬টি রাজ্যসভার আসন খালি হচ্ছে, কাজেই তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণ করতে হবে। আগামী ২৭ মার্চ দেশের এই কটি আসনে ভোট যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৫টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে।

রাজ্যসভার ভোট দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র বিধায়কদের আছে। এই মুহূর্তে বাংলার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রবল শাক্তিশালী এবং তাদের দলে ২২৫ জন বিধায়ক রয়েছে (বিজেপি থেকে ভেঙে বেরিয়ে আসা ১২ জন তার মধ্যে আছে)। অন্যদিকে বিজেপির শক্তি ৬৬ জনের মোটামুটি। অতএব তৃণমূল ৪ জন এবং বিজেপি ১ জন সাংসদ বেছে নিতে পারবে। প্রশ্ন হচ্ছে কারা হতে পারেন আগামীর রাজ্যসভার সাংসদ।

গুঞ্জনে বহু নাম ঘোরাফেরা করছে। সম্প্রতি অমিত শাহ দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে বাংলার দায়িত্বে থাকা অন্য নেতাদের সঙ্গেও। সেখানে নাম উঠে এসেছে মূলত দুই ব্যক্তির, মিঠুন চক্রবর্তী এবং অনির্বান গাঙ্গুলির। অবিশ্যি দুটি নাম ঘোরাফেরা করছে মানেই তাদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। তবু নাম তাদের রয়েছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজগৃহে অনেক্ষণ আলোচনা করেছেন মমতা। যাঁরা সাংসদ ছিলেন যথা শুভাশিস চক্রবর্তী, ড.শান্তনু সেন, নাদিমুল হক এবং আবির বিশ্বাস। এ ছাড়া তৃণমূলের একাংশের ভোটে জিতেছিলেন 

কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তথা আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভী। মমতার অত্যন্ত কাছের কংগ্রেস নেতাকে ফের ফিরিয়ে আনতে পারেন এমন গুঞ্জন বাজারে আছে সে ক্ষেত্রে তৃণমূল তিন জন প্রার্থী দিতে পারবে। অথবা মমতা ৪ জন তৃণমূলকেই পাঠাবেন রাজ্যসভায়। বাদের তালিকা রয়েছে বলে খবর। বাদের খাতায় শান্তনু সেন এবং নাদিমুল রয়েছেন। যদি এমনটি হয় তবে নতুন মুখ কে হতে পারবেন ? উত্তরে জানা যাচ্ছে, এমন কাউকে মমতা পার্লামেন্টে পাঠাতে চাইছেন যিনি দলের ও দেশের হয়ে কথা বলতে পারবেন। আর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চিত্র পরিষ্কার হবে।

2 months ago
Suvendu: অমিতের ডাকে দিল্লিতে শুভেন্দু

প্রসূন গুপ্তঃ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেট অধিবেশন শুরু। যদিও সামনেই লোকসভা নির্বাচন কাজেই এই বাজেট নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন হিসাবেই থাকবে। এদিকে বাজেট যাই হোক না কেন, সোমবার রাজ্যপাল আনন্দ বোস বাজেটের আগে তাঁর সরকারের এক বছরের কাজের খতিয়ান দেবেন এবং সেই সময়ে উপস্থিত থাকবেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি, কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে ঠিক এই সময়ে এমন কি জরুরি তলব দিল্লি থেকে তাঁর কাছে এলো যে , শুভেন্দু তড়িঘড়ি দিল্লিতে রবিবার রাতেই রওনা হয়ে গেলেন! শোনা গিয়েছে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাকেই তাঁর দিল্লি গমন। সোমবার বৈঠক হবে অমিতের সাথে।

সূত্র মারফত যতটুকু জানা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন নিয়েই নাকি আলোচনা। লোকসভা তো পরের বিষয়, কিন্তু আগামী মার্চে বাংলার রাজ্যসভার ৫টি আসন খালি হচ্ছে। নিঃসন্দেহে ৪টি আসন জিততে চলেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং একটি আসন পাবে বিজেপি। এবারে এই একটি আসনের জন্য অনেক নাম ঘোরাফেরা করছে বাজারে। শোনা যাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম, রঙিন দুনিয়ার আরও কিছু নামও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক করবেন ওই অমিত শাহই। এমন কোনও নাম আসতে পারে, যাকে আসন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজেই শুভেন্দুর সঙ্গে এই বিষয় প্রাথমিক আলোচনা করতে চাইছেন শাহ। 

যদিও তিনি একই বিষয় রাজ্যের অন্য নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোমবার সকালের বিমানেই দিল্লি চলে গিয়েছেন। জানা নেই যে, শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে সুকান্ত থাকবেন কি না। এমনিতেই রাজ্য বিজেপিতে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শাহ বারবার সে বিষয় সাবধান করার পরেও সংযত হওয়ার তেমন কোনও বার্তা নেই। তবুও অমিত চাইছেন, যে ভাবেই হোক ভোটের আগে বাংলায় সকলে একসাথে কাজ করুক। এই কারণে নতুন একটি কমিটি হয়েছে যেখানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাকে। শুভেন্দু, সুকান্ত না ফেরা অবধি জানা যাবে না এই জরুরি তলব কেন! 

2 months ago


BJP: রাজ্যে বিদায়ের পথে কোন বিজেপি সাংসদরা?

প্রসূন গুপ্ত: সম্প্রতি ৩ রাজ্যের ভোটে কেন্দ্রীয় বিজেপি প্রায় দেড় ডজন সাংসদকে বিধায়ক পদে দাঁড় করিয়েছিল। এদের অনেকেই জিতেছেন কিন্তু হেরেওছেন অনেকেই। ভোটের আসরে এদের নাকি পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী করার ইঙ্গিত দিয়ে। ভোটের ফলের পর দেখা গেল এদের কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি এবং তেমন কোনও বিশেষ দায়িত্বও দেওয়া হয় নি। মুখ্যমন্ত্রী তিন রাজ্যে যাঁদের করা হল তাঁরা তেমন জনপ্রিয় নন কিন্তু নতুন মুখ। কার্যত বার্তা দেওয়া হলো, যাই হোক না কেন পরোক্ষে দিল্লিই কন্ট্রোল করবে রাজ্যগুলিকে। অবশ্য এই ফর্মুলা নতুন কিছু নয়। ইন্দিরা রাজীবদের আমলেও বেশ কিছু রাজ্যে 'yes man'দেরকেই  মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যদিও কন্ট্রোল রাখেননি ইন্দিরা বা রাজীব।

বিজেপির বার্তা পরিষ্কার, মোদী যেহেতু দলের এবং দেশের ভোটের একমাত্র মুখ, কাজেই রাজ্য চলবে দিল্লির ফর্মুলাতে। একই সাথে যাঁরা সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক হয়েছেন, তাদেরকেও বলা হয়েছে, এবারে রাজ্য নিয়েই থাকো, দিল্লিতে তোমাদের দরকার নেই। যাঁরা হেরেছেন তাঁদের কাউকেই ফের লোকসভার টিকিট দেওয়া হবে না।

এ রাজ্যে কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটে অনেক নতুন মুখ দেখা যাবে। এই নতুন মুখের বেশির ভাগই সঙ্ঘ পরিবারের নন। ছাঁটাইয়ের তালিকাটিও বেশ বড়। অনেক পুরনো সাংসদ টিকিট পাচ্ছেন না। এঁদের অনেকেই সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ আবার নব্যও আছেন অনেক। অমিত বচনে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না করে পথে নেমে, ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করতে হবে। সোশ্যাল নেটকেও মান্যতা দিয়েছেন অমিত শাহ। আরও একটি বিষয় পরিষ্কার যে ২০১৯-এর থেকে বেশি মহিলারা এবারের ভোটে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে চেনা বহু সাংসদ আসন হারাবেন। গুঞ্জনে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর মালদহ, রানাঘাট, হুগলি তো রয়েছে সঙ্গে অন্য জেলাও রয়েছে। অমিত টার্গেট দিয়েছেন এক অসম্ভব পরীক্ষার, তা ৩৫টি আসন। ৩২/৩৫ শতাংশ সংখ্যালঘু রাজ্যে এ এক কঠিন চ্যালেঞ্জ।

4 months ago
Amit Shah: ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা, অমিত শাহর বৈঠকে উঠে এল সিএএ থেকে ভাইপো প্রসঙ্গও!

লোকসভা নির্বাচনের রুটম্যাপ নির্ধারণে বঙ্গে এসেছিলেন শাহ-নাড্ডা। রবিবার রাতে শহরে পা রাখেন তাঁরা। সোমবার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণ করেন শাহ-নাড্ডা জুটি। নির্ধারণ করে দেন, ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা।

রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণ করেন শাহ-নাড্ডা জুটি। নির্ধারণ করে দেন, ৩৫আসনের লক্ষ্যমাত্রা। নির্বাচনী কোর কমিটি গঠনের পর মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগারে আইটি সেলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিএএ থেকে বাংলার দুর্নীতি সব প্রসঙ্গেই রাজ্যের শাসকদলকে কড়া আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষ যে আশা নিয়ে বাম সরকারের অবসান ঘটিয়েছিলেন, তাঁরা এখন আশাহত।' এর পরেই রাজ্যের দুর্নীতি ও হিংসা নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও অমিত শাহর বৈঠকেও উঠে এসেছে ভাইপো-প্রসঙ্গ। সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার আইটি সেলের বৈঠকে অমিত শাহর ভাষণের সময়, বিজেপি কর্মীদের একাংশ প্রশ্ন করেন, ভাইপো গ্রেফতার কবে? যার জবাবও দিয়েছেন অমিত শাহ। এছাড়াও সিএএ নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'দিদি প্রায়ই আমাদের উদ্বাস্তু ভাইদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করেন। আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে সিএএ হল দেশের আইন, এবং কেউ এর বাস্তবায়ন আটকাতে পারবে না।'

এদিন শাহী টনিকে উজ্জীবিত বঙ্গের বিজেপি নেতারা। শাহ-নাড্ডার দেখানো পথেই নির্বাচনে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিষয়ে প্রত্যয়ী বঙ্গ গেরুয়া ব্রিগেডের নেতারা। একদিকে যখন শাহ-নাড্ডার ভোকাল টনিকে উজ্জীবিত বঙ্গ বিজেপি, সেই মুহূর্তে বড়সড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয় অনুপম হাজরাকে। সম্প্রতি তাঁর করা একাধিক পোস্টে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই বিতর্কের জবনিতা টানতেই এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

4 months ago


Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের দায়িত্ব বাড়ালেন শাহ

প্রসূন গুপ্তঃ যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং এই দলের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সে তো খাতায় কলমে আসলে এখনও সংগঠনের অলিখিত চালিকা শক্তি অমিত শাহের হাতেই।

দেড় দিনের কলকাতা সফরে এসেছিলেন নাড্ডা এবং শাহ। বড়দিনের রাতে হাজির হয়েছিলেন দুই প্রধান। অনেক রাত হলেও নিউ টাউনের হোটেলে প্রাথমিক আলোচনা চলে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে। ১৪ জনের একটি কোর কমিটি ছিল,তাদের মধ্যে মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরে এবং হোটেলে। স্বভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে মিঠুন অনুপস্থিত কেন? তিনি বর্তমানে নাকি আমেরিকায়। কিন্তু রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান যে, রবিবার মিঠুনের সঙ্গে তাঁর টেলিফোনে কথা হয়েছে। মিঠুনকে কোর কমিটিতে রাখা এবং বড়দিনের রাতে তাঁর খোঁজ নেওয়ার কারণ অনেকেরই ধারণা যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মিঠুন হয়তো দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রার্থী হতে পারেন।

অমিত মঙ্গলবার দলের নেতাদের পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন, সামনেই নির্বাচন অতএব দলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল এবং দলবাজি বাদ দিতে হবে। শাহের কাছে বার্তা ছিল, এ রাজ্যে সুকান্ত, শুভেন্দু বা পুরাতনীদের মধ্যে বিবাদ আছে। মঙ্গলবার ফের ১৪ জনের নতুন কমিটি তৈরি করে দিলেন শাহ, নাড্ডা। এই নতুন কমিটির মধ্যে সুকান্ত মজুমদার, আমিতাভ চক্রবর্তী বা শুভেন্দু অধিকারীরা যেমন আছেন অথবা কেন্দ্রীয় বিজেপির প্রতিনিধি যেমন আছেন, তেমনই প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও রাখা হলো। শুধু রাখাই নয়, শাহ পরিষ্কার জানিয়েছেন, দিলীপবাবু দীর্ঘদিনের সংঘ করা এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সুতরাং তাঁর সঙ্গে দলীয় আলোচনা করে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। দিলীপবাবুকেও পুরাতন বিবাদ ভুলে নতুনদের উপদেশ দিতে অনুরোধ করেন অমিত।

বেশ কয়েক মাস ধরে দিলীপবাবু পর্দার অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। এমনিতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাঁর উপর আদি বনাম নব্যর সংকট যা তৈরি হয়েছিল, শাহ আদেশ দিলেন এসব বন্ধ করতে হবে। এই কমিটি আসন্ন নির্বাচনের প্রচারের দিকে বিশেষ নজর দেবে যদিও পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনে করা প্রার্থী হবে তা একেবারেই ঠিক করবে দিল্লির কর্তারা। সূত্রের খবর, শাহী আদেশে কাঁথি লোকসভাতে ভোটে দাঁড়াতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী।

4 months ago
BJP: লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে ১৫ জন সদস্যের কোর কমিটি গঠন অমিত শাহের

শহরে একসঙ্গে শাহ-নাড্ডা (Amit Shah-JP Nadda)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই মঙ্গলবার কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে তৈরি করা হল বিজেপির নতুন নির্বাচনী কোর কমিটি। মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হস্তক্ষেপে এই কোর কমিটি তৈরি হয়েছে ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে। এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন দলের দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। জানা গিয়েছে, আজকের বৈঠকের মূলত প্রধান এজেন্ডা ছিল 'ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট'। এই বৈঠকেই ঠিক করা হয় যে রাজ্য বিজেপির কোর টিম নয়, অমিত শাহের বেছে নেওয়া কোর টিম ইলেকশন করাবে। আর তাঁদেরকেই বেছে নেন অমিত শাহ।

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার যে ১৭ জনের বৈঠক চলছে তাঁর মধ্যে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা বাদে ১৫ জন রয়েছেন। ১৫ জন সদস্যদের নিয়ে এই নির্বাচনী কোর কমিটি নিজে বেছে নিয়েছেন অমিত শাহ। এই কমিটিতে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দ, মঙ্গল পান্ডে, আশা লকরা। এছাড়াও রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, দীপক বর্মন, অমিত মালব্য, সুনীল বনসল। তবে এই নির্বাচনী কোর কমিটিতে জায়গা পাননি চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী- নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার ও জন বার্লা। তবে এদিন সকলকে ভোটের লড়াই করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে বললেন ও প্রার্থী যে কাউকে করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

4 months ago
Amit Shah-JP Nadda: বঙ্গ সফরে অমিত শাহ - জেপি নাড্ডা, গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর পুজো দিলেন কালীঘাটেও

নতুন বছর শুরুর আগেই বঙ্গ সফরে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। সোমবার গভীর রাতে দু'জনেই একসঙ্গে শহরে এসেছেন। এই প্রথমবার একদিনের সফরে একসঙ্গে কলকাতায় এসেছেন তাঁরা। লোকসভা ভোটে বাংলায় ভাল ফল করতে মরিয়া বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই লোকসভাকেই পাখির চোখ হিসাবে বঙ্গে হাজির অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা। বঙ্গ বিজেপি কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখতেই শহরে এসেছেন বিজেপির দুই মহারথী। কলকাতায় আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে দু'জনের। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল হতেই তাঁরা প্রথমেই পৌঁছে গিয়েছেন জোড়াসাঁকোয় একটি গুরুদ্বারে। এরপর তাঁরা এদিন কালীঘাটেও পুজো দিতে পৌঁছে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি নিউটনের পাঁচতারা হোটেলেই একাধিক বৈঠক রয়েছে তাঁদের। মঙ্গলবারই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা তাঁদের দুজনেরই।

জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এম জি রোডের ধারে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ওই গুরুদ্বারে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সকাল থেকেই গুরুদ্বারের চত্বর মুড়ে রাখা হয়েছিল নিরাপত্তার চাদরে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। গুরুদ্বার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভিতরে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এসে কলকাতার কালীঘাটেও পুজো দিতে এসেছেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। এদিন কালীঘাট মন্দির চত্বরে কলকাতা পুলিসের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে বিশেষ বিমানে শহরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতিকে স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রা পল সহ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন ঢাক ঢোল নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ঢাক বাজিয়ে চলে নেতৃত্বকে স্বাগত জানানোর পর্ব। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁরা সোজা চলে যান নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে।

4 months ago


Shah-Sukanta: লক্ষ্মীবারে সাক্ষাৎ অমিত শাহ-সুকান্ত মজুমদারের, কী কী বিষয়ে আলোচনা?

বছর ঘুরলেই চব্বিশের মহারণ। তার আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। সূত্রের খবর, বাংলার সংগঠন-সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়েই এদিন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দেখা করলেন। সূত্রের খবর, বাংলার সংগঠন নিয়ে আলোচনার সঙ্গেই বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সুকান্ত মজুমদার আলোচনা করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। এই বৈঠকে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সূত্রের খবর, ভোটের আগে রাজ্যের বেশকিছু আইপিএস-এর বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। শাসক দল ঘনিষ্ঠ অফিসারদের নিয়ে আগেও বারবার সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

এই বৈঠক প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বললেন, 'সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা। উনি বাংলায় আসবেন সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভা করতে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। বাংলাকে পাখির চোখ করে রাজ্যে প্রচারকাজে আসবেন প্রধানমন্ত্রীও।' আগামী লোকসভা ভোটে বাংলা কেন্দ্রীয় বিজেপির পাখির চোখ, এই ইঙ্গিতই দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

নভেম্বরে বিজেপির কলকাতা চলো কর্মসূচিতে সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই লক্ষে কোমর বেঁধেছে বঙ্গ বিজেপিও। এবার সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে ফের বঙ্গ সফরের প্রতিশ্রুতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায়।

4 months ago
Mamata Banerjee: শীতকালীন অধিবেশনের আগে হঠাৎ অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মমতা, কি লিখলেন চিঠিতে!

লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ফৌজদারি বিল নিয়ে অযথা যাতে তাড়াহুড়ো না করা হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপাতার ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, ওই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি। 

৪ ডিসেম্বর থেকে শীলকালীন অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেসময় ফৌজদারি বিল এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিল পেশ হতে পারে। মূলত ফৌজদারি বিলের ক্ষেত্রে অযথা তাড়াহুড়ো না করার আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।  

বর্তমান ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী আগেও সরব হয়েছেন। ওই প্রস্তাবিত আইনের ধারা নিয়ে চরম আপত্তি তুলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

5 months ago


Amit Shah: 'দিদি, কান খুলে শুনে নিন...', বাংলায় এসে মমতাকে হুঙ্কার শাহের

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন (LokSabha Election 2023)। তার আগেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে ধর্মতলায় হল বিজেপির মহাসমাবেশ। বুধবার বিজেপির এই সভায় যোগ দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আর এদিন এই সভায় যোগ দিতেই বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে উপরে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি। রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলকে। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে সরাসরি মমতাকে একগুচ্ছ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের দল থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।' শুধু তাই নয়, সিএএ দেশে লাগু হবেই, এ নিয়েও দাবি করেন তিনি। এককথায় দিদিকে কান খুলে কিছু কথা শুনে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন অমিত শাহ।

ধর্মতলার সভায় যোগ দিয়ে প্রায় ২৩ মিনিট ধরে মঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'দিদি কান খুলে শুনে নাও, শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে বাইরে বার করে দিতে পারেন, কিন্তু বাংলার মানুষকে চুপ করিয়ে দিতে পারবে না। যে বাংলায় রবি ঠাকুরের গান দিয়ে সকাল শুরু হয়, সেখানে এখন বোমা, গুলিতে সকাল শুরু হয়।' পাশাপাশি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, 'আমি গুজরাটের থেকে আসছি ,কিন্তু বাংলা ছাড়া কোথাও কোনও নেতার ঘরে এত নোট পাওয়া যায় নি। যে বাংলা সব দিক থেকে গোটা দেশের নেতৃত্ব করত, সেই বাংলা সব থেকে পিছিয়ে।' বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বাধা দিতে পারছে না বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা সরকারকে। সিএএ আইন লাগু হবেই, কেউ রুখতে পারবে না, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন শাহ।

বাংলার উন্নয়ন হচ্ছে না মমতা সরকারের জন্যই, তিনিই মূল বাধা রাজ্যের উন্নয়নের পথে। ফলে মমতা দিকে তুলে ফেলে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন অমিত শাহ। তাই বাংলার বিকাশ করতে গেলে মোদীকে ক্ষমতায় আনতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি ও তৃণমূলকে উপরে ফেলে দেওয়া হবে এমনটাই হুঙ্কার অমিত শাহের।

5 months ago
Suvendu: ধর্মতলার সভা থেকে মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দুর পাশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ

মঙ্গলবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করার অভিযোগ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। চলতি অধিবেশনের মেয়াদকালীন সাসপেন্ড থাকবেন বিরোধী দলনেতা, জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার পক্ষের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়ের আনা এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেন। যা নিয়ে তরজায় জড়ায় শাসক-বিরোধী শিবির। বহিস্কার ইস্যুতে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলার সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিদি ফের বহিষ্কার করেছে। এর পরেই কার্যত হুঙ্কার ছোঁড়েন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিদি কান খুলে শুনে নিন, শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে বার করতে পারেন। কিন্তু বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না।

মঙ্গলবার সংবিধান নিয়ে প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় ঘটনার সূত্রপাত। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বক্তব্য রাখার সময় বিধায়কদের দল বদল প্রসঙ্গে সরকার পক্ষকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বিরোধী পক্ষ থেকে দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর ওই সব বিধায়করা বাইরে নিজেদের তৃণমূল বলে পরিচয় দিচ্ছেন। অথচ বিধানসভার অভ্যন্তরে তাঁরা এখনও বিরোধী বিধায়ক বলেই পরিচিত হচ্ছেন। এই সময় অধ্যক্ষ তাঁকে থামিয়ে বলেন, বিধানসভার অভ্যন্তরের নথিতে যা আছে সেই অনুযায়ি বিধায়কদের পরিচয় দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ শঙ্কর ঘোষকে এই সংক্রান্ত বক্তব্য বিধানসভার কার্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি সদস্যরা সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী দলনেতা। কিছুক্ষণ পরে বিজেপি সদস্যরা দল বেঁধে  বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। এর পরেই সরকার পক্ষের অন্যান্য সদস্যরা বিরোধী দলনেতার আচরণের নিন্দা করে তাঁর সাসপেনশনের দাবি করেন।

তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বিরোধী দলনেতার এই আচরণকে নজীরবিহীন বলে বিরোধী দলনেতার এক মাসের সাসপেনশনের স্বপক্ষে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। বিরোধী শূন্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। তবে সাসপেন্ড হওয়ার পর নিজের অবস্থানে অনড় বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান ধমক চমক দিয়ে তার কন্ঠরোধ করা যাবে না। এবার শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত সুর বাঁধলেন শাহ তা বলাই বাহুল্য।

5 months ago
BJP: চমকহীন বিজেপির ধর্মতলা জনসভা

প্রসূন গুপ্ত:  আজ থেকে ৯ বছর আগে এই ধর্মতলাতে ৩০ নভেম্বর জনসভা করেছিল তৎকালীন রাজ্য বিজেপির পরিচালন মন্ডলী। সেদিনও প্রধান বক্তা ছিলেন অমিত শাহ , যদিও তখন তিনি সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন বিজেপির। বেশ ভিড় হয়েছিল রাহুল সিনহার নেতৃত্বে। এটা বাস্তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ জুলাইয়ের বিষয় একেবারেই ভিন্ন সুতরাং ওই দিনের সঙ্গে তুলনা করা ছেলেমানুষি হবে।  সেবারে উদ্দেশ্য একটি ছিল নিশ্চই যে সদ্য ক্ষমতায় এসেছিলো বিজেপি কেন্দ্রে এবং নতুন সভাপতিকে বরণের বিষয় ছিল কিন্তু বুধবার রাজ্য বিজেপির কোনও এজেন্ডাই ছিল না। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনে লোকসভা নির্বাচন কাজেই ধর্মতলায় ভিড় জমিয়ে তাঁর কোনও সুবিধা নেই কিন্তু ভোট প্রচারের টেম্পোটি তুলে দিলে মন্দ কি। অন্যদিকে বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বছর দুয়েক আগেও তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন কাজেই তিনি জানেন ধর্মতলার মহিমা কিন্তু যে কোনও এই ধরণের হাই প্রোফাইলের নেতাকে নিয়ে জনসভার নিশ্চই কোনও উদ্দেশ্য থাকবে যা কিনা অনুপস্থিত ছিল আজ।

সভা শুরু হয়ে যায় দুপুরের আগেই। তখন কোনও কোনও নেতারা ভাষণ দিতে থাকেন। কিছু গান বাজনা ইত্যাদি ছিল। এরপরেই মূল সভা শুরু হয়ে যায় মধ্য দুপুরে। মঞ্চে দিলীপ ঘোষ , সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দুকে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিড়ে বাড়তে শুরু হয় তখনই যদিও রাহুল সিনহার ২০১৪ র জনসভাকে টেক্কা দিতে পারলো না আজকের জনসভা।

যতটা ঝাঁজ ছিল শুভেন্দু বা অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যে ততটাই মামুলি ছিল প্রধান বক্তা অমিত শাহের ভাষণ। ধুরন্ধর এই রাজনৌতিক নেতা যেন কিছুটা বাংলার নেতাদের আবদার রাখতেই মঞ্চে উঠেছিলেন। অমিত ভাষণে বারবার নরেন্দ্র মোদির কৃতিত্ব তুলে ধারা হয়। অমিত একেবারে কাগজ তুলে জানান যে ইউপিএর আমলে বাংলা যতটা বঞ্চিত হয়েছে ততটাই সুবিধা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন্ন লোকসভাতে রেকর্ড ভোট যাতে বাংলার মানুষ দেয় তার আবেদনও ছিল ভাষণে। তিনি বার দুয়েক জানালেন যে আসন্ন ২০২৬ এর নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্য থেকে দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে। কিন্তু বুদ্ধিমান অমিত জানেন এতো দ্রুত বিধানসভার প্রচার করে লাভ নেই। একবার জেলে বন্দি তৃণমূল নেতাদের নাম করলেন, একবার 'ভাতিজা' কথাটি উঠে এলেও বেশি আক্রমণে গেলেন না তিনি। দ্রুত শেষ করলেন তাঁর বক্তব্য। শেষ পর্যন্ত বোঝা গেলো না বুধবারের ধর্মতলার জনসভার উদ্দেশ্যটি  কি ছিল ?

5 months ago


Amit Shah: 'সিএএ আইন লাগু হবেই, কেউ রুখতে পারবে না', মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

হাতে আর এক মাস। এই বছর পেরোতেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024)। আর তার আগেই আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতায় হাজির হলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির ধর্মতলার সভাতে যোগ দিয়ে সেখান থেকেই ফের সিএএ ইস্যু উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিএএ-এর বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। ফলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে চ্যালেঞ্জ, 'সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।'

বুধবার অমিত শাহের উপস্থিতিতে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে ধর্মতলায় হল বিজেপির সমাবেশ। একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনে এদিন তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলেন তিনি। আবার ২৪-এ মোদীকে ফিরিয়ে আনার ডাকও দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এর পরই তিনি সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন, দেশে সিএএ লাগু হবেই। বাংলার সরকার এই আইন রুখতে পারবে না। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।'

5 months ago
Amit Shah: লোকসভার আগে বিজেপির শাহী সভা যেন প্রেস্টিজ ফাইট, সভার লাইভ আপডেট

২৪ এর মহা-যুদ্ধ। এর আগেই কলকাতায় মেগা সভা বিজেপির। সেই সভায় যদি দিতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর তুলে মমতা ও তৃণমূলকে টার্গেট করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। অন্যদিকে অমিত শাহ কলকাতায় পা দেওয়ার আগেই বিজেপির ভোট ব্যাংকে টার্গেট করে পোস্টার ছেয়ে গেল গত কলকাতায়। বুধবার ধর্মতলার সভার অনুমতি ছিল না কলকাতা পুলিশের তরফে। সেখানে হাইকোর্টের অনুমতিতে ধর্মতলায় সভা করছে বিজেপি। এই অবস্থায় বিজেপির কাছে এই মেগা সভা প্রেস্টিজ ফাইট।

5 months ago