Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Amavasya

Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্ত সমাগমের ঢল, জনসমুদ্র তারাপীঠ, কঙ্কালীতলায়

আজ, বৃহস্পতিবার কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya)। কথিত আছে, সাধক বামাক্ষেপা কৌশিকী অমাবস্যার দিনে তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করেন। তারাপীঠ (Tarapith) শ্মশানের শ্বেত শিমূল তলায় সাধনা করেন তিনি। ভক্তকে নিরাশ করেননি মা তারা, দেখা দেন বামদেবকে। এই বিশেষ দিনটিতে তাই মহাসমারোহে পুজো হয় মা তারার। আজকের দিনে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠে মা তারার পুজো দিতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করেন অগণিত ভক্ত। মহাশ্মশানে উপস্থিত হন সাধু-সন্ত ও তন্ত্রসাধকরা। বৃহস্পতিবার ভোরে অমাবস্যা লাগার সঙ্গে-সঙ্গেই শুরু হয় মা তারার বিশেষ পুজো। পুজোর সূচনা হয় মঙ্গলারতির মধ্যে দিয়ে। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে তারা মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজনের পাশাপাশি থাকে বিশেষ ভোগের ব্যবস্থাও।

কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠের পাশাপাশি কঙ্কালীতলাতেও ভিড় জমে পুণ্যার্থীদের। সেই কারণেই পুলিসি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় মন্দির চত্বর। মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক পুলিস সহ একাধিক পুলিস কর্মী। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। বলা হয়, ৫১ সতীপিঠের অন্যতম পিঠ এই কঙ্কালীতলা। এখানে দেবী পূজিত হন চিত্ররূপে। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ পুজোর। একই সঙ্গে রয়েছে বিশেষ ভোগের ব্যবস্থাও।

8 months ago
Birbhum: দুই সতীপীঠ কঙ্কালীতলা-নলহাটিতে কালীপুজো উপলক্ষে বিশেষ ভোগ, জানেন কী আছে মেনুতে?

আজ কালী পুজো (kali pujo)। শহর থেকে শহরতলীতে শক্তির আরাধোনা। সকাল থেকে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের বিরাট লাইন দেখা গিয়েছে। তারাপীঠ (Tarapith) থেকে শুরু করে দক্ষিণেশ্বর (Dakshineshwar), নৈহাটি, বারাসাত, বীরভূম সব জায়গাই সেজে উঠেছে আলোর উৎসবে। গত ২ বছর করোনা মহামারির দাপটে কালীপুজোর আনন্দ সেভাবে উপভোগ করতে পারেননি আমজনতা। তবে এবছর সেই দাপট কিছুটা কমতেই আরাধনায় মেতেছেন সকলেই। এবছর দুর্গাপুজোর (durga pujo) মতোই কালীপুজোতেও থিমের হিড়িক লেগেছে প্রতিটি পুজোতেই। এবছর সেই ছবিই ধরা পড়েছে বীরভূমে (Birbhum)।

বীরভূমে ৫১ সতীপীঠের শেষ দুটি পীঠ রয়েছে। একটি বোলপুরের কঙ্কালীতলা, অন্যটি নলহাটিতে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই দুই মন্দিরেই মহা ধূমধামের সঙ্গে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। এবছর বিশেষ আয়োজনে সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা। স্থানীয়রা জানান, কালীপুজোর দিন তারা মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্ব পোড়া শোলমাছ মাখা। এরপর দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ।

2 years ago
Kalipuja: মাইথনে জাগ্রত মা কল্যাণেশ্বরী মন্দির, দীপান্বিতা অমাবস্যায় পুজো দিতে ভক্তদের ঢল

ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্ত (Jharkhand-Bangla border) সংলগ্ন মাইথনে (Maithon) রয়েছে জাগ্রত মা কল্যাণেশ্বরীর মন্দির (Kalyaneshwari temple)। দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের কাছে পুজো দিতে অসংখ্য ভক্তের ভিড় জমে। করোনার (Covid-19) দুই বছর পর এবার কালীপুজোয় ভক্ত সমাগম প্রত্যেকবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কথিত আছে মা কল্যাণেশ্বরী ভক্তদের সকল দুঃখ-বেদনা দূর করেন।

বাংলার অন্দরে হ্যাংলা পাহাড়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন কল্যাণেশ্বরী মাতার মন্দির। এদিন বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের ভক্তরা তাঁদের মনোবাসনা  নিয়ে মায়ের দর্শনে পৌঁছে যান মন্দিরে।জনশ্রুতি রয়েছে, কুষাণদের তাড়া খেয়ে ৩ শতকে হরিগুপ্ত পালিয়ে এসে রাজ্য গড়েন হ্যাংলা পাহাড়ে। মন্দিরও গড়েন তিনি। তবে, এখনকার মন্দিরটি পঞ্চকোটের রাজার তৈরি। অতীতে নরবলির প্রথা ছিল দেবীর থানে। দেবীর কৃত্রিম গুহামন্দির। গুহার দ্বার রুদ্ধ থাকে। গুহামুখে অষ্ট ধাতুর মূর্তি দেবীর। আর অন্দরে সোনার তৈরি দেবীর মূল মূর্তি রয়েছে।

মন্দিরের উত্তরে স্রোতস্বিনী চালনার পাড়ে দেবী কল্যাণেশ্বরী (শ্যামা) রয়েছেন শাঁখা পরে।  স্মারক রূপে মন্দির হয়েছে সেখানেও। পায়ের ছাপও রয়েছে পাষাণ বেদিতে দেবীর। আর মন্দির চত্বরেই রয়েছে চতুর্দশ শিব মন্দির। শীতলা মায়ের থানে মনস্কামনা পূরণে ঢিল বাঁধার প্রথাও আছে। শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির তৈরি হয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের প্রবেশপথে। যাতায়াতের জন্য আসানসোল, দুর্গাপুর এবং ধানবাদ থেকে এই উপাসনালয় পর্যন্ত নিয়মিত বাস পরিষেবা পাওয়া যায়।

মন্দিরের পুরোহিতরা জানান যে, দেবনাথ দেবহরিয়া এখানে কঠোর সাধনা করেছিলেন। তার পরে মা তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন। পুরোহিতরা বলেন, দর্শনের পর দেবনাথ দেবহারিয়াও মাকে একটি শঙ্খদান করেছিলেন। মাকে দেখেই সাধক দেবনাথ এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। মা জগতের কল্যাণ করেন, তাই মন্দিরের নাম হয় কল্যাণেশ্বরী। সাধক গুহার ভিতরে অষ্টধাতু মায়ের মূর্তি স্থাপন করেছেন।

মন্দিরের পুরোহিত আরও জানান, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তাঁদের ইচ্ছা নিয়ে এখানে আসেন।  যে নিম গাছের নিচে সাধক দেবনাথ সাধনা করেছিলেন।  ভক্তরা সেই নিম গাছে পাথর বেঁধে মায়ের কাছে তাঁদের মঙ্গল কামনা করেন।  মনোকামনা পূরণের পর ভক্তরা আবার প্রথমে মায়ের দর্শন করে।  তারপর নিম গাছে বাঁধা পাথরটি খুলে নদী জলে ফেলে দেন।

2 years ago


Tarapith: কৌশিকী অমাবস্যার পুণ্যলগ্নে তারাপীঠে ভক্তদের ঢল, মায়ের নিশিপুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে

আজ কৌশিকী অমাবস্যা। এই দিনে আদ্যাশক্তির আরাধনায় মেতে ওঠেন প্রায় সকলেই। শুক্রবার বেলা ১২টায় লেগেছে অমাবস্যা, ছাড়ছে আগামীকাল অর্থাত্ শনিবার। এদিন তিথি মেনেই সকল মন্দিরে হচ্ছে পুজো। অন্যদিকে নিশিপুজো এবং মহাযজ্ঞের মাধ্যমে মাতৃ আরাধনা করা হয় তারাপীঠে (Tarapith)। পরপর ২ বছর করোনা মহামারীর (covid-19) কারণে একেবারেই ভিড় হয়নি তারাপীঠ মন্দিরে। কিন্তু এবছর একেবারে সাজোসাজো রব। সকাল থেকেই অসংখ্য ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

আজ কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষেই তারাপীঠে বিপুল আয়োজন। আয়োজন করা হয় বিশেষ ভোগেরও। একেবারে রাজবেশে সাজিয়ে এদিন মায়ের আরাধনা করা হয়। এদিন সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গনে ভক্তদের ঢল নামে। এবছর ভিড়ের কারণে শুক্র এবং শনি- দু'দিন খোলা থাকবে মন্দির। এদিন মঙ্গলারতি হয় একদম প্রথমে। এরপর মধ্যাহ্নভোগ শোল মাছ পোড়া, সাত রকমের ভাজা থেকে শুরু করে মাছের অন্যান্য পদ এবং ভাত-পোলাও। এছাড়াও বিশেষ ভোগের মধ্যে থাকে শীতল ভোগ, যাতে ফল এবং ক্ষীর নিবেদন করা হয়। 

2 years ago