
একটি সাপের কারণে বিদ্যুৎ (Electricity) বিভ্রাট (Outage)। যার ফলে ভোগান্তির মুখে পড়লেন শহরের ১৬ হাজার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) টেক্সাসে। বিদ্যুৎবিভ্রাট হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা শহরে। কোথাও কোন ভুল ত্রুটি হয়েছে কিনা তা খুঁজতে থাকেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তখন তাঁরা দেখেন, বিভ্রাট হয়েছে পাওয়ার স্টেশনেই। আর কারণ হলো একটি সাপ।
বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক ম্যাট জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে আগাছা এবং জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। ফলে সেখান থেকেই কোনওভাবে একটি সাপ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী যন্ত্রে ঢুকে পড়ে। তবে সাপটিকে দেখতে পাওয়ার পরই খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) এখন দেখা যাবে বিদেশেও। জানা গিয়েছে, এই ছবি নিয়ে দেশে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হলেও এই ছবি কোনও বাধা ছাড়াই আমেরিকা (America) ও কানাডার (Canada) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এরপরেই বেজায় খুশি ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন-সহ দ্য কেরালা স্টোরির পুরো টিম।
'দ্য় কেরালা স্টোরি' নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ছবি নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে প্রথম থেকেই। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্নিত হতে পারে এমনটা ভেবে বাংলায় আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। কিন্তু অন্যদিকে এই ছবি বিদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল। জানা গিয়েছে, আমেরিকা ও কানাডা মিলে মোট ২০০ টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।
বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, এই ছবি একটি লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যেটি সিনেমার ক্রিয়েটিভির ঊর্ধ্বে। কেরালায় যা ঘটে আসছে, তা প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই ছবি বিশ্বের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া উচিত ও সচেতন বৃদ্ধি করা উচিত। ছবির প্রযোজক ভিপুল শাহও জানিয়েছেন, এই ছবির বিষয় সবার থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসা উচিত, আর তাই এই ছবি।
এখনও হয়তো গ্রামে গেলে বাড়িতে বাড়িতে দেখা যাবে চারপেয়ে (Charpai) খাটিয়া (Khatiya)। আর কিছু হাজার দামের ভারতীদের এই খাটিয়া নাকি আমেরিকাতে (America) বিক্রি হচ্ছে লক্ষাধিক টাকায়। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে কী এমন আছে এই কাঠের খাটিয়ায়? এক ওয়েবসাইটে খাটিয়া বিক্রি হওয়া কিছু ছবি ভাইরাল হচ্ছে। যা দেখে সমাজমাধ্যমে হইহই পড়ে গিয়েছে।
সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, 'ইটসি' নামক আমেরিকার এক ই-কমার্স সাইটে এই কাঠের খাটিয়া বিক্রি করা হচ্ছে। তাও আবার ১ লক্ষ টাকায়। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় চারপেয়ে বা খাটিয়া সাধারণত ১০ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। কিন্তু আমেরিকার এই ওয়েব সাইটে এটা বিক্রি করা হচ্ছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ১৬৮ টাকায়। ওয়েবসাইটে নীচে আবার লেখা রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় বিছানা। আবার এও লেখা যে, এটি কাঠ ও পাট দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। কিছু রং করা খাটিয়ার দাম আবার ১ লক্ষ ১২ হাজারেরও বেশি। ফলে অতি সাধারণ এক খাটিয়ার আকাশছোঁয়া দাম দেখে মাথায় হাত নেটিজেনদের।
টেক্সাস (Texas Mall) মলে বন্দুকবাজের (Shootout) হামলা। হামলায় আহত মোট ১৬ জন। যার মধ্যে মৃত্যু (Death) হয়েছে ৯ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৫ বছরের একটি শিশুও। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল পুলিস (Police)। যদিও পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই বন্দুকবাজের। ঘটনাটি ঘটেছে টেক্সাসের অ্যালেনের অ্যালেন প্রিমিয়াম আউটলেট মলে।
সূত্রের খবর, এই ঘটনাটি শনিবার ঘটে। ঘটনার সময় ওই শপিং মলে বেশ ভালোই ভিড় হয়েছিল। সবাই শপিং করতে ব্যস্ত ছিলেন সেসময়। সেই সময়ই আচমকা এক বন্দুকবাজ গুলি চালাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ এই গুলিবর্ষণ চলার পর মলে উপস্থিত থাকা পুলিস কর্মীরাও ওই বন্দুকবাজের দিকে গুলি চালাতে থাকেন। এমনকি শপিং মলের মধ্যে পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয় ওই বন্দুকবাজ যুবকের।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্দুকবাজ যুবক একাই ওই মলে গুলিবর্ষণ করছিল। তবে এর পিছনে আর অন্য কেউ জড়িয়ে আছে কিনা তাঁর তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন ভারতীয় দুই পড়ুয়া (Students)। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর অবশেষে আমেরিকার (America) মনরো লেক থেকে উদ্ধার হয় ওই দুই পড়ুয়ার দেহ। জানা গিয়েছে, জলে তলিয়ে যাওয়া ওই দুই পড়ুয়ার নাম সিদ্ধান্ত শাহ, বয়স ১৯ বছর এবং আর্য বৈদ্য, বয়স ২০ বছর। তাঁরা দু’জনেই আমেরিকার ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির কেলি স্কুল অফ বিজনেসের (School of Business) ছাত্র।
১৫ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে মনরো লেকে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বন্ধুদের দাবি, প্রথমে দু’জনেই সাঁতার কাটবে না বলে ছোট নৌকোয় চেপে ঘুরছিলেন লেকের মধ্যেই। সেই সময় আচমকাই ওই দু’জন জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং বাকি বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে আরম্ভ করেন। হঠাৎ তারপর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ওই দু'জনের। তল্লাশি অভিযান শুরু হয় ওই দুই পড়ুয়ার। ১৬ এপ্রিল থেকে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত থাকে। ফের ১৮ এপ্রিল জলে নামেন উদ্ধারকারীরা। তখনই দু’জন পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, অনেকক্ষণ আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে।
সৌরঝড়ের (solar storm) সতর্কতা জারি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (American space agency)। বুধবার থেকেই সূর্যে নতুন করে ঝড়ের সতর্কতা জারি (Warning issued) করা হয়েছে। সৌরঝড়ের ফলে গরম তাপের হলকা লাগবে পৃথিবীর বুকে। যার ফলে বেশ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৃথিবীর উপর এর প্রভাব দেখা যাবে, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, সৌরঝড়ে সূর্যের কেন্দ্র থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের বিরাট বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়। আর এর ফলেই কোটি কোটি সৌরপদার্থ চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে পারে।
নাসার (NASA) বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের ফলে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ধরতে পারে। এর ফলে বেতার যোগাযোগও সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। সৌরঝড়ের প্রভাব ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইলের নেটওয়ার্কের উপরেও পড়তে পারে। এমনকি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে কোথাও কোথাও। সপ্তাহখানেক আগেই সৌরঝড়ের সাক্ষী থেকেছিল সৌরজগৎ। কিন্তু এ বারের সৌরঝড় আরও বড় এবং আরও প্রভাবশালী, দাবি বিজ্ঞানীদের।
পথে চলতে চলতেই সন্তানের জন্ম (Born) দিলেন এক তরুণী। এর আগেও চলতি পথে কিংবা ট্রেনে-বাসে হঠাৎ প্রসববেদনা উঠে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। তবে পথে হাঁটতে হাঁটতে সন্তান জন্ম দেওয়া ঘটনা কিন্তু তেমন শোনা যায় নি। এমনি এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, আমেরিকার কোনও একটি শহরের ইউনিয়ন স্কোয়্যারের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক অন্তঃসত্ত্বা (Pregnent) তরুণী। কিন্তু সেই মুহূর্তে সন্তান প্রসব করার মতো অবস্থা ছিল না তাঁর। তবে সব কিছু সময় দিনক্ষণ দেখে তো আর হয় না। পথে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ থমকে গিয়ে রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন ওই তরুণী। তাঁকে দেখে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন পথচারীরা। তাড়াতাড়ি করে সদ্যোজাত এবং ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। তার প্রভাবেই এমন অসাবধানতায় সন্তান প্রসব করেন তিনি। জানা গিয়েছে, এখন মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ আছে।
কুমিরের সঙ্গে বক্সিং (Boxing) এক যুবকের। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral) এই অবাক করা কাণ্ড। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) ফ্লোরিডায়। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একটি নৌকার মধ্যে উঠে পড়েছিল এক বিশাল কুমির (Crocodile)। কুমিরটিকে বারবার তাড়ানোর চেষ্টা করছেন এক যুবক। ওই যুবককে কুমিরের অনেকটা কাছে যেতে দেখা গেল। যে কোনও মুহূর্তে কুমিরটি আক্রমণ করতে পারত ওই যুবকটিকে। এটা জানার পরেও ঝুঁকি নিয়ে কুমিরটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।
Dude tries to flip and fist fight a gator pic.twitter.com/HUOsYTrmga
— Humans Are Metal (@HumanAreMetal) April 7, 2023
কুমিরটিকে তাড়ানোর নানা রকম চেষ্টা করলেও কিছুতেই নৌকা থেকে নামছিল না। তারপর দেখা গেল, যুবক কুমিরের সঙ্গে ‘বক্সিং’ শুরু করছেন। রীতিমতো বক্সিং করার পর অন্য এক যুবক এসে কুমিরের লেজ ধরে উল্টে ফেলে দিল জলের মধ্যে। ‘@হিউম্যানআরমেটাল’ নামে টুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নেটনাগরিকরা যুবকের এই ধরনের কাজের জন্য নানান মন্তব্য করেন এবং অনেকরকম প্রশ্ন তুলেছেন।
এরকম বহু ভিডিও সমাজমাধ্যমের পাতায় ঘোরাঘুরি করে। যা দেখে সত্যি অবাক হওয়ারই কথা।
ফের শক্তিশালী টর্নেডো আছড়ে পড়ছে আমেরিকায় (America)। গত দু’দিনে টর্নেডোর দাপটে বিপর্যস্ত সেদেশের বহু শহর। মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২-এ, আহত বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। ভয়ংকর ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ এবং পশ্চিম-মধ্য আমেরিকা।
গত সপ্তাহেও বিধ্বংসী টর্নেডো ধেয়ে এসেছিল আমেরিকায়। সেই সময় ২৬ জন মারা গিয়েছিলেন। আর এবারেও ফের টর্নেডোয় তছনছ হয়ে গিয়েছে আমেরিকার বহু জায়গা। স্থানীয় হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, টর্নেডোর প্রভাবে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। সূত্রের খবর, শুক্রবারই টর্নেডো আছড়ে পড়েছিল। এরপর শনিবারও সারাদিন ঝড়-বৃষ্টি এককথায় তাণ্ডব চালিয়েছে টর্নেডো। সূত্রের খবর, আমেরিকার আর্কানসাস, মিসিসিপি, আলবামা-সহ বহু প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভেঙেছে বাড়ি, নিখোঁজ বহু।
এছাড়াও এই বিপর্যয়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। সূত্রের খবর, প্রায় ৬ লক্ষ ১০ হাজার বাড়িতে শনিবার থেকে বিদ্যুৎ নেই। ফলে তাঁদের বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। আবার সেদেশে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। আমেরিকার বেশ কিছু জায়গায় জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার তরফে টর্নেডো নিয়ে সতর্কও করা হয়েছে। তবে কবে আমেরিকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
সবার ধারণা জীবনে বড় হতে গেলে, অর্থ উপার্জনের জন্য কোনও দক্ষতা বা পড়াশোনা শেখা অত্যন্ত জরুরি। কোনও দক্ষতা বা পড়াশোনা ছাড়া জীবনে অর্থ উপার্জন করা যায় না। তবে এই ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিলেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের এক ব্য়ক্তি। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম কোরি রকওয়েল। এই ব্যক্তির উপার্জন শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন আপনিও। জানা গিয়েছে, কোরির বার্ষিক আয় ১ কোটিরও উপরে। কিন্তু কীভাবে এই আয়?
কোরি রকওয়েল নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে তিনি ৯-৫ চাকরির জন্য নয়। এমন চাকরি তিনি করতে পারবেনই না। ফলে তিনি চেয়েছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে বেরোতে ও অন্য কোথাও চলে যেতে।' জানা গিয়েছে, তাঁর না ছিল কোনও দক্ষতা, না কোনও শিক্ষা। ফলে তিনি কী করবেন জীবনে তা নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি সুপার মার্কেটে চাকরি করলেও সেটি করতে পারেননি। পরে একদিন তাঁর কাছে খোঁজ আসে এক খনিতে কাজের জন্য। মাইনিং টেম্প এজেন্সি জিওটেম্পস তাঁকে নেভাদায় ছয় মাসের জন্য কাজ করার জন্য বলেছিল।
কিন্তু কোরি এই খনিতে প্রায় ১ বছর কাজ করেন। এরপর তিনি মাটির নীচে কপার খনিতে কাজ করতে শুরু করেন ও এটাই তাঁর পরবর্তীতে জীবন হয়ে দাঁড়ায়। তিনি এই কাজ করেই বছরে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার অর্থ উপার্জন করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত মাটির নীচে খনির মধ্যে থাকলেও তাঁর এই কাজই পছন্দ। এককথায় তিনি তাঁর কাজকে ভালোবাসেন।
আমেরিকার (America) গুরুদ্বারে চলল গুলি, গুরুতর জখম দু'জন। সূত্রের খবর, প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছে যে, এই ঘটনা বিদ্বেষমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রেমেন্টোর একটি গুরুদ্বারে রবিরার বেলা আড়াইটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনও ঝামেলার কারণেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কোন বিষয়ে এই ঘটনা গোলা-গুলি পর্যন্ত গড়ায়, তা এখনও জানা যায়নি।
স্যাক্রেমেন্টোর শেরিফ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রেমেন্টোর এক গুরুদ্বারে দুজন মানুষ একে অপরকে গুলি করে। এই দুই ব্যক্তি একে অপরকে চিনতেন ও কোনও কারণে ঝগড়ার কারণেই তাঁরা একে অপরকে গুলি করেছেন। ঘটনাটিকে 'হেট ক্রাইম' হিসাবে বিবেচনা করেনি মার্কিন পুলিস। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
স্যাক্রেমেন্টো কাউন্টি শেরিফের দফতরের মুখপাত্র অমর গান্ধী দাবি করেছেন, ঝামেলাটি তিনজনের মধ্যে শুরু হয়েছিল। তার জেরেই গুলি চলেছে। প্রথম সন্দেহভাজন ব্যক্তি দ্বিতীয় সন্দেহভাজনের বন্ধুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা দ্বিতীয় সন্দেহভাজন ব্যক্তি প্রথমজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই একে অপরকে চিনতেন বলে মনে করা হচ্ছে।
লটারি (Lottery) জিতেই ঘুরল ভাগ্যের চাকা। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পেয়ে গেলেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। লটারির জোরে রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে আমেরিকার (America) এডউইন ক্যাস্ত্রোর। ভারতের শিল্পপতি রতন টাটাকেও (Ratan Tata) ছাড়িয়ে গেল এই যুবক। ক্যাস্ত্রোর লটারিতে জেতা অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ১৬ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। টাকার পরিমাণের জন্য ক্যাস্ত্রোকে ঘিরে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। তাবড় তাবড় ধনী ব্যক্তিদেরও টক্কর দিয়েছেন এই যুবক। অর্থের নিরিখে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি রতন টাটাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, আমেরিকার ক্যাস্ত্রো লটারির টিকিট কিনেছিলেন। আর সেই লটারির জোরে রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে ক্যাস্ত্রোর। তিনি পেয়ে গিয়েছেন জ্যাকপট। গেল বছরেই নভেম্বরে লটারিতে বাজিমাত করেছেন ওই যুবক। তবে লটারির পুরস্কারমূল্যের পুরো টাকাটা হাতে পাননি ক্যাস্ত্রো। কর এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কাটছাঁট করে তাঁর হাতে এসেছে দাঁড়িয়েছে ৯৯ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এত টাকা পেয়েছেন শুনে স্বাভাবিক ভাবেই হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু পরে লটারি জয়ের উত্তেজনা সামলে এই টাকা কী ভাবে খরচ করবেন, সে নিয়ে আগাম পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।
আরও জানা গিয়েছে, টাকা পাওয়ার পর ৩০ বছর বয়সি ওই যুবক একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। ওই বিলাসবহুল বাড়িটির দাম ৩ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ২৪৫ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। তবে বাড়িটি কেনার সময় ৫০ লক্ষ ডলার ছাড় পেয়েছেন ওই যুবক। শেষে আড়াই কোটি ডলারে কিনেছেন ওই বাড়িটি। এমনকি যে এলাকায় নতুন বাড়ি কিনেছেন ক্যাস্ত্রো, সেটি অভিজাত এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউড হিলস এলাকায় বাড়ি কিনেছেন তিনি। হলিউডের অধিকাংশ তারকার বাড়ি ওই এলাকাতেই রয়েছে। ক্যাস্ত্রোর ১৩ হাজার ৫৭৮ বর্গফুটের ওই প্রাসাদোপম বাড়িটিতে রয়েছে এলাহি বন্দোবস্ত। ওই বাড়িতে রয়েছে জিম, মুভি থিয়েটার, সুইমিং পুল এবং একটি বিশাল বড় গ্যারাজ। যেখানে একসঙ্গে কমপক্ষে ৭টি গাড়ি রাখা যেতে পারে।
লটারি জয়ের এমন অনেক ঘটনায় সামনে এসেছে বহুবার। তবে এত পরিমাণ টাকা জেতার খবর আগে শোনা যায়নি।
বিশ্বের আর্থিক অবস্থা একেবারে শোচনীয়। আগামী দিনগুলিতে কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। এই আর্থিক মন্দা (Financial Crisis) যে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে তার প্রমাণ মিলল আবার। বন্ধ হয়ে(Shut Down) গেল আমেরিকার (America) সিলিকন ভ্য়ালি ব্য়াঙ্ক (Silicon Valley Bank)। বিশ্বের অন্য়তম বড় বড় প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্টার্টআপ সংস্থাকে ঋণ দিয়েছে এই সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। শুক্রবার চরম আর্থিক সঙ্কটের জেরে আনুষ্ঠানিকভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে ব্যাঙ্কটি। ওই ব্যাঙ্কের গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করেছে ক্যালিফোর্নিয়া সরকার।
আচমকা আমেরিকার ষোড়শ বৃহত্তম ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারী-আমানতকারীরা। বিশ্ব শেয়ার বাজারেও ব্যাপক ধস নেমেছে এই ব্যঙ্কের বন্ধের কথা প্রকাশ্যে আসতেই। ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যাঙ্কিং রেগুলেটর এফডিআইসি-র তরফে জানানো হয়েছে, আমানতকারীদের জন্য সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্ত অফিস ও ব্রাঞ্চ আগামী ১৩ মার্চ খুলে দেওয়া হবে। আগামী সোমবারের মধ্যেই তাঁরা ব্যাঙ্কের ইন্সুরেন্স করা ডিপোজিট বা গচ্ছিত টাকা সম্পূর্ণ তুলে নেওয়ার সুবিধা পাবেন।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসেব ধরা হলে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের মোট সম্পদ ছিল প্রায় ২০৯ বিলিয়ন ডলার। এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৭৫.৪ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছে, স্টার্টআপ-কেন্দ্রিক-সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের ক্যালিফোর্নিয়া এবং ম্যাসাচুসেটসে ১৭টি শাখা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার এই ব্যাঙ্ক বন্ধের খবরের প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বেই। ভারতও এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম নয়। এ খবর আসার পর ব্যাঙ্কিং খাতের বেঞ্চমার্ক স্টক ইনডেক্স হঠাৎ করে ৮.১% কমে যায়। এই পতন গত তিন বছরের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বড় পতন। এছাড়া শেয়ার বাজারেও পড়েছে বড়সড় প্রভাব।
ফের বিমানে প্রস্রাবকাণ্ড। এবার নিউইয়র্ক (New York) থেকে নয়া দিল্লিগামী (New Delhi) আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (American Airlines flight) এক মদ্যপ যাত্রীর প্রস্রাব সহযাত্রীর গায়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি ইন্টারন্যাশনাল (আইজিআই) বিমানবন্দর সূত্র খবর, ফ্লাইটটি অবতরণ করার পরে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পুলিসের ডিসিপি, আইজিআই বিমানবন্দর জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম আর্য ভোহরা। অভিযুক্ত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ভোহরার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিসিপি।
AA292 আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি শুক্রবার রাত ৯:১৬ মিনিটে নিউইয়র্ক থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৪ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পর শনিবার রাত ১০:১২ মিনিটে দিল্লির বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্র মত্ত অবস্থায় বিমানে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মাঝ আকাশে ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্রস্রাব করে ফেলেন তিনি। তা গড়িয়ে গিয়ে পড়ে পাশে বসা এক ব্যক্তির গায়ে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিমানকর্মীদের ডেকে বিষয়টি জানান।
যদিও অভিযোগকারী, ছাত্রের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। অভিযুক্ত যুবকও ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে দেখেন। ফ্লাইট অবতরণ করার পর যুবককে দিল্লি পুলিস হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও যাত্রী যদি বিমানে আপত্তিজনক আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, তবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁর বিমানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এক্ষেত্রেও সেই নিয়ম প্রযুক্ত হয়েছে। ভারতীয় ছাত্রকে নিষিদ্ধ করেছে বিমান সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইন্স।
আমেরিকায় (America) একের পর এক বন্দুকবাজের (Gunmen) হামলা। বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বহু। এবার হামলাস্থল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa)পূর্ব কেপ প্রদেশে হামলা চালায় হামলাকারীরা। সূত্রের খবর, জন্মদিনের পার্টি (Birthday Party) চলছিল সে সময়। আচমকা বন্দুকধারীরা ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। সেই হামলায় মারা গিয়েছেন আট জন আর তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সাউথ আফ্রিকান পুলিস সার্ভিস (এসএপিএস) এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই হামলাকারী এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটি রবিবার গ্যাকবেরহা, কোয়াজাকেলের একটি বাড়িতে ঘটেছে। হামলার পর বন্দুকধারীরা পালিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরিস্থিতি এবং হামলার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন এসএপিএস।
উল্লেখ্য, গত বছর একইভাবে বন্দুকবাজরা হামলা চালিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। জুলাই মাসে, বন্দুকধারীদের কয়েক ঘণ্টার হামলায় ১৯ জন মারা গিয়েছিলেন। এবারও আরেকবার হামলার ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।